শুক্রবার ● ১৭ এপ্রিল ২০২০
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » ঝিনাইদহে কার্ডধারী ব্যক্তি চাল না পাওয়ার অভিযোগে
ঝিনাইদহে কার্ডধারী ব্যক্তি চাল না পাওয়ার অভিযোগে
জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ৩নং সাগান্না ইউনিয়নে ওএমএস এর ১০টাকা কেজি দরের চাল বিক্রয়ে অনিয়মের অভিযোগের প্রেক্ষিতে গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ইউনিয়ন পরিষদের সামনে নিরাপদ দুরত্ব বজায় রেখে এই তদন্ত সম্পন্ন হয়। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও উপ-পরিচালক স্থানীয় সরকার মোঃ আরিফ উজ জামানের নেতৃত্বে এই তদন্ত পরিচালিত হয়। এসময় সাগান্না ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলা উদ্দীন আল মামুন, ডাকবাংলা ক্যাম্পের ইনচার্জ মখলেছুর রহমান, ইউনিয়নের সচিব, ইউপি সদস্যগণ, স্থানীয় সাংবাদিক, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও ভূক্তভোগীরা উপস্থিত ছিলেন। জানা গেছে, গত ১২তারিখে ইউনিয়নে ওএমএস এর ১০টাকা কেজির ৯৭৯টি কার্ডের মাধ্যমে চাল বিক্রয়ে কিছু অনিয়ম ধরা পড়ে এবং সোস্যাল মিডিয়াসহ বিভিন্ন মাধ্যমে তা তুলে ধরলে তাৎক্ষনিক ভাবে সদর ইউএনও’র হস্তক্ষেপে বিষয়টি রসাময়িক সুরাহা হয়। পরবর্তিতে ২,৩,৪,৭, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের কিছু কার্ডধারী ব্যক্তি না চাল পাওয়ার অভিযোগে জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত আবেদন করেন, সে কারনে বৃহস্পতিবার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে এই নিরপেক্ষ তদন্ত সম্পন্ন হয়। এবিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আলা উদ্দীন আল মামুন বলেন কার্ডধারী যারা সকলেই এই চাল পেয়েছেন। ২০% কার্ড পরিবর্তন হওয়ার কারনে পুরাতনরা কিছু বাদ বড়তে পারে তবে অনিয়ম হয়নি। তদন্তে ২৫জনের মত অভিযোগ কারীর নিকট থেকে লিখিত নেওয়া হয়েছে। কোন কোন ক্ষেত্রে একজনের কার্ড দিয়ে অন্যজন চাল তুলে নেওয়ার অভিযোগ মিলেছে এক্ষেত্রে মেম্বর এবং ডিলার উভয়েরই কিছু কিছু ত্রুটি আছে বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গেছে। এই প্রাথমিক তদন্তের প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে। এবিষয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আরিফ উজ জামান জানান আমরা উভয় পক্ষের লিখিত এবং মৌখিত বক্তব্য নিয়েছি বিষয়টি নিয়ে আরও কিছু জানার আছে তদন্ত চলমান রয়েছে বিধায় এই মুহূর্তে কাউকে দোষি সাবস্ত করা যাচ্ছেনা। তবে দুই একের মধ্যেই বিস্তারিত বিষয়টি জানানো হবে।
হলিধানীর কাঁচা বাজার হাইস্কুল মাঠে স্থানান্তর
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হলিধানীর বৃহত্তর কাঁচা বাজার ১৭ এপ্রিল শুক্রবার থেকে হলিধানী মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গনে স্থানান্তর করা হয়েছে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ঝিনাইদহ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশনা মোতাবেক সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য এবং করোনা ভাইরাস বিস্তার রোধ কল্পে হলিধানী বাজার কমিটির উদ্যোগে হলিধানী বাজারের কাঁচা বাজার শুক্রবার থেকে হলিধানী হাইস্কুল মাঠে স্থানান্তর করেছে লোকাল প্রশাসন। পরবর্তি নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত,সপ্তাহে দুই দিন শুক্র ও সোমবার এই বাজার স্কুল মাঠে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা যায়। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় কাঁচা বাজারের ক্রয়-বিক্রয় সামাজিক দূরত্ব ঠিক রেখে ব্যবসায়ীরা তাদের পণ্য সাজিয়ে বসেছেন,ক্রেতারা তাদের দূরত্ব বজায় রেখে কেনা কাটা করছেন। কথা হয় কাঁচামাল ক্রয় করতে আসা বাজারের ব্যবসায়ী ইদ্রিস আলী মোল্লা ও বোরহানের সাথে,তারা জানান প্রশস্ত মাঠে কাঁচা বাজার আসার কারণে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কেনাকাটা করা সম্ভব হচ্ছে। বাজার স্থানান্তর করার বিষয়ে হাট মালিকের পক্ষথেকে হারুন উর রশীদ বলেন,দেশে যেভাবে করোনাভাইরাস বিস্তার লাভ করছে তাতে করে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে না পারলে ভাইরাস আমাদের দেশে মহামারী রূপ ধারণ করতে পারে। তাই সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা বাজার স্থানান্তর করেছে। এ বিষয়ে হলিধানী দোকান মালিক সমিতির সভাপতি ইদ্রিস আলী বলেন,সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী সবার সম্মতি ক্রমে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কাতলা মারি পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ আনিছুর জামান বলেন, প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের সময়ে বাজার স্থানান্তর করার পিছনে যারা ভূমিকা রেখেছেন আমি তাদের কে সাধুবাদ জানাচ্ছি।আমরা সব সময় মাঠে আছি।
কালীগঞ্জে বাইরে করোনা, ঘরে পানি সংকট
ঝিনাইদহ :: করোনা পরিস্থিতির মধ্যে উভয় সংকটে পড়েছেন ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের বাসিন্দারা। তারা ঘরের বাইরে বের হতে পারছেন না করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ভয়ে। আবার পানি সংকটের কারণে তাদের ঘরে থাকাও অস্বস্তিকর হয়ে উঠেছে। ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় অকেজো হয়ে পড়েছে অসংখ্য গভীর ও অগভীর নলকূপ। ফলে গৃহস্থলীর কাজে ব্যবহৃত ও খাবার পানি নিয়ে চরম বেকায়দায় পড়েছেন তারা। এ ছাড়া বোরো ক্ষেতের শেষ মুহুর্তের পানি সেচ নিয়েও তাদের ভোগান্তির শেষ নেই। বিগত কয়েক দিনের দাবদাহে সকালে ক্ষেতে পানি সেচ দিলে পরের দিনই তা শুকিয়ে যাচ্ছে। শেষ মুহুর্তের বোরো ক্ষেত ঠেকাতে কৃষকদের অনেকে বাধ্য হয়ে ৮-১০ ফুট মাটি খুঁড়ে গর্তের মধ্যে শ্যালো মেশিন বসিয়ে পানির স্তর পেতে চেষ্টা করেও ব্যর্থ হচ্ছেন। ভুক্তভোগীরা জানান, করোনার মহামারি থেকে বাঁচতে সবাই চাচ্ছেন নিজ ঘরে অবস্থান করতে। কিন্তু নলকূপ গুলোতে পানি না থাকায় তারা পড়েছেন ঝামেলায়। সরকারি ও স্বাস্থ্য বিভাগের নির্দেশনা এখন বেশি করে হাত ধুতে হবে। পরিষ্কার রাখতে হবে পরিধান ও বিছানাপত্রের কাপড় কিন্তু নলকূপে পানি না উঠাই চরম বিপাকে তারা। এখনো যেসব বাসাবাড়ির নলকূপে পানি উঠছে সেখান থেকে নিয়মিত পানি নিতে যাওয়াটাও সবার জন্যই ঝামেলা। কালীগঞ্জ উপজেলা জনস্বাস্থ্য অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০০৩ সালের জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলি অধিদফতরের পরীক্ষা নিরীক্ষা ও জরিপ মতে, কালীগঞ্জ উপজেলায় মোট ২৯ হাজার ৫৬৩টি অগভীর নলকূপ রয়েছে। আর গভীর নলকূপ আছে ৩৮৪টি। গ্রীষ্মের শুরুতে প্রতি বছরের মতো এ বছরেও পানির স্তর বেশ নেমে গেছে। ফলে অনেক নলকূপে পানি উঠছে না। অফিস সূত্রে আরো জানা যায়, বোরো চাষের কিছুকিছু এলাকাতে ৩৫ থেকে ৩৮ ফুট পর্যন্ত পানির স্তর নেমে গেছে। কালীগঞ্জ পৌর শহরের ফয়লা গ্রামের বাসিন্দা দলিল উদ্দীন সরদার,আড়পাড়া গ্রামের হাবিুবর রহমান জানান, তাদের মহল্লার বাসাবাড়ির বেশিরভাগ নলকূপ গুলোতে পানি উঠছে না। মোটরের মাধ্যমেও ঠিকমতো পানি পাওয়া যাচ্ছে না। এদিকে তাদের এলাকাতে পৌরসভার স্পালাই পানিরও ব্যবস্থা নেই। বাধ্য হয়ে মহল্লার অধিকাংশ পরিবার বাড়ি থেকে বেশ খানিক দূরের একটি সাব মার্সেপল মোটর থেকে পানি এনে খাবার পানির চাহিদা মেটাচ্ছেন। গ্রামবাসির পানির হাহাকারে ওই মোটরের মালিক সকাল ও বিকেল পানির ব্যবস্থা করছেন। রাজু আহম্মেদ জানান, গ্রামের কয়েকটি পরিবারের নলকূপে পানি কিছুটা স্বাভাবিক থাকলেও চলমান লকডাউন পরিস্থিতিতে প্রতিবেশি হলেও তাদের বাসা বাড়িতে যাওয়াটাও উভয়রই কাছে অনিরাপদ। তিনি বলেন, পানির অভাবে গোসল ও গৃহস্থলীর কাজের জন্য প্রতিনিয়ত ঝামেলা পোহাচ্ছেন। যতদিন ভারি বর্ষা না হবে ততদিন এমন অবস্থা বিরাজ করবে। একই এলাকার বাসিন্দা প্রভাষক আতিকুর রহমান জানান, বাসার নলকূপে পানি উঠছে না। এ এলাকায় পৌরসভার সাপ্লাই পানির ব্যবস্থাও নেই। বাসা থেকে বেশ দূরের এক শিক্ষকের নির্মাণাধীন বাড়িতে স্থাপন করা একটি সাব মার্সেবল মোটর থেকে সকাল বিকেল পানি টেনে বাসায় নিচ্ছেন। আর ওই গৃহকর্তা স্কুল শিক্ষক দাঁড়িয়ে থেকে এলাবাসিকে প্রতিদিন সকাল দুপুর সন্ধ্যায় পানি নিতে উৎসাহিত করছেন। তার এমন উদারতায় মহল্লাবাসি কে বেশ উপকৃত হচ্ছেন। এদিকে উপজেলার খড়িকাডাঙ্গা গ্রামের কৃষক আনছার আলী জানান, মাঠে দোল খাওয়া বোরো ক্ষেতের ধান তাদের স্বপ্ন দেখাচ্ছে। কিন্তু এ মৌসুমের শেষের দিকে এসে পানির স্তর নিচে নেমে গেছে। অল্প কিছুদিন পরেই ধান কাটা শুরু করা যাবে। কিছুকিছু ক্ষেতের ধান লাল হতে শুরু করেছে। তবে কিছু ক্ষেত আছে অনেক পরে লাগানো। সে ক্ষেতগুলোতে এখনো বেশ কয়েকটি পানি সেচ লাগবে। কিন্তু মেশিনে যেভাবে পানি উঠছে তাতে খুব সমস্যা হচ্ছে। সাদিকপুর গ্রামের কৃষক সাজেদুল ইসলাম জানান, আগে রোপন করা কিছু ধানক্ষেত কাঁটার উপযোগী হলেও অধিকাংশ নাবী (পরে রোপনকৃত) বোরো ক্ষেতে এখনো চলছে শেষ মুহুর্তের সেচকাজ। কিন্তু পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় ঠিকমতো পানি পাওয়া যাচ্ছে না। তিনিসহ গ্রামের বেশিরভাগ কৃষক ১০-১২ ফুট গভীর করে খুঁড়ে শ্যালো মেশিন বসিয়ে খুব কষ্ট করে বোরো ক্ষেতের শেষ মুহুর্তের শেষ কাজ চালাচ্ছেন। তিনি বলেন, শুধু তাদের মাঠেই নয়, এলাকার সব বোরো ক্ষেতের মাঠ গুলোর একই অবস্থা। কালীগঞ্জ উপজেলা জনস্বাস্থ্য উপ-সহকারী প্রকৌশলী জেসমিন আরা জানান, গ্রীষ্মের সময় এ অঞ্চলের পানির স্তর প্রতি বছর ২০ থেকে ২২ ফুট নিচে নেমে যায়। এ অবস্থা হলেও পানি পাওয়া সম্ভব। কিন্তু এ বছর একটু আগে থেকেই পানির স্তর ৩০-৩৫ ফুট নিচে নেমে গেছে। যে কারণে অনেক অগভীর নলকূপ অকোজো হয়ে পড়েছে। আবার গভীর নলকূপ গুলোতেও এখন অপেক্ষাকৃত কম পানি উঠছে। তিনি আরো জানান, গত সপ্তাহে উপজেলার বারোবাজারের একটি গ্রামে পানির স্তর মেপে দেখা গেছে ৩২ ফুট নিচে নেমেছে পানির স্তর। যে কারণে এ এলাকার অনেক নলকূপ অকেজো হয়ে গেছে। ফলে সংকট দেখা দিয়েছে খাবার পানির। এমনটি হওয়ার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, এ বছর এখনো বৃষ্টি না হওয়াই পুকুর খালবিলের জমে থাকা পানি শুকিয়ে গেছে। অনেক গ্রামের কৃষকেরা শ্যালোচালিত গভীর নলকূপ গুলো মাটি খুঁড়ে বেশ গভীরে বসিয়েও তেমন একটা পানি পাচ্ছেন না। তবে অল্প দিনের মধ্যে বৃষ্টি হলে সব ঠিক হয়ে যাবে।
কালীগঞ্জে পুলিশ সদস্যকে মারপিট
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহ কালীগঞ্জে পুলিশ সদস্য শরিফুল ইসলামকে পিটিয়ে জখম করার ঘটনার ৫ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এদিকে তার অবস্থার আরো অবনতি হওয়ায় তাকে খুলনাতে স্থানান্তর করা হয়েছে। বুধবার সকালে কালীগঞ্জ শহরের নলডাঙ্গা ভ্যান স্ট্যান্ডে একদল যুবক তাকে বেদম মারপিট করে গুরুতর জখম করে। এ ঘটনায় ওইদিন রাতেই ঝিনাইদহ সদরের নলডাঙ্গা পুলিশ ক্যাম্পের আইসি আবদুল আলিম বাদী হয়ে কালীগঞ্জ থানাতে একটি মামলা দায়ের করেছেন। ওই মামলাতে ৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৪/৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলার বাদী নলডাঙ্গা ক্যাম্পের আইসি আবদুল আলিম জানান, তার ক্যাম্পের কর্মরত পুলিশ সদস্য শরিফুল ইসলাম বুধবার সকালে কালীগঞ্জ থেকে টাকা তুলে ক্যাম্পে ফিরছিলেন। একটি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পথে নলডাঙ্গা স্ট্যান্ডে ওই এলাকার শাওন তাকে মারপিট করে মাথা ফাটিয়ে দেয়। তার অবস্থা আশংকাজনক। বর্তমানে খুলনাতে স্থানান্তর করা হয়েছে। এখনো কান দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে। কালীগঞ্জ থানার অফিসার্স ইনচার্জ মাহফুজুর রহমান মিয়া জানান, পুলিশ সদস্যকে মারপিটের ঘটনায় থানাতে একটি মামলা হয়েছে। পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ওই রাতেই আসামীদের আটকে অভিযানে নামে। তারা সবাই বাড়ী ছেড়ে পালিয়েছে। দোষীদের গ্রেফতারে জোর চেষ্টা চলছে।
কালীগঞ্জের ৭ যুবক সবজি বিক্রি করে সহায়তা
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার ফুলবাড়ি গ্রামের ৭ যুবক বিশ্বব্যাপী মহামারী করোনা ভাইরাসে সবচেয়ে বেশি কষ্টে থাকা সমাজের খেটে খাওয়া মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। যুবকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, সপ্তাহের শনি ও মঙ্গলবার উপজেলার বারবাজার ইউনিয়নের ফুলবাড়ি গ্রামের মধ্যপাড়ার একটি লিচু বাগানের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের সবজি বিক্রি করছে তারা। পাশ্ববর্তী চুরামনকাঠি ও সাতমাইল এলাকা থেকে সবজিগুলো সংগ্রহ করেন। সবজি বিক্রিতে যাতায়াত খরচসহ সীমিত লাভ করা হয়। যেটা দিয়ে গ্রামের অসহায় ও দুস্থ ২০ পরিবারকে সহায়তা প্রদান করেন তারা। ২০ পরিবারকে সহায়তা প্রদান করে যে অর্থ বেঁচে থাকে সেটিও গ্রামের একটি মাদ্রাসায় দান করা হয়। এছাড়াও গ্রামের মানুষের করোনা ভাইরাস সম্পর্কে সচতেন করতে বিভিন্ন প্রচারনা ও জীবানুনাশক স্প্রে করছেন এই যুবকেরা। যুবকদের মধ্যে অনার্স পড়ুয়া সামিউল ইসলাম জানান, ঢাকায় চাকুরিজীবি হারুণ নামে এক ভাই আমাদের অর্থ দিয়ে সহযোগিতা করছেন। আমরা ৭ জন যুবক স্বেচ্ছায় এই কাজ করছি। প্রতি শনিবার ও মঙ্গলবার ভোরে পাশ্ববর্তী দুইটি গ্রাম থেকে বাই সাইকেলে করে সবজি সংগ্রহ করে নিয়ে আসি। এরপর গ্রামের একটি লিচু বাগানের মধ্যে সেগুলো বিক্রি করি। সবজি বিক্রির লাভের টাকা দিয়ে করোনা সংকটে গ্রামের প্রায় ২০ পরিবারকে খাদ্য সামগ্রী দিয়ে সহায়তা করছি। বাকি লাভের টাকা গ্রামের মাদ্রাসায় প্রদান করি। আরো জানান, তিনিসহ এ কাজে সহযোগিতা করেন সাইদুর রহমান, সুমন হোসেন, টিটু হোসেন, নিরব হোসেন ও বিল্লাল হোসেন। তারা সবাই সপ্তাহে দুই দিন ভাগ ভাগ করে দায়িত্ব পালন করেন। সন্ধ্যার দিকে তারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে অসহায় ও দুস্থদের সহযোগিতা করেন। যেন অন্য কেউ দেখে না ফেলে। তারা সহায়তা পাওয়া কোন ব্যক্তির ছবি বা নাম প্রকাশ করেন না। এ ছাড়া এই যুবকেরা প্রতিদিন গ্রামে জীবানুনাশক স্প্র্রে করে। ওই যুবকদের আরেকজন সাইদুর রহমান জানান, করোনা সংকটে খেটে খাওয়া মানুষের কোন কাজ নেই। তারা এই সবজি বিক্রি করে অসহায় ও দুস্থদের পাশে দাঁড়িয়েছে। করোনা সংকটে সমাজের সকল যুবক যেন তাদের মত অসহায় ও দুস্থদের পাশে দাঁড়ান এই আহবান জানান তিনি।