শনিবার ● ১৮ এপ্রিল ২০২০
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » বরিশাল থেকে ১৯৫ শ্রমিক জীবন বাঁচাতে মধ্যরাতে নৌপথে রওয়ানা হলেন সাতক্ষিরায়
বরিশাল থেকে ১৯৫ শ্রমিক জীবন বাঁচাতে মধ্যরাতে নৌপথে রওয়ানা হলেন সাতক্ষিরায়
শেখ সাইফুল ইসলাম কবির, বাগেরহাট প্রতিনিধি :: করোনাভাইরাস সতর্কতা উপেক্ষা করে বরিশাল থেকে সাতক্ষীরার উদ্দেশ্যে রাতের আধারে নৌপথে রওয়ানা হয়েছেন ১৯৫ জন ইটভাটা শ্রমিক। আজ শনিবার বেলা ৩টার দিকে তারা বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জের পানগুছি নদীতে প্রবেশ করলে কোস্ট গার্ডের টহল দল শ্রমিকসহ নৌযান দুটি থামিয়ে দেয়। পরে বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানায় কোস্ট গার্ড।
এ সম্পর্কে জাহাজে থাকা শ্রমিক সরদার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বরিশাল লকডাউন থাকায় তারা গতকাল শুক্রবার রাত ১১টায় লাহারহাট এলাকা থেকে দুটি ষ্টীলবডি মিনি কার্গো জাহাজ ভাড়া করে রওয়ানা হয়। ভাটা মালিকরা খাবার সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ায় জীবন বাঁচাতে তারা ঝুঁকি নিয়ে রাতের আধারে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন। তাদের সাথে কোন প্রকার খাদ্য সামগ্রী ছিলনা বলেও শ্রমিক সরদার জানান।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে বলেন, জাহাজ দুটিতে ১৭৫ জন শ্রমিক ছিল। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ওই শ্রমিকদেরকে শুকনো খাবার ও জাহাজে তেল সরবরাহ করা হয়েছে। তাদের ঠিকানা সংগ্রহের পরে জাহাজ দুটি সাতক্ষীরার উদ্দেশ্যে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে বাগেরহাট জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশিদ সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে বলেন, শ্রমিকদের নাম, ঠিকানা সংগ্রহ করা হয়েছে। কোস্ট গার্ডের মাধ্যমে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে এবং প্রযোজনীয় ব্যাবস্থা নেওয়া হয়েছে।
বাগেরহাটে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ১২টি মামলা ও জরিমানা
বাগেরহাট :: বাগেরহাটেরফকিরহাটে করোনা ভাইরাসে সরকারের ঘরে থাকা নির্দেশ অমান্য করে অকারণে বাহিরে বেরুবার কারণে বিভিন্ন যানবাহন চালককের বিরুদ্ধে ১২টি মামলা দায়ের ও ৩৮শত টাকা জরিমাণা আদায় করেছেন ভ্রাম্যমান আদালত।
আজ শনিবার বিকালে খুলনা-বাগেরহাট মহাসড়কের উপজেলার কাটাখালী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়। আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) ও নির্বাহী হাকিম রহিমা সুলতানা বুশরা। এসময় কাটাখালী হাইওয়ে থানা পুলিশের একটি দল আদালতকে সহযোগীতা করেন।
বাগেরহাটে অগ্নিকান্ডে পানের বরজ পুড়ে ছাই ১০লক্ষ টাকার ক্ষতি
বাগেরহাট :: বাগেরহাটের ফকিরহাটে আকস্মিক অগ্নিকান্ডে এক একর জমিতে রোপনকৃত পানের বরজ পুড়ে সম্পূর্ণ ভষ্মিভুত হয়েছে। এতে পানের বরজের মালিকের প্রায় ১০ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে তিনি জানান। এই ক্ষতির কারনে তিনি এখন পথের ফকিরে পরিনত হয়েছেন বলে কান্নাজড়িত কন্ঠে সাংবাদিকদের বলেন।
আজ শনিবার দুপুরে উপজেলার লখপুর ইউনিয়নের জাড়িয়া বারুইডাঙ্গা এলাকার মৃত, রাখাল চন্দ্রের পুত্র তরুন কুমার চন্দ্রের পানের বরজে এঘটনাটি ঘটে। ভুক্তভোগী তরুন কুমার চন্দ্র জানান, শনিবার দুপুরে তিনি মাঠে কাজ করছিলেন। এসময়ে স্থানীয়দের ডাকচিৎকারে বরজের কাছে পৌছে। স্থানীয়রা আগুন নিভানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু আগুনের প্রচন্ড তাপে তারা আগুন নিভানোর চেষ্টা চালিয়েও ব্যার্থ হন। ততক্ষন এক একর জমিতে রোপনকৃত তিন কাউন পানের বরজ সহ বিপুল পরিমানে গাছপালা পুড়ে শেষ হয়ে যায়।
স্থানীয়রা জানান, ধার দেনা করে তিনি পানের বরজ করেছিলেন। বরজে পানও ছিল প্রচুর। শেষ সম্বল টুকু হারিয়ে তিনি এখন পথের ফকিরে পরিণত হয়েছেন। এঘটনার খবর শুনে এলাকার হাজার হাজার নরনারী দেখার জন্য সেখানে ভিড় করেছে। তবে অগ্নিকান্ডের কারন এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত জানা যায়নি।