বৃহস্পতিবার ● ১৬ এপ্রিল ২০২০
প্রথম পাতা » সকল বিভাগ » করোনা আতংক : নবীগঞ্জে গার্মেন্টস কর্মীর ব্যাপক সমাগম
করোনা আতংক : নবীগঞ্জে গার্মেন্টস কর্মীর ব্যাপক সমাগম
উত্তম কুমার পাল হিমেল,নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি :: হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার ৭ নং করগাঁও ইউনিয়নসহ প্রত্যন্ত অঞ্চল হিসেবে পরিচিত দীঘলবাক ইউনিয়নের মাধবপুর-গালিমপুর এলাকায় গত ২/৩ দিনে ঢাকা ও নারয়নগঞ্জ থেকে বেশকিছু গার্মেন্টসকর্মী মরনব্যাধি করোনা ভাইরাস উপেক্ষা করে নবীগঞ্জে আসায় সাধারন মানুষের মধ্যে আতংক দেখা দিয়েছে। আজ ১৬ এপ্রিল বৃহস্পতিবার ভোরে নবীগঞ্জ পৌর এলাকার পাশ্বর্তী করগাও ইউনিয়নের মুক্তার গ্রামের সমীরন দাশ ও তার পরিবারের ৫ জন গার্মেন্টসকর্মী নারায়নগঞ্জ থেকে এবং ৪/৫ দিন পুর্বে নবীগঞ্জ পৌরসভার পূর্ব তিমিরপুর গ্রামের সোহাগ মিয়া,সোহান মিয়া,রায়হান মিয়া,তোফায়েল মিয়া,শাওন মিয়া ঢাকা ও নারায়নগঞ্জ থেকে বাড়ীতে আসার কারনে ঐ গ্রামের সাধারন মানুষের মাঝে আতংক বিরাজ করছে। নবীগঞ্জ থানা পুলিশকে বিয়য়টি অবগত করা হয়েছে। করোনা ভাইরাসে যখন গোটা বিশ্ব স্তব্ধ তখন নবীগঞ্জের মাধবপুর-গালিমপুর বাজারে চলছে রমরমা ব্যবসা। ওই এলাকায় মানুষের আনাগোনা স্বাভাবিক জীবনযাত্রার মতো। প্রত্যন্ত অঞ্চল হিসেবে প্রশাসনের নির্দেশনা হয়তোবা কার্যকরী মনে করছেন না মাধবপুর-গালিমপুর জনপদের জন-সাধারণ। সম্প্রতি নবীগঞ্জ উপজেলা করগাঁও উইনয়নের মুক্তাহার,মাধবপুর-গালিমপুর এলাকায় নারায়ণগঞ্জ,ঢাকা,কুমিল্লাসহ বিভিন্ন জেলা থেকে মানুষ ফিরেছে। এর ফলে সাধারন মানুষের মাঝে দেখা দিয়েছে আতংক উৎকণ্ঠা। যাতায়াত ব্যবস্থা নাজুক হওয়ায় প্রশাসনিক টহল পৌঁছায়নি মাধবপুর-গালিমপুর এলাকায়। করা হয়নি সচেতনামূলক মাইকিং এর ফলে নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করেই স্বাভাবিক জীবনযাত্রার মতো মানুষ দিব্বি চলাফেরা করছেন। মাধবপুর-গালিমপুর বাজারে ব্যাপক জনসমাগম হয় প্রতিদিনই। জানা যায়, প্রত্যন্ত দ্বীপ হিসেবে পরিচিত মাধবপুর-গালিমপুর এলাকা হবিগঞ্জ জেলার শেষ সীমান্ত বলা হয় । আবার মাধবপুর-গালিমপুরের এক অংশ সিলেট বিভাগের ওসমানী নগর উপজেলায় অবস্থিত । প্রত্যন্ত অঞ্চল হিসেবে ওই এলাকায় সরকারে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। নেই ইট সলিং কিংবা পাকা সড়ক। ওই এলাকার লোকজন ধুলোবালিতে একাকার হয়ে মাটির রাস্তা দিয়ে প্রতিনিয়ত যাতায়াত করে থাকেন। যাতায়াত ব্যবস্থা নাজুক হওয়ায় প্রশাসন মাধবপুর-গালিমপুর যেতে অপারগতা প্রকাশ করে বিভিন্ন সময়।
দেশে করোনা ভাইরাস যখন মহামারী আকার ধারণ করেছে তখন নবীগঞ্জ উপজেলার দীঘলবাক ইউনিয়নের মাধবপুর-গালিমপুর এলাকায় মানা হচ্ছেনা সরকারের কোনো নির্দেশনা। প্রতিনিয়তই মাধবপুর-গালিমপুর বাজারে ব্যপক হারে চলাফেরা করছে মানুষ। নেই কোনো মাস্ক,গ্লাভসের ব্যবহার । হ্যান্ড স্যানেটাইজার কী হয়তো বা অনেকেই জানেন না। এ যেন বাংলাদেশের বুকে এক অচেনা দ্বীপ।
স্থানীয় সচেতন নাগরিকদের ভাষ্য, বার বার করোনা ভাইরাসের মধ্যে ব্যক্তিগত ভাবে সচেতন হওয়ার আহবান জানানোর পরও কেউই সাড়া দিচ্ছেন না। প্রশাসনের আনাগোনা না থাকায় এলাকায় মানা হচ্ছেনা সরকারি কোনো নির্দেশনা ।এ ব্যাপারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন এলাকাবাসী।
ওসি মোঃ আজিজুর রহমান বলেন,আমাদের লোকবল কম থকার পরও বিভিন্ন স্থানে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিতেছি। এ ব্যাপারে স্থানীয়ভাবে সংশ্লিষ্ট মেম্বার ও চেয়ারম্যানদেরকেও ভুমিকা নিতে হবে।
এ বিষয়ে জানতে নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিশ্বজিত কুমার পাল এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, মাধবপুর গালিমপুর এলাকায় যাওয়ার যাতায়াত ব্যবস্থা খুবই নাজুক,তারপরও বিষয়টা গুরুত্বের সাথে দেখতেছি।
নবীগঞ্জে দরিদ্রদের দিতে প্রশাসনের কাছে খাদ্য সামগ্রী হস্তান্তর
নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি :: করোনা ভাইরাসের এই মহামারী পরিস্থিতিতে নিন্ম আয়ের ও অস্বচ্ছল দরিদ্র মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণের জন্য নবীগঞ্জ এডুকেশন ট্রাস্ট ইউকের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অধ্যাপক মোঃ আব্দুল হান্নানের ব্যক্তিগত উদ্যোগে নবীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের কাছে ২০০ প্যাকেট খাদ্য সামগ্রী হস্তান্তর করা হয়েছে। গতকাল বুধবার বিকেলে নবীগঞ্জ পরিষদ প্রাঙ্গনে খাদ্য সামগ্রী উপজেলা প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এসময় সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে উপস্থিত ছিলেন নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিশ্বজিত কুমার পাল, নবীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুমাইয়া মমিন,উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান (মহিলা) নাজমা বেগম,নবীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল জাহান চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক রিজভী আহমেদ খালেদ, নবীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু সালেহ জীবন, বাংলা টিভির প্রতিনিধি মতিউর রহমান মুন্না,জয়যাত্রা টেলিভিশনের হবিগঞ্জ প্রতিনিধি ছনি চৌধুরী প্রমুখ। উপজেলা প্রশাসন প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকায় দিন মজুর, দরিদ্র লোকদের বাড়িতে ত্রান সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছেন।