রবিবার ● ১৯ এপ্রিল ২০২০
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » বাগেরহাট-৪ নবনির্বাচিত এ্যাড. আমিরুল আলম এমপি’র শপথ গ্রহণ
বাগেরহাট-৪ নবনির্বাচিত এ্যাড. আমিরুল আলম এমপি’র শপথ গ্রহণ
শেখ সাইফুল ইসলাম কবির,বাগেরহাট প্রতিনিধি :: বাগেরহাট -৪ (মোরেলগঞ্জ- শরণখোলা) আসনের নবনির্বাচিত জাতীয় সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় নেতা এ্যাডভোকেট মো. আমিরুল আলম মিলন শপথগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে করেছেন।
গতকাল ১৮ এপ্রিল শনিবার জাতীয় সংসদের স্পিকার ডঃ শিরীন শারমিন চৌধুরী সংসদ ভবন কার্যালয়ে এ শপথ বাক্য পাঠ করান। শপথ অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বি মিয়া, চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ, হুইপ মো. আতিউর রহমান আতিক, হুইপ মাহাবুব আরা বেগম গিনি, উপস্থিত ছিলেন বলে জানা যায়।
এসময় একাদশ জাতীয় সংসদ উপনির্বাচনে এমপি ৯৮ বাগেরহাট-৪, ১৮৩ ঢাকা-১০ এর নবনির্বাচিত এমপিসহ এ শপথগ্রহণ করেন। শপথ গ্রহণ শেষে বিকাল ৫টায় নতুন এমপি হিসেবে তিনি জাতীয় সংসদের অধিবেশনে যোগ দিবেন।
করোনা ভাইরাস মহামারি পরিবেশের কারনে এলাকাবাসীর সাথে দেখা-স্বাক্ষাৎ করে বলতে না পারায় তিনি ব্যাথিত। তিনি সবার কােছে দোয়া চেয়েছেন এবং আল্লাহ চাইলে অতিতের মত এলাকার জনগনের পাশে থেকে কাজ করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
গত ২১ মার্চ বাগেরহাট-৪ আসনের উপনির্বাচনে ব্যাপক ভোটারের উপস্থিতিতে বিপুল ভোটে এমপি নির্বাচিত হন আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী কেন্দ্রীয় নেতা ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সাবেক ছাত্রনেতা এ্যাডভোকেট মো. আমিরুল আলম মিলন । জনতার সতস্ফুর্ত অংশ গ্রহনে বিপুল ভোটে বিজয়ী হলেও করোনা ভাইরাস থেকে রক্ষায় লকডাউন থাকায় তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে এলাকার জনগনের সাথে মিলিত হতে পারেননি। তবে করোনা ভাইরাসের কারনে কর্মহীন তার নির্বাচনী এলাকা মোরেলগঞ্জ-শরণখোলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের অসহায় ও হতদরিদ্র মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়ে নিজ হাতে খাদ্য সামগ্রী পৌছে দিয়েছেন নবনির্বাচিত জাতীয় সংসদ সদস্য এ্যাডভোকেট মো. আমিরুল আলম মিলন।
উল্লেখ্য, গত ১০ জানুয়ারি বাগেরহাট -৪ আসনে ৫ বারের নির্বাচিত এমপি জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সাবেক প্রতি মন্ত্রী, ডা. মোজাম্মেল হোসেন গত ১০ জানুয়ারী ইন্তেকাল করলে আসনটি শূন্য হয়। এ শূন্য আসনে ২১ মার্চ উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই শূন্য আসনের নির্বাচনে এমপি নির্বাচিত হন তৃণমূল থেকে উঠে আসা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা এ্যাডভোকেট মো. আমিরুল আলম মিলন।
উল্লেখ্যঃ প্রয়াত এমপি ডাঃ ইউনুস আলী সরকার গত ২৭ ডিসেম্বর ইন্তেকাল করলে এ আসনটি শুন্য হয় এবং পরে ২১ মার্চ ২০২০ সালে আসনে উপনির্বাচন ব্যালোট পেপারের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে বিপুল ভোটে বাংলাদেশ আওয়ালীগের প্রার্থী উম্মে কুলসুস স্মৃতি নৌকা প্রতীকে বিপুল ভোটে জয়ী হন ।
বাগেরহাটে আন্তঃ জেলা গাড়ী ছিনতাই চক্রের তিন সদস্য আটক : প্রাইভেটকার উদ্ধার
বাগেরহাট :: বাগেরহাটের মোংলা বন্দরের পুরানো বাসষ্টান থেকে চুরি হওয়া একটি প্রাইভেট কার ৯দিন পর উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওই চুরির ঘটনায় জড়িত থাকায় আন্ত:জেলা গাড়ী সিন্ডিগেট চক্রের তিন সদস্যকে আটক করা হয়েছে। মোংলা উপজেলার সুন্দরবন এলাকার বাশতলা গ্রামের এমদাদ শিকারী রেন্ট এ কারে ভাড়ায় চালাইতো এই প্রাইভেট কারটি।
পুলিশ জানায়, গত ৮এপ্রিল বন্দরের শিল্প এলাকার বাস ষ্টান্ড থেকে নাইন্টি মডেলের সাদা রংয়ের ঢাকা-মেট্ট্র-(ঘ-১১৫২৬২) নাম্বারের একটি প্রাইভেট কার চুরি হয়ে যায়। এ গাড়ী চুরির ঘটনায় মোংলা থানায় অভিযোগ করে মালিক পক্ষ। অভিযোগের সুত্রধরে বাসষ্টান এলাকায় পৌরসভার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে চোর সনাক্ত করে মোংলা থানা পুলিশ।
১৭ এপ্রিল মোংলার কুমারখালী এলাকা থেকে আটক করা হয় গাড়ী ছিনতাই চক্রের অন্যতম সদস্য ঝালকাঠী জেলার রাজাপুর থানার তারাবুনিয়া গ্রামের মোসারেফ হাওলাদারের ছেলে মোঃ জামাল হাওলাদার (২৩) কে। এর পর জিজ্ঞিাসাবাদে তার দেয়া তথ্য মতে মোংলা থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক এস আই মোঃ আবদুল আহাদ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে শুক্রবার রাতে বরিশালের কাউনিয়া এলাকা থেকে উদ্ধার করেন প্রাইভেট কারটি। ওই সময় চুরির সাথে জড়িত বরিশাল জেলার কাউনিয়া থানার চরবাড়িয়া ৭নং ওয়ার্ডের বাসিন্ধা মৃত জব্বার হাওলাদারের ছেলে মোঃ শামিম (৪০) ও ঝালকাঠী জেলার নলচিঠি থানার চৌকাঠী গ্রামের মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে মোঃ মঞ্জু মোল্লা (৬০) কে আটক করা হয়।
শনিবার গাড়ী ছিনতাই চক্রের ওই তিন সদস্যকে গাড়ীসহ মোংলা থানায় আনা হয় এবং ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ প্রশাসন। পরে গাড়ীটি পুলিশের
জিম্মায় রেখে বিকালে অন্য সদস্য আলতাফ ফরাজীর ছেলে গিয়াস উদ্দিন আল মামুন (৩৭) এবং বাগেরহাট জেলার মোড়েলগঞ্জ থানার জিউধারা ৫নং ওয়ার্ডের বাসিন্ধা মোসারেফ হাওলাদারের ছেলে মোঃ আল আমিনসহ আরো ২জন অজ্ঞাত নামা আসামী করে মামলা দায়ের শেষে ছিনতাই চক্রের ওই তিন সদস্য কে বাগেরহাট আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে।
তদন্তকারী কর্মকর্তা মোংলা থানার পুলিশ কর্মকর্তা আবদুল আহাদ জানান, দেশব্যাপি ওই গাড়ী ছিনতাই চক্রের একটি বড় নেট ওয়ার্ক রয়েছে। দেশের বিভিন্ন এলাকায় তাদের সক্রিয় সদস্য রয়েছে। এলাকা ভিত্তিক তারা সম্মনয় করে গাড়ী চুরি ও ছিনতাই করে থাকে এ চক্রটি। তবে প্রশাসনের নজরদারীতে কোন চোর বা অপরাধকারী পুলিশের হাত থেকে রেহাই পাবেনা বলেও জানায় এ পুলিশ কর্মকর্তা।
মোরেলগঞ্জ থানার ওসি’র নেতৃত্বে করোনা সংক্রমণ রোধে অভিযান অব্যাহত
বাগেরহাট :: করোনো ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলায় সাধারণ মানুষকে ঘরে ফেরাতে ও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আজ রবিবার ১৯ এপ্রিল পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায় (পিপিএম বার) নির্দেশনায়, মোরেলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি কেএম আজিজুল ইসলাম নেতৃত্বে সচেতনতা মূলক নানা প্রচারিভাযান চালানো হয়েছে।সকাল থেকেই অফিসার ইনচার্জ ওসি কেএম আজিজুল ইসলাম এর নেতৃত্বে পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা মোটরসাইকেল, ইজিবাইক, ইঞ্জিনচালিত ভ্যান, পিকআপ দেখলেই পিছু ধাওয়া। এসব দেখে বাকীরা সটকে পড়েছেন রাস্তাগুলো থেকে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায় অফিসার ইনচার্জ কেএম আজিজুল ইসলাম, ১৭ আগষ্ট ২০১৮মোরেলগঞ্জ থানাতে আসা পর থেকে অসহায় গরীব দুঃখী মানুষের পাশে আছে, সে যখন শোনে একজন অসহায় মানুষ বিপদে পড়ে আছে তখনি ছুটে যাই তার কাছে। এবং এই দেশে মহামারী করোনাভাইরাস আসার শুরু থেকে এখনো পর্যন্ত তার নিজস্ব তহবিল থেকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন অসহায় মানুষদের জন্য।
ওসি কেএম আজিজুল ইসলাম এ প্রতিবেদক শেখ সাইফুল ইসলাম কবির কে জানান, পুলিশ জনগণের বন্ধু, আমি একজন পুলিশ অফিসার হয়েও, সাধারণ মানুষের সাথে চলি, যাতে করে সাধারণ মানুষ আমাকে সব কিছু বলতে পারে।
তিনি বলেন, ইদানীং লক্ষ্য করা যাচ্ছে, করোনা রোগীর তথ্য সংগ্রহ ও জরুরী সেবার নামে কিছু দুষ্কৃতিকারী সাধারণ মানুষের বাড়িতে গিয়ে অপরাধ সংঘটনের সুযোগ নিচ্ছে।
এমতাবস্থায়, সন্মানিত নাগরিকগণকে আহবান জানানো যাচ্ছে যে, আপনারা কোনো অবস্থাতেই আগন্তুকের পরিচয় নিশ্চিত না হয়ে অথবা তার বা তাদের কার্যক্রমের বৈধতা সম্পর্কে নিশ্চিত না হয়ে তাকে বা তাদেরকে আপনাদের গৃহে প্রবেশ করতে দিবেন না। এ বিষয়ে সন্দেহ হলে, নিকটস্থ থানাকে অবহিত করুন অথবা ৯৯৯ এ ফোন করে নিশ্চিত হোন।
বাংলাদেশ পুলিশ সব সময় আপনার পাশে রয়েছে। একইসাথে, এ ধরনের দুষ্কৃতিকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর হুশিয়ারি উচ্চারণ করছে বাংলাদেশ পুলিশ।
বাগেরহাট জেলার মোরেলগঞ্জ থানা এলাকায় এ ধরনের কোন ঘটনা ঘটিলে তাৎক্ষণিক ভাবে মোরেলগঞ্জ থানার সহায়তা নিন।অনুরোধ ক্রমে অফিসার ইনচার্জ মোরেলগঞ্জ থানা, মোবাইল নম্বর ০১৭১৩৩৭৪১২৭ । ডিউটি অফিসার ০১৩০৪৯১৪০৪৫ আমি চাই আমার মোরেলগঞ্জ থানার মানুষ, কোনো অন্যায় কে প্রশ্রয় না দেয়,অন্যায়ের প্রতিবাদ করবে। তিনি আরো বলেন আমি নির্দেশনা পেয়েছি, আমার পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায়, পিপিএম (বার) স্যার যেমন সাধারণ মানুষের সাথে চলে এবং মিশে, তেমনি উচিত সারা বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর। এই মহামারী করোনাভাইরাস যে সবাইকে বাড়িতে থেকে সুস্থ থাকার অনুরোধ করেন।আসুন আমরা নিজেদের জন্য খানিকটা সময় বের করে ভাবি নিজের সুরক্ষা নিয়ে, সচেতন থাকি, সতর্ক থাকি, সচেতন রাখি, সতর্ক রাখি পুরো দেশ, পুরো জনপদ।উপজেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর অবস্থানের জনশূন্য হয়ে পড়েছে ব্যাস্ততম উপজেলা বাজারগুলো। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দোকান ও ঔষধের দোকান ছাড়া অধিকাংশ দোকান পাট বন্ধ রাখা হয়েছে।মোরেলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি কেএম আজিজুল ইসলাম আরো বলেন, গত কয়েকদিন ধরে পুলিশের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে জনসাধারণ যেনো বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে না আসেন।
লিফলেট বিতরণ করে সচেতনতাবৃদ্ধির কাজ করা হচ্ছে। অসহায় দিনমজুরদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে। এরপরও কারণ ছাড়াই জনগণ রাস্তায় নেমে পরিবেশ নষ্ট করে প্রাণঘাতি করোনা ছড়ানোর ঝুঁকি বাড়াচ্ছে।যত্রতত্র দোকানপাট খুলে সেখানে আড্ডা মারার পরিবেশ তৈরি করা হচ্ছে। যে কারণে পুলিশ কঠোর হতে বাধ্য হয়েছে।