বুধবার ● ২৯ এপ্রিল ২০২০
প্রথম পাতা » খাগড়াছড়ি » দীঘিনালায় সন্ত্রাসী হামলায় ইউপিডিএফ সদস্যসহ দুই ব্যক্তি নিহত হওয়ার ঘটনার নিন্দা
দীঘিনালায় সন্ত্রাসী হামলায় ইউপিডিএফ সদস্যসহ দুই ব্যক্তি নিহত হওয়ার ঘটনার নিন্দা
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি :: ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) খাগড়াছড়ি জেলা ইউনিটের সংগঠক ও গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের সভাপতি অংগ্য মারমা আজ মঙ্গলবার ২৮ এপ্রিল এক বিবৃতিতে খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় একটি বিশেষ মহলের মদদপুষ্ট সন্ত্রাসীদের হামলায় একজন ইউপিডিএফ সদস্য ও অন্য একজন সাধারণ গ্রামবাসী নিহত হওয়ার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘আজ সকাল ৯টার দিকে বাবুছড়া আর্মি ক্যাম্পের পাশে থাকা সন্ত্রাসীরা (যারা স্থানীয়ভাবে জুম্ম রাজাকার নামে পরিচিত) মধ্য বানছড়া গ্রামে গিয়ে অতর্কিত ব্রাশ ফায়ার করলে ঘটনাস্থলে ইউপিডিএফ সদস্য বাবু চাকমা ওরফে রিঝাং (৩০) ও সুদীব্য কান্তি চাকমা (২৫) নামে ওই গ্রামের এক বাসিন্দা নিহত হন। ইন্দ্রমণি পাড়ার বাসিন্দা বাবু চাকমার পিতার নাম সুশীল ভূষণ চাকমা ও সুদীব্য কান্তি চাকমার পিতার নাম বীরেন্দ্র মোহন চাকমা। ঘটনার সময় তারা দু’জনে বাড়ির উঠোনে বসে দাবা খেলা খেলছিলেন।’
ইউপিডিএফ নেতা উক্ত হামলাকে কাপুরুষোচিত, ন্যাক্কারজনক ও একটি জঘন্যতম অপরাধ বলে মন্তব্য করে দায়ি সন্ত্রাসীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানান।
তিনি এসব কুখ্যাত ও দাগি সন্ত্রাসীদের মদদ দেয়া বন্ধ করার দাবি জানিয়ে বলেন, সন্ত্রাসীরা বাবুছড়া বাজারে ও ক্যাম্পের পাশে প্রকাশ্যে ঘোরাফিরা করলেও এবং এমন কি আজকের হামলার পর দিন দুপুরে বন্দুক উঁচিয়ে বীরদর্পে পুকুরঘাট হয়ে বাবুছড়ার দিকে হেঁটে যাওয়ার পরও তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নেয়ার বিষয়টি জনমনে অনেক প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে, যার জবাব সরকার ও প্রশাসনকে দিতে হবে।
অংগ্য মারমা সবাইকে স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ১৯৭১ সালে হানাদার পাকিস্তানীরা রাজাকার-আলবদর দিয়ে এ দেশের জনগণের স্বাধীনতার স্পৃহা ও মুক্তিযোদ্ধাদের দমন করতে পারেনি, বর্তমানে পার্বত্য চট্টগ্রামে জুম্ম রাজাকার দিয়েও জনগণের ন্যায়সঙ্গত আন্দোলনকে দমন করা যাবে না।