মঙ্গলবার ● ২১ এপ্রিল ২০২০
প্রথম পাতা » ঢাকা » করোনা দুর্যোগে মানুষ বাঁচাতে কৃষি ও গ্রামীণ খাতকে অগ্রাধিকার দিন : বিপ্লবী কৃষক সংহতি
করোনা দুর্যোগে মানুষ বাঁচাতে কৃষি ও গ্রামীণ খাতকে অগ্রাধিকার দিন : বিপ্লবী কৃষক সংহতি
ঢাকা :: বিপ্লবী কৃষক সংহতির সভাপতি আনছার আলী দুলাল ও সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক সাহাদাৎ হোসেন আজ এক যুক্ত বিবৃতিতে দেশের প্রায় দুই কোটি কৃষকের জন্য পাঁচ হাজার কোটি টাকা প্রণোদনাকে ‘নিতান্ত অপ্রতুল’ হিসাবে আখ্যায়িত করেছেন এবং বলেছেন এই প্রণোদনার টাকা প্রকৃত কৃষকের কাছে কিভাবে পৌঁছাবে তাও নিশ্চিত নয়। তারা কৃষি, মৎস্য ও দুগ্ধ খামারসহ গ্রামীণ খাতে জরুরী ভিত্তিতে ৩০ হাজার কোটি টাকা প্রণোদনা এবং সরাসরি তা উৎপাদকের কাছে পৌঁছানোর দাবি জানান।
নেতৃবৃন্দ উল্লেখ করেন করোনা দুর্যোগে হাওড় অঞ্চলসহ সারাদেশে বোরো ফসল কৃষক কিভাবে ঘরে তুলবে তা নিয়ে বড় ধরনের অনিশ্চয়তা রয়েছে। কৃষি শ্রমিকের সংকট ও নগদ টাকার অভাবে বোরোর আবাদ তোলা নিয়ে কৃষকের বিপর্যস্ত অবস্থা। করোনার কারণে কৃষি বাজারেও মারাত্মক মন্দা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। শাক সবজিসহ কৃষিপণ্যের দাম একেবারে নীচে নেমে গেছে। পরিবহন ও বাজারজাতকরণেও সৃষ্টি হয়েছে বহুমুখী সংকট। কৃষক বোরো ধানের লাভজনক দাম পাবে কিনা তা নিয়ে রয়েছে গভীর অনিশ্চয়তা। দুধের দাম না পেয়ে দুধের খামারিরা পুরোপুরি নাকাল।
নেতৃবৃন্দ এই পরিস্থিতির অবসানে বোরো ফসলের কমপক্ষে ২০ শতাংশ সরকার নির্ধারিত মূল্যে প্রকৃত চাষীর কাছ থেকে সরাসরি কেনার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। এজন্যে গ্রামের বাজার থেকে সরাসরি ধান কেনার দাবি জানানো হয়। সরকারি ভর্তুকী যাতে চাতালের মালিকসহ মধ্যস্বত্ত্বভোগীদের কাছে না যায় তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
নেতৃবৃন্দ বলেন, করোনা দুর্যোগ মোকাবেলা করে মানুষ বাঁচানো কৃষি ও গ্রামীণ খাতকে অগ্রাধিকার দেয়া প্রয়োজন। কৃষি ও গ্রামীণ খাতই এখন উৎপাদনের সাইকেলকে অব্যাহত রাখতে পারে। নেতৃবৃন্দ এজন্যে প্রয়োজনে বাজেট বরাদ্দ সংশোধন করারও পরামর্শ দেন।
নেতৃবৃন্দ কৃষি ও গ্রামীণ খাতের বরাদ্দ নিয়ে চুরি, দুর্নীতি ও দলীয়করণের বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়ে তোলারও ডাক দেন।