শুক্রবার ● ১০ এপ্রিল ২০২০
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » হতদরিদ্রের পাশে দাঁড়ালো কাপ্তাই থানা পুলিশ
হতদরিদ্রের পাশে দাঁড়ালো কাপ্তাই থানা পুলিশ
অর্ণব মল্লিক, কাপ্তাই প্রতিনিধি :: মহামারি কোভিট-১৯ করোনা ভাইরাস সংক্রমন প্রতিরোধে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতের লক্ষ্যে কাপ্তাই থানা পুলিশ প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে। তার পাশাপাশি করোনা ভাইরাসে আয় রোজগার হারানো কর্মহীন হতদরিদ্রদের পাশে দাঁড়িয়ে এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করলো কাপ্তাই থানা পুলিশ।
কাপ্তাই থানা পুলিশের উদ্যোগে আজ শুক্রবার (১০ এপ্রিল) বড়ইছড়ি এলাকায় হতদরিদ্র ২৫ টি পরিবারের মাঝে ঘরে ঘরে গিয়ে ত্রানসামগ্রী বিতরণ করা হয়।
এসময় কাপ্তাই থানা পুলিশের ওসি নাছির উদ্দিন জানান, করোনাভাইরাস সংরক্ষণ প্রতিরোধে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করার পাশাপাশি কর্মহীন গরিব-দুঃখী ও অসহায় মানুষদের ত্রান দিয়ে সহযোগিতা করার ক্ষুদ্র প্রয়াসে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
কাপ্তাই উপজেলা প্রশাসনের বিরামহীন প্রচারনা অব্যাহত
কাপ্তাই :: মহামারি করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ রক্ষায় ও সচেতনতায় রাংগামাটি জেলার কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশ্রাফ আহমেদ রাসেল এর বিরামহীন প্রচারনা এবং সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যদের নিয়ে ঘরে ঘরে সচেতনতা কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
এইসময় তিনি হ্যান্ডমাইকে ” কেই ঘরের বাহিরে বাহির হবেন না, অতিপ্রয়োজন ব্যতিত ঘরের বাহির হলে ক্ষতি আপনার,আপনার পরিবারের, নিজ থেকে বিপদ এবং মহামারি করোনা ভাইরাস ডেকে আনবেন না, আপনাদেরকে সরকারের পক্ষ হতে প্রয়োজনিও ত্রানসামগ্রী প্রদান করা হচ্ছে, প্রয়োজনে আরো দেওয়া হবে, আর বিনা প্রয়োজনে ঘরের বাহির হলে আপনাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে আমাদের বাধ্য হবো - এই সব সচেতনামূলক কার্যক্রম করেন।
শারীরিক প্রতিবন্ধী সিএনজি চালক আলী খাবার তুলে দিলেন অসহায় মানসিক ভারসাম্যহীন প্রতিবন্ধীদের
কাপ্তাই :: এই যেন এক অবিস্মরণীয় মহানুভাবতার গল্প। শারীরিক প্রতিবন্ধী সিএনজি চালক আলী সেইসব মানুষদের পাশে গিয়ে দাঁড়িয়েছে যাদের একমাত্র ঠিকানা রাস্তা, যারা নিজেদের পেটের ক্ষুদার কথা অন্যকে বুঝিয়ে বলতে ব্যর্থ। নিয়তির নির্মম পরিহাসে আজ যারা মানসিক ভারসাম্যহীন তাদের পাশে গিয়ে দাঁড়িয়ে মানবতার আরেক উজ্জল নির্দশন সৃষ্টি করলেন শারিরীক প্রতিবন্ধী আলী।
রাঙামাটি জেলার কাপ্তাই উপজেলার চন্দ্রঘোনা কেপিএম এলাকার শারীরীক প্রতিবন্ধী সিএনজি চালক আলী। তাঁর ব্যক্তিগত উদ্যোগে প্রায় ১৫ জনের মতো মানসিক ভারসাম্যহীন প্রতিবন্ধীর মুখে একবেলার আহার তুলে দিলেন তিনি।
আজ শুক্রবার(১০ এপ্রিল) সকাল হতে বিকেল পর্যন্ত আলী নিজের হাতে খাবার রান্না করে বের হয়ে পড়ে তার সিএনজি নিয়ে। কাপ্তাই ও রাঙ্গুনিয়ার বিভিন্ন সড়কে ঘুরে ঘুরে পড়ে থাকা মানসিক ভারসাম্য হীনদের কাছে গিয়ে তুলে দিলেন তার নিয়ে আসা খাবারের প্যাকেট। যেই প্যাকেটে ছিল না হয়তো দামি খাবার, ছিলো কিন্ত অফুরন্ত ভালোবাসা।
সিএনজি চালক আলী জানান, করোনা ভাইরাসের প্রকোপে দেশের প্রায় সকল খাবারের দোকানাপাট বন্ধ। পূর্বে হয়তো কোন কোন দোকানদার তাদের মুখে খাবার তুলে দিতো।কিন্তু এই দুর্দিনে মানসিক ভারসাম্যহীন মানুষগুলোর মুখে সামান্য খাবার তুলে দেওয়ার মতো এখন কেউ নেই। রাস্তায় অভুক্ত অসহায়ভাবে না খেয়ে পড়ে থাকে মানুষগুলো। তাই তাদের সামন্য কিছু সাহায্যে করার জন্যই আমার এই ক্ষুদ্র প্রয়াস। তিনি আরো জানান, দেশের বিত্তবান ব্যাক্তিরা যেমনটা অসহায়দের পাশে দাড়াচ্ছে তেমনিভাবে সড়কে পড়ে থাকা এই অসহায় মানসিক ভারসাম্যহীন মানুষগুলোর পাশেও এসে যেন দাঁড়ায়। অন্তত তাদের মুখে যেন সামান্য খাবার তুলে দে।
এর আগেও সিএনজি চালক খবরের শিরোনাম হয়েছিলেন একবার: “বিনা ভাড়ায় প্রতিবন্ধী এবং অসচ্ছল রোগীদের নিয়ে যান তিনি হাসপাতাল ।