বৃহস্পতিবার ● ৯ এপ্রিল ২০২০
প্রথম পাতা » ধর্ম » সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী চলছে শবে বরাতের কার্যক্রম
সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী চলছে শবে বরাতের কার্যক্রম
হাসান আলী, পটুয়াখালী প্রতিনিধি :: মহামারি করোনার কারনে পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ উপজেলার আমড়াগাছিয়ায় সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী শবে বরাতের কর্যক্রম চলেছে।
আজ ৯ এপ্রিল শা’বান মাসের ১৪ তারিখ রোজ বৃহস্পতিবার আমড়াগাছিয়া খাজা মুঈনুদ্দীন চিশতী মসজিদে নামাজ, কোরআান তিলায়াত ও জিকির এ ধরনের কার্যক্রম শবে বরাত উপলক্ষে চলেছে।
এশার নামাজের বাদ অত্র মসজিদের ইমাম হাফেজ মোঃ মাহবুবুর রহমান বলেন, আজকের রজনী’ শবে বরাত” নামে পরিচিত। ফারসি ‘শব’ শব্দের অর্থ রাত এবং ‘বরাত’ শব্দের অর্থ সৌভাগ্য। আরবিতে বলে ‘লাইলাতুল বরাত’, অর্থাৎ সৌভাগ্যের রজনী। একটি অভিযোগ শবে বরাত কুরআন ও হাদীসের কোথাও নেই?
এ কথার জবাব হল, কুরআন ও হাদিসের কোথাও শবে বরাত থাকবে কেন, শবে বরাত কুরআন ও হাদীসের পরিভাষা নয়। যেমন :নামাজ, রোযা, ফেরেস্তা এগুলো কুরআন ও হাদিসের পরিভাষা নয়। কুরআনে ‘লাইলাতুম মুবারকা’। হাদিসে ‘লাইলাতুন নিসফী মিন শা’বান’। পবিত্র কোরআন ও প্রসিদ্ধ তাফসীরের আলোকে শবে বরাত সম্পর্কে আল্লাহ এরশাদ করেন- হা-মীম, সূরা দুখান, আয়াত নং ১-৪ স্পষ্ট কিতাবের শপথ! নিশ্চয়ই আমি তা বরকতময় রাতে অবতীর্ণ করেছি। নিশ্চয়ই আমি সতর্ককারী। এ রাতে বন্টন করে দেওয়া হয় প্রত্যেক হিকমতের কাজ।
এআয়াতের তাফসীর সম্পর্কে বিশ্ব বরেণ্য মুফাস্সিরগণের মতামতঃতাফসীরে ছাভী, খন্ড-৪, পৃষ্ঠা-৪০ উল্লেখ্য আছে.মালেকী মাযহাবের আল্লামা শেখ আহমদ ছাভী বলেন- ঐ বরকতময় রজনী হচ্ছে অর্ধ শাবানের রাত্রি (মোফাসসিরীনে কেরামের অন্যতম মোফাসসির) বিশিষ্ট তাবেয়ী হযরত ইকরামা (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু)ও অন্যান্য তাফসীরকারকদের একদলের অভিমত। তারা এর কয়েকটি কারণও উল্লেখ করেছেন। শাবানের চৌদ্দ তারিখের দিবাগত রাত্রির চারটি নামে নামকরণ করেছেন। যেমন- ১। লাইলাতুম মুবারাকাহ- বরকতময় রজনী। ২। লাইলাতুল বারাআত- মুক্তি বা নাজাতের রাত্রি। ৩। লাইলাতুর রহমাহ- রহমতের রাত্রি। ৪। লাইলাতুছ ছাক- সনদপ্রাপ্তির রাত্রি ইত্যাদি।
তিনি আরো বলেন অনেকে শবে বরাত মানে না যেমন আহলে হাদীস তথা লা-মাযহাবী কিন্তু তাদের নির্ভরযোগ্য ব্যক্তি নাসির উদ্দীন আলবানীর “সিলসিলাতুল আহাদিছে ছহিহা” এর খন্ড-৩, পৃষ্ঠা-১৩১ উল্লেখ্য করে কিতাবে লিখেছেন: হযরত মুয়াজ বিন জাবাল (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করিম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, মধ্য শাবানের রাত্রিতে মহান আল্লাহ দুনিয়ার আসমানে জালওয়া রাখেন, অত:পর তাঁর সকল বান্দাকে ক্ষমা করে দেন। কিন্তু মুশরিক বা শত্রু তাপোষণকারী ব্যক্তিকে ক্ষমা করেন না।এ রকম যুক্তি সহ আরো অনেক আলোচনা করেন।
অত্র এলাকার সম্মানিত ব্যক্তি সাংবাদিক হাসান আলী বলেন, প্রতি বছর শবে বরাতে আমাদের মসজিদে মানুষ থাকে অনেক এবছর মহামারি করোনা কারনে এর পরিস্থিতিতে সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী কিছু সংখ্যক মানুষ মসজিদে আসে,এরকম আরো অনেক জায়গায় ৪-৫ জনে মিলে মসজিদে বাড়িতে শবে বরাত পালন করে।
সর্বশেষে দেশ ও জাতির কল্যান এবং সারা মুসলিম উম্মাহর জন্য দোয়া করেন,এবং বারবার আল্লাহর কাছে করোনা থেকে সকলকে হেফাজতের জন্য দোয়া করেন।