শনিবার ● ২৫ এপ্রিল ২০২০
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » বাগেরহাটে লক ডাউন থাকবে জরুরী পণ্য পরিবহন ছাড়া : সচিব মহিবুল হক
বাগেরহাটে লক ডাউন থাকবে জরুরী পণ্য পরিবহন ছাড়া : সচিব মহিবুল হক
শেখ সাইফুল ইসলাম কবির, বাগেরহাট :: করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় বাগেরহাট জেলায় দায়িত্বপ্রাপ্তবেসরকারি বিমান পরিবহন ও পর্যাটন মন্ত্রনালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মহিবুল হক বলেছেন, বাগেরহাট জেলা এখনো করোনা মুক্ত আছে। আর এটা ধরে রাখতে জরুরী পণ্য পরিবহন ছাড়া জেলাকে লক ডাউন করা হবে। বাহির থেকে কেউ আসতেও পারবে না যেতেও পারবেনা। তবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ধীরে ধীরে সবকিছু সচল করতে হবে।করোনা সচেতনতায় করনীয় বিষয়ে সংবাদকর্মীদেরও সমাজে অগ্রাণী ভূমিকা পালন করছেন।
আজ শনিবার দুপুরে বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে সরকারি কর্মকর্তা, করোনা প্রতিরোধ কমিটি ও জনপ্রতিনিধিদের সাথে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে এক জরুরি সভা শেষে প্রেস বিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, করোনাকে ভয় নয়,সচেতন থাকতে হবে। এ কারনে আতংকিত হলে চলবেনা। করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় জেলার দায়িত্বপ্রাপ্তরা যথেষ্ট তৎপর রয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাগেরহাট জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশিদ, পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায়, মেয়র মনিরুল হক তালুকদার, সিভিল সার্জন মো. হুমায়ুন কবির, উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাড. শাহ্-ই-আলম বাচ্চু, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান, থানা অফিসার ইন চার্জ কে এম আজিজুল ইসলাম ,উপজেলা স্বাস্থ্য ও পারিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মুফতি কামাল হোসেন , ভাইস চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাহিমা খানম প্রমুখ ।
এমপি তন্ময় গর্ভবতী মায়েদের ঘরে পুষ্টিকর খাবার বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিচ্ছেন
বাগেরহাট :: বাগেরহাটে করোনা ভাইরাসের প্রভাবে কর্মহীন হয়ে পড়া পরিবারের গর্ভবতী মায়েদের ঘরে পুষ্টিকর খাবার বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিচ্ছেন বাগেরহাট-২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ তন্ময়। আজ শনিবার সকালে বাগেরহাট সদর উপজেলার কারাপাড়া, বেমরতা ও ষাটগম্বুজ ইউনিয়নে গর্ভবতী মায়েদের ঘরে পুষ্টিকর খাবার পৌছে দেয়া হয়। সংসদ সদস্য শেখ তন্ময় এর পক্ষে গ্রাম পর্যায়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে গর্ভবতী মায়েদের ঘরে পুষ্টিকর খাবার পৌছে দিচ্ছেন বাগেরহাট সদর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রিজিয়া পারভীন, জেলা যুব মহিলালীগের আহবায়ক এ্যাড.লুনা সিদ্দিকী, বাগেরহাট পৌর মহিলা আওয়ালীগের আহবায়ক প্যানেল মেয়র তানিয়া খাতুন, পৌর মহিলা আওয়ামীলীগের সদস্য সচিব সাদিয়া আফরোজ প্রমুখ। প্রতিটা পরিবারকে ডিম-২৪টি ,দুধ,আলু,রান্নার তেল,ডাল,খেজুর,কালিজিরা দেয়া হয়।
রমজানে মসজিদে খতম তারাবিহ হচ্ছে না ৫ হাজার হাফেজ পরিবার অসহায় জীবন যাপন
বাগেরহাট :: মরণঘাতি করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে পবিএ রমজানে এ বছর বাগেরহাটে প্রায় ২৫১৪টি মসজিদে খতম তারাবিহ নামাজ পড়ানো হচ্ছে না। এ সাথে জড়িত প্রায় ৫ হাজার পরিবার অসহায় জীবন যাপন করছে।সাধারনত মুসল্লীদের দানেই চলে। আর এই দানের অংশ থেকেই বেতন হয় ইমাম,হাফেজদের। কোভিড-১৯ এ আত্রান্তের সংখ্যা বিশ্বব্যাপি বৃদ্ধি পাওয়ায় সরকার মসজিদে না গিয়ে বাড়ীতে বসে নামাজ পড়ার সিদ্ধান্ত দেন। এতে বেশিরভাগ মুসল্লীরা ঘরে বসেই নামাজ পড়েন ঘরে বসেই। মসজিদে মুসল্লিদের উপস্থিতি না থাকায় ইমাম ও হাফেজরা তাদের বেতন পাচ্ছেননা। বেতন না পাওয়ায় অধিকাংশ পরিবার নিয়ে চরম অর্থ কস্টে রয়েছেন। এ সামান্য বেতন দিয়ে তাদের কোন রকমের জীবন চালিয়ে যেতে হয়।আবার খতম তারাবিহ নামাজ বন্ধ থাকায় ওই সব কুরআনে হাফেজদের এক মাসের আয় রোজাগার থাকছে না। । করোনার কারনে প্রায় মসজিদে মসজিদে এ বছর খতম তারাবিহ পড়ানো হচ্ছে না। বিশেষ করে প্রতিটি মসজিদে ১২ জনের বেশী মুসল্লি অংশ নিতে পারবেন-সরকারি ভাবে এমন সংখ্যা বেধে দেওয়ার পর বাগেরহাটে অধিকাংশ মসজিদেই খতম তারাবিহ নামাজ আদায় করা হবে না।
ভাইজোড়া জামে মসজিদের সভাপতি মোতালেব ফকির জানান এলাকার মুসল্লীদের চাঁদার টাকায় আমাদের মসজিদ চলে। করোনাভাইরাসের কারনে মুসল্লিরা নামাজ পড়তে আসেনা এবং মাসিক চাঁদাও দেয় না, তাই আমরা ইমামদের বেতন দিতে পারছি না। একারনে আমাদের ইমাম এখন মসজিদে আসতে চাচ্ছে না।
ভাইজোড়া জামে মসজিদের ইমাম বলেন, গত মাসের বেতন এখন পর্যন্ত দেয়নি। চলতি মাসে মসজিদ কমিটি কি করবে জানি না। করোনাভাইরাসের কারনে মুসল্লীরা এখন মসজিদে নামাজ পড়তে আসেনা বললেই চলে। পরিবার পরিজন নিয়ে সংসার চালাতে ভিষন কষ্ট হচ্ছে। সরকারি ভাবে আমাদের যদি সাহায্য করতো তাহলে হয়তো দু‘বেলা দু‘মুঠো খেতে পারতাম।