বৃহস্পতিবার ● ৯ এপ্রিল ২০২০
প্রথম পাতা » গাইবান্ধা » করোনায় গাইবান্ধাবাসীর সহায় ফুড ব্যাংক
করোনায় গাইবান্ধাবাসীর সহায় ফুড ব্যাংক
সাইফুল মিলন, গাইবান্ধা :: বন্যার ধকল কাটিয়ে ওঠার আগেই উত্তরের অভাবী জনপদ গাইবান্ধায় প্রাণঘাতী করোনার প্রভাবে, কর্মহীন হয়ে পড়েছেন শ্রমজীবী মানুষ। তবে তিন হাজারেরও বেশি দিনমজুর পরিবারের গল্প একটু ভিন্ন। যাদের সহায় এখন ফুড ব্যাংক। করোনা ভাইরাসের ছোবল থেকে দরিদ্রদের জীবন বাঁচাতে একই আদলে ফুলছড়ি উপজেলা প্রশাসনের গড়া ফুডব্যাংকে সাহায্যের হাত বাড়িয়েছেন বিত্তবানরা।
সাঘাটা উপজেলার গোবিন্দি গ্রাম। চাল ধার কর্জের কোন দৃশ্য নয়। ফুডব্যাংক থেকে নিজেদের জমানো চাল তুলছেন করোনায় গৃহবন্দি দিনমজুর পরিবারের নারীরা। কারো সহায়তার দিকে মুখ চেয়ে না থেকে নিজেরাই খাদ্য চাহিদা পূরণ করছেন তারা।
নদীভাঙন কবলিত গাইবান্ধায় করোনা পরিস্থিতির কারণে সৃষ্টি হয়েছে কর্মহীনতা। অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে উপজেলা প্রশাসন সর্বস্তরের মানুষের সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে একটি ফেসবুক গ্র“পের মাধ্যমে স্বেচ্ছাসেবক দল গঠনের কাজও শুরু করে। এ গ্রুপের মাধ্যমে প্রতিটি ওয়ার্ডে স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগের দেয়া হয়েছে। স্বেচ্ছাসেবক দলে উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের ৬৩ ওয়ার্ডের আগ্রহী যে কেউ অংশগ্রহণ করতে পারবে। তাদের মাধ্যমে জরুরি তথ্য, ত্রাণ ও প্রয়োজনে ওষুধ সরবরাহসহ অন্যান্য সহায়তা গ্রহণ ও প্রদান করা হবে।
এসকেএস ফাউন্ডেশন প্রোজেক্ট কোর্ডিনেটর বাহারাম খান বলেন, এরকম ১২টি ফুডব্যাংক আমাদের চালু আছে। এই সময় ফুড ব্যাংক থেকে সহায়তা নিচ্ছে। সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলায় এসকেএস ফাউন্ডেশনের ১২টি ফুড ব্যাংকে প্রতিবছর সাড়ে ১৪ মেট্রিক টন চাল জমা হয়। ফুলছড়ি উপজেলা প্রশাসনের ফুড ব্যাংক থেকে শতাধিক পরিবারকে ত্রাণ সহায়তা দেয়া হয়েছে।
করোনা ভাইরাসের কবলে পড়া মানুষের খাদ্য সংকট মোকাবিলায় ফুডব্যাংকগুলো দু:সময়ের বন্ধু বলে মনে করছেন উন্নয়নকর্মী ও সরকারি কর্মকর্তারা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু রায়হান দোলন বলেন, করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় ডিমান্ডের একটা বড় অংশ সহায়তা করতে পারবো।