বৃহস্পতিবার ● ৪ ফেব্রুয়ারী ২০১৬
প্রথম পাতা » অপরাধ » বিশ্বনাথে মাদ্রাসা ছাত্র সালমান হত্যা মামলা ডিবিতে স্থানান্তর
বিশ্বনাথে মাদ্রাসা ছাত্র সালমান হত্যা মামলা ডিবিতে স্থানান্তর
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: সিলেটের বিশ্বনাথ থানায় দায়েরকৃত মাদ্রাসা ছাত্র সালমান হত্যা মামলা ডিবিতে স্থানান্তর করা হয়েছে৷ ২ ফেব্রুয়ারী মঙ্গলবার সিলেটের পুলিশ সুপারের প্রদান করা নির্দেশে মামলাটি ডিবিতে স্থানান্তর করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে৷ এরপূর্বে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাও (আইও) বদলী হয়েছিলেন৷ এতে অধিকতর ও সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে হত্যাকান্ডে জড়িত প্রকৃত অপরাধীরা শাস্তি পাবে বলে আশাবাদ প্রকাশ করেছেন ভোক্তভোগীরা৷
অন্যদিকে মামলার প্রধান সন্দেহভাজন অভিযুক্ত মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা শিব্বির আহমদের ছোট ভাই মহসিনউদ্দিন নাঈম আদালত থেকে জামিন রয়েছেন বলে জনশ্রুতি রয়েছে৷ অথচ সালমানের লাশ উদ্ধারের দিন তাঁদের (শিব্বির-নাঈম) বাসা থেকেই নিহতের জুতা ও আরও কিছুদিন পর রক্তমাখা সোফাসেট উদ্ধার করে ছিল থানা পুলিশ৷
সালমান হত্যার প্রায় এক মাস পেরিয়ে গেলেও থানা পুলিশ হত্যার আসল রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি ৷ কে বা কাহারা, কেন, কিভাবে, কোথায়, কখন সালমানকে হত্যা করেছে তা এখনও রয়ে গেছে অজানা৷ তবে ‘মাদ্রাসার শিক্ষক কর্তৃক ছাত্র বলাত্কারের প্রতিবাদ করায় ও মাদ্রাসার প্রিন্সিপালের প্রবাসী ভাইয়ের একাউন্ট থেকে আত্নসাত্ করার উদ্দেশ্যে ৩ লাখ টাকা উত্তোলন করার জের ধরে হত্যাকান্ড সংগঠিত হতে পারে বলে ধারণা করে থানা পুলিশ তদন্ত কাজ চালিয়ে গেছে৷
মামলাটি ডিবিতে স্থানান্তর হওয়ার সত্যতা সাংবাদিকদের কাছে স্বীকার করেছেন বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবদুল হাই এবং মামলার বর্তমান তদন্তকারী কর্মকর্তা ও থানার ওসি (তদন্ত) মাসুদুর রহমান৷
প্রসঙ্গত, সালমান আহমদ সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার পূর্বগাঁও গ্রামের বাকপ্রতিবন্ধী ছোটন মিয়া ও কুতুবি বেগম দম্পত্তির সন্তান৷ দীর্ঘদিন ধরে সে মাদ্রাসার বোডিং-এ থেকে লেখাপড়া করে আসছিল৷ ৩০ ডিসেম্বর সকালে উপজেলার নতুনবাজার এলাকার তফজ্জুল আলী কমপ্লেক্স ও মাদ্রাসার প্রিন্সিপালের বাসার মধ্যবর্তী সড়কে সালমান আহমদের লাশ পাওয়া যায়৷ পরদিন ৩১ ডিসেম্বর সালমানের মা বাদী হয়ে বিশ্বনাথ থানায় মামলা দায়ের করেন৷ মামলা নং ২০ (তাং ৩১/১২/২০১৫ইং)৷ মামলার লিখিত অভিযোগে বাদিনী উল্লেখ করেছেন যে, তিনি ধারণা করছেন মরহুম মাওলানা আশরাফ আলীর পুত্র ও মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা শিব্বির আহমদের ছোট ভাই মহসিনউদ্দিন নাঈম অজ্ঞাতনামা দৃস্কৃতকারীদের যোগসাজশে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে তাঁর (বাদিনী) পুত্র সালমানকে হত্যা করেছে৷