রবিবার ● ১৯ এপ্রিল ২০২০
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » ইউপি চেয়ারম্যান কাবিলের বিরুদ্ধে ৩ নারী মেম্বরের লিখিত অভিযোগ
ইউপি চেয়ারম্যান কাবিলের বিরুদ্ধে ৩ নারী মেম্বরের লিখিত অভিযোগ
জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরের দোড়া ইউনিয়নের অশ্লিল গালাগালীবাজ ও মানূষ পেটানো চেয়ারম্যান কাবিলের বিরুদ্ধে একই ইউনিয়নের তিন নারী মেম্বরের লিখিত অভিযোগ গ্রহন কওে তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন ইউএনও। ত্রান চাইলে পেটাই। কাজ চাইলে পেটাই। প্রতিবাদ করলে পেটাই। ভাতা চাইলে পেটাই। পেটানোই তার অভ্যাস হয়ে দাড়িয়েছে। হরহামেশা মেম্বরদের গাঁয়ে হাত তোলা এই চেয়ারম্যানের নাম কাবিল উদ্দীন বিশ্বাস। তিনি ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরের দোড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান। চেয়ারম্যান কাবিল উদ্দীন বিশ্বাস এক সময় চরমপন্থি দলের অস্ত্রধারী ক্যাডার ছিলেন। ভোল পাল্টে আওয়ামীলীগার সেজে হয়েছেন চেয়ারম্যান। এখনো তার দেহরক্ষি হিসেবে বহাল রয়েছে পুলিশের মোস্ট ওয়ান্ডেট আসামী ছয়খাদা গ্রামের হাশেম আলী। দুধর্ষ এই হাশেম আলীর দিয়ে পরিষদের সব অপকর্ম করে যাচ্ছেন চেয়ারম্যানের কাবিল উদ্দীন বিশ্বাস। দোড়া ইউনিয়নের তিনজন মহিলা মেম্বরের লিখিত অভিযোগ থেকে কাবিল চেয়ারম্যানের অপকর্মের চিত্র ফাঁস হয়েছে। এই তিন মহিলা মেম্বর হলেন সাহিদা খাতুন, আয়েশা ও কাললী। তিন মহিলা মেম্বরই চেয়ারম্যানের হাতে লাঞ্চিত ও গালিগালাজের শিকার হয়েছেন। তারা লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন জেলা প্রশাসক, কোটচাঁদপুরের উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ওসির কাছে। কিন্তু কোন ফলাফল পান নি। অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, কাবিল উদ্দীন চেয়ারম্যানের হাতে প্রথম মারধর কেয়ে হাসপাতালে যান ৮ নং ওয়ার্ডের মেম্বর রেজাউল ইসলাম। এরপর থেকে তিনি ধারাবাহিক ভাবে মহিদুল মেম্বর, কাকলী মেম্বর, আয়েশা মেম্বর ও সাহিদা মেম্বর। এর মধ্যে গত ১৩ মার্চ সাহিদা মেম্বরকে জুতাপেটা করে চেয়ারম্যান কাবিল উদ্দীন। গত ১৬ এপ্রিল কাকলী ও আয়েশা মেম্বরকে চেয়ার তুলে মারা হয়। সর্বশেষ গত শুক্রবার দয়ারামপুর গ্রামের হতদরিদ্র শিলটু মিয়া ত্রান নিতে গিয়ে লাঞ্চিত হন চেয়ারম্যানের হাতে। সাহিদা মেম্বর অভিযোগ করেন, চেয়ারম্যান কাবিল উদ্দীন বিশ্বাস বেশির ভাগ মেম্বরদের কাজ দেন না চেয়ারম্যান। শতভাগ হোল্ডিং ট্যাক্স তুলে খেয়ে ফেলেন। অথচ মেম্বরদের ভাতা দেন না। সরকারী নির্দেশনা মতে হোল্ডিং ট্যাক্স তুলে ব্যাংকে জমা করতে হবে। সেখান থেকে মেম্বরদের ভাতা দিতে হবে। কিন্তু মেম্বররা ভাতা পাচ্ছেন না। বয়স্ক, প্রতিবন্ধি, মাতৃত্ব ও বিধবা ভাতা নিতে বিশেষ কায়দায় টাকা নেওয়া হয়। ৬ নং ওয়ার্ডের মেম্বর শাহাজুলকে বাদ দিয়ে চেয়ারম্যান তার দেহ রক্ষি হাশেমকে দিয়ে যাবতীয় কাজ করান। দেহরক্ষির নামে দিয়েছেন ৫/৬টি ভিজিডি ও হতদরিদ্রদের কার্ড। নামে বেনামে চাল তুলে বিক্রি করেন হাশেম আলী। লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে চেয়ারম্যান এই হাশেম আলীকে দিয়ে বিচারের নামে বাদী বিবাদী উভয় পক্ষের কাছ থেকে বানিজ্য করেন। ফলে মানুষ ন্যায় বিচার পান না। এ সব বিষয়ে চেয়ারম্যান কাবিল উদ্দীন বিশ্বাস জানান, মেম্বরদের কাজ না দেওয়া, হোল্ডিং ট্যাক্স তুলে খেয়ে ফেলা, মেম্বরদের ভাতা না দেওয়া, বয়স্ক, প্রতিবন্ধি, মাতৃত্ব ও বিধবা ভাতা নিয়ে বানিজ্য ও পরিষদে বিচারের নামে বাদী বিবাদী উভয় পক্ষের কাছ থেকে বানিজ্য করার বিষয়গুলো সবই মিথ্যা ও অসত্য। প্রকৃত তথ্য হলো মহিলা মেম্বর সাহিদার সাথে শ্রীরামপুরের আকতারের পরকীয়া ছিল। এ নিয়ে আমি সালিশ করে দিই। এতে মহিলা মেম্বর ক্ষিপ্ত হয়। আকতারের নামে আদালতে মামলা করে মহিলা মেম্বর এক লাখ টাকা আদায় করেছে। চেয়ারম্যান আরো জানান, এটা সত্য যে তিন মাস আগে সিঙ্গাড়া ফেলে দেওয়ার কারণে আমি সাহিদা মেম্বরের গালে চড় মারি। কাবিল উদ্দীন বলেন, ত্রান চুরির প্রেক্ষিতে সুষ্ঠ বন্টনের স্বার্থে আমি নিজেই সঠিক তালিকা করে প্রত্যেক ওয়ার্ডে প্রকৃত দুস্থদের মাঝে ত্রান দিচ্ছি। কোন অনিয়ম হচ্ছে না। তাই আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা ভিত্তিহীন।
অভিনব কায়দায় পাচারকালে ৪৪০ বোতল ফেন্সিডিলসহ মাদক ব্যবসায়ী বন্দি
ঝিনাইদহ :: বর্তমান প্রেক্ষাপটে তরুণ সমাজ ধ্বংসের সবচেয়ে আলোচিত এবং অন্যতম মাধ্যম হিসেবে মাদকদ্রব্যকে ব্যবহার করা হচ্ছে। এব্যাপারে এক শ্রেণীর অসাধু মাদক ব্যবসায়ী নিজস্ব স্বার্থ সিদ্ধির উদ্দেশ্যে অবৈধভাবে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ প্রত্যন্ত অঞ্চলের যুব সমাজের হাতে মাদকদ্রব্য বা নেশাজাতীয় দ্রব্য পৌঁছে দেওয়ার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। সমাজে মাদকের ভয়াল থাবার বিস্তার রোধকল্পে এই সকল মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতারসহ মাদক বিরোধী অভিযানে র্যাব সর্বদা সক্রিয় ভূমিকা পালন করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-৬, ঝিনাইদহ গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে কতিপয় মাদক ব্যবসায়ীরা মাদকদ্রব্য বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে নসিমন গাড়ীতে মাদক বহন করিয়া চুয়াডাঙ্গা হইতে পাংশা, রাজবাড়ীর উদ্দেশ্যে রওয়ানা করিয়া আসছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে সিপিসি-২, ঝিনাইদহ অদ্য ১৯ এপ্রিল রবিবার কোম্পানী কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ মাসুদ আলম এর নেতৃত্বে¡ ঝিনাইদহ জেলার সদর থানাধীন কেন্দ্রীয় বাসটর্মিনাল এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনার তাগিদে গমন করেন এবং বাসটর্মিনাল এলাকা থেকে চুয়াডাঙ্গা সদরের ভুলটিয়া দক্ষিন পাড়ার ব্যবসায়ী ইসলাম শা’র ছেলে মিজার শা (৪৫) কে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ী মিজার শা’র নসিমনে রাখা মাছের ব্যারেলে ভিতরে বিশেষ কৌশলে রক্ষিত ৪৪০ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করে। এসময় ১টি নসিমন বা আলমসাধু, ১টি মোবাইল সেট ও ১টি সীম কার্ড জব্দ করা হয়। এবিষয়ে ঝিনাইদহ জেলার সদর থানায় হস্তান্তর করতঃ মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইন ২০১৮ এর ৩৬(১) সারণির ১৪(গ) ধারার মামলা করা হয়।
যৌতুকের দাবীতে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরের রুমা আক্তার(২০) নামের এক মেয়েকে যৌতুকের দাবীতে তার স্বামী, শ্বশুর-শ্বাশুড়ি ও ননদ মিলে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগ সূত্রে প্রকাশ, কোটচাঁদপুর উপজেলার সলেমানপুর গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের মেয়ে রুমা আক্তারের সাথে এক বছর আগে চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর থানার সাখারিয়া গ্রামের আলী কদরের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম(২৬)এর বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের দাবীতে ঐ মেয়েকে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন শারীরিক ও মানুষিকভাবে নির্যাতন করে আসছিল। রুমার মা ইসমোতারা বেগম জানান, মেয়ের বিয়ের পর থেকে যৌতুকের চাহিদা মেটাতে ইতিমধ্যে তার জামাইকে তারা নগদে ২লক্ষ টাকা ও ৬০হাজার টাকার আসবাপত্র যৌতুক হিসেবে দিয়েছে। বর্তমানে আরো ৫লক্ষ টাকা যৌতুৃক দাবি করছে। আমরা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় গত ৮/৪/২০ইং তারিখে আমার জামাই জাহাঙ্গীর আলমের হুকুমে মেয়ের শ্বশুর-শ্বাশুড়ি ও ননদ মিলে আমার মেয়ের গায়ে গরম পানি ঢেলে হত্যার চেষ্টা করে। এতে আমার মেয়ের শরীরের বিভিন্ন স্থান পুড়ে ঝলসে যায়। বিষয়টি কাউকে না জানানোর জন্য আমার মেয়েকে তারা ঘরের মধ্যে আটকে রাখে। বিষয়টি আমি জানতে পেরে ১১/৪/২০ইং তারিখে জীবননগর থানা থেকে পুলিশ নিয়ে যেয়ে আমার মেয়েকে উদ্ধার করে কোটচাঁদপুর হাসপাতালে চিকিৎসা করি। আমার স্বামী বিদেশে থাকে। আমি একজন অসহায় মহিলা। তিনি সঠিক বিচার দাবি করেছেন। নির্যতানের শিকার ভিকটিম রুমা আক্তার জানায়, তার স্বামী সহ শ্বশুর বাড়ির লোকজন তাকে মেরে ফেরার চেষ্টা করেছিল। যৌতুকের টাকা না দিলে তাকে যে কোন সময় হত্যা করতে পারে। সে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে। এ ব্যাপারে রুমার মা বাদি হয়ে জীবননগর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
সদ্য জন্ম নেওয়া শিশুর নাম রাখা হলো ‘করোনা’
ঝিনাইদহ :: করোনাভাইরাস আতঙ্কে কাঁপছে বিশ্ব। ক্রমশই আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ছে। সবাই যখন মৃত্যুভয়ে কাঁপছে; তখন পৃথিবীতে এলো নতুন অতিথি। বাবা-মা সদ্য জন্ম নেওয়া সেই শিশুর নাম রাখলেন ‘করোনা’। এমন ঘটনা ঘটেছে ঝিনাইদহের সদর হাসপাতালে। জানা গেছে, ঝিনাইদহ কাঞ্চননগর এলাকার এক দম্পতি কুয়েত প্রবাসী সাদিক ও সালেহা। বিবাহের দীর্ঘ ১৭ বছর পর আজ ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে তাদের কোল জুড়ে এক কন্যা সন্তানের জন্ম হয়েছে। সেখানে সদ্য জন্ম নেওয়া কন্যাশিশুর নাম রাখা হয়েছে করোনা। বিষয়টি ছড়িয়ে পড়ার পর হতবাক হয়েছেন অনেকেই। মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে এমন নাম হতে পারে, ভাবতেই পারছেন না তারা। ভর্তি হওয়ার কিছুক্ষণ পরই সিজারিয়ানের মাদ্ধ্যমে একটি কন্যাসন্তানের জন্ম দেন ওই নারী। তারপরই ওই সদ্যোজাতের নাম ‘করোনা’ রাখার সিদ্ধান্ত নেন পরিবারের সদস্যরা। কেননা এর আগেও অবশ্য এমন নাম রাখা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় সিডরের সময়ও এক শিশুর নাম রাখা হয়েছিল ‘সিডর’। শিশুর বাবা বলেন, ‘এ ভাইরাস অত্যন্ত মারাত্মক তাতে কোনো সন্দেহ নেই। তবে আতঙ্কের মাঝেও অনেক ভালো কিছু সৃষ্টি হয়। তাই অযথা ভয় না পেয়ে নির্দেশ মেনে চললেই সুরক্ষিত থাকব। আর ভাইরাসের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের প্রতীক হয়ে থাকবে এ শিশু।’
সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখতে কঠোর অবস্থানে ঝিনাইদহ পুলিশ
ঝিনাইদহ :: করোনার সংক্রমন প্রতিরোধ ও সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখতে ঝিনাইদহে কঠোর অবস্থানে জেলা পুলিশ। রবিবার সকালে শহরের পায়রা চত্বর, হামদহ, আরাপপুরসহ বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্ট বসানো হয়। এসময় প্রয়োজন ছাড়া ইজিবাইক চলাচল বন্ধ ও মোটর সাইকেলে একজনের বেশি না বসা, বাইরে অযথা ঘোরাঘুরি না করে বাড়ীতে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়। এছাড়াও ব্যক্তিগত গাড়ি চালক ও সড়কে চলাচলকারীদের উপযুক্ত কারণ ছাড়া শহরে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। এসময় বেশ কয়েকটি মোটর সাইকেল চালককে জরিমানা করা হয়।