বৃহস্পতিবার ● ২৩ এপ্রিল ২০২০
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » সুন্দরবনে মাছ ধরা নিষিদ্ধ করোনায় ক্ষতিগ্রস্থ ৫০হাজার জেলে চরম উৎকন্ঠায়
সুন্দরবনে মাছ ধরা নিষিদ্ধ করোনায় ক্ষতিগ্রস্থ ৫০হাজার জেলে চরম উৎকন্ঠায়
শেখ সাইফুল ইসলাম কবির, বাগেরহাট প্রতিনিধি :: কভিড-১৯ করোনায় মৎস্যভান্ডার হিসেবে খ্যাত সুন্দরবন চর পাটা ও ঝাঁকি জাল দিয়ে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করা হয়েছে। বলা হয়েছে, সুন্দরবনের বিভিন্ন খালে বিষ দিয়ে মাছ শিকার রোধ এবং মাছের নিরাপদ প্রজনন ও সংরক্ষণ করতেই এই নিষেধাজ্ঞা নিশ্চিৎ করেছে বন বিভাগ। করোনায় ক্ষতিগ্রস্থ জেলে বাওয়ালীরা নিরাপদে সুন্দরবনে মাছ ধরতে পারলেও সেটি বন্ধ থাকায় তারা পড়েছে মানবিক বিপর্যয়ে। অবিলম্বে পারমিট চালু করার দাবি জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা।
পূর্ব বিভাগের চারটি রেঞ্জ শরণখোলা, চাঁদপাই, খুলনা ও সাতক্ষীরা এলাকার ইতিমধ্যে ২৫ ফুটের নীচের প্রস্তের প্রায় চার শতাধিক খালকে নিষিদ্ধের তালিকায় নেওয়া হয়েছে। তবে ২৫ ফুটের অধিক প্রস্থের খাল ও বনের নদী এলাকা এ নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত থাকবে বলে জানিয়েছে বন বিভাগ।
চরম হতাশা আর উৎকন্ঠার মধ্যে রয়েছে উপকুলীয় অঞ্চলের হাজার হাজার জেলে।
বনবিভাগ সূত্রে জানা যায়, বনের মধ্যে দিয়ে ভোলা, বলেশ্বর, শ্যালা, পশুরসহ ১৩টি বড় নদ-নদী ও ৪৫০টি ছোট খাল প্রবাহিত হয়েছে। এ সব নদী ও খালে ২১০ প্রজাতির সাদামাছ, ২৪ প্রজাতির চিংড়ী, ১৪ প্রজাতির কাঁকড়া, ৪৩ প্রজাতির মালাস্কা ও লবস্টার পাওয় যায়। এ ছাড়াও রয়েছে বিলুপ্ত প্রায় প্রজাতির ইরাবতীসহ ছয় প্রজাতির ডলফিন।জুলাই ও আগস্ট মাস সুন্দরবনে মাছের প্রজনন মৌসুম। এ প্রজনন মৌসুমে সুন্দরবনের ছোট ছোট খালে মাছের আধিক্য বেশি থাকার সুযোগে এক শ্রেণির অসাধু জেলে গোপনে ছোট খালে বিষ দিয়ে মাছ শিকার করে থাকে। এ কারণে বনের মৎস্য ও অন্য জলজ প্রাণীর নিরাপদ প্রজনন ও সংরক্ষণসহ ও বিষ প্রয়োগ বন্ধে এ দু’মাস সুন্দরবনের অধিকাংশ খালে মাছ আহরণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জ কর্মকর্তা (এসিএফ) মো. এনামুল হক বলেন, পাস-পারমিট নিতে আসা জেলেদের নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি আগে থেকেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। কভিড-১৯ করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিতকরণে করোনার পর মাছ আহরণের জন্য জেলেদের সীমিত আকারে পাস-পারমিট দেওয়া হবে। সার্বক্ষণিক নজরদারিতে বনবিভাগের পাশাপাশি সুন্দরবন সহ ব্যবস্থাপনা কমিটি, সিপিজি, ভিটিআরটি, ওয়াইল্ড টিমের সদস্য নিয়োজিত থাকবে।
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় যুদ্ধে মানব কল্যাণে আমরা
বাগেরহাট :: সবাই যখন আতঙ্কিত হয়ে নিরাপদ আশ্রয় খুঁজতে এ শহর থেকে ও গ্রামে ছুটতে ব্যস্ত, তখন এক দল তরুণ মানব কল্যাণে আমরা ব্যস্ত শহর এবং গ্রাম নিরাপদ রাখতে তারাও ছুটছে। তবে আপনার আমার জীবন যাত্রা যেনো নিরাপদ হয়, যেন নিরাপদ থাকে আপনার সহযাত্রী, প্রতিবেশী, পরিবার। করোনা থেকে শহর নগর নিরাপদ রাখতে রাত-দিন ছুটে চলছে মানব কল্যাণে আমরা ।
সারা বিশ আজ করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে জর্জরিত। এই ভাইরাসের কোনো প্রতিষেধক আবিষ্কৃত না হওয়ায় স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা সবাইকে ঘরে বা হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার পরমার্শ জানিয়েছেন। করোনা মোকাবেলায় দেশ গড়ার দীক্ষা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে এই তরুণেরা।করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে । স্বেচ্ছাসেবীরা বলছেন, আমরা এখন গণপরিবহন, মসজিদ অথ্যাৎ যেখানে গণজমায়েত সেখানে গিয়ে গিয়ে সচেতন করছি। করোনা সক্রামণ ঠেকাতে আমাদের এ উদ্যোগ বাড়ি বাড়ি গিয়ে বোঝানো।
মোরেলগঞ্জ পৌরসভার সুযোগ্য মেয়র এস এম মনিরুল হক তালুকদারের নির্দেশ মোতাবেক পৌরসভার ভিতরে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও চট্টগ্রাম থেকে আসা বহিরাগতদের তালিকা ধরে বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে তাদেরকে লকডাউন করে লাল পতাকা উত্তোল করা হয়েছে। তার নির্দেশ মোতাবেক লকডাউন দানকৃত বাড়িতে খাবার পৌঁছে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে এবং পৌরসভার পক্ষ হতে তাদের সার্বক্ষণিক খোঁজখবর নেওয়া ।
এদিকে যখন ব্যস্ত গ্রামটি আতঙ্কে প্রায় স্তব্ধ, তখন দুরন্ত একদল তরুণ। বাজারে যখন করোনার জীবাণুনাশকের সংকট , তখন তারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ব্যস্ত কীভাবে মানসম্পন্ন হ্যান্ড স্যানিটাইজার মানুষের কাছে পৌঁছানো যায় সে প্রচেষ্টায়।
মানব কল্যাণে আমরা এ তরুণদের কাজে মানুষ আতঙ্কিত না হয়ে সেচ্ছাসেবকের ভূমিকায় নিজের পাশাপাশি পরিবেশ রক্ষায় এগিয়ে আসবে। সেই সঙ্গে চারপাশ নিয়মিত পরিষ্কারের কাজটি করতে হবে সরকারি-বেসরকারি, বাণিজ্যিক, ধর্মীয় ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি ব্যক্তি উদ্যোগেও-এমনই প্রত্যাশা তাদের।StayHome: করোনা থেকে বাঁচতে বাড়িতে থাকুন।মানব কল্যাণে আমরা সংগঠনের প্রতিটি কর্মীকে যারা নিজেদের জীবনকে বাজি রেখে এ কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন , এছাড়াও অন্তরের অন্তস্থল থেকে গভীর শ্রদ্ধা ও অবিরাম ভালোবাসা পৌরসভার সুযোগ্য মেয়র অ্যাডভোকেট মনিরুল হক তালুকদার সাহেব কে। তার এ সাধারণ মানুষের জন্য ভালোবাসা দেখে সত্যিই শ্রদ্ধা দিন দিন বহুগুণে বেড়ে যাচ্ছে , অবিরাম ভালোবাসা প্রিয় অভিভাবক মোরেলগঞ্জের স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন “মানব কল্যাণে আমরা”।