বুধবার ● ২৯ এপ্রিল ২০২০
প্রথম পাতা » কৃষি » দেশী মুরগীর ফার্মে মড়ক
দেশী মুরগীর ফার্মে মড়ক
শেখ সাইফুল ইসলাম কবির, বাগেরহাট প্রতিনিধি :: বাগেরহাটের ফকিরহাটে অজ্ঞাত রোধে আক্রান্ত হয়ে একটি দেশী মুরগীর ফার্মের ১২শত মুরগী মারা গেছে। এতে ফার্ম মালিকের প্রায় ৫ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে। ঘটনাটি লখপুর ইউনিয়নের জাড়িয়া মাইট কুমরা গ্রামের নিজাম উদ্দিন শেখ এর ফার্মে।
নিজাম উদ্দিন শেখ জানান, তিনি দীর্ঘকাল ধরে নিজ বাড়িতে বিভিন্ন প্রজাতির দেশী মুরগীর (রাজা হাঁস, পাতি হাঁস, তিত পাখি ও কবুতর) ফার্ম করে তা চাষ করে আসছিলেন। স্বল্প পুজিতে অধিক উপার্জনও করছিলেন তিনি। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার হঠাৎ করে মুরগীর ফার্মে মড়ক লাগতে শুরু করে। প্রতি রাতে ৫০/১শ মুরগী করে মরতে মরতে এখন ফার্মে মুরগী শুন্য হয়ে পড়ে।
সোমবার রাতে ফার্মের জীবিত সকল মুরগী মারা যাওয়ায় তিনি এখন অসহায় হয়ে পড়েন। বিভিন্ন জনের কাছ থেকে ধারদেনা করে তিনি দেশী মুরগীর ফার্ম করে ছিলেন। সেই ফার্মে অজ্ঞাত রোধে আক্রান্ত হয়ে প্রায় ১২শত মুরগী মারা যাওয়ায় প্রায় ৫লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানান তিনি। নিজাম উদ্দিন শেখ লখপুর ইউনিয়নের জাড়িয়া মাইট কুমরা গ্রামের মোঃ ইদ্রিস আলী শেখ এর ছেলে।
কর্মহীন ঘরে থাকা নিম্ন ও মধ্য বিত্ত পরিবারের পাশে সালোম
বাগেরহাট :: কর্মহীন ঘরে থাকা নিম্ন ও মধ্য বিত্ত পরিবারের পাশে সালোম।দশে মিলে করি কাজ,হারি জিতি নাহি লাজ। এমন মনোভাব নিয়ে বাগেরহাটের মোংলা নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরন করলেন একটি সেচ্ছাসেবী এনজিও সংগঠন। সমাজের যারা লোক লজ্জার ভয়ে জনপ্রতিনিধি কিংবা অন্যের কাছে সাহায্যের হাত বাড়াতে পারছে না সেই সকল পরিবারকে টার্গেট করে গোপনে তালিকা তৈরী করে তাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী বিতরন করলেন তারা।বাগেরহাটের মোংলা উপজেলার চাদপাই, চিলা মিঠাখালি তিন ইউনিয়নে এ খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। করোনা দূযোর্গ মোকাবেলায় মানব সেবা ও সামজিক দায়বদ্ধতা নিয়ে সালোম নামের একটি বেসরকারী সংগঠন এলাকার এ সকল অনাহারী মানুষদের হাতে খাদ্য সামগ্রী তুলে দিলেন। উপজেলায় প্রায় ৫ শতাধিক পরিবারের মাঝে বিতরনকৃত খাদ্য সামগ্রী চাল, ডাল, আলু, পিয়াজ, তেল, লবন, সাবান ও ওষুধসহ একটি প্যাকেট মানুষদের হাতে তুলে দিলেন উদ্যোগী এ এনজিও সংগঠনটি।
তিন দিন ব্যাপি এ খাদ্য সহায়তার উদ্ভোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রাহাত মান্নান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন রেভাঃ ফাদার দানিয়েল মন্ডল, রেভাঃ ডিকন জন মানিক বাড়ই, মিঠাখালি ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ ইস্রাফিল হাওলাদার, চিলা ইউপি চেয়ারম্যান গাজী আকবার হোসেন, মিঠাখালি প্যানেল চেয়ারম্যান মোঃ আরিফ হোসেন, এনজিও সালোম এর প্রোগ্রাম অফিসার তাপস বাড়াই, হিসাব রক বিলিয়াম বিশ্বাস, মিলটন সরদারসহ সংগঠনের অন্যান্য কর্মকর্তা কর্মচারীরা।
করোনা সংক্রমণরোধে ১১শ পরিবার পাবে ডিএসকের স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী
বাগেরহাট :: বাগেরহাটের শরণখোলায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণরোধে ১১শ’ পরিবারকে স্যানিটারী হাইজিং কিড্স দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুঃস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্র (ডিএসকে) নামের একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা। মঙ্গলবার দুপুরে এসব স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।
উপজেলার রায়েন্দা ইউনিয়নের উত্তর কদমতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান মিলনের সভাপতিত্বে উদ্ভোধন অনুষ্ঠানে অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন শরণখোলা থানার ওসি এসকে আব্দুল্লাহ আল সাইদ, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নুরুজ্জামান খান, প্রেসকাবের সভাপতি ইসমাইল হোসেন লিটন, এনজিও সমন্বয় কমিটির সভাপতি মীর সরোয়ার হোসেন, ডিএসকের সিনিয়র প্রজেক্ট ম্যানেজার সঞ্জিব সরকার প্রমুখ।
ডিএসকের স্পন্সরশিপ অফিসার রাশিদা পারভিন জানান, দাতাসংস্থা ইউকেএইড ও স্টার্ড ফান্ড বাংলাদেশের আর্থিক সহযোগীতায় তারা প্রতিটি পরিবারকে ১০পিচ লইফবয় সাবান, ৫০ পিচ মাস্ক, এক কেজি হুইল পাউডার, এক প্যাকেট স্যানিটারী ন্যাপকিন, একটি মগ ও একটি ট্যাব সংযুক্ত বালতি দেওয়া হবে। প্রতিটি পরিবারের বাড়ি বাড়ি গিয়ে এসব হাইজিং কিডস বিতরণ করা হবে।
ঘরে থাকা গরীব ও দুস্থ্য আড়াই হাজার পরিবারের পাশে ড. ফরিদুল ইসলাম
বাগেরহাট :: বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে সংকটাপন্ন কর্মহীন হয়ে পড়া বাগেরহাট জেলার রামপাল ও মোংলা উপজেলার ২ হাজার ৫‘শ মানুষের বাড়িতে খাদ্য সামগ্রী পৌছে দিয়েছেন জেলা বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক ড.শেখ ফরিদুল ইসলাম।
মঙ্গলবার সকালে রামপাল উপজেলার ফয়লা গ্রামের আড়াইশ কর্মহীন মানুষের বাড়িতে খাদ্য দ্রব্য পৌছে দেওয়া হয়। খাদ্য সামগ্রী বিতরণে রামপাল উপজেলা বিএনপির যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল পাটোয়ারী, আলতাফ হোসেন বাবু, দপ্তর সম্পাদক কাজী জাহিদুল ইসলাম, উপজেলা যুবদলের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম, বিএনপি নেতা শেখ ফিরোজ কবির, কামরুজ্জামান মঞ্জু, মিলন আকুঞ্জী, মোফাজ্জেল হোসেন বাদল, আলমগীর কবির বাচ্চু, কাজী অজিয়ার রহমান, তরিকুল সোভন, কামাল, আব্বাস আলীসহ বিএনপির নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে রামপাল ও মোংলার সকল ইউনিয়নের ২ হাজার ২৫০ জন অসহায় মানুষের বাড়িতে খাদ্য সামগ্রী পৌছে দেন নেতাকর্মীরা।
রামপাল উপজেলা বিএনপির যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল পাটোয়ারী বলেন, করোনা পরিস্থিতি শুরু হওয়ার পর থেকে সেভ দ্যা সুন্দরবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও বাগেরহাট জেলা বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক ড. শেখ ফরিদুল ইসলাম রামপাল ও মোংলা উপজেলাবাসীর পাশে রয়েছেন। মোংলা ও রামপালের প্রত্যন্ত গ্রামেও তার দেওয়া খাদ্য সামগ্রী আমরা পৌছে দিয়েছি। যেসব গ্রামে সড়ক পথে যাওয়া যায় না সেসব জায়গায় নৌকা ও ট্রলার যোগেও খাদ্য সামগ্রী দেওয়া হয়েছে।
বাগেরহাট জেলা বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক ড. শেখ ফরিদুল ইসলাম বলেন, দলীয় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় রামপাল ও মোংলা উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার ১৫৩ টি ওয়ার্ডের ২ হাজার ৫‘শ অসহায় পরিবারকে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছি। দেশের এই দূর্দিনে আমরা সবাই যদি নিজ নিজ এলাকার অসহায় মানুষের দায়িত্ব নেই তাহলে এই দূর্যোগ মোকাবেলা করা অনেক সহজ হবে। মানুষ মানুষের জন্য এটাই হোক আমাদের অঙ্গীকার।
কর্মহীন ঘরে থাকা গরীব ও দুস্থ্য পরিবারের পাশে বিএনপি
বাগেরহাট :: বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে সংকটাপন্ন কর্মহীন ঘরে থাকা গরীব ও দুস্থ্য পরিবারের মাঝে বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে আরো ৪ হাজার পরিবারে জরুরি খাদ্য সহায়তা ও ইফতার সামগ্রী পাঠাচ্ছে বিএনপি। মঙ্গলবার বেলা ২ টার দিকে ৪টি ইউনিয়নে এসব খাদ্য সহায়তা ও ইফতার সামগ্রী পাঠানো হয়।
উপজেলা বিএনপির সভাপিত শহিদুল হক বাবুল ও সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক হোসেন সামাদ দৈবজ্ঞহাটি, পঞ্চকরণ, বনগ্রাম ও হোগলাপাশা ইউনিয়নের নেতাদের হাতে খাদ্য সামগ্রী তুলেদেন।
বিএনপি নেতা বাবুল বলেন, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে বাগেরহাট-৪ আসনে দলীয় প্রার্থী কাজী খায়রুজ্জামান শিপনের অর্থায়নে করোনার প্রভাবে গৃহবন্দি ও কর্মহীন অসচ্ছল দলীয় নেতা কর্মীদের বাড়িতে খাদ্য সহায়তা পাঠানো হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় ধান কাটতে ২৫ যুবক যুবতী মাঠে
বাগেরহাট :: বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে কৃষকের ধান কাটতে মাঠে নেমেছেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকুরি প্রত্যাশী একদল বেকার যুবক যুবতী।
মঙ্গলবার দুপুরে উত্তর পুটিখালী গ্রামের কৃষক নাজিম হোসেন, আনিস খান, জাহিদুল ইসলাম, জয়নাল শেখ, শাহাজাহান শেখ, মিত্রডাঙ্গা গ্রামের নিখিল ডাকুয়া, জোকা গ্রামের শামীম শেখ, ও দৈবজ্ঞহাটী গ্রামের আব্দুর রব হাওলাদারের ফসলি জমিতে বোরো, ব্রি-ধান-২৮, ৫৮, ২৯ সহ বিভিন্ন প্রজাতির জাতের পাকা ধান।
৩ গ্রামের কৃষকের ২০ একর জমির স্বেচ্ছাশ্রমে ধান কাটতে নেমেছেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ চাই কমিটির সদস্যরা। ৩০ সদস্য বিশিষ্ট দুটি গ্রুপে নেতৃত্বে দেন কমিটির প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ চাই জেলা সভাপতি মিরাজ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক রাজিব শিকদার,কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি নেয়ামুল শেখ, খোকন মৃধা, সুজন হালদার, সঙ্গিতা মাঝি, ডলি রানীসহ ৩০ সদস্য কমিটির প্রতিনিধিবৃন্দ।
সভাপতি মিরাজ হোসেন ও সঙ্গিতা মাঝি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী তারা নিজ উদ্যোগে স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে ২০ একর ফসলি জমির ধান পর্যায়ক্রমে কেটে কৃষকের ঘরে তুলে দিবেন।
কথা হয় উত্তর পুটিখালী গ্রামের কৃষক নাজিম হোসেনের সাথে তিনি জানান, তার ১ একর জমির ধান কেটে দিয়েছে এ সদস্যরা। অনুরুপ একই গ্রামের আনিছ খানের ২ একর জমির ধান কেটে মাড়াই করে দিয়েছেন তারা। এরকম একাধিক কৃষকরা জানান, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ধান কাটার শ্রমিক সংকট থাকায় এ মুর্হুতে স্বেচ্ছাশ্রমে এ সদস্যদের মাধ্যমে ধান কেটে ঘরে তুলতে পেরে আনন্দিত তারা।
সুন্দরবনে রাজা-বাদশা নুতন দস্যু বাহিনীর দাপট
বাগেরহাট :: সুন্দরবনে শীর্ষ বনদস্যুরা শত শত আগ্নেয়াস্ত্র হাজার হাজার গোলাবারুদসহ র্যাবের কাছে আত্মসমার্পণ করলেও নতুন করে রাজা-বাদশা বাহিনী নামের একটি নতুন দস্যু বাহিনীর আর্বিভাব ঘটেছে। জেলে বাওয়ালীদের জন্য আতংক হয়ে দেখা দিয়েছে।গডফাদার সোর্স অস্ত্র ও গোলাবারুদ সরবরাহকারীরা ধরাছোঁয়ার বাইরে । এ বাহিনীর সদস্য সংখ্যা পাঁচ থেকে ছয় জন। তাদের মধ্যে পাথরঘাটা উপজেলার পদ্মা সুলিজ এলাকার একজন ও শরনখোলা উপজেলার বন-সংলগ্ন বিভিন্ন গ্রামের পাঁচ-জন সদস্য রয়েছে। চলতি বছরের মার্চ মাসের প্রথম দিকে পুর্ব সুন্দরবনে ওই বাহিনীর আত্মপ্রকাশ ঘটে।
সুন্দরবনের শরনখোলা রেঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় অবস্থানরত জেলে ও মৌয়ালীদের জিম্মি করে হাজার হাজার টাকা মুক্তিপন আদায়ের পাশাপাশি বনে অবস্থানরত পেশাজীবীদের উপর নানা প্রকার নির্যাতন শুরু করেন ওই দস্যুরা।
মুক্তিপনের টাকা পরিশোধ করে দস্যুদের জিম্মিদশা থেকে সম্প্রতি নিজ পরিবারের কাছে ফিরে আসা উপজেলার কয়েকজন জেলে জানায়, ওই দস্যুরা নামবিহীন একটি ইঞ্জিন চালিত ট্রলার যোগে শরনখোলা রেঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় জেলে, বাওয়ালী ও মৌয়ালদের উপর হানা দেয়া শুরু করেছেন।
বাহীনিটির নেতৃত্বে আছেন শরনখোলা উপজেলার সোনাতলা (মডেল বাজার) এলাকার বাসিন্দা মৃত চাঁন মিয়া বয়াতির ছেলে মোঃ কবির হোসেন বয়াতি (৩৫), সেকেন্ডইন কমান্ড হিসেবে আছেন পদ্মাশুলিজ এলাকার বাসিন্দা আঃ হালিম খানের ছেলে মোঃ বেল্লাল হোসেন খান (২৫), সদস্য হিসেবে রয়েছেন, সোনাতলা গ্রামের আইয়ুব আলী হাওলাদারের ছেলে মোঃ আঃ রহমান হাওলাদার (৪২), একই গ্রামের বাসিন্দা মোঃ জয়নাল সর্দারের ছেলে মোঃ আসাদুল সর্দার (৩৮) ও মোঃ দুলাল সর্দার (৩৬) এবং পার্শ্ববর্তী শরনখোলা গ্রামের আনোয়ার হোসেন ফরাজীর ছেলে মোঃ নবী হোসেন ফরাজী (৩৪) সহ ছয়জন। এদের কাছে ২টি পাইপ গান, একটি সাটার গান, দেশীয় তৈরী ধারালো ২টি অস্ত্র সহ বেশ কিছু লাঠি রয়েছে।অস্ত্র ও গোলাবারুদ সরবরাহকারী শরনখোলা উপজেলার রাজাপুর গ্রামের বাসিন্দা মৃত মইনুদ্দিন ওরফে মনু আকনের ছেলে শহিদুল ইসলাম টুকু।খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গা থেকে ভারত চোরাই পথে অস্ত্র সরবরাহ করে সাগরে বনদস্যুর কাছে দিয়ে মসোহারা ঊঠায়।টুকু অস্ত্র সহ খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গায় সোনাবাহিনীর হাতে ধরা পরে তার বিরুদ্ধে অস্ত্র মাটিরাঙ্গা থানায় অস্ত্র আইনে মামলা দাযের করা হয়।
সুন্দরবন সংলগ্ন উপজেলার উত্তর রাজাপুর গ্রামের বাসিন্দা ও জেলে মোঃ ফজলুল হক হাওলাদার (৬৫) বলেন, চলতি মাসের ১২, এপ্রিল ওই দস্যুরা তাকে সহ তার বড় ভাই আঃ জব্বার হাওলাদার (৭০) কে শরনখোলা রেঞ্জের কটকা এলাকার ডোরা খাল থেকে অস্ত্রের মুখে ধরে নিয়ে যায় এবং তাদের নৌকায় থাকা নগদ ১০, হাজার টাকা, নিত্য প্রয়োজনীয় মালামাল সহ মোবাইল ফোন লুটে নেয়। এসময় দস্যুরা তাদেরকে রাজা-বাদশা বাহনী পরিচয় দিয়ে ৫০হাজার টাকা মুক্তিপন দাবি করে জব্বারকে আটক রেখে ফজলুকে ছেড়ে দেয়। একই গ্রামের জেলে ইদ্রিস হাওলাদার (৬০) বলেন, গত ১৪এপ্রিল বেলা ১১টার দিকে তিনি সুন্দরবনের টিয়ার চরের (গাব-বাড়িয়া) পুকুরে খাবার পানি আনতে গেলে সেখানে ৫ জন লোক বসা অবস্থায় দেখতে পান। এক পর্যায়ে তিনি পানি নিয়ে নৌকার দিকে রওয়ানা হলে ওই লোক গুলো তার পিছু নেয়। পরে তাকে সহ তার সংঙ্গী জেলে কুদ্দুসকে (২৮) অস্ত্রের মুখে জিম্মি করেন এবং লাখ টাকা মুক্তিপনের দাবিতে কুদ্দুসকে আটক রেখে তাকে ছেড়ে দেয় দস্যুরা।
এছাড়া একই এলাকার মৎস্য আড়ৎদার ছগির আকন বলেন, গত ২৪ মার্চ ওই দস্যুরা তার অধীনস্থ ৫টি নৌকা থেকে ৫জন জেলেকে জিম্মি করেন। এ সময় তাদের নৌকায় থাকা প্রায় ৪৫ হাজার নগদ টাকা, ৫টি মোবাইল ফোন সহ কয়েক হাজার টাকার নিত্য প্রয়োজনীয় মালামাল লুটে নেয় দস্যুরা। তার পরেও বিকাশের মাধ্যমে আরো ৩০হাজার টাকা পরিশোধ করে আমার জেলেদের ছাড়িয়ে আনতে হয়েছে। তবে, পরবর্তীতে সোনাতলা ওর্য়াডের ইউপি সদস্য মোঃ শরিফুল ইসলাম ডালিম ও স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ রস্তুম বয়াতির সমন্বয়ে ওই দস্যুদের কাছ থেকে কিছু টাকা ফেরৎ ফেরত পেয়েছি।
এব্যাপারে, জানতে চাইলে উত্তর রাজাপুর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ জাকির হোসেন বলেন, অনেক দিন ধরে সুন্দরবন দস্যুমুক্ত ছিল। তাই বনে যেতে জেলেদের মধ্যে কোন ভয়-ভিতী ছিলনা কিন্তু হঠাৎ করে নুতন বাহিনীর আর্বিভাব হওয়ায় জেলে ,বাওয়ালী ও মৌয়ালীদের মাঝে নুতন করে আতংঙ্ক দেখা দিয়েছে। শুরুতে এই দস্যুদের দমন করতে না পারলে সুন্দরবন আবারও অশান্ত হয়ে উঠতে পারে।
ধান সাগর নৌ-পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ (এ.এস.আই) মোঃ আজিম উদ্দিন জানান, এ সংক্রান্ত খবর তার জানা নেই। তবে খোঁজ-খবর নিয়ে দেখবেন। শরনখোলা রেঞ্জের সহকারি বন সংরক্ষক মোঃ জয়নাল আবেদীন জানান, ওই বাহিনীর সাথে ইতোমধ্যে দুবলা ও শেলা ক্যাম্পের বনরক্ষীদের সাথে গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে। তবে, ওই সময় দস্যুরা পালিয়ে গেলেও তাদের জিম্মিদশা থেকে উত্তর রাজাপুর এলাকার বাসিন্দা কুদ্দুস (২৮), গিয়াস উদ্দিন (৩৬) ও মহসিন (২৬) নামের তিন জেলে এবং দস্যুদের একটি ট্রলার উদ্বার করেছে বনরক্ষীরা।
এছাড়া ওই দস্যুদের আটকের জন্য বনের সকল ফাড়ি ও ক্যাম্পের অভিযান জোরদার করা হয়েছে। তবে, কবির বয়াতি মুঠোফোনে বলেন, আমি এঘটনার সাথে আদৌ জড়িত নাই। একসময় জঙ্গলে খারাপ কাজের সাথে জড়িত ছিলাম কিন্তু বর্তমানে সম্পুর্ন ভালো হয়ে গেছি। অভিযুক্ত অন্য-অন্যদের
পরিবারের সদস্যরা দাবি করেন, দস্যুতার তালিকায় যাদের নাম বলা হয়েছে তারা সকলেই নীরিহ জেলে। তাদের বিরুদ্বে এই অভিযোগ গভীর ষড়যন্ত্র। সুন্দবনের বিভিন্ন এলাকায় মাছ শিকার নিয়ে জেলে মহাজনদের মধ্যে রেশারেশি থাকায় ওই জেলেদের নামে মিথ্যা অপবাদ ছড়ানো হচ্ছে। দেশের মৎস্য সম্পদের খনি বঙ্গোপসাগরের বাংলাদেশী সীমানায় নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের তৎপরতা ও টহল বৃদ্ধি ছাড়া এ দস্যুতা বন্ধ করা সম্ভব নয় বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।টেকনাফ থেকে সুন্দরবন সংলগ্ন দক্ষিণ তালপট্টী পর্যন্ত বঙ্গোপসাগর এবং শাখা নদীগুলোতে ফিশিং ট্রলারগুলো সারা বছরই মাছ ধরায় নিয়োজিত থাকে। প্রতি বছর এ ফিশিং ট্রলারগুলো প্রায় ১৫ লক্ষ টনেরও বেশী মাছ সাগর থেকে সংগ্রহ করে। গত ৫ বছরে সাগর দস্যুদের নিহত হয়েছে শতাধিক জেলে ও মাঝি মালা। অপহৃত হয়েছে কয়েক হাজার জেলে। সাগরদস্যুরা মুক্তিপণ বাবদ আদায় করেছে কোটি কোটি টাকা।
কয়লা বোঝাই বিদেশি জাহাজের ক্যাপ্টেন সহ ৬ চীনা নাবিক আইসোলেশনে
বাগেরহাট :: বাগেরহাটের মোংলা বন্দরে কয়লা বোঝাই বিদেশি জাহাজের ক্যাপ্টেন সহ ৬ চীনা নাবিককে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। সোমবার বিকালে বন্দরের করোনা পর্যবেক্ষন পরিচালনা কমিটির প্রধান ডাঃ সুফিয়া খাতুন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মোংলা বন্দরের হারবাড়িয়ার ৭ নং বয়া এলাকায় করোনা ভাইরাস সন্ধেহে কয়লা বোঝাই বিদেশি জাহাজের ক্যাপ্টেন সহ ৬ চায়না নাবিককে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে একারনে ওই জাহাজের পন্য খালাসের কাজ বন্ধ রয়েছে।
ডাঃ সুফিয়া খাতুন আরো জানান,সিঙ্গাপুর থেকে কয়লা বোঝাই জাহাজ চট্রগ্রাম বন্দরে আসে, নাবিকরা সেখান থেকে ১৪দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকার পর আজ (সোমবার ,২৭ এপ্রিল) দুপুর সোয়া ৩ টায় মোংলা বন্দরের হারবাড়িয়ার ৭নং বয়া এলাকায় আসে। নাবিক সহ তাদের ৬জনের শরীরে জ্বর থাকায় তাদেরকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। আগামীকাল(মঙ্গলবার) পুনরায় পরীক্ষা করে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যাবস্থা নেয়া হবে। ওই জাহাজের পণ্য খালাসের কাজও বন্ধ রয়েছে। জাহাজটিতে মোট ২০ জন চীনা নাবিক রয়েছেন এবং ৩০ হাজার মেঃ টন কয়লা রয়েছে।