সোমবার ● ১৩ এপ্রিল ২০২০
প্রথম পাতা » কুষ্টিয়া » লকডাউন : অবরুদ্ধ কুষ্টিয়াবাসী
লকডাউন : অবরুদ্ধ কুষ্টিয়াবাসী
শামসুল আলম স্বপন,কুষ্টিয়া প্রতিনিধি :: করোনার ভয়াল থাবায় মৃত্যর আতংকে ও আশংকায় গত ১লা এপ্রিল থেকে জেলা শহরসহ কুষ্টিয়ার ৬টি উপজেলা এবং ৫টি পৌরসভায় লকডাউন করে দেশের অন্যান্য জেলা থেকে বিছিন্ন করে দিয়েছে যৌথ ভাবে কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন । এতে জেলার ২০ লক্ষ মানুষ অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে । জেলার গোবাদি পশুর হাটসহ সকল দোকান পাট অনিদৃষ্ট কালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির দোকান বেলা ২টা পর্যন্ত এবং ওষুধের দোকান,ক্লিনিক সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত খোলা রাখার অনুমতি প্রদান করা হয়েছে । কাঁচা তরিতরকারি ও মাছ-গোস্তের নির্ধারিত হাট বাজার বাদে স্কুল-কলেজের মাঠে ফাঁকা-ফাঁকা ভাবে বসানোর নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। পরিস্থিতির ভয়াবহতা উপলদ্ধি করে প্রশাসন জনসাধারণকে প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বেরুতে ক্রমাগত ভাবে নিষেধ করে যাচ্ছেন। এ ব্যাপারে কুষ্টিয়া পুলিশ সুপার এসএম তানভীর আরাফাত (পিপিএম) জানান বাইরে থেকে কুষ্টিয়ায় প্রবেশের ৪টি পথ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। পুলিশের সকল ইউনিটকে জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিৎ করার জন্য ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। পাশাপাশি জনগণকে ঘরে রাখার জন্য উদ্বুদ্ধ করণ সহ কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে।
কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মো: আসলাম হোসেন বলেন, জেলায় বিদেশ ফেরৎ ১৯৫২ জনের মধ্যে হোমকোয়ান্টেটে থাকা ৬৬৩ জনের বাড়িতে চিহ্নিতকরণ লাল পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে। যারা স্বাস্থ্য সেবা দিচ্ছেন তাদের মধ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণ পিপিই প্রদান করা হয়েছে । তিনি বলেন জেলার দরীদ্র ও নি¤œমধ্যবিত্ত মানুষের খাদ্য সংকট নিরশনের জন্য ৫০ লক্ষ টাকার একটি করোনা তহবিল গঠন করা হয়েছে । জেলা প্রশাসক,জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সিভিল সার্জন এই তিন জনের যৌথ স্বাক্ষরে তহবিলের হিসাব পরিচালনা করা হচ্ছে । ইতোমধ্যে বিভিন্নসংস্থা ও ব্যক্তি এই তহবিলে অনুদান প্রদান করছেন। এ তহবিল থেকে দরীদ্র কর্মহীন প্রায় ৩০ হাজার পরিবারকে সাহায্য করা হয়েছে। আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য কুষ্টিয়ার মানুষ যাতে করোনা আক্রান্ত না হয় তার জন্য এবং কেউ যাতে না খেয়ে থাকে তার জন্য ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। জেলাপ্রশাসক বলেন জেলায় দায়িত্বেরত সেনা ইউনিট, পুলিশ প্রশাসন , জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক ও বিত্তবানদের সার্বিক সহযোগিতায় আমরা করোনা রোধে সম্মিলিত ভাবে কাজ করছি। তিনি জোর দিয়ে বলেন কুষ্টিয়া জেলায় সরকারি ত্রাণ চুরির কোন ঘটনা এ পর্যন্ত ঘটেনি । সম্প্রতি তিন জনের মৃত্যু সম্পর্কে জেলা প্রশাসক বলেন,তাদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে । রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত কিছু বলা যাচ্ছে না।