শনিবার ● ১৮ এপ্রিল ২০২০
প্রথম পাতা » কুষ্টিয়া » আওয়ামীলীগের কেউ ত্রাণের চাল চুরি করতে পারে না ?
আওয়ামীলীগের কেউ ত্রাণের চাল চুরি করতে পারে না ?
শামসুল আলম স্বপন :: তথ্যমন্ত্রী বলেছেন আওয়ামীলীগের কেউ ত্রাণের চাল চুরি করতে পারে না । যারা চাল চুরি করেছে তারা বিএনপি, জাতীয় পার্টীর চেয়ারম্যান-মেম্বর । যেহেতু একজন দায়িত্বশীল মন্ত্রী কথাগুলো বলেছেন সুতরাং কথাগুলো বিবেচনা করা দরকার । দেশে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের সংখ্যা ৫,৪৭১ জন। মেম্বরের সংখ্যা ১৭ হাজারের কাছাকাছি । এর মধ্যে মাত্র ১৫ শ জন ত্রাণের চাল চুরির দায়ে আটক হয়েছে বা পলাতক রয়েছে। বলা যেতে পারে নগন্য সংখ্যক চেয়ারম্যান-মেম্বর ত্রাণ চুরি করেছেন । এখন প্রশ্ন হলো ত্রাণ চুরির সাথে জড়িত সকলেই কি বিএনপি, জাতীয় পার্টীর চেয়ারম্যান-মেম্বর ? দেশবাসী তো জানে বিগত নির্বাচনে খুব নগন্য সংখ্যক চেয়ারম্যান -মেম্বর বিএনপি, জাতীয় পার্টী থেকে নির্বাচিত হয়েছে । প্রশ্ন উঠতে পারে যারা ত্রাণ চুরি করেছে ওরা কি এখন আওয়ামীলীগ ছেড়ে বিএনপি, জাতীয় পার্টীতে যোগ দিয়েছে ?
তা হলে কি মিডিয়া মিথ্যা দোষ দিচ্ছে আওয়ামীলীগের উপর ? যে চেয়ারম্যান - মেম্বর ধরা পড়ছে মিডিয়া তো তাকে আওয়ামীলীগের লোক বলে প্রচার করছে । দু’একজন মাত্র বিএনপি,জাতীয় পার্টীর নেতা । এতবড় মিথ্যা প্রচারণার জন্য তো মিডিয়ার বিরুদ্ধে আলবৎ ব্যবস্থা নেয়া দরকার ?
তবে অতীতের কথা মনে পড়ে গেল বিএনপি-জামাত সরকারের আমলে বলা হয়েছিল “বাংলা ভাই” মিডিয়ার সৃষ্টি । বাংলা ভাই বলে কেউ নেই । শেষ পযন্ত তারাই আবার বাংলা ভাই কে ধরে ফাঁসিতে লটকিয়ে ছিল ।
ত্রাণ চোররা যদি বিএনপি,জাতীয় পার্টীর নেতা হয় তাহলে ওদের কোন ক্রমেই ছাড় দেয়া যাবে না । ওদের এত বড় দু:সাহস আওয়ামীলীগের শাসন আমলে করোনার এই মহাদুযোগে অসহায় গরীব মানুষের ত্রাণ চুরি করে । অতিদ্রুত ওদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিৎ করুন দেশবাসী আওয়ামীলীগকে সাধুবাদ জানাবে ।
কুষ্টিয়ার আইলচারায় ওএমএস’র চাল আত্মসাতের অভিযোগ : ক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী বিচার চায়
কুষ্টিয়া :: ১৭ এপ্রিল সরকার ত্রাণ সহযোগিতা বিতরণে অনিয়মের বিরুদ্ধে যখন কঠোর, ঠিক সেই মুহুর্তে কুষ্টিয়ার আইলচারায় ওএমএস’র চাল আত্মসাত করা নিয়ে এলাকায় হৈচৈ পড়ে গেছে । আইলচারা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সেক্রেটারী খাকছার আলী ১২ বস্তা ওএমএস’র চাল আত্মসাৎ করেছেন এ অভিযোগে ওই এলাকায় আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠেছে। জানা যায়, কুষ্টিয়া সদর উপজেলার আইলচচারা ইউনিয়নের ওএমএস.র বরাদ্দকৃত চাল ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সেক্রেটারী খাকছার আলী জোয়ার্দ্দার নিজ বাড়িতে নিয়ে যান। পরে ওই এলাকার ভ্যান চালক আব্দুল কুদ্দুসের ভ্যান যোগে বল্লভপুরের আসানের মাধ্যমে বাড়িতে নিয়ে যান। কিন্তু দরীদ্র মানুষের কাছ থেকে স্বাক্ষর করে নিয়ে চাল না দেওয়ায় এলাকার জনগণ ক্ষুদ্ধ হয়ে ওঠেন। এক পর্যায়ে এলাকার লোকজন ওই আওয়ামীলীগের নেতার বাড়িতে চাল নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে ফাঁস করে দেন। এ ব্যাপারে ভ্যান চালক আব্দুল কুদ্দুস জানান, আমাকে ১২ বস্তা চাল দিয়েছে, আমি তার বাড়িতে পৌছে দিয়েছি। স্থানীয়রা নাজিরপুর ক্যাম্প ইনচার্জ আহসান হাবীবকে ঘটনা জানালে তিনি ঘটনাস্থলে যান। কিন্তু তিনিও ম্যানেজ হয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেন বলে এলাকাবাসী জানায়। এব্যাপারে নাজিরপুর ক্যাম্পের ইনচার্জ আহসান হাবিবের মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি কিছু জানি না, যারা আপনাকে তথ্য দিয়েছে তাদের কাছে গিয়ে তথ্য নেন বলে ফোন কেটে দেন। তবে খাকছার আলী জোয়ার্দ্দার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, এটা সত্যা নয়। সত্য হলে তো পুলিশ চাল উদ্ধার করতো। ক্যাম্পের পুলিশ সেখানে গিয়েছিল আপনি তাকেও ম্যানেজ করেছেন এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আপনি আসুন সাক্ষাতে কথা হবে। ক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী চাল আত্মসাৎকারী খাকছার আলী জোয়ার্দ্দারের সুষ্ঠু বিচার চায় !