শুক্রবার ● ২৪ এপ্রিল ২০২০
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » করোনার মধ্যেও সুন্দরবনে শিকারিরা সক্রিয় : হরিণ হুমকির মুখে
করোনার মধ্যেও সুন্দরবনে শিকারিরা সক্রিয় : হরিণ হুমকির মুখে
শেখ সাইফুল ইসলাম কবির,বাগেরহাট প্রতিনিধি :: সুন্দরবনে হরিণ শিকারীদের অপতৎপরতা থামছে না করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও বেড়ে যাওয়ায় বুধবার থেকে পূর্ব সুন্দরবনে রেড অ্যালার্ট জারি করে বনবিভাগ। হরিণ শিকার থামাতে পাশাপাশি বনবিভাগের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছুঁটিও বাতিল করা হয়েছে। কিন্তু শিকারি চক্র থেমে নেই। রেড অ্যালার্টের মধ্যে চলছে তাদের অপকর্ম।ফলে হুমকির মুখে বনে হরিণের অস্তিত্ব। সমীক্ষা বলছে বছরে ১০ হাজারেরও বেশী হরিণ শিকার হচ্ছে। সুন্দরবন এলাকায় প্রায় ৫০টি শিকারিচক্র হরিণের মাংস, চামড়া, মাথা, শিং ও হাড় বিক্রি করে হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা। এসব প্রতিরোধে কার্যকর কোনো ব্যবস্থাই নিতে পারছে না বন বিভাগ।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে শরণখোলা উপজেলার সোনাতলা গ্রাম থেকে উদ্ধার হয়েছে ১০ কেজি হরিণের মাংস। পাচারকালে বনরক্ষীদের উপস্থিতি টের পেয়ে চোরা শিকারিরা ককশিট ভর্তি মাংস ফেলে পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করা যায়নি।পরিবেশবাদীরা বলেন, নানা সময় হরিণ, হরিণের মাংস, চামড়া, ফাঁদসহ শিকারীরা আটক হলেও দৃষ্টান্তমূলক সাজা হয়নি কারও। মুক্তি পেয়ে আবার শিকারে জড়িয়ে পড়ছে তারা। নানা তৎপরতার পরেও দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকা অবৈধ হরিণ শিকার নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। বনকে হরিণ উপযোগী করে গড়ে তোলাসহ অবিলম্বে হরিণ শিকারিদের গ্রেপ্তার করে শাস্তি দেয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা।
সচেতন মহল বলছে প্রশাসনের দুর্বলতার কারণেই এটি সম্ভব হচ্ছে। অবশ্য প্রশাসনের দাবি, বন বিভাগ, পুলিশ ও কোষ্টগার্ডের যৌথ চেষ্টায় শিগগিরই বন্ধ হবে হরিণ শিকার। রেঞ্জের এক কর্মকর্তা জানান, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনের সীমাবদ্ধতাসহ বন বিভাগের জনবল সঙ্কট রয়েছে। তাই এত কম জনবল নিয়ে আসামিদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয় না।অন্যদিকে, বনে শিকারিদের অবস্থান না জানায়, পাচারকারীদের ধরা গেলেও তাদের আটক করা যাচ্ছে না।
পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা ষ্টেশন কর্মকর্তা (এসও) মো. শামসুল হক জানান, একটি সংঘবদ্ধ চক্র হরিণের মাংস পাচার করছে গোপন সূত্রে এই খবর পেয়ে এদিন দুপুর দুইটার দিকে তিনি বনরক্ষীদের নিয়ে বনসংলগ্ন সোনাতলা গ্রামে অভিযান চালান। এসময় চোরা শিকারিরা বনরক্ষীদের উপস্থিতি বুঝতে পেরে ককশিটে ভরা মাংস ওই গ্রামের জাহাঙ্গীর হোসেনের বাড়িসংলগ্ন মাঠের একটি খাদের মধ্যে ফেলে পালিয়ে যায়।
শরণখোলা রেঞ্জ কর্মকর্তা (এসিএফ) মো. জয়নাল আবেদীন জানান, এ ব্যাপারে বন আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। জব্দ করা মাংস আদালতের অনুমতি নিয়ে বিকেলে রেঞ্জ অফিস চত্বরে মাটিচাপা দেওয়া হয়েছে।
পূর্ব বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. বেলায়েত হোসেন জানান, সম্প্রতি সুন্দরবন থেকে বেশ কিছু হরিণ ধরা ফাঁদ উদ্ধার করা হয়েছে। করোনার সুযোগ নিয়ে শিকারিদের তৎপরতা বৃদ্ধি পাওয়ায় বুধবার থেকে সুন্দরবনে রেড অ্যালার্ট জারি করে বনবিভাগের টহল জোরদার করা হয়েছে। করোনার ভয় উপেক্ষা করে বনরক্ষীরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
ঢাকা থেকে এ্যাম্বুলেন্সে মোরেলগঞ্জ আসা ৪ জনের নমুনা সংগ্রহ
বাগেরহাট :: বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে এ্যাম্বুলেন্সে করে আসা ৪ যাত্রীর নমুনা সংগ্রহ করেছেন মেডিকেল টিম। ওই চার যাত্রী ঢাকা থেকে একটি এ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে বৃহস্পতিবার বিকেলে মোরেলগঞ্জে আসলে পুলিশ এ্যাম্বুলেন্সসহ যাত্রীদেরকে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে থানার ওসি কেএম আজিজুল ইসলাম বলেন, এ্যাম্বুলেন্সটি মোরেলগঞ্জ সীমানায় প্রবেশের সাথে সাথেই দৈবজ্ঞহাটি এলাকায় পুলিশ সেটিকে থামিয়ে দেয়। পরে গাড়িসহ সকলের শরীরে জীবানুনাশক ওষুধ স্প্রে করে উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
এ বিষয়ে উপজেলা করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির সদস্য সচিব ও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কামাল হোসেন মুফতি বলেন, এ্যাম্বুলেন্সে থাকা বহরবুনিয়া গ্রামের ৪ যাত্রীর মধ্যে একজন অন্ত:স্বত্তা নারী ছিলেন। করোনা টেষ্টের জন্য তাদের নমুনা সংগ্রহ করে নিজ বাড়িতে হোমকোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে।
এমপি তন্ময় ৩ হাজারগর্ভবতী মাকে এক মাসের পুষ্টিকর খাবার দিলেন
বাগেরহাট :: বাগেরহাটেবঙ্গবন্ধু পরিবারের তৃতীয় প্রজন্ম বাগেরহাট-২ (সদর ও কচুয়া) আসনের এমপি শেখ সারহান নাসের তন্ময় করোনা পরিস্থিতিতে ৩ হাজার গর্ভবতী মায়েদের স্বাস্থ্য সুরায় এক মাসের পুষ্টিকর খাবার দিয়েছেন। গর্ভবতী মায়ের ঘরে পুষ্টিকর খাবার, ভবিষতের কাছে বর্তমানের অঙ্গীকার এই এমপি শেখ তন্ময় তার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে এক মাসের ৮ প্রকার পুষ্টিকর খাবার গর্ভবতী মায়েদের বাড়িতে-বাড়িতে পৌঁছে দিচ্ছেন।
বৃহ¯পতিবার বিকাল থেকে তার নির্বাচনী এলাকার বাগেরহাট সদর, কচুয়া ও বাগেরহাট পৌরসভার ঘরে-ঘরে গিয়ে এমপির ব্যক্তিগত কর্মকর্তা, আওয়ামী লীগের মহিলা জনপ্রতিনিধিসহ নেত্রীরা এমপির পাঠানো এসব খাদ্য উপহার হত-দরিদ্র থেকে সব গর্ভবতী মায়েদের হাতে তুলে দেন।
বাগেরহাট পৌরসভার গর্ভবতী মা সালেহা বেগম, অর্পনা রায়, বিউটি আক্তার, রমা রানী শীল নামে গর্ভবতী মায়েরা এমপি শেখ তন্ময়ের দেয়া এসব খাদ্য সামগ্রী পেয়ে অবিভ‚ত হয়ে যান। তাদের কেউ-কেউ আনন্দ অশ্রু ধরে রাখতে পারেননি। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে এমপি শেখ তন্ময় তাদের স্বাস্থ্য সুরায় এগিয়ে আসায় তারা ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।এমপি শেখ সারহান নাসের তন্ময় জানান, করোনা পরিস্থিতির মধ্যে তার নির্বাচনী এলাকায় ইতোমধ্যেই সরকারি ত্রাণ বিতরণের পাশাপশি তার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ১০ হাজারের অধিক কর্মহীন দরিদ্র-নিম্ন আয় ও কর্মজীবী শ্রমিক-ভাসমান দোকানীদের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। গ্রামের প্রত্যন্ত এলাকায় রোগীদের কাছে ডাক্তার গিয়ে চিকিৎসা দিচ্ছেন। এখন গর্ভবতী মায়ের ঘরে পুষ্টিকর খাবার, ভবিষতের কাছে বর্তমানের অঙ্গীকার এই ¯োগানকে সামনে রেখে ধনী-গরিব ৩ হাজার গর্ভবতী মায়ের এক মাসের ডিম, তেল, আলু, মুশুরি ডাল, কালোজিরা, খেজুর, দুই প্যাকেট গুড়া দুধ ও মাদার হরলিক্স দেয়া হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, পুষ্টিকর এসব খাবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যে ঘরে থাকা গর্ভবতী মায়েদের স্বাস্থ্য সুরায় অবদান রাখবে। সরকারের পাশাপাশি আমার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে রমজান মাসেও দরিদ্র-নিম্ন আয় ও কর্মজীবী শ্রমিক-ভাসমান দোকানীদের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হবে। তাদের ঘরে-ঘরে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেয়া হবে।