বৃহস্পতিবার ● ৯ এপ্রিল ২০২০
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » কাপ্তাইয়ে ১০ টাকা দামে চাল পাচ্ছেন ১২৭২ জন
কাপ্তাইয়ে ১০ টাকা দামে চাল পাচ্ছেন ১২৭২ জন
অর্ণব মল্লিক, কাপ্তাই প্রতিনিধি :: সরকারের খাদ্য মন্ত্রনালয়ের খাদ্য বান্ধব কর্মসুচীর আওতায় কাপ্তাইয়ে ১০ টাকা করে চাল পাচ্ছেন ১২৭২ জন দরিদ্র মানুষ।
উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা সন্তোষ কুমার চাকমা জানান, নির্ধারিত কার্ডের মাধ্যমে প্রতিজন মাসে ১০ টাকা দামের ৩০ কেজি চাল ডিলার হতে কিনছেন। উপজেলার ৫ টি ইউনিয়নে সরকার কর্তৃক মনোনিত ডিলারদের মাধ্যমে এই খাদ্য বান্ধব কর্মসুচী বাস্তবায়ন করা হচ্ছে বলে এই খাদ্য কর্মকর্তা জানান।
তৎমধ্য উপজেলা সদর বড়ইছড়ি বাজারে ডিলার অমিত বিশ্বাস বাবলু, রাইখালী বাজারে সন্জিত দে, চিৎমরম বাজারে মিলন কান্তি বিশ্বাস, কাপ্তাই নতুনবাজারে নাইমুর রহমান এবং চন্দ্রঘোনায় ডিলার মাহমুদুর রহমান এর মাধ্যমে এই চাল বিক্রি করা হচ্ছে বলে উপজেলা খাদ্য বিভাগ জানান।
কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশ্রাফ আহমেদ রাসেল জানান, খাদ্য বান্ধব কর্মসুচী সুষ্ঠ ও সুন্দরভাবে চলছে, সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে কোন রকম অনিয়ম ছাড়া এই কর্মসুচী যাতে চলে সেইজন্য তিনি এই বিষয়ে সবসময় তদারকি করছেন।
ফোন কল পেয়েই ত্রান নিয়ে ছুটে গেলেন কাপ্তাইের ইউএনও
কাপ্তাই :: বিশ্ব মহামারী করনা ভাইরাসের প্রকোপে আয়রোজগার হারানো কর্মহীন হতদরিদ্রদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ত্রাণ পৌঁছে দিচ্ছে কাপ্তাই উপজেলা প্রশাসন। নিচ্ছেন খোঁজ। বাড়ি থেকে বের না হওয়ার জন্যও দিচ্ছেন নির্দেশনা।
কাপ্তাইয়ের নতুন বাজার এলাকায় বৃহস্পতিবার (৯ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলা প্রশাসনকে ফোন করায় তাদের বাড়ি গিয়ে ত্রাণ পৌঁছে দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশ্রাফ আহম্মেদ রাসেল।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, কাপ্তাই উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. নাছির উদ্দিন, কাপ্তাই উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি এম নূর উদ্দিন সুমন, কাপ্তাই প্রেস ক্লাবের অর্থ সম্পাদক নূর হোসেন মামুন সহ স্হানীয় জনপ্রতিনিধিরা।
এদিকে ভুক্তভোগী পরিবারের ফোন পেয়ে উপজেলা প্রশাসন ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ায় খুশি কর্মহীন পরিবারগুলো। জানান, করোনার প্রভাবে ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান সহ সকল প্রকার আয়ের উৎস বন্ধ থাকায় পড়তে হয়েছে বিপাকে। নগদ টাকার সংকটে পরিবারের নেমে এসেছে হতাশার ছাঁয়া। তাই কূল না পেয়ে ইউএনও’কে ফোন করেন তারা।
এদিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশ্রাফ আহম্মেদ রাসেল জানান, মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। তবে বাড়ি থেকে বের না হতে কঠোর নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। এক্ষেত্রে বিনা প্রয়োজনে কেউ বাহিরে আসলে তাদের অর্থ দন্ডে দন্ডিত করা হবে।
কাপ্তাইের চন্দ্রঘোনা ইউনিয়নে ১০৮৮ জন পেলো ত্রানসামগ্রী
কাপ্তাই :: বিশ্ব মহামরি কোভিট-১৯ করোনা ভাইরাস সংক্রমণরোধে কর্মহীন হয়ে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ। এই অবস্হায় কাপ্তাই উপজেলার ১ নং চন্দ্রঘোনা ইউনিয়ন পরিষদের আওতায় সর্বমোট ১০৮৮ টি দরিদ্র পেলো সরকারি ত্রান সহায়তা। এছাড়া ব্যক্তি উদ্যোগে ৭০ হাজার টাকা বন্টন করা হয়েছে এই ইউনিয়ন এর দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মাঝে।
১ নং চন্দ্রঘোনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম চৌধুরী বেবী জানান, এই ইউনিয়নে সরকারের ত্রান মন্ত্রনালয় হতে প্রাপ্ত সাড়ে ৬ টন চাল এবং ডাল, তেল, লবন সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য ৯৩৮ টি পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া রাংগামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ হতে ৫০ টি পরিবার এবং কাপ্তাই উপজেলা পরিষদ হতে ১০০ জন চালক সহ সর্বমোট ১০৮৮ টি পরিবারকে ত্রান সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া ব্যক্তিগত উদ্যোগে কেপিএম এর সাবেক কর্মকর্তা এম আই চৌধুরী ৫০ হাজার নগদ টাকা এবং তাঁর পুত্র আমিনুল ইসলাম নগদ ২০ হাজার টাকা প্রদান করেছেন দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য।
উল্ল্যেখ যে, এম আই চৌধুরী হলেন ১ নং চন্দ্রঘোনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম চৌধুরীর পিতা এবং আমিনুল ইসলাম হলেন তাঁর বড় ভাই।