রবিবার ● ১২ এপ্রিল ২০২০
প্রথম পাতা » শিরোনাম » বিশ্বনাথে ঢাকা-নারায়নগঞ্জ ফেরত ৯ জনের নমুনা সংগ্রহ, জনমনে আতঙ্ক
বিশ্বনাথে ঢাকা-নারায়নগঞ্জ ফেরত ৯ জনের নমুনা সংগ্রহ, জনমনে আতঙ্ক
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: করোনার প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় ঢাকা-নারায়নগঞ্জে থাকা চাকুরী ছেড়ে গত কয়েক দিনে সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এসে অবস্থান নিয়েছে প্রায় অর্ধশতাধিক ব্যক্তি। এতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় আতঙ্ক দেখা দিয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে। বিভিন্ন এলাকা থেকে মোবাইলের মাধ্যমে থানা পুলিশ ও স্থানীয় সাংবাদিকদেরকে ঢাকা-নারায়নগঞ্জ ফেরত ব্যক্তিদের তথ্যও দিচ্ছেন এলাকাবাসী।
আর এলাকাবাসীর দেওয়া তথ্যানুযায়ী দুই (শনি ও রবিবার) দিনে ঢাকা-নারায়নগঞ্জ ফেরত ৯ ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করেছে স্থানীয় প্রশাসন। এরপর প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদেরকে দেওয়া হয়েছে বাধ্যতামূলক হোম কোয়ারাইন্টানে থাকার নির্দেশনা। এরমধ্যে শনিবার ৫ জনের ও রবিবার ৪ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এদিকে ঢাকা-নারায়নগঞ্জ ফেরত ব্যক্তিদের নমুনা সংগ্রহ অব্যাহত থাকবে বলেও প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, ক’দিন ধরে প্রশাসনের নির্দেশনার তোয়াক্কা না করে ঢাকা-নারায়নগঞ্জ ফেরত ব্যক্তিরা নিজেদের ইচ্ছে মতো ঘুরে বেড়াচ্ছে চারিদিকে। ফেরত আসা এসব ব্যক্তিদের মধ্যে কেউ যদি করোনায় আক্রান্ত থাকে, তবে এর কুফল ভোগ করতে হবে তার পরিবারের সদস্যদের পাশাপাশি পুরো উপজেলাবাসীকে। তাই কেউ নিজের জীবন নিয়ে ঝুঁকি নিতে যান না। আর এজন্য যত দ্রুত সম্ভব হয় ঢাকা-নারায়নগঞ্জ ফেরত এসব ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে তাদের নুমনা সংগ্রহ করা ও তা পরীক্ষা করে নিশ্চিত হওয়ার জন্য প্রশাসনের কাছে জোরদাবী এলাকাবাসীর।
দুই দিনে ঢাকা-নারায়নগঞ্জ ফেরত ৯ ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করার সত্যতা স্বীকার করে বিশ্বনাথ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ আবদুর রহমান মুসা বলেন, পর্যায়ক্রমে ফেরত আসা সকলের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে।
এব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামরুজ্জামান বলেন, সম্প্রতি ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ ফেরত কিছু ব্যক্তি বিশ্বনাথে অবস্থান করছেন বলে আমরা জানতে পেরে তাদের ঠিকানা বের করে নমুনা সংহের কাজ শুরু করেছি। ইতিমধ্যে ৯ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে বাকীদের নমুনাও সংগ্রহ করা হবে। এছাড়া কারও নমুনা সংগ্রহ না করা হলে বা অবশিষ্ট থেকে গেলে সেই সকল ব্যক্তির তথ্য প্রশাসনকে দিয়ে সহযোগীতা করার জন্য সর্বমহলকে অবহিত করা হয়েছে।
বিশ্বনাথের লামাকাজী বেদে পল্লীতে খাদ্যসামগ্রী দিলেন পুলিশ সুপার
বিশ্বনাথ :: করোনা ভাইরাসের সংকটময় মুহুর্ত মোকাবেলার লক্ষ্যে সিলেটের বিশ্বনাথে উপজেলার লামাকাজী পয়েন্টস্থ বেদে পল্লীতে পুলিশের পক্ষ থেকে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। আজ রবিবার বিকেলে বেদে পল্লীর ১৬টি পরিবারের সদস্যদের হাতে খাদ্যসামগ্রী তুলে দেন সিলেটের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন পিপিএম। এরপূর্বে বিশ্বনাথ থেকে লামাকাজী যাওয়ার পথিমধ্যে আরো ১৮টি কর্মহীন-অসহায় ও দরিদ্র পরিবারের সদস্যদের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন তিনি। খাদ্যসামগ্রী বিতরণ শেষে পুলিশ সুপার ‘সিলেট লকডাউন’ এর সিলেটে-সুনামগঞ্জ সীমানা ডিউটি পরিদর্শন করেন।
খাদ্যসামগ্রী বিতরণকালে পুলিশ সুপার বলেন, করোনা প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সকল সরকারি নির্দেশনা মেনে চলতে হবে। দেশে খাদ্যের কোন সংকট নাই, তাই সরকারের পক্ষ থেকে খাদ্যসামগ্রী ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়া হবে। আর বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধি করা হলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্ঠার ফলেই করোনা ভাইরাসকে প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে।
খাদ্যসামগ্রী বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পুলিশ সুপার পদোন্নতিপ্রাপ্ত) ইমাম মোহাম্মদ সাদিদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ওসমানীনগর সার্কেল) রফিকুল ইসলাম, বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) শামীম মুসা, পরিদর্শক (তদন্ত) রমাপ্রসাদ চক্রবর্তী, এসআই নূর হোসেন প্রমুখ।
বিশ্বনাথে রামসুন্দর-০৪ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের খাদ্যসামগ্রী বিতরণ
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: করোনা ভাইরাসের সংকটময় মুহুর্ত মোকাবেলার লক্ষ্যে সিলেটের বিশ্বনাথে উপজেলা সদরস্থ শত বছরের প্রাচীন বিদ্যাপীঠ রামসুন্দর সরকারি অগ্রগামী মডেল উচ্চ বিদ্যালয়-০৪ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। আজ রবিবার সকাল থেকে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ৩২০টি কর্মহীন-অসহায় ও দরিদ্র পরিবারের সদস্যদের বাড়িতে বাড়িতে ওই খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেন রামসুন্দর-০৪ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা। খাদ্যসামগ্রী বিতরণকালে প্রত্যেক পরিবারকে ৮ কেজি চাল, ৫ কেজি আলু, ২ কেজি পিয়াজ, ১ কেজি লবন, ১ কেজি ডাল ও ১ লিটার সোয়াবিন তেল প্রদান করা হয়।