বুধবার ● ২৯ এপ্রিল ২০২০
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » কয়লা বোঝাই বিদেশি জাহাজের ক্যাপ্টেন সহ ৬ চীনা নাবিক সুস্থ্য
কয়লা বোঝাই বিদেশি জাহাজের ক্যাপ্টেন সহ ৬ চীনা নাবিক সুস্থ্য
শেখ সাইফুল ইসলাম কবির, বাগেরহাট প্রতিনিধি :: ইন্দোনেশিয়া থেকে কয়লা নিয়ে আশা এমভি ‘চ্যাং হ্যাং জিং হাই’ নামক চীনা পতাকাবাহি একটি বানিজ্যিক জাহাজ বাগেরহাটের মোংলা বন্দরে করোনা ভাইরাস উপসর্গ নিয়ে ৬ চিনা নাবিক বন্দরের হারবাড়িয়া এলাকায় অবস্থান করে। শারীরিক অসুস্থ ক্যাপ্টেনসহ ওই ৬ চীনা নাবিক অবশেষে ২৪ঘন্টা পর সুস্থ হয়েছেন।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে বন্দরের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সদস্যরা তাদের পুনরায় পরীক্ষা নিরীক্ষা করে সুস্থতার ছাড়পত্র প্রদান করে ওই ৬ নাবিকের। সোমবার জাহাজটি মোংলা বন্দরে ভেড়ার পর ওই জাহাজের ক্যাপ্টেনসহ ৬ চীনা নাগরিকের শরীরে করোনা ভাইরাসের উপসর্গ পরিলক্ষিত হওয়ায় তাদেরকে ওই জাহাজের মধ্যেই আইসোলেশনে রাখে স্বাস্থ্য বিভাগ। এদিকে মঙ্গলবার দুপুর থেকেই জাহাজটি থেকে পণ্য খালাসের জন্য শ্রমিক কর্মচারীদের পাঠিয়েছে পণ্য খালাসকারী প্রতিষ্ঠান (ইষ্টিভিডরস) মেসার্স গ্রীণ এন্টারপ্রাইজ।
ইন্দোনেশিয়া থেকে কয়লা বোঝাই করে গত ১ এপ্রিল ‘মের্সাস চ্যাং হ্যাং জিং হাই’ জাহাজটি চট্রগ্রাম বন্দরে এসে ৩০ হাজার মেঃ টন কয়লা খালাস করে। কিন্ত সেখানে স্বাস্থ্য বিভাগের পরিক্ষায় ২০ নাবিকের মধ্যে বেশ কয়েকজন নাবিকের শরীরে জ্বরের তাপমাত্র বৃদ্ধি হওয়ায় চট্রগ্রাম বন্দরে অবস্থানকালে সব নাবিককে ওই জাহাজের মধ্যেই ১৪দিন কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়। জাহাজে থাকা কয়লা থেকে চট্ট্রগ্রামে খালাস করার পর সোমবার দুপুরে বঙ্গোপসাগর হয়ে বহিঃনঙ্গর দিয়ে মোংলা বন্দরের হারবাড়িয়া ৩নং মুরিং বয়ায় নোঙ্গর করে বাকি কয়লা খালাসের জন্য। পন্য খালাসকারী প্রতিষ্ঠান কয়লা খালাসের জন্য শ্রমিক নিয়োগ করে জাহাজে পাঠায়।
মাংলা বন্দরের করোনা ভাইরাস পর্য়বেক্ষন কমিটির প্রধান ডাঃ সুফিয়া খাতুন ও ডাঃ আসিফ’র সমন্নয় একটি টিম জাহাজে প্রবেশ করে এবং ক্যাপ্টেনসহ ওখানে থাকা ২০ নাবিককে পরিক্ষা-নিরিক্ষা করা হয়। ২০ নাবিকের মধ্যে জাহাজের ক্যাপ্টেনসহ ৬ চীনা নাবিকের শরীরে পুনরায় তাপ মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় সাথে সাথে জাহাজের পন্য খালাস বন্ধ করে দেয় স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা। মুহুর্তের মধ্যে জাহাজে থাকা সকল শ্রমিক ও অন্যান্য ষ্টাফগন জাহাজ থেকে নেমে পরে। ডাঃ সুফিয়া খাতুন ক্যাপ্টেনসহ ৬নাবিককে জাহাজের মধ্যেই আইসোলেশনে রাখে।
মঙ্গলবার দুপুরে পুনরায় পরিক্ষায় তাদের শরীরের তাপমাত্রা কমে যাওয়া নাবিকদের সুস্থতার ছাড়পত্র দেয়া হয় এবং জাহাজে পন্য খালাস চালু করার জন্য অনুমতি দেয়া হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মোংলা পোর্ট হেলথ অফিসার ডাঃ সুফিয়া খাতুন জানান, বিদেশী ওই ৬ জন নাবিকের শরীরে স্বাভাবিকের চাইতে জ্বরের মাত্রা বেশি পাওয়ায় তাদেরকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছিল। মঙ্গলবার দিনে পুনরায় জাহাজের ওই নাবিকদের শারীরিক পরীক্ষা করা হয়। এতে তাদের শারীরিক অবস্থআ উন্নতি হলে নাবিকদের ছাড়পত্র প্রদান করা হয়।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাষ্টার কমান্ডার শেখ ফখর উদ্দিন জানান, মোংলা বন্দরে কোন জাহাজ আসলেই আগে তার নাবিকদের শারীরিক নিরীক্ষা শেষে সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে পণ্য বোঝাই খালাসের অনুমতি দেয়া হয়। তাই এ জাহাজটির মধ্যে নাবিকদের শরীরের কিছুটা সমস্যা ছিল তা এখন ঠিক হয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগে গত মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে ইন্দোনেশিয়া থেকে কয়লা বোঝাই করে মোংলা বন্দরে খালাসের উদ্দেশ্যে আসা অপর একটি জাহাজের তিন ফিলিপাইন নাবিকের শরীরে করোনা উপসর্গ দেখা দেয়। পরবর্তিতে তাদের আইসোলেশনে রাখা হলে তারা ধীরে ধীরে সুস্থ্য হন।
মানবতার ফেরিওয়ালা আলহাজ্ব শেখ জসিম
বাগেরহাট :: করোনা ভাইরাস দুর্যোগের সময় ঝুঁকির মুহূর্তেএ সময়ে মানানীয় উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার এমপি মহোদয়ের নির্দেশে মোংলা পৌরবাসীর ফোন কলের মাধ্যমে চাহিদানুযায়ী কর্মহীন ঘরে থাকা গরীব ও দুস্থ্য মানুষকে প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী, ওষুধ নিজেই পৌঁছে দিচ্ছেন মোংলা পৌর আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ও শেখ আব্দুল হাই ব্লাড ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শেখ কামরুজ্জামান জসিম। নিজস্ব অর্থায়নে নিজে পৌঁছে দিচ্ছেন এই খাদ্য সামগ্রী, ওষুধ আর অসহায় সকল মানুষদের জন্য হটলাইনে কল দিলে প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী, ওষুধ পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। অসহায় মানুষগুলোর ঘরে ঘরে পৌঁছে দিচ্ছেন উপহার হিসেবে খাদ্য সামগ্রী পাশাপাশি ওষুধ বিতরণের ধারাবাহিকতায় রমজানেও বিলিয়ে দিচ্ছেন এসব উপহার।
সারা বিশ্বজুড়ে করোনা আতঙ্কে দিশেহারা অনেক উন্নত দেশ। করোনার থাবায় হয়েছে বিধ্বস্ত। পৃথিবীর দুই শতাধিক দেশের মানুষকে করেছে গৃহবন্দী। বাংলাদেশও এই ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। এর হাত থেকে বাঁচাতে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানস, গণপরিবহন ও শিল্প কারখানা বন্ধ সহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। এতে করে কাজকর্ম বন্ধ হয়ে দেশের মানুষকে থাকতে হচ্ছে গৃহবন্দী। খাদ্য সঙ্কটে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ।
নিম্ন আয়ের ও কর্ম বন্ধ হওয়া অসহায় মানুষের মাঝে রমজান উপলক্ষ্যে চাল, ডাল, মুড়ি, খেজুর, আলু ও পেঁয়াজ পৌছে দেন। করোনাকালীন সময়ে এর ধারা চলমান থাকবে বলে জানান আলহাজ্ব শেখ কামরুজ্জামান জসিম।
তিনি বলেন, করোনার হাত থেকে দেশের মানুষকে বাঁচাতে সরকার যথেষ্ট পদক্ষেপ নিয়েছেন। বিভিন্ন খাতে দিয়েছেন প্রণোদনা। আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হিসাবে সরকারের পাশাপাশি মোংলায় সকল কর্মহীনরা ঘরে থাকলেও যেন খাবারের কষ্ট না পায় সে দিকে লক্ষ্য রেখে উপহার সামগ্রী পৌছে দেওয়ার চেষ্টা করছি। এখানে একটি পরিবারের ৫ দিন অথবা ৭ দিনের খাবার সামগ্রী ব্যবস্থা থাকে। ওই পরিবার গুলোর আবার খোঁজ নিয়ে তাদের মাঝে একাধিকবার এই উপহার পৌছে দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আমি আমার সাধ্যের সবটুকু দিয়ে মানুষের পাশে দাড়াতে চাই।
প্রতিটি এলাকায় যদি বিত্তবানরা এসকল কর্মহীনদের পাশে দাড়িয়ে সহযোগীতা করেন তাহলেই এই করোনা নামক অভিশাপ থেকে আমরা মুক্ত হতে পারি। এসময় বিত্তবানদের এসকল কর্মহীনদের পাশে থেকে সহযোগীতা করার জন্য তিনি আহবান করেন। তার এ মহতী উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন এলাকাবাসি ।
এমপি শেখ তন্ময়ের নির্দেশনায় কৃষকের ধান কেঁটে দিচ্ছে ছাত্রলীগ
বাগেরহাট :: বাগেরহাট সদর উপজেলার বেলায়েত হোসেন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্রলীগএমপি শেখ তন্ময়ের নির্দেশনায় ধান কেঁটে দিচ্ছে কৃষকদের। আজ বুধবার সকালে সদর উপজেলার আতাইকাঠী গ্রামের ওহিদুল ইসলাম এর ২৭ কাঠা জমির ধান তারা কেটে দেয়।
এসময়ে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বেলায়েত হোসেন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্রলীগের আহ্বায়ক ইমাম হাসান জেলাল, যুগ্ম আহ্বায়ক মোল্লা মোহন,কলেজ ছাত্রলীগের অন্যতম সদস্য মোঃজোবায়ের হোসেন,মুন্না,মুকুল,শামীম হাসান, তৌহিদুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম,রাজিবুল ইসলাম,সৈকত হোসেন শুভ সহ ৩২ জন ।
ইমাম হাসান জেলাল বলেন,জননেতা শেখ তন্ময় ও বাগেরহাট জেলা ও উপজেলা ছাত্রলীগের নির্দেশে ধান কাটা কর্মসূচি চলছে এবং চলবে।
কলেজ ছাত্রলীগের সদস্য মোঃ জোবায়ের হোসেন জানান,আমরা হটলাইন নাম্বার চালু করেছি এখানে তিনটি নাম্বার আছে যে কোন গরীব কৃষক আমাদেরকে ফোন দিলে আমরা তাদের দ্বারে দ্বারে ছুটে যাচ্ছি এবং চলমান পরিস্থিতি যতদিন থাকবে ততদিন আমরা তাদের পাশে থাকবো।
ঘরে থাকা গরীব ও দুস্থ্য পরিবারের পাশে এমপি শেখ হেলাল উদ্দীন
বাগেরহাট :: বাগেরহাটে ফকিরহাটের পিলজংগ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বাগেরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দীনের পক্ষ হতে
বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে সংকটাপন্ন কর্মহীন ঘরে থাকা গরীব ও দুস্থ্য পরিবারের মাঝে অর্ধশতাধিক দলের অসহায় দরিদ্র ও গরীব নেতা কর্মিদের মাঝে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। বুধবার সকাল ১১টায় বঙ্গবন্ধু মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় মাঠে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান স্বপন দাশ প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে এই খাদ্য সহায়তা প্রদান করেন।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আ,লীগের সহ-সভাপতি সুবির কুমার মিত্র, যুগ্ন-সাধারন সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, ইউনিয়ন আ,লীগের সভাপতি প্রভাষক অঞ্জন কুমার দে, সাধারন সম্পাদক মোড়ল জাহিদুল ইসলাম, ইউনিয়ন আ,লীগ নেতা অলোক সেন, মোঃ খালেক ঢালী, যুবলীগের সাধারন সম্পাদক জয়দেব দে, ছাত্রলীগের সভাপতি শেখ আছাবুর রহমান, সাধারন সম্পাদক মোঃ আসাদুজ্জামান, ওয়ার্ড আ,লীগ নেতা সাধন কুমার দে, শেখ ফজলুর রহমান, আকরাম হোসেন ও আমিনুল ইসলাম সহ বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ।
কৃষকের ধান কাঁটছে শেখ তন্ময় ইয়াং স্টার ক্লাব
বাগেরহাট :: বাগেরহাটে মোল্লাহাটে সেচ্ছায় কৃষকের ধান কেটে দিয়েছেন শেখ তন্ময় ইয়াং স্টার ক্লাবের সদস্যরা। বুধবার উপজেলার কোদালিয়া ইউনিয়নের অসহায় গরীর কৃষক রতন রায়ের ৬ বিঘা জমির ধান কেটে দিয়েছেন ২৫ জন সেচ্ছাসেবক। করোনা দূর্যোগের প্রভাবে এবং শ্রমিক স¦ল্পতা ও বৈরী আবহাওয়ার কারনে কৃষক যখন চিন্তিত ধান ঘরে কিভাবে তুলবে। তখনই তারা সেচ্ছায় এ ধান কাটার কাজ শুরু করেন। তারা বলেন, যতদিন ক্ষেতে ধান থাকবে ততদিন তাদের এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
ধান কাটার এ কাজে অংশ গ্রহন করেন উপজেলা উপ-কৃষি কর্মকর্তা দেবব্রত কুমার পাল, শেখ তন্ময় ইয়াং স্টার ক্লাবের সভাপতি সোহরাফ খাঁন, সাধারণ সম্পাদন শেখ জুয়েল, ইউপি সদস্য নুরু খাঁন, মোঃ উজ্জল মিয়া সহ ক্লাবের অন্যান্য সদস্য বৃন্দ।
মোল্লাহাট উপজেলা উপ-কৃষি কর্মকর্তা দেবব্রত পাল বলেন, করোনা দূর্যোগে মোল্লাহাটে বাইরে থেকে শ্রমিক আসবে না এবং এ উপজেলা থেকে যাবেনা। একারনে শেখ তন্ময় ইয়াং স্টার কাব এ ধান কাটার উদ্যোগ নিয়েছে। এ উদ্যোগকে উপজেলা কৃষি অফিস সাধুবাদ জানাই এবং তাদেরকে আমরা সব রকম সাহায্য সহযোগীতা করবো।
মানবতার ফেরিওয়ালা মো. মামুনুর রশিদ জেলা প্রশাসক
বাগেরহাট :: মো. মামুনুর রশিদ , এটি শুধু একটি নামই নয়, এই নামের সাথে যোগ করতে হয় মানবতা ও দেশপ্রেমের গল্প। বলছি বাগেরহাট জেলার সু-যোগ্য জেলা প্রশাসকের কথা। যিনি মানবতার কল্যাণে শুধু কাজই করে যাচ্ছেন না একইসাথে বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের জন্য অনুকরণীয় একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকছেন।
যার কাছে মানব সেবাই পরম ধর্ম। পৃথিবীর প্রতিটি ধর্মেই মানব সেবার কথা বলা আছে। অনেকের মতে মানব সেবার মাঝেই সৃষ্টিকর্তার আনুকূল্য পাওয়া যায়। চাইলে অনেকভাবেই মানুষের সেবা করা যায়। কিন্তু এ কে এম মামুনুর রশিদ সবার থেকে আলাদা, যিনি কিনা সমাজের জন্য নিজেকে বিলিয়ে দেন কোনো স্বার্থ ছাড়াই।
বাগেরহাটের সু-যোগ্য জেলা প্রশাসক মোঃ মামুনুর রশিদ এমন একজন মানুষ যিনি মানবতার কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন দীর্ঘদিন ধরে। জেলা প্রশাসক মোঃ মামুনুর রশিদ বাগেরহাটবাসীর জন্য একজন চৌকস অভিভাবক বললেও চলে। তিনি সরকারি-বেসরকারি সকল কর্মকান্ড শেষ করে দিনের শেষে আবার এই এলাকার হতদরিদ্র মেহনতি মানুষের জন্য নিজ উদ্যোগে কাজও করেন।করোনা ভাইরাস দুর্যোগের সময় ঝুঁকির মুহূর্তেএ সময়ে বাগেরহাটে ফকিরহাটের বেতাগা ইউনিয়ন পরিষদ মিলনায়তনে শতাধিক অসহায় দরিদ্র গরীব দিন মজুর ও ভ্যান চালকদের মাঝে খাদ্য সহায়তা বিতরনকরেন। বুধবার বিকাল সাড়ে ৩টায় ইউনিয়ন পরিষদ চত্তরে নিরাপদ দুরত্ব বজায় রেখে এই খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বাগেরহাটের জেলা পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায়, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান স্বপন দাশ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ শাহানাজ পারভীন, সহকারী কমিশনার (ভুমি) রহিমা সুলতানা বুশরা, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা অসিম কুমার সমাদ্দার, মডেল থানা পুলিশের অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) আবু সাইদ মোঃ খায়রুল আনাম, কৃষি অফিসার মোঃ নাছরুল মিল্লাত, সমাজসেবা কর্মকর্তা আব্দুর সবুর, ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ ইউনুস আলী শেখ ও ইউপি সচিব এসএম দাউদ আলী সহ বিভিন্ন জনপ্রতিনিধিবৃন্দ। এছাড়াও একই অনুষ্ঠানে ১৭জন মহিলাকে মাতৃত্বকালিন ভাতার টাকাও প্রদান করা হয়। এছাড়াও মুলঘর সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের ফুটবল মাঠে অনুরুপ খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়।
প্রধানমন্ত্রীর উপহার পৌঁছে দিচ্ছেন মো. ইস্রাফিল চেয়ারম্যান
বাগেরহাট :: বাগেরহাটে মোংলার মিঠাখালী ইউনিয়নে বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে সংকটাপন্ন কর্মহীন ঘরে থাকা গরীব ও দুস্থ্য পরিবারের মাঝেমাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার সামগ্রী বিতারণ কর হয়েছে। (২৯ এপ্রিল) বুধবার দুপুর ১২ টায় মিঠাখালী ইউনিয়ন পরিষদে নৌবাহিনীর উপস্থিতে ৭ম দফায় ২ হাজার পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী দেয়া হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন,মিঠাখালী ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ ইস্রাফিল হাওলাদার, এ সময় তিনি বলেন, জনগন দের সরকারের পাশাপাশি আমরা নিজেরাও সেবা দিয়ে যাচ্ছি এই মহামারি দূর্যোগে। অনেকেই চক্ষুলজ্বায় খাদ্যের কথা বলতে পারেন না সে ক্ষেত্রে আমি বলছি আপনার গোপনে আমার সাথে যোগাযোগ করবেন। সরকারের প্রর্যাপ্ত খাবার আছে আপনাদের হতাশ হবার কোন কারণ নেই। আপনাদের একটা কথাই বলতে চাই ওতি প্রয়োজন ছাড়া কোউ বাইরে ঘোরাঘুরি করবেন’না। তিনি অরো বলেন প্রয়োজনে পরিবারকে সময় দিন, পরিবারের খুটিনাটি কাজ করুন তবুও ঘরের বাইরে যাবেন না।
আপনারা জানেন বর্তমান (কোভিট-১৯) করোনা ভাইরাস বিশ্ব স্থাস্থ্য সংস্থা ভাইরাস কে মহামারি ঘোষনা করেছে। প্রধানমন্ত্রীর আগেথেকে কঠর অবস্থানে যাওয়ার কারনে এ ভাইরাস থেকে বাংলাদেশে শক্রমনের সংখ্য ওন্য রাস্ট্রের তুলনায়ন অনেক টাই কম। আপনারার জানেন
বাংলাদেশ সরকার সহ খুলনা সিটি মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আঃ খালেক এবং উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার দিক নির্দেশনা মেতাবেক আমরা তৃনমূল পর্যায় প্রতান্ত অঞ্চলে কর্মহীন খেটেখাওয়া মানুষের পাশে থেকে তাদের সেবা দিয়ে যাচ্ছি। এ সময় ওন্যনের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা ট্যাগ অফিসার সবুজ বৈরাগী, ইউপি সদস্য মোঃ আরিফ ফকির, মোঃ আজমাল শেখ, সজল মন্ডল সহ ইউনিয়নের সংস্লিস্ট কর্মকতার।
করোনা সন্দেহ করায় ঢাকা থেকে রোগী পলায়ন বাগেরহাটে খোঁজ
বাগেরহাট :: জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে চিকিৎসারত এক কিশোরের করোনা ভাইরাসের উপসর্গ পরিলক্ষিত হওয়ায় পরীক্ষার জন্য নমুনা নেওয়ায় পরিবার তাকে নিয়ে বাগেরহাটে পালিয়ে এসেছে। টেস্টের পর তার কোভিড-১৯ ধরা পড়েছে।
বাগেরহাটের সিভিল সার্জন কে এম হুমায়ুন কবির বলেন, গত ১৩ এপ্রিল সদর উপজেলার ডেমা ইউনিয়নের বাঁশবাড়িয়া গ্রামের এক ব্যক্তি তার কিশোর ছেলেকে নিয়ে ঢাকায় জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে ভর্তি করান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছয় দিন পর ওই কিশোরের কোভিড-১৯ উপসর্গ দেখা দেয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য আইইডিসিআরে পাঠায়। কিন্তু প্রতিবেদন আসার আগেই রোববার তারা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে পালিয়ে বাগেরহাটে চলে আসেন।
সিভিল সার্জন বলেন, মঙ্গলবার তার পরীক্ষা প্রতিবেদনে পজেটিভ আসে। এ কথা ফোন করে কিশোরের বাবাকে জানালে তিনি তারা কোথায় আছেন তা বলতে অস্বীকৃতি জানান। বুধবার সকালে প্রশাসনের সহযোগিতায় তাদের সন্ধান পেয়ে সেখানে যাই আমরা। কিশোরের শারীরিক অবস্থা পরীক্ষা করা হয়। সে সুস্থ, স্বাভাবিক রয়েছে। তার চিকিৎসা বাড়িতে রেখেই দেওয়া হবে।
উক্ত কিশোরের সংস্পর্শে আসা ১৪ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য খুলনায় পাঠানো হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, তাদের আশপাশে আর কোনো বাড়িঘর না থাকায় শুধু ওই বাড়িটি অবরুদ্ধ করে লাল পতাকা টানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের ৮ জন চিকিৎসকসহ মোট ৩০ জনের মধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে ১৫ জন চিকিৎসক এবং ৩৭ জন নার্সকে কোয়ারেন্টিনে পাঠিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক কাজল কুমার কর্মকার বলেন, এর আগে সাতজন চিকিৎসকের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়েছিল। মঙ্গলবার আরও একজনের নমুনা পরীক্ষায় করোনাভাইরাস ‘পজিটিভ’ এসেছে।