বৃহস্পতিবার ● ৯ এপ্রিল ২০২০
প্রথম পাতা » অপরাধ » মির্জাগঞ্জে জমির সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ৫ জনকে কুপিয়ে জখম
মির্জাগঞ্জে জমির সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ৫ জনকে কুপিয়ে জখম
হাসান আলী, পটুয়াখালী প্রতিনিধি :: জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার রামপুর গ্রামের মজিদ হাওলাদারের বসত বাড়িতে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও নারী পুরুষসহ ৫জনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে মারাত্মক জখম করছে সন্ত্রাসীরা।
সন্ত্রাসীদের হামলায় গুরুতর আহত মজিদ হাওলাদারের ছেলে মো. সিফাত হাওলাদার ও স্ত্রী হাসিনা বেগম ও বোন এলাচি ভানুকে আশংকাস্থায় বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার মাধবখালী ইউনিয়নের রামপুর গ্রামে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রামপুর গ্রামের মো. মজিদ হাওলাদারদের সঙ্গে একই বংশের চাচাতো ভাই মো. শাখাওয়াত হাওলাদারের ছেলে মো.মনির হাওলাদার ওরফে হাতকাটা মনিরের সাথে জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এর জের ধরেই মঙ্গলবার রাতে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে।
মজিদ হাওলাদারের ছেলে মো. আলমগীর হোসেন বলেন, ৮০ শতাংশ জমির মালিকানা নিয়ে আমার বাবার চাচাতো ভাই শাখওয়াত আলী হাওলাদের ছেলে মনির হাওলাদার ওরফে হাতকাটা মনিরের সঙ্গে দীর্ঘদিন যাবত দ্বন্দ্ব চলছিল। এ ব্যাপারে আদালতে উভয় পক্ষের একাধিক মামলাও চলমান রয়েছে। এর জের ধরে গত মঙ্গলবার রাতে মনির হাওলাদার ওরফে হাতকাটা মনিরের নেতৃত্বে ২৫-৩০ জনের সন্ত্রাসী দল দেশীয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে আমাদের ঘরের দরজা ভেঙ্গে ভিতরে ঢুকে আমার মা হাসিনা বেগম, ছোট ভাই সিফাত, ফুফু এলাচী বানু, সরবানু বেগম ও চাচী হোসনেআরা বেগমকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে এবং ঘরের আববাবপত্র কুপিয়ে তছনছ করে। এ সময় আমার বাবা মো. আলমগীর হোসেন এবং চাচা আজিজ হাওলাদার অন্যত্র লুকিয়ে থাকায় প্রাণে রক্ষা পায়।
মির্জাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এম.আর শওকত আনোয়ার ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে রাতে ঘটনাস্থল থেকে আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছি। জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে এ ঘটনা ঘটতে পারে। এ ব্যাপারে মামলা দায়ের করা হয়েছে।