শুক্রবার ● ১৭ এপ্রিল ২০২০
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » বাগেরহাটে টিসিবি’র পণ্য কালোবাজারে বিক্রি দায়ে আ’লীগ নেতা বহিস্কার
বাগেরহাটে টিসিবি’র পণ্য কালোবাজারে বিক্রি দায়ে আ’লীগ নেতা বহিস্কার
শেখ সাইফুল ইসলাম কবির, বাগেরহাট প্রতিনিধি :: বাগেরহাটের চিতলমারীতে টিসিবি’র তেল কালোবাজারে বিক্রির ঘটনায় বড়বাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ জাহাঙ্গীর উকিল ও চিতলমারী উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক মোঃ মিলন মাঝিকে দল থেকে সাময়িক বহিস্কার করা হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় চিতলমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ বাবুল হোসেন খান ও সাধারণ সম্পাদক পীযূষ কান্তি রায় এবং বাগেরহাট জেলা সেচ্ছাসেবক লীগ আহবায়ক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল, যুগ্ম-আহবায়ক সরদার আব্দুল কাদের ও বিশ্বজিৎ সরকার স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।
চিতলমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পীযূষ কান্তি রায় ও বাগেরহাট জেলা সেচ্ছাসেবক লীগ আহবায়ক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল জানান, করোনা দূর্যোগের কান্তিকালে দল ও সরকারের দূর্নীতি বিরোধী অবস্থানকে তোয়াক্কা না করে মেসার্স মোঃ জাহাঙ্গীর আলমের নামে টিসিবির পন্য কালোবাজারে বিক্রির দায়ে বিভিন্ন অনলাইন,ইলেকট্রনিক্স ও প্রিন্ট মিডিয়ায় প্রচারিত সংবাদের ভিত্তিতে দল ও সরকারের ভাবমূর্তি চরম ভাবে ক্ষূণ্ণ হয়েছে। এমতাবস্থায় তাদেরকে বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের নির্দেশে সাময়িক ভাবে বহিস্কার করা হয়েছে। সেই সাথে কেন তাদেরকে দল থেকে স্থায়ী ভাবে বহিস্কার করা হবে না সে জন্য ৭ দিনের মধ্যে জবাব দিতে কারণ দর্শানো নোটিশ দেয়া হয়েছে।
প্রসংগত, গত বৃহস্পতিবার (১৬ এপ্রিল) সকালে বাগেরহাটের চিতলমারীতে কালোবাজারে বিক্রি হওয়া টিসিবি’র ১৯২ লিটার তেলের মধ্যে ৯০ লিটার তেল উপজেলা প্রশাসন উদ্ধার করে। এ সময় ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)-এর পণ্য কালোবাজারে বিক্রির দায়ে আবির স্টোরের মালিক ইসমাইল কাজীকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করে ভ্রাম্যমান আদালত।
এ ব্যাপারে বড়বাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও টিসিবির ডিলার মোঃ জাহাঙ্গীর উকিল মুঠোফোনে বলেন, ‘আমি আজ ৩৬ বছর আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। উপজেলা প্রশাসন ও দলের নেতাদের অনুরোধে আমি চিতলমারী সদর ইউনিয়নে মাল বিক্রির জন্য চিতলমারী উপজেলা সেচ্ছা সেবক লীগের আহবায়ক মিলন মাঝিকে দায়িত্ব দেই। কোন অনিয়ম হলে সে করেছে। এখন যেটা হচ্ছে সেটা আমার বিরুদ্ধে অবিচার হচ্ছে।’
এ ব্যাপারে চিতলমারী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক মিলন মাঝি সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমি টিসিবির কোন ডিলার নই। আমি কোন তেল কারো কাছে বিক্রি করি নেই। আর এ ব্যবসার সাথেও আমি জড়িত না।’
প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া খাদ্যসামগ্রী পেলেন ২৯০টি পরিবার
বাগেরহাট :: বাগেরহাটেরমোরেলগঞ্জে প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাসে কর্মহীন হয়ে পড়া ২৯০টি পরিবারের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে জরুরি খাদ্য সহায়তার চাল বিতরণ করা হয়েছে। শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক পৃথক পৃথক এলাকায় শ্রমিকদের মাঝে চাল বিতরণ করেন।
এর মধ্যে মোরেলগঞ্জ, মোংলা, শরণখোলা বাস শ্রমিক। পিরোজপুর, বাগেরহাট, ঢাকা রুটের শ্রমিক ও দুটি আশ্রয়ন প্রকল্পের বাসিন্দারা রয়েছেন।। এ সর্ম্পকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. কামরুজ্জামান বলেন, করোনা ভাইরাসে কর্মহীন হয়ে পড়া ঘরমুখি বিভিন্ন শ্রেনীপেশার মানুষ পর্যায়ক্রমে খাদ্য সামগ্রী পাবে। খাদ্যের অভাবে কোন ব্যক্তি অভূক্ত থাকবেনা। প্রধানমন্ত্রী’র নির্দেশনা অনুযায়ী মাঠ পর্যায়ে প্রতিটি বাড়িতে গিয়ে খাদ্যসামগ্রী নিজ হাতে দিচ্ছেন তিনি। ইতোমধ্যে এ উপজেলায় ৫ হাজার ৬শ’ পরিবারের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও ছিন্নমূল আশ্রয়ন প্রকল্পের ১১০ পরিবারের মাঝে খাদ্যসামগ্রী দেওয়া হয়েছে।
গৃহবধূ ও যুবকের লাশ উদ্ধার, দিনমজুর বিদ্যুৎ স্পৃষ্টে ও পনিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
বাগেরহাট :: বাগেরহাটের চিতলমারীতে মফিজার সরদার (৪৫) নামের এক দিনমজুর বিদ্যুৎ স্পৃষ্টে ও সালমান শেখ নামের দেড় বছরের এক শিশু পানিতে ডুবে মারা গেছে। অপরদিকে পুলিশ গৃহবধু রতœা রায় (৩৫) ও সুজন শেখ (২৭) নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে। শুক্রবার সকাল ৯ টার দিকে এ দূর্ঘটনা দুটি ঘটে।
এদিন দুপুরে গৃহবধূ ও যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়। মৃত মফিজার সরদার বড়বাড়িয়া ইউনিয়নের বড়গুনি গ্রামের হাদি সরদারের ছেলে ও সালমান শেখ বড়বাড়িয়া গাংপাড় মিত্তিপাড়া গ্রামের খলিল শেখের ছেলে এবং রতœা রায় খাগড়া বুনিয়া গ্রামের অদ্য রায়ের স্ত্রী ও সুজন শেখ চিতলমারী সদর ইউনিয়নের বারাশিয়া গ্রামের মৃত আকবর আলী শেখের ছেলে।
চিতলমারী থানার ওসি মীর শরিফুল হক জানান, দিনমজুর মফিজার সরদার শিমুল গাছে উঠে বাশঁ দিয়ে তুলা সংগ্রহ ছিলেন। এ সময় অসাবধান বশত বিদ্যুতায়িত হলে সে ঘটনাস্থলেই মারা যান। এছাড়া খলিল শেখের ছেলে শিশু সালমান শেখ খেলার ছলে বাড়ির পাশে একটি পুকুরে ডুবে মারা গেছে।
অপরদিকে, খবর পেয়ে পুলিশ খাগড়া বুনিয়া গ্রামের অদ্য রায়ের স্ত্রী রত্মা রায় ও বারাশিয়া গ্রামের মৃত আকবর আলী শেখের ছেলে সুজন শেখের গলায় রশি দিয়ে ফাঁস দেয়া লাশ উদ্ধার করেছে। মফিজার সরদার, সুজন শেখ ও রত্মা রায়ের ঘটনায় থানায় পৃথক ভাবে তিনটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
বাগেরহাটে এসপি’র নির্দেশে অসহায় মানুষদের পাশে ওসি আজিজুল
বাগেরহাট :: বাগেরহাটের পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায় নির্দেশে অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়ালেন ওসি কেএম আজিজুল ইসলাম মোরেলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ । বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর উজ্জ্বল নক্ষত্র পুলিশে প্রধান (আইজিপি) হওয়ায় ড. বেনজীর আহমেদ(বিপিএম বার) কে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।বাংলাদেশএর গর্ব মানবতার সেবক নামে পরিচিত ড. বেনজীর আহমেদ।তিনি জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা বিভাগে চিফ অব মিশন ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড সাপোর্ট সার্ভিসেস হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত জাতিসংঘ সদরদফতরে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদে কাজ করেছেন। কর্মদক্ষতায় তিনবার জাতিসংঘ শান্তি পদক অর্জন করেন। এ ছাড়া তিনি পুলিশের পেশাগত সর্বোচ্চ পদক বাংলাদেশ পুলিশ মেডেল (বিপিএম) অর্জন করেন।
তিনি বলেন, আমি নির্দেশনা পেয়েছি, আমার পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায় পিপিএম (বার) স্যার যেমন সাধারণ মানুষের সাথে চলে এবং মিশে, তেমনি উচিত সারা বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর।
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ কেএম আজিজুল ইসলাম , একজন ব্যক্তির নাম, প্রতিটা মানুষের হৃদয়ে গেঁথে আছে মোরেলগঞ্জউপজেলা বাসীর। যে ব্যক্তি তার একটি পরিবার আছে সেই কথা না ভেবে দিনরাত মানুষের পাশে সেবার কাজে নিয়োজিত আছে, এমন একজন মানুষকে হারাতে চাইনা মোরেলগঞ্জ উপজেলা বাসী।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায় অফিসার ইনচার্জ কেএম আজিজুল ইসলাম, ১৭ আগষ্ট ২০১৮মোরেলগঞ্জ থানাতে আসা পর থেকে অসহায় গরীব দুঃখী মানুষের পাশে আছে, সে যখন শোনে একজন অসহায় মানুষ বিপদে পড়ে আছে তখনি ছুটে যাই তার কাছে। এবং এই দেশে মহামারী করোনাভাইরাস আসার শুরু থেকে এখনো পর্যন্ত তার নিজস্ব তহবিল থেকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন অসহায় মানুষদের জন্য।
ওসি কেএম আজিজুল ইসলাম এ প্রতিবেদক শেখ সাইফুল ইসলাম কবির কে জানান, পুলিশ জনগণের বন্ধু, আমি একজন পুলিশ অফিসার হয়েও, সাধারণ মানুষের সাথে চলি, যাতে করে সাধারণ মানুষ আমাকে সব কিছু বলতে পারে।
তিনি আরো বলেন আমি চাই আমার মোরেলগঞ্জ থানার মানুষ, কোনো অন্যায় কে প্রশ্রয় না দেয়,অন্যায়ের প্রতিবাদ করবে। তিনি আরো বলেন আমি নির্দেশনা পেয়েছি, আমার পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায়, পিপিএম (বার) স্যার যেমন সাধারণ মানুষের সাথে চলে এবং মিশে, তেমনি উচিত সারা বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর। এই মহামারী করোনাভাইরাস যে সবাইকে বাড়িতে থেকে সুস্থ থাকার অনুরোধ করেন।আসুন আমরা নিজেদের জন্য খানিকটা সময় বের করে ভাবি নিজের সুরক্ষা নিয়ে, সচেতন থাকি, সতর্ক থাকি, সচেতন রাখি, সতর্ক রাখি পুরো দেশ, পুরো জনপদ।
করোনার ভয়ে হাসপাতাল থেকে পালিয়েছে প্যাথলজিষ্ট
বাগেরহাট :: বাগেরহাটের করোনা সন্দেহকারী রুগীকে পরিার জন্য নমুনা সংগ্রহের কথা শুনে হাসপাতাল থেকে পালিয়েছে প্যাথলজি বিভাগের এক কর্মকর্তা। গত ৮দিন যাবত পালিয়ে আতœগোপনে থাকা মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (এমটি) অনিমেষ শাহা না থাকায় বন্ধ রয়েছে প্যাথলজি বিভাগের পরিক্ষা-নিরিক্ষার সকল কার্যক্রম। আর তিনি পালিয়ে থাকায় দুর্ভোগে পড়েছে চিকিৎসারত ও বিভিন্ন দিক থেকে আসা সাধারন রুগীরা। তবে কাউকে না জানিয়ে সরকারের জরুরী সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান খেকে দীর্ঘ ১১দিন পালিয়ে থাকা এ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এখনও কোন ব্যাবস্থা নেয়নী কর্তৃপ। এ নিয়ে হাসপাতাল জুড়ে ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে।
খুলনা বিভাগের তথা দক্ষিনাঞ্চলের বৃহত্তম সমুদ্র বন্দর নগরী মোংলা উপজেলার প্রায় ২ লাখ জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে ১৯৯৮ সালের ২৩ মে তৈরী করা হয় ৫০ সয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্র। এ স্বাস্থ্য স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ২৫ জন চিকিৎসক থাকার নিয়ম থাকলেও আছে মাত্র মাত্র ১০/১২জন। এর মধ্যে ৫জন চিকিৎসক রীতিমত অফিস করছে আর বাকিরা আছে কাগজে-কলমে। এখানে প্যাথলজি বিভাগে ৩জন মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট থাকার স্থলে আছে মাত্র ১জন। সরকারের স্বাস্থ্য শাখার লোকবল কম থাকায় এ শাখায় দীর্ঘদিন যাবত একজন (এমটি) দিয়ে চলে আসছিলো হাসপাতালের প্যাথলজি বিভাগের কার্যক্রম। কিন্ত সারা দেশ ব্যাপী করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের ফলে দেশের সকল স্বাস্থ্য বিভাগের চিকিৎসকসহ অন্যান্য শাখার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর ছিল করা নির্দেশনা। তার মধ্যেও বর্তমান পরিস্থিতিতে সরকারের কঠোর নির্দেশনা থাকা সত্বেও মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্র’র এ শাখার একমাত্র মেডিকেল টেকনোলজিস্ট অনিমেষ শাহা অফিসে আসা বন্ধ করে দেয়। অফিসে আসলেও তিনি প্যাথলজি বিভাগে না বসে অন্যাত্র ঘুরে বেড়াতেন বলে অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে।
গত ৭ এপ্রিল মোংলা পোর্ট পৌর শহরের খানজাহান আলী সড়কের হাকিম হাওলাদারের ভাড়াটিয়া শাহিনুর আক্তার নামের এক গৃহবধু করোনা ভাইরাস সন্দেহে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের র চিকিৎসকদের নির্দেশনা দেন উপজেলা প্রশাসন। পাশাপাশী শাহিনুর আক্তারকে আইসোলেশনে রেখে নমুনা সংগ্রহ করে তা খুলনা মেডিকেলে পাঠানোর জন্য বলে। এ খবর শুনেই মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (এমটি) কর্মকর্তা অনিমেষ শাহা হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায়। দীর্ঘ ১১দিন প্যাথলোজি বিভাগ বন্ধ থাকায় দুর দুরন্ত থেকে আসা রুগীরা পরছে চরম বিপাকে। আতœগোপনে থাকা অনিমেষের বিরুদ্ধে কোন ব্যাবস্থা নিচ্ছেনা কর্তৃপক্ষ বলেও স্থনীয়দের অভিযোগ।
মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ জীবিতেষ বিশ্বাস জানায়, কয়েকদিন যাবত প্যাথলোজিস্ট অনিমেষ শাহা হাসপাতালে অনুপস্থিত। সম্ভবত করেনা ভাইরাস সংক্রান্ত বিষয় একটু ভীত হয়ে পড়েছে। মোবাইল ফোনও বন্ধ, তবে তার স্ত্রীর ফোনে যোগাযোগ করা হচ্ছে।
এব্যাপারে বাগেরহাট জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ হুমায়ুন কবির বলেন, ১১দিন পালিয়ে থাকার ঘটনাটি তার জানা নাই, তবে ১৬ এপ্রিল দুপুরে অনিমেষ শাহার সেচ্ছায় অবসরের একটি আবেদন পেয়েছি। সেচ্ছায় অবসরের সময় হয়েছে কিনা বা সরকারের এ জাতীয় দুর্যোগ মুহুর্তে পালিয়ে থাকার বিষয়টি উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে, তারাই ব্যাবস্থা গ্রহন করবেন।
মোংলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার ও জেলা পরিষদের সদস্য শেখ আঃ রহমান জানান, অনিমেষ শাহা নিয়মানুযায়ী (সেচ্ছায় অবসরে) যেতে পারে কিন্ত দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক মানুষের জন্য তার হাসপাতালে দায়ীত্ব পালন করতে হবে। যদি না করে কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহনের দাবী জানাবো আমরা।
স্বাস্থ্য স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল টেনোলজিষ্ট অনিমেষ শাহার মুঠো ফোনে বার বার চেষ্টা করা হলেও তার (০১৭১৬৪২৩০০২) ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।