শিরোনাম:
●   মহালছড়িতে আওয়ামীলীগ নেতা গ্রেফতার ●   প্রফেসর কামাল উদ্দিন চৌধুরী কলেজের রজতজয়ন্তী উৎসব ●   শাহরাস্তিতে আন্তর্জাতিক ক্বেরাত সম্মেলন অনুষ্ঠিত ●   পানছড়ি ৩ বিজিবি’র পক্ষ থেকে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সাথে বড়দিনের শুভেচ্ছা বিনিময় ●   ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে তরুণের আত্মহত্যা ●   দ্রুত বাজার নিয়ন্ত্রণের ডাক দিয়েছে গণতন্ত্র মঞ্চ ●   ভোটকেন্দ্রে শূন্যভোটের মাধ্যমে পার্বত্যবাসী ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে প্রত্যাখ্যান করেছে ●   ফ্যাসিবাদের প্রেতাত্মারা নানা সুরতে আবির্ভুত হওয়ার পাঁয়তারা করছে ●   কাউখালীতে উইভ এনজিওর অবহিতকরণ সভা ●   খাগড়াছড়িতে ইত্তেফাকের ৭২ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত ●   বেগম রোকেয়া এ্যাওয়ার্ড পেলেন সাংবাদিক সাব্বির ●   বারইয়ারহাট ঔষধ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ফারুক,সম্পাদক ইউসুফ ●   দীঘিনালায় গলায় ফাঁস দেয়া যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার ●   ট্রাক্টরের চাকায় পিষ্ট হয়ে মা নিহত, ছেলে আহত ●   পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের পরিচালনা বোর্ড ২য় সভা অনুষ্ঠিত ●   রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের মাসিক সভা অনুষ্ঠিত ●   মোরেলগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাবের কমিটি গঠন ●   মানিকছড়িতে ট্রাকের নীচে মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু ●   আল ফালাহ ইসলামি একাডেমীর সবক প্রদান অনুষ্ঠান ●   ১১ দফা অবহিতকরণে আত্রাইয়ে আলোচনা সভা ●   পার্বতীপুর রেলওয়ে ইর্য়াডের আম গাছে যুবকের আত্মহত্যা ●   রংধনু ক্লাবের কার্যকরী পরিষদ গঠিত ●   কাউখালী তাহেরিয়া রশিদা সুন্নিয়া দাখিল মাদরাসার সভা ●   পাকুন্দিয়ায় ইয়ুথ পিস অ্যাম্বাসেডর গ্রুপ গঠিত ●   বৈরী আবহাওয়ায় ও শীতের তীব্রতায় বাড়ছে কৃষকের দুশ্চিন্তা ●   কোন হটকারিতায় গণঅভ্যুত্থানের অর্জন নষ্ট করা যাবেনা ●   তরফভাইখাঁ সমাজকল্যাণ পরিষদের উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ ●   মিরসরাইয়ে শীতার্তের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ ●   ঈশ্বরগঞ্জে জিয়াউর রহমান স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন ●   লংগদু এস এস সি পরীক্ষার্থীদের শিক্ষা সামগ্রী বিতরন
রাঙামাটি, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১



CHT Media24.com অবসান হোক বৈষম্যের
সোমবার ● ১৩ এপ্রিল ২০২০
প্রথম পাতা » উপ সম্পাদকীয় » বাঙ্গালির জীবনে বাংলা নববর্ষ ও কিছুকথা
প্রথম পাতা » উপ সম্পাদকীয় » বাঙ্গালির জীবনে বাংলা নববর্ষ ও কিছুকথা
সোমবার ● ১৩ এপ্রিল ২০২০
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

বাঙ্গালির জীবনে বাংলা নববর্ষ ও কিছুকথা

---উত্তম কুমার পাল হিমেল :: নববর্ষ হল নতুন একটি বছরের শুরু। পৃথিবীর প্রত্যেকটি দেশেই নববর্ষ উদযাপিত হয়। বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন্ সময়ে নববর্ষ উদযাপন করা হয়। ইউরোপ অঞ্চলে ইরেংজী বছরের হিসেবে, আরব অঞ্চলে আরবি বছরের হিসেবে নববর্ষ, পালিত হয়ে থাকে। সেই রোপ আমাদের বাংলাদেশে ও পালিত হয় বাঙ্গালীর প্রাণের উৎসব বাংলা নববর্ষ। আর এই বাংলা নববর্ষ শুরু হয় বৈশাখ মাসের প্রথম দিন থেকে। এই দিনটি আমাদের জাতীয় জীবনে খুবই গুরুত্বপূর্ন একটি উৎসবের দিন। পুরোনো বছরকে বিদায় জানিয়ে ১লা বৈশাখকে বিভিন্ন উৎসবের মাধ্যমে বরন করে নেওয়া হয় বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন হিসাবে। শহর থেকে গ্রাম পর্যন্ত সর্বত্রই এই উৎসবের জোয়ার বয়ে যায়। বাংলা নববর্ষ একটি সার্বজনীন উৎসবের দিন। এটি কোন নির্দিষ্ট ধর্মীয় সম্প্রদায়ের উৎসব নয়। হিন্দু,মুসলমান,বৌদ্ধ,খ্রিষ্টান ইত্যাদি যে ধর্মেরই লোক হোক না কেন,এদেশে যাদের জন্ম,বাংলা ভাষায় যারা কথা বলে,বাংলা নববর্ষ তাদের সকলেরই প্রানের উৎসব। তাই বাংলাদেশের ন্যায় ভারতের পশ্চিমবঙ্গেও জাকজমকের সাথে বাংলা নববর্ষ উদযাপিত হয়। বাংলাদেশে ব্যবসা-বানিজ্যে যারা দেশীয় লেনদেন ও বেচাকেনার হিসাব নিকাশ রাখেন,বাংলা নববর্ষের প্রথম দিনে তারা পালন করেন ”শুভ হালখাতা” উৎসব। বৈশাখের শুরুতেই পুরোনো হিসাব চুকিয়ে মিষ্টি মুখের মাধ্যমে নতুন হিসাব চালু করা হয়। ড. মুহাম্মদ এনামুল হক তার ”বাংলা নববর্ষ” প্রবন্ধে লিখেছেন”হালখাতার অনুস্টান পয়লা বৈশাখের একটি সার্বজনীন আচরনীয় রীতি। শুভ হালখাতা নতুন বাংলা বছরের হিসাব পাকাপাকিভাবে টুকে রাখার জন্য ব্যবসায়ীদের নতুন খাতা খোলার এক আনুষ্টানিক উদ্যোগ। এতে তাদের কাজ কারবারের লেনদেন,বাকি-বকেয়া,উসুল-আদায় সবকিছুর হিসাব-নিকাশ লিখে রাখার ব্যবস্থা করা হয়। নানা লেনাদেনায় সারা বছর যারা তাদের সাথে জড়িত থাকেন অথাৎ যারা তাদের নিয়মিত গ্রাহক,পৃষ্টপোষক ও শুভানুধ্যায়ী তাদেরকে পত্রযোগে বা লোক মারফত নিমন্ত্রন দিয়ে দোকানে একত্রিত করে সাধ্যমত মিষ্টিও জলযোগে আপ্যায়িত করা হয়। এ অনুষ্টানে সামাজিকতা,লৌকিকতা,সম্প্রীতিও সৌজন্যের দিক একান্তভাবে গুরুত্বপূর্ন।
নববর্ষ উপলক্ষ্যে বৈশাখী মেলা আরো একটি সার্বজনীন অনুষ্টান। বৈশাখের শুরু থেকে প্রায় সারামাস ব্যাপী দেশের বিভিন্ন স্থানে মেলা বসে। মেলার নাচ,গান,সার্কাস,নাগরদোলা ইত্যাদি মেলাগুলোকে আনন্দময় করে তোলার প্রধান উৎস। জমিদারী আমলে নববর্ষের আরো একটি সার্বজনীন অনুষ্টান ছিল ”পুন্যাহ”। এ অনুষ্টানের মাধ্যমে জমিদার ও প্রজার মধ্যে দুরুত্ব কমে আসতো এবং প্রজারা আপ্যায়িত হতো জমিদার বাড়ীতে। জমিদারী প্রথা বিলুপ্তির পর এই অনুষ্টানও বিলুপ্ত হয়ে গেছে। বাঙ্গালীর ব্যক্তি জীবন এবং জাতীয় জীবনে নববর্ষের প্রভাব অপরিসীম। ব্যবসায়-বানিজ্যে,কৃষি ও জীবন যাত্রায়,সাহিত্যে ও সংস্কৃতিতে নববর্ষ মিশে আছে অত্যন্ত নিবিড়ভাবে। বাংলাদেশ একটি কৃষি প্রধান দেশ। তাই আমাদের সভ্যতা,সংস্কৃতি,লোকাচার,উৎসব পার্বন কৃষিকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠে। কৃষি নির্ভর এ দেশের মানুষ বৈশাখ মাসকেই তাদের ফসল তোলার মাস বলে গ্রহন করেছে। এই প্রভাব শুরু হয়েছিল সম্রাট আকবরের শাসনামলের সূচনায়,বাংলা নববর্ষ প্রবর্তনের পর থেকে। বাংলা সনের উৎপত্তি সম্পর্কে ড. আশরাফ সিদ্দিকী তার শুভ নববর্ষ গ্রন্থে লিখেছেন,হিজরী চান্দ্র বৎসরের হিসাবে প্রতি বছর এগার দিন এগিয়ে যায় বলে সম্রাট আকবর চান্দ্র হিসাবকে সৌর বৎসরের গননায় রুপান্তরিত করেন। অথাৎ হিজরী ৯৬৩ সন থেকেই বাংলা সনের উৎপত্তি হয়েছে। বাংলা সনের উৎপত্তির সাথে সাথেই বাংলা নববর্ষ এতটা জাকজমকভাবে পালিত না হলেও বর্তমানে এই বাংলা নববর্ষ বাঙ্গালীদের মাঝে মহাসমারোহে পালিত হচ্ছে। এছাড়া বাংলা ভাষা বর্তমানে বিশ্বের প্রায় ২ শতাধিক দেশে আন্তজার্তিক মর্যাদায় ভাষাদিবস হিসাবে পালিত হওয়ায় বাংলার পরিচিতি এখন বিশ্বজুড়ে স্বীকৃত। বর্তমান সময়ে নববর্ষ উপলক্ষ্যে বৈশাখী মেলার সাথে নতুন সংযোজন হয়েছে বইমেলা। বাংলা একাডেমীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বসে এই বইমেলা। বই পিপাসুরা নববর্ষের এই শুভদিনে একে অন্যের ও প্রিয়জনের মধ্যে উপহার হিসাবে বই আদান-প্রদান করে থাকেন। দেশ বরেন্য শিল্পীরা ও সামাজিক,সাংস্কৃতিক সংগঠন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আয়োজন করেন বাংলা বর্ষবরন উপলক্ষ্যে সংগীতানুষ্ঠান। যেখানে গানের মধ্যদিয়ে আবহমান বাংলার বিভিন্ন কৃষ্টিও ঐতিহ্য তুলে ধরা হয়। বাঙ্গালীর প্রাণের উৎসব বাংলা বর্ষবরনে সকল শ্রেনীপেশার মানুষ একসাথে মিলিত হয়ে আনন্দে আত্মহারা হয়ে তখন সমসুরে সবাই গেয়ে উঠুন হিংসা,বিদ্বেষ ভুলে এসো সবাই বাংলার জয়গান গাই।

“নব্বর্ষ তুমি” ( কবিতা)

নব্বর্ষ তুমি
ভোরের আকাশে লাল সূর্যের
আলোকিত ঝিলিক,
তুমি বসন্তের শেষে কোকিলের কণ্ঠে
মুখরিত গান।
নববর্ষ তুমি
পহেলা বৈশাখের সাত সকালে
ইলিশ ভাজা ও পানতাভাতের মেলা,
তুমি বৈশাখী মেলায় অবাক করা
জাদু সম্রাটের জাদুর খেলা।
নব্বর্ষ তুমি
ফসলের মাঠে কৃষকের মূখের
মুগ্ধ হাসি,
তুমি শিল্পীর কণ্ঠে“ আমার সোনার বাংলা”
আমি তোমায় ভালবাসি ।
নববর্ষ তুমি
উঞ্চ প্রকৃতিকে সিক্ত করতে
অবিরাম বৈশাখী বৃষ্টি,
তুমি ব্যবসায়ী প্রতিষ্টানে
শুভ হালখাতা মাধ্যমে নতুনের সৃষ্টি।

লেখক : উত্তম কুমার পাল হিমেল, নবীগঞ্জ উপজেলা, হবিগঞ্জ।





উপ সম্পাদকীয় এর আরও খবর

পার্বত্য চুক্তির ২৭ বছর : শান্তি চুক্তি পাহাড়ে বসবাসরত সকল জনগোষ্ঠীর অধিকার রক্ষায় সম্পূর্ণ ব্যর্থ পার্বত্য চুক্তির ২৭ বছর : শান্তি চুক্তি পাহাড়ে বসবাসরত সকল জনগোষ্ঠীর অধিকার রক্ষায় সম্পূর্ণ ব্যর্থ
একেএম মকছুদ আহমেদ এর সাংবাদিকতায় ৫৫ বছর :  গণমাধ্যমের ওপর উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আক্রমণ, হামলা ও হুমকি বৈষম্যবিরোধী চেতনার পরিপন্থি একেএম মকছুদ আহমেদ এর সাংবাদিকতায় ৫৫ বছর : গণমাধ্যমের ওপর উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আক্রমণ, হামলা ও হুমকি বৈষম্যবিরোধী চেতনার পরিপন্থি
বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী মৌলভীবাজারের পাঁচগাঁওয়ের দূর্গাপূজা ও কিছু কথা বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী মৌলভীবাজারের পাঁচগাঁওয়ের দূর্গাপূজা ও কিছু কথা
পার্বত্য চুক্তির ২৬ বছরে পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণ কি-কি বৈষম্যের স্বীকার তা নিয়ে একটি পর্যালোচনা পার্বত্য চুক্তির ২৬ বছরে পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণ কি-কি বৈষম্যের স্বীকার তা নিয়ে একটি পর্যালোচনা
আন্তর্বর্তীকালিন সরকার পাহাড়ের বিষয়ে যেকোনো সিদ্ধান্ত নিলে নিতে হবে গভীর বিচার-বিশ্লেষণের মাধ্যমে আন্তর্বর্তীকালিন সরকার পাহাড়ের বিষয়ে যেকোনো সিদ্ধান্ত নিলে নিতে হবে গভীর বিচার-বিশ্লেষণের মাধ্যমে
সবকিছু কেড়ে নিয়েছে স্বৈরাচারী খুনি হাসিনার আওয়ামীলীগ সবকিছু কেড়ে নিয়েছে স্বৈরাচারী খুনি হাসিনার আওয়ামীলীগ
রাঙামাটিতে ঐক্যবদ্ধ বড়ুয়া সমাজ গড়ে তোলার সম্ভবনার পথ দেখা দিয়েছে রাঙামাটিতে ঐক্যবদ্ধ বড়ুয়া সমাজ গড়ে তোলার সম্ভবনার পথ দেখা দিয়েছে
বর্তমান প্রেক্ষাপটে ১৯০০ সালের রেগুলেশান, (সংশোধিত) ১৯২০ আইনটি পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির পরিপন্থি নয় কি ? বর্তমান প্রেক্ষাপটে ১৯০০ সালের রেগুলেশান, (সংশোধিত) ১৯২০ আইনটি পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির পরিপন্থি নয় কি ?
আগামীতে  কারা দেশ চালাবে ? …সাইফুল হক আগামীতে কারা দেশ চালাবে ? …সাইফুল হক
সীমান্ত সড়ক পশ্চাদপদ পার্বত্য অঞ্চলকে উন্নয়নের স্রোতধারায় একীভূত করেছে সীমান্ত সড়ক পশ্চাদপদ পার্বত্য অঞ্চলকে উন্নয়নের স্রোতধারায় একীভূত করেছে

আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)