মঙ্গলবার ● ২১ এপ্রিল ২০২০
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » ইউএনওর হস্তক্ষেপে বে-আইনি ভাবে মাটির অর্থ উদ্বার সরকারি ফান্ডে জমা
ইউএনওর হস্তক্ষেপে বে-আইনি ভাবে মাটির অর্থ উদ্বার সরকারি ফান্ডে জমা
শেখ সাইফুল ইসলাম কবির, বাগেরহাট প্রতিনিধি :: বাগেরহাটে শরনখোলায় অবৈধ ভাবে লুটে নেওয়া মাটির অর্থ অবশেষে দিতে বাধ্য হচ্ছেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না গুরুপ ।সরকারি সম্পদ রক্ষায় ইউএনওর উদ্যোগ প্রসংশনীয় । সম্প্রতি সরকারি জমির মাটি ক্রয় করা ছাড়াই অবৈধ ভাবে উত্তোলন করে নেওয়ার অভিযোগে চায়না গুরুপের খনন কাজ বন্ধ করে দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সরদার মোস্থফা শাহিন। পরবর্তীতে,ইউএনওর সাথে এক বৈঠকে বসে উপজেলার বান্দাঘাটা ও পশ্চিম রাজৈর এলাকার সরকারি খাল থেকে উত্তোলন কৃত মাটির মূল্য পরিশোধের কথা স্বীকার করেন চায়না ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের দ্বায়িত্বশীল একাধিক কর্মকর্তা ।
অনুসন্ধানে জানাযায়, ঝড় ,জ্বলোচ্ছাস ও বন্যা সহ প্রাকৃতিক নানা দুর্যোগের হাত থেকে উপকুলবাসীকে রক্ষায় ২০১৭ সালে বলেশ্বর নদী সংলগ্ন ৩৫/১ পোল্ডারের ৬৩ কিঃ মিঃ দৈর্ঘ্যর বাঁধ নির্মান কাজ শুরু করেন (সি এইচ. ডাবব্লিউ) নামের চায়নার একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান । উক্ত বাঁধ নির্মান কালে মাটির ব্যাপক প্রয়োজন দেখা দেয় । কিন্তু সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কর্তা ব্যাক্তিরা জেলা কিংম্বা উপজেলা প্রসাশনের কোন প্রকার অনুমতি ছাড়াই স্থানীয় কতিপয় স্বার্থেন্নেষী ব্যাক্তিদের অনৈতিক সুবিধা দিয়ে উপজেলা বাসীর পানির প্রধান উৎস রায়েন্দা সরকারি খালের বান্দাঘাটা এলাকা থেকে বাঁধের কোল ঘেষে প্রায় এক কিলোমিটার জুড়ে গভীর কুপ তৈরী করেন এবং সেখান থেকে কয়েক লক্ষ ঘনফুট মাটি অবৈধ ভাবে লুটে নেয় । লুন্ঠিত ওই মাটির বাজার মূল্য লাখ লাখ টাকা বলে স্থানীয়রা জানায় । অপরদিকে, অতিরিক্ত গভীরতার কারনে বান্দা ঘাটা এলাকায় নির্মিত রায়েন্দা খালের প্রধান সুইজ গেইটটি সহ বাঁধের ওই এলাকা চরম ঝুকিপুর্ন হয়ে উঠেছে।
তবে, নাম গোপন করার শর্তে, বাঁধ সংলগ্ন এলাকার একাধিক বাসিন্দা বলেন, সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান ও তাদের সহযোগীরা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে যোগসাজশ করে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার সরকারি খাস জমি ,খাল, বিল ডোবা ও নালা সহ বাঁেধর পাশ থেকে হাজার হাজার ঘনফুট সরকারি জমির মাটি অবৈধ ভাবে বিক্রি করে তারা ইতোমধ্যে লাখ লাখ টাকা হাতিয়েছেন। কিন্তু বিগত দিনে প্রসাশনের দ্বায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের রহস্য জনক ভুমিকার কারনে ওই মাটি সহ অতিরিক্ত ক্ষতি পুরুনের নামে লুণ্ঠিত কোটি কোটি টাকার কানা কড়িও তখনকার সময় উদ্বার করেনি প্রসাশনের কেউ ।
যার কারনে বিগত দিনে সরকারের কোটি কোটি টাকা লোপাট হয়েছে । এছাড়া ঠিকাদার গুরুপের নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির কারনে বাঁধ সহ স্লুইজগেট গুলো টেকশই না হলে শরণখোলা বাসীর দুর্ভোগ থেকেই যাবে । সম্প্রতি বান্দাঘাটা ও পশ্চিম রাজৈর এলাকার দুটি সরকারী খালের মাটি চায়না ঠিকাদারদের কাছে বিক্রি করে দশ লক্ষাধিক টাকা হাতানোর পায়তারা শুরু করেন একটি স্বার্থেন্নেষী মহল কিন্তু বিষয়টি ইউএনওর হাতে ধরা পড়লে সটকে পড়ে ওই চক্রের সদস্যরা । এ ব্যাপারে , উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ আজমল হোসেন মুক্তা বলেন , সরকারি সম্পদ রক্ষায় (নবাগত) ইউএনওর উদ্যোগ প্রসংশনীয় ।
এছাড়া স্থানীয় কতিপয় সুবিধাবাদি ব্যাক্তির লোভের কারনে বাঁধের সু-ফল থেকে উপকুলবাসী বঞ্চিত হওয়ার আশংঙ্কা রয়েছে । তবে, ভেরীবাঁধ নির্মানে যাতে কোন অনিয় ও দুর্নীতি না হয় সে ব্যাপারে সকলের কঠোর নজর দারী রাখা প্রয়োজন । অন্যথায় উন্নয়নমূখী সরকারের বদনাম হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরদার মোস্থফা শাহিন জানান, চায়না গুরুপ সম্প্রতি ২টি সরকারি খালের মাটি অবৈধ ভাবে তুলে নেওয়ার চেষ্টা শুরু করেন। বিষয়টি আমি স্থানীয়দের মাধ্যমে অবগত হয়ে মাটি খননের কাজ বন্ধের নির্দেশ দেই । পরে ঠিকাদার সংশ্লিষ্টরা আমার সাথে বৈঠক করেছেন এবং সম্পুর্ন মাটি পরিমাপ করে তার টাকা পরিশোধের কথা স্বীকার করেছেন । উক্ত টাকা পেলেই সরকারী ফান্ডে জমা করা হবে।
এছাড়া বিগত দিনে আমি এ উপজেলায় কর্মরত ছিলাম না । তার পরেও সরকারি মাটি অবৈধ ভাবে বিকিকিনির সাথে জডিতদের ব্যাপারে খোঁজ খবর নেওয়া হবে । প্রকল্পের তদারকি কর্মকর্তা ইঞ্জিনিয়ার মোঃ দেলোয়ার হোসেন জানান , মাটি ক্রয়-বিক্রয়ের বিষয়টি আমার দায়িত্বে নয় । তবে , চায়না গুরুপের মাটি ক্রয়কারী প্রতিনিধির পক্ষে মোঃ মুজাহিদুল ইসলাম বলেন , চায়না কোম্পানী কয়েক বছর যাবৎ ৩৫/১ পোল্ডারের ভেরীবাঁধে কাজ করছেন । কিন্তু মাটি লুটের বদনাম নাই । সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানদের অনুমতি নিয়েই উপজেলার বিভিন্ন এলাকার মাটি গুলো সংগ্রহ করা হয়েছে । এছাড়া সরকারি ফান্ডে টাকা জমা দেওয়ার দ্বায়িত্ব ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের নয়।
করোনা পরিস্থিতিতে সরকারের নির্দেশ অমান্য কারে ব্যাবসায়ীরা ধেদারছে বেচাকেনা
বাগেরহাট :: করোনা পরিস্থিতিতে বাগেরহাটের মোংলায় ভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান খোলা রেখে ধেদারছে বেচাকেনা করছে দোকানীরা। তারা মানছেনা সরকারের নির্দেশনা, রাখছেন না সামাজিক দুরত্ব বজায়।
প্রশাসনের নজর ফাঁকি দিয়ে ভোররাত থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত হরহামেসাই চালিয়ে যাচ্ছে তাদের ব্যাবসা। এমন অভিযোগে সরকারী নির্দেশনা অমান্য করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখায় ১৯ জন দোকানীকে প্রায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। আবার এক ট্রেইলার ব্যাবসায়ী প্রশাসনের জরিমানা এড়াতে অসুস্থতার কৌশল করে বেচেঁ যায়।
আজ মঙ্গলবার সকালে পৌর শহরের নিউ মেইন রোড,তাজমহল রোড়, শেখ আবদুল হাই সড়ক এলাকায় বিভিন্ন দোকানী অভিযান পরিচালনা করেন ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক নয়ন কুমার রাজবংশী। এ সময় নির্দেশনা না মানায় ওইসব ব্যবসায়ীকে প্রায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। তবে মাদ্রাসা রোড়, কুমারখালী এলাকায় নদী সংলগ্ন শহর রক্ষাবাধে বিভিন্ন বাশ,গোল পাতার আড়ৎ গুলো সব সময় খোলা থাকতে দেখা যায়। সেখানে ভিড় করছে
গ্রামাঞ্চলের অসেচত অনেক মানষ। তারা মানছেন না সামাজিক দুরত্ব করছেন না মার্ক্স ব্যবহার। সেখানে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযাতা যান না চলায় ক্ষোভ দেখা গেছে অভিযানের আওতায় পড়ে জরিমানা দেয়া ব্যবসায়ীরা।
বাগেরহাটে ইপিজেডে শ্রমিকদের চাকুরিচ্যুতির ভয় দেখিয়ে জোর করে কাজ করানো হচ্ছে, দেখা দিয়েছে শ্রমিক অসন্তোষ
বাগেরহাট :: বাগেরহাটের মোংলা ইপিজেডের একটি প্রতিষ্ঠানে শ্রমিকদের দিয়ে জোর করে কাজ করোনা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে শ্রমিকেরা। কাজে যোগ না দিলে চাকুরিচ্যুত করা হবে বলে শ্রমিকদের কাজে বাধ্য করা হচ্ছে। এছাড়া কর্মস্থলে যাওয়ার ক্ষেত্রে এ সকল শ্রমিকেরা সামাজিক দূরত্বও মানছেনা। গা ঘেষে হাটাহাটি করে এবং যানবাহনে ঠাসাঠাসি করেই অফিসে ছুটছেন। মঙ্গলবার ভোরে মোংলার স্থায়ী বন্দরের বাস ষ্ট্যান্ডে গিয়ে দেখা যায় ইপিজেডের জীম লাইট বিডি বাংলাদেশ নামক ফ্যাক্টরী অভিমুখে দল বেঁধে ছুটছে শ্রমিকেরা।
এ সময় সাংবাদিকদের ছবি তুলতে দেখে ছুটে আসেন শ্রমিকেরা। তবে শ্রমিকেরা সামাজিক দূরত্ব না মানলেও সেখানে আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর কোন ভূমিকাও দেখা যায়নি।
শ্রমিকেরা বলেন, আমাদের জোর করে কাজে নেয়া হচ্ছে, কাজে যোগদান না করলে চাকুরি থেকে বাদ দেয়া হবে বলে ফ্যাক্টরী কর্তৃপক্ষ আমাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কাজ করাচ্ছেন। তবে ফ্যাক্টরীর ম্যানেজার নাজমুল ইসলাম শ্রমিকদের এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এটা শ্রমিকদের মনগড়া কথা। কেউকে বাধ্য করা হচ্ছেনা, যারা করছে স্বইচ্ছায় করছে।
এ বিষয়ে মোংলা ইপিজেডের জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) মাহবুব আহমেদ সিদ্দিক বলেন, জীম লাইট বিডি বাংলাদেশ নামের ফ্যাক্টরী দেশের মানুষের জন্য মাস্ক ও পিপিই তৈরী করার করবে বলে শ্রমিকদের কাজে ডাকা হয়েছে। তবে কেউ যদি কাজ করতে না চায় এবং আমার কাছে বলে, তা হলে তার চাকরীচ্যুত হবে না। পরবর্তীতে যখন প্রতিষ্ঠান খোলা হবে তখন যোগদান করবেন। এছাড়া কোন প্রতিষ্ঠান শ্রমিকদের সাথে প্রতারণা করে জোর করে কাজ করালে ওই ফ্যাক্টরীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, করোনা বিধি নিষেধে ইপিজেডের ২৩টি ফ্যাক্টরী সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে। নিয়ম না মেনে জীম লাইট তাদের প্রতিষ্ঠান চালু রেখেছে, এতে করে শ্রমিকদের মাঝে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে সহায়তা এনে দেবার কথা বলে নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়ন নেতাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ
বাগেরহাট :: বাগেরহাটের মোংলায় প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের প্রভার আর অন্যদিকে কর্মহীন রয়েছে এখানকার শ্রমিকরা। এর মধ্যে বিভিন্ন রকমের প্রলোভন সংগঠনের নেতৃবৃন্দের। এই দুর্যোগ কালীন সময়ে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে ৫ হাজার টাকা করে সহায়তা এনে দেবার কথা বলে জনপ্রতি একশ’ থেকে দেড়শ’ টাকা চাঁদাবাজি করার অভিযোগ উঠেছে মোংলা বন্দর নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় ভূক্তভোগী নির্মাণ শ্রমিকরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও মোংলা থানা অফিসার উনচার্জের কাছে অভিযোগ দিয়েছে। পরে ইউএনও ও ওসি নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দকে ডেকে শ্রমিকদের কাছ থেকে চাঁদা বাবদ নেয়া টাকা ফিরত দিতে নির্দেশ দিয়েছেন। এ নিয়ে সংগঠনের শ্রমিকদের মাঝে চাপা ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মোংলা বন্দরে কর্মরত প্রায় ৭ শতাধিক ইমারত নির্মাণ (রাজমিস্ত্রী) শ্রমিকদের ট্রেড ইউনিয়ন হচ্ছে মোংলা থানা ইমারত নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়ন। সম্প্রতি করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে এখানকার নির্মাণ শ্রমিকদের কাজ অনেক কমে গিয়ে অনেকটা বেকার হয়ে পড়েন। এ অবস্থায় সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বিশেষ করে সাধারণ সম্পাদক শাজাহান ফকির প্রত্যেক শ্রমিককে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে বিকাশের মাধ্যমে ৫ হাজার টাকা করে সহায়তা এনে দেবার কথা বলে খরচা বাবদ শ্রমিক প্রতি ১শ থেকে দেড়শ’ টাকা করে চাঁদা তোলেন। সে সঙ্গে নেয়া হয় শ্রমিকদের সদস্য ও ভোটার আইডি কার্ডের ফটো কপিসহ বিকাশ করা মোবাইল নাম্বারও। গত কয়েকদিন ধরে এভাবে চাঁদা আদায় করা চললে এক পর্যায়ে কিছু শ্রমিকের মধ্যে এ নিয়ে সন্দেহ দেখা দেয়।
ভূক্তভোগী শ্রমিকরা এ ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রাহাত মান্নান ও থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ইকবাল বাহার চৌধূরীকে অভিযোগ দেয়াসহ বিস্তারিত ঘটনা খুলে বলেন। পরে ইউএনও ও ওসি মোংলা থানা ইমারত নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি দুলাল তালুকদার ও সাধারণ সম্পাদক শাজাহান ফকিরকে ডেকে নিরীহ শ্রমিকদের কাছ থেকে নেয়া টাকা ফেরত দিতে নির্দেশ দেন।
এ ব্যাপারে মোংলা বন্দর নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি দুলাল তালুকদার বলেন, চাঁদা আদায়ের বিষয়ে সাধারণ সম্পাদক জানেন, এ ঘটনার বিষয়ে তিনি অবগত নন। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শাজাহান ফকির অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ত্রাণ আনার খরচ বাবদ কোন চাঁদা নেয়া হয়নি। এ সংগঠনে পুরাতন ৬১৭জন শ্রমিক রয়েছে। ইমারত শ্রমিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক গঠনতন্ত্রের ৫নং-ধারা অনুযায়ী শ্রমিকদের ২০টাকা মাসিক
চাঁদা হিসেবে বকেয়া ৫ মাসের জনপ্রতি ১০০ ও ভর্তি ফিঁ ৫০ টাকা করে নেয়া হয়েছে।তবে প্রশাসনের নির্দেশ অনুযায়ী পর্যাক্রমে সে টাকা ফেরত দেয়া হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রাহাত মান্নান বলেন, ইমারত শ্রমিকদের পক্ষ থেকে একটি অভিযোগ পেয়েছি। সরকারের এই করোনা দুর্যোগকালীন মুহুর্তে কাউকে সুবিধা দেয়ার নাম করে চাদাঁ আদায় করা হবে এটা ক্ষমার অযোগ্য। শ্রমিকদের কাছ থেকে নেয়া টাকা ফেরত না দিলে এ সংগঠনের নেতাদের গ্রেফতার করে আইনের আয়োতায় আনার জন্য ওসি মোংলা থানাকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
মোংলা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ইকবাল বাহার চৌধুরী বলেন, ইমারত নির্মান কাছ থেকে নেয়া টাকা পুনরায় শ্রমিকদের ফেরত দেয়ার জন্য সভাপতি/সম্পাদককে বলা হয়েছে। এস আই আহাদকে বলা পাঠানো হয়েছে, যদি ফেরত না দেয় তবে ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।