বুধবার ● ২৯ এপ্রিল ২০২০
প্রথম পাতা » পটুয়াখালী » পটুয়াখালীতে পিতা পুত্রের উপর হামলার ঘটনায় ৬ জনের বিরুাদ্ধে মামলা
পটুয়াখালীতে পিতা পুত্রের উপর হামলার ঘটনায় ৬ জনের বিরুাদ্ধে মামলা
হাসান আলী, পটুয়াখালী প্রতিনিধি :: পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার আমখলা ইউনিয়নের তাফাল বাড়িয়া রামানন্দ গ্রামে পুর্ব শত্রুতার জেরে বিদেশ ফেরত রেমিট্যান্স যোদ্ধা আমিনুল ও তার বৃদ্ধ পিতা মোক্তার হোসেনের উপর সন্ত্রাসী হামলা,লক্ষাধিক টাকা ছিনিয়ে নেয়া ও শ্লীলতাহানির ঘটনায় ৬ জনকে আসামি করে থানায় মামলা এতে দুজন আটকের খবর পাওয়া গেছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, রেমিট্যান্স যোদ্ধা দীর্ঘ বছর বিদেশে দিনমজুরি শেষে নিজ দেশে ফিরে হতদরিদ্র পরিবারের সংসারের হাল ধরতে তাফাল বাড়িয়া হাইস্কুলের পাশে ছোট্ট একটি মোবাইল ফ্লেক্সিলড ও কম্পিউটারের দোকানের ব্যাবসা কার্যক্রম করেন। এবং প্রতিদিনের মতোই দোকন বন্ধ করে বাড়ি ফেরার পথে এ বর্বরোচিত হামলা করেন বলে মুমূর্ষু অবস্থায় জানান আমিনুল ও তার বাবা মোক্তার হোসেন।
মামলার সূত্রে জানা যায়, গত ২১ এপ্রিল রাত আটটার সময় পুর্বপরিকল্পিত ভাবে পিতা পুত্রকে মেরে ফেলার উদ্দেশ্য এই হামলা চালায় এক’ই বংশের বাবুল হাওলাদার, তার ছেলে ইমাম হাওলাদার , শামসুল হক হাওলাদার,পিতা-মৃত খাদেম হাওলাদারের, জুয়েল আকন,পিতা-জাকির আকন, সাইফুল আকন,পিতা-জাহাঙ্গীর আকন এবং শামসুল হক এর স্ত্রী পারুল পূর্বপরিকল্পিত হয়ে নব জীবন নামের একটি এনজিও অফিসের সামনে আমিনুল ও তার পিতার উপর দেশীয় ধারালো অস্র নিয়ে ঝাপিয়ে পরলে আমিনুলের মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় এলো পাথারী কোপাতে থাকে ছেলেকে বাচাতে পিতা মোক্তার হোসেন এগিয়ে আসলে, তাকেও রেহাই করেনি হামলাকারী বাহিনী।এসময় আমিনুলের সাথে থাকা দোকানের ব্যাবসীয় নগত টাকা, একটি ল্যাবটপ, সাথে থাকা স্বর্নলংকার সহ লক্ষাধিক টাকার লুট হয় বলে জানান আহত ভিকটিম আমিনুল ও তার পিতা-মোক্তার হোসেন।
এছাড়াও আহত আমিনুলের স্ত্রী লিপি বেগম বলে, হামলার খবর পেয়ে স্বামী ও শশুরকে বাঁচাতে আসলে আমাকেও নানান ভাবে শ্লীলতাহানি করে হামকারীরা।এজন্য ন্যায়বিচারের আশায় আহত আমিনুলের স্ত্রী লিপি বেগম বাদী হয়ে (৬) জনের বিরুদ্ধে ১৪১/৩৪১/৩২৩/৩২৫/৩২৬/৩০৭/৩৫৪/৩৭৯/ ও ৫০৭ ধারায় মামলা দায়ের করেন যাহার স্মারক নং- ১৪৯৭(৪)/১।
এবিষয়ে গলাচিপা সরকারি হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আল-মামুন বলেন, আমিনুলের মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় একাধিক শেলাই লেগেছে তার বাবার অবস্থাও গুরুত্বর বলে জানান। বর্তমানে মুমূর্ষু অবস্থায় গলাচিপা সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন রেমিট্যান্স যোদ্ধা ও হতদরিদ্র পরিবারের পিতা ও পুত্র।
এ ঘটনার বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি অত্যান্ত দুঃখজনক, হামলাকারীরা অত্যান্ত খারাপ প্রকৃতির লোকজন, তাদের নিজেদের জমাজমির বিষয়ে বহুবার শালীশি করে মিমাংসার চেষ্টা করেছি। যেহেতু বিষয়টি মামলা পর্যন্ত গড়িয়েছে, আশা করি ভিক্টিম পরিবার ন্যায় বিচার পাবে।
এ বিষয়ে মামলার উপপরিদর্শক এস আই আব্দুল মান্না বলেন, ঘটনার বিষয়ে মামলা হওয়ায় ছয়জনের মধ্যে (২) দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, এছারা তদন্তের পরে বাকিদের বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে, এবং গ্রেফতার দুজনকে কোর্টে প্রেরণ করা হবে বলে জানান।