শিরোনাম:
●   দাবি না মানলে ২৮ জানুয়ারি থেকে কর্ম বিরতি ●   ঈশ্বরগঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যানকে অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন ●   আত্রাইয়ে গাঁজাসহ গ্রেপ্তার-২ ●   আত্রাইয়ে হাতুরিতে আহত কৃষি শ্রমীকের মৃত্যু ●   সিলেটে বনভান্তের ১০৬ তম জন্মবার্ষিকী পালন ●   রংপুর বিভাগীয় ট্যাংকলরী শ্রমিক ইউনিয়নে নির্বাচনী তফসীল ঘোষণা ●   রাঙামাটি জেলা বিএনপির নেতা সাইফুল ইসলাম ভুট্টোর দলীয় স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার ●   কাউখালিতে দিনব্যাপী সম্প্রীতি ফুটবল টুর্ণামেন্ট আগামী ২৪ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে ●   কাউখালীতে আজিমুশশান সুন্নী সম্মেলন ●   রাবিপ্রবি’তে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত ●   শহীদদের আত্মত্যাগকে ক্ষমতার সিডি হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে ●   ঈশ্বরগঞ্জে ব্রেস্ট ক্যান্সার প্রতিরোধ বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত ●   শিক্ষকদের গবেষণা দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে অবদান রাখছে : চুয়েট ভিসি ●   রামগড়ে আড়াই লাখ টাকা জরিমানা : ৫টি ইটভাটা বন্ধ ●   নবীগঞ্জে সেনাবাহিনীর অভিযানে ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার-১ ●   রাবিপ্রবি’তে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত ●   পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের নতুন চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল অনুপ কুমার চাকমা ●   রংধনু ক্লাবের সম্মাননা পেলো সংবাদ কর্মী আকতার হোসেন ●   রেডব্রিজ কমিউনিটি ট্রাস্টের শিক্ষার্থী এওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠান সম্পন্ন ●   গোলাপগঞ্জে পিকআপের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত ●   পার্বতীপুর জামায়াতের মোটরসাইকেল শোডাউন ●   মিরসরাইয়ে বিএনপি-স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা খুন : স্থানীয় নেতাকর্মীদের স্বাক্ষ্য গ্রহণ করলো তদন্ত কমিটি ●   অর্থনৈতিক বৈষম্য দূর না হলে রাজনৈতিক সংস্কার টেকসই হবেনা ●   ঈশ্বরগঞ্জে জিয়াউর রহমানের ৮৯ তম জন্মবার্ষিকী পালিত ●   চট্টগ্রাম-রাঙামাটি মহাসড়কে গাড়ির ধাক্কায় যুবকের মৃত্যু ●   রংধনু ক্লাবের কার্যকরী পরিষদের অভিষেক ●   কাশখালী রশিদিয়া তা’লীমুল কুরআন একাডেমীতে বার্ষিক মাহফিল সম্পন্ন ●   পানছড়িতে সন্ত্রাসীদের দ্বারা ৩জন হামলার শিকার ●   আলীকদমে সড়কে ঝরলো ৩ প্রাণ ●   ঈশ্বরগঞ্জে রবিদাস সম্প্রদায়ের মাঝে কম্বল বিতরণ
রাঙামাটি, শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৫, ১১ মাঘ ১৪৩১



CHT Media24.com অবসান হোক বৈষম্যের
বৃহস্পতিবার ● ৩০ এপ্রিল ২০২০
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » বিকাশ প্রতারণা চক্রের মূল হোতা সিয়াম চৌধুরী আটক
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » বিকাশ প্রতারণা চক্রের মূল হোতা সিয়াম চৌধুরী আটক
বৃহস্পতিবার ● ৩০ এপ্রিল ২০২০
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

বিকাশ প্রতারণা চক্রের মূল হোতা সিয়াম চৌধুরী আটক

ছবি : বিকাশ প্রতারণা চক্রের মূল হোতা সিয়াম চৌধুরী ।শেখ সাইফুল ইসলাম কবির, বাগেরহাট  প্রতিনিধি :: বাগেরহাটের মোংলায় বিকাশ প্রতারণা চক্রের মূল হোতা সিয়াম চৌধুরী আটক করেছে পুলিশ। আজ ৩০ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টায় পৌর শহরের সামছুর রহমান সড়কের নিজ বাসা থেকে তাকে আটক করা হয়। এব্যাপারে মোংলা থানায় সংবাদ সম্মেলনে সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ আসিফ ইকবাল এ তথ্য জানায়।

পুলিশ জানায়, পৌর শহরের ২নং ওয়ার্ড সামছুর রহমান সড়কের বাসিন্দা বাবুল চৌধুরীর ছেলে সিয়াম চৌধুরী (২২) দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন লোকের বিকাশ একাউন্ট হ্যাক করে টাকা উত্তোলন করতো। সম্প্রতি সরকারের মাতৃত্বকালীন ভাতা দেয়া প্রায় ২০/২৫ জনের ভাতার টাকা বিকাশের মাধ্যমে আসলে সিয়াম মুহুর্তের মধ্যে ওই সকল বিকাশ একাউন্টের সমুদয় টাকা ডিজিটাল প্রতারনার মাধ্যমে সেন্ড মানি করে নিয়ে যায়। থানার এমন একটি সাধারন ডায়রীর অভিযোগের সুত্রধরে তার নিজ বাড়ি থেকে প্রতারনার কাজে ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও অনান্য উপকরন সহ সিয়ামকে আটক করা হয়।

তবে পুলিশের জিজ্ঞাসাবদে বিকাশ হ্যাকিংসহ বিভিন্ন অপরাধের সাথে সম্পৃক্ত থাকার কথা স্বীকার করে সিয়াম বলে জানান ওসি ইকবাল বাহার চৌধুরী। এব্যাপারে থানায় মামলা হয়েছে।

মোরেলগঞ্জে করোনা রোগীর মরদেহ দাফন, লকডাউন ৫০ বাড়ি

বাগেরহাট :: ঢাকায় প্রাণঘাতীকরোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া ব্যক্তিকে বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে দাফন করা হয়েছে। এতে মোরেলগঞ্জ উপজেলার হোগলাবুনিয়া ইউনিয়নে নিহত ব্যক্তির বাড়িসহ অর্ধশতাধিক বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (৩০ এপ্রিল) সকালে নিহত পরিবারের সদস্য, দাফন ও জানাজার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবার নমুনা সংগ্রহ করার জন্য বাগেরহাট স্বাস্থ্য বিভাগের একটি টিম ওই এলাকায় পৌঁছেছে বলে জানিয়েছেন বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. কে এম হুমায়ুন কবির।

হোগলাবুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আকরামুজ্জামান জানান, গত সোমবার (২৭ এপ্রিল) সকালে ঢাকাতে মারা যায় ওই ব্যক্তি। ওই রাতেই তার দুই ভাই, স্ত্রী, সন্তানসহ ১০-১২ জন মিলে মরদেহ মোরেলগঞ্জের গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসেন। তার স্বজনরা করোনা আক্রান্তের বিষয়টি গোপন করে। কিন্তু এলাকাবাসীর সন্দেহ হওয়ায় চিকিৎসকদের জানানো হয়। মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) সকালে নিহতের নমুনা সংগ্রহের পরে জানাজা ও দাফন করা হয়।

মোরেলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা এবং উপজেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সদস্য সচিব ডা. কামাল হোসেন মুফতি বলেন, নিহত ব্যক্তিকে মৃত অবস্থায় ঢাকা থেকে নিয়ে আসা হয় এলাকাবাসীর খবরের ভিত্তিতে আমরা তার নমুনা সংগ্রহ করি। পরে তার রিপোর্টে করোনা শনাক্ত হওয়ায় ওই বাড়িসহ আশপাশের ৫০টি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। এছাড়া ওই পরিবারসহ দাফনের সঙ্গে জড়িত সবার নমুনা সংগ্রহের জন্য ১০ সদস্যের একটি মেডিকেল টিম পাঠানো হয়েছে।

ঘরে থাকা গরীব ও দুস্থ্য পরিবারের বাড়ি বাড়ি ইফতার পৌছায় দিচ্ছেন স্বেচ্ছাসেবক লীগ

বাগেরহাট :: বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে সংকটাপন্ন কর্মহীন হয়ে পড়া ঘরে থাকা গরীব ও দুস্থ্য পরিবারের বাড়ি বাড়ি ইফতার পৌছায় দিচ্ছেন স্বেচ্ছাসেবক লীগ। খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়র মহোদয় আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক এর নির্দেশে এবং বাগেরহাট জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহব্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল , যুগ্ন আহবায়ক সরদার আব্দুল কাদের ও বিশ্বজিৎ সরকারের অনুপ্রেরণায় মোংল পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোঃ মিজান তালুকদার পৌর সভার ৯ টি ওয়ার্ডে অসহায়-কর্মহীন-মধ্যবিত্ত-২৭৩ পরিবারে ইফতার সামগ্রী উপহার পৌছে দিচ্ছেনমোংলা পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগ এর সভাপতি মোঃ মিজান তালুকদার, ইফতার সামগ্রী বিতরন সময় উপস্থিত ছিলেন মোংলা পৌর আওয়ামী লীগ এর সভাপতি শেখ আব্দুর রহমান ও সাধারন সম্পাদক আলহাজ্ব শেখ কামরুজ্জান জসিম।

এই সময় মিজান তালুকদার বলেন জননেত্রী শেখ হাসিনার নিজ হাতে গঠিত সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ,কেন্দ্র ঘোষিত সকল কর্মসূচি সফল করার লক্ষে সব সময় মোংলা পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের কর্মী ভাইদের সক্রিয় ভূমিকা থাকে,,দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে আমার প্রাণের সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সকল সহযোদ্ধা ভাইয়েরা সবার নিজ নিজ অবস্থান থেকে সাধ্যমত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে,আমরা স্বেচ্ছাসেবক লীগ করোনার শুরু থেকে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আলোচনা সভা করেছি,পৌর সভার ভিবিন্ন ওয়াডে মাক্স বিতরণ করেছি,সচেতনতা বৃদ্ধির লিফলেট বিতরণ করেছি, জীবাণুনাশক স্প্রে কোরেছি,জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশেনায় নয়টি ওয়াডে উপহার সামগ্রী বিতরণ সমন্বয় কমিটি গঠন করে মানুষের কল্যাণে কাজ চোরে চলেছি।আমার সকল কাজে সহমত পেশ কোরে আমাকে সহযোগীতা করছেন যারা আমি তাদের সবাইকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি,, তিনি আরো বলেন আজ এই দুঃসময় মানুষের খবর নেয়া ও পাশে থাকা আমি আমার নৈতিক দায়িত্ব বলে মনে করি,,তাই এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছি এবং আমার এই উদ্যোগে সহমত পেশ করে আর্থিক সাহায্যের হাত বাড়িয়েছেন আমার প্রাণের সংগঠনের প্রিয় সহযোদ্ধা ভাই স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা, রেজাউল ইসলাম–আব্দুল্লাহ আল আহাদ রাসেল–মোঃ ফজলে রাব্বি–নয়ন বিস্বাস–আল আমিন ফকির–এমরান হওলাদার–ছাএলীগ নেতা রুবেল হোসন–মিরাজুল ইসলাম–রাব্বি–আমি তাদের সবাই কে আমার পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি এবং দেশের এই মহামারি পরিস্থিতিতে স্বেচ্ছাসেবক লীগের সকল সহযোদ্ধা ভাই ও সমাজের বিত্তবান ব্যক্তিদের মানুষের পাশে দাঁড়ানোর উদাত্ত আহবান জানাচ্ছি।

বাগেরহাটে ভ্রাম্যামান আদালতে ৯টি মামলা ও ৪হাজার ২শ টাকা জরিমানা

বাগেরহাট :: বাগেরহাটের ফকিরহাটে করোনা ভাইরাসে সরকারের ঘরে থাকা নির্দেশ অমান্য করে অকারণে যানবাহন চালানো সহ বিভিন্ন কারণে ৯টি যানবাহনের বিরুদ্ধে ৯টি মামলা দায়ের ও ৪হাজার ২শ টাকা জরিমানা আদায় করেছেন ভ্রাম্যামান আদালত।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে খুলনা-বাগেহাট ও খুলনা-মংলা মহাসড়কের কাটাখালী বাসস্ট্যান্ডের বাদল চত্তরে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান পরিচালনা করেন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট রহিমা সুলতানা বুশরা।

এসময় বিজ্ঞ আদালতকে সহযোগীতা করেন, মডেল থানা পুলিশের উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) গৌতম রায়, কাটাখালী হাইওয়ে পুলিশের এএসআই আব্দুল আজিজ ও আদালতের পেশকার রোস্তম আলী।
আ’লীগ নেতাকে হত্যার অভিযোগ নিখোঁজের দুইদিন পর খাল থেকে লাশ উদ্ধার
বাগেরহাট :: বাগেরহাটের চিতলমারীতে নিখোঁজের দুইদিন পর খাল থেকে মাহমুদ শেখ (৩৮) নামে এক যুবকের লাশ পুলিশ উদ্ধার করেছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে উপজেলার কলাতলা ইউনিয়নের বাকেরকান্দির এলাকার খাল থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। মৃত মাহামুদ শেখ বাকেরকান্দি গ্রামের বজলু শেখের ছেলে ও কলাতলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ৬ নং ওয়র্ডের একজন নেতা। মৃতের পরিবার এটাকে পরিকল্পিত হত্যা বলে দাবী করেছে। এ ঘটনায় চিতলমারী থানা পুলিশ, বাগেরহাট পিবিআই ও ডিবি পুলিশের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার রাত ৯ টার দিকে বাকেরকান্দি গ্রামের বজলু শেখের ছেলে মাহমুদ শেখ নিজ বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়। নিখোঁজের পর থেকে পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে বৃহস্পতিবার সকাল ৭ টার দিকে বাকেরকান্দি খালের একটি ভেসালের খুঁটির কাছে মাহমুদের লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে।
মৃত মাহামুদের ঐষি নামের পাঁচ বছর বয়সের একটি মেয়ে ও আলিফ নামের ৫ মাস বয়সের একটি ছেলে রয়েছে।

মৃত মাহামুদের মা হামিদা বেগম, বোন কহিনুর বেগম ও স্ত্রী পপি বেগম সাংবাদিকদের জানান, এলাকার কয়েক ব্যাক্তির সাথে মাহামুদের বিরোধ চলে আসছিল। পরিকল্পিত ভাবেই বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে তাকে হত্যা করা হয়েছে। তারা এই হত্যার বিচার দাবী করেন।

এ ব্যাপারে কলাতলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শিকদার মতিয়ার রহমান ও কলাতলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ বাদশা মিয়া শেখ ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, নিহত মাহামুদ ও তার পরিবার আওয়ামী লীগের নিবেদিত প্রাণ। মাহামুদ কলাতলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্মেলনে একজন কাউন্সিলর ও ৬ নং ওয়ার্ডের নেতা ছিলেন।

এ ব্যাপারে চিতলমারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর শরিফুল হক জানান, নিখোঁজের দুইদিন পর খাল থেকে মাহমুদের লাশ উদ্ধার করে বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে ‘সাদা সোনা’ খ্যাত চিংড়ি মাছ রপ্তানি বন্ধ প্রায় ৪৬০ কোটি টাকার ক্ষতি

বাগেরহাট :: বিশ্বব্যাপী প্রাণঘাতীকরোনাভাইরাসের প্রভাবে রপ্তানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের হোয়াইট গোল্ড বা ‘সাদা সোনা’খ্যাত চিংড়ি শিল্পে ব্যাপক ধস নেমেছে। কারখানা বন্ধ থাকায় মাছ বিক্রি করতে পারছেন না খামারিরা।রপ্তানি বন্ধ থাকায় প্রায় ৪৬০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। সরেজমিন ঘুরে দেখা যায় স্থানীয় বাজারগুলোতে গলদা ও বাগদা চিংড়ির দরপতন ঘটেছে অস্বাভাবিক হারে।চিংড়ি শিল্পকে বাঁচাতে সরকারের দ্রুত প্রয়োজনীয় বাস্তবমূখি পদক্ষেপ গ্রহনের দাবী জানাচ্ছে এ খাত সংশ্লিষ্টরা। চিংড়ি সহ সব ধরনের সাদা মাছের দাম কমে গেছে। এতে দিশাহারা হয়ে পড়েছেন খামারি ও ব্যবসায়ীরা। বিশ্বব্যাপী প্রাণঘাতী কভিড-১৯-এর কারণে ইউরোপসহ আন্তর্জাতিক বাজারে রপ্তানি আদেশ একের পর এক বাতিল মাছ কোম্পানিগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।সরকার চলতি অর্থ বছরে হিমায়িত চিংড়ি থেকে আয়ের লক্ষমাত্রা নির্ধারন করছে প্রায় ৩৬ কোটি ১১ লাখ হাজার ডলার। গত বছর এ খাতে আয় হয়েছিল ৩৬ কোটি ১১ লাখ ৪০ হাজার ডলার। অর্থাৎ গেল বারের চেয়েও আয়ের লক্ষ্যমাত্রা কম ধরা হলেও প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস হোয়াইট গোল্ড বা সাদা সোনাখ্যাত এ খাতের রপ্তানি আয় কোথায় নিয়ে দাড় করায় সেটাই এখন দেখার বিষয়। বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি হওয়া হিমায়িত মাছের অর্ধেক যায় যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপীয় দেশগুলোয়। দেশগুলো হলো জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, যুক্তরাজ্য ও বেলজিয়াম। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রায় ২০ শতাংশের মতো রপ্তানি হয় বেলজিয়ামে। করোনা ভাইরাসের মহামারীতে আক্রান্ত দেশগুলোর অন্যতম যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপীয় দেশগুলো। এসব দেশ লকডাউনে থাকায় গত একমাসে ২৯০টি হিমায়িত চিংড়ির ক্রয়াদেশ বাতিল করেছে বিদেশী ক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলো। যার আর্থিক মুল্য প্রায় ৪৬০ কোটি টাকা। অথচ ২০১৯-২০ অর্থ বছরের মে মাস পর্যন্ত প্রায় ১ লাখ মেট্রিক টন চিংড়ি রপ্তানির মাধ্যমে ৫ হাজার ২ শ কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হয়েছে। আর এই মাছের অধিকাংশ উৎপাদন হয়েছে দক্ষিণাঞ্চলের জেলা বাগেরহাট,খুলনা ও সাতক্ষীরা এলাকার মৎস ঘেরে।

বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসের ঝুঁকি মোকাবেলায় মাছ কোম্পানিগুলো আপাতত চাষিদের কাছ থেকে মাছ ক্রয় বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরাসহ দেশের উপকূলীয় এলাকার প্রায় পাঁচ লক্ষ চিংড়ি চাষী ও চিংড়ি মাছ প্রক্রিয়াকরন কোম্পানিগুলোতে কর্মরত আরো পঞ্চাশ হাজার শ্রমিকের ভাগ্য অনিশ্চয়তার মুখে পড়ছে। প্রায় পাঁচ লক্ষ চিংড়ি চাষীরা কখনো রেনু সংকট,চিংড়ি ভাইরাস,কখনো রেনু আহরন ও সংগ্রহে নিষেধাজ্ঞা, চিংড়ি সংরক্ষণে অ্যামোনিয়া গ্যাস সংকট, চিংড়ি সরবরাহ করে ন্যায্যমুল্য না পাওয়াসহ নানামুখি সংকটে জর্জরিত। এরই মধ্যে করোনা ভাইরাস নতুন করে অজানা গভীর সংকটের কালোমেঘ আছরে পড়েছে তাদের উপর। মৎস চাষীরা ভাগ্য বদলের আশায় হোয়াইট গোল্ড বা ‘সাদা সোনা’খ্যাত চিংড়ি চাষে আগ্রহী হয়ে পরলেন ভাগ্য বিরম্বনায়। আর এই বিরম্বনা যেন সাদা সোনা খ্যাত চিংড়ি চাষীদের পিছু ছুটছেনা।

বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফিশ এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএফএফইএ) সূত্র জানাগেছে, দেশের হিমায়িত খাদ্য রপ্তানির বড় অংশই চিংড়ি। এক সময় এ খাতের প্রায় ৯০ শতাংশের বেশি চিংড়ি থেকে আয় হয়। তবে এখনও ৭০ শতাংশের ওপরই আয় আসে চিংড়ি থেকে। দেশে প্রায় আড়াই লাখ হেক্টর জমিতে সাদা সোনা খ্যাত চিংড়ির চাষাবাদ হয়। চিংড়ির বার্ষিক উৎপাদন ২ লাখ ৩০ হাজার টন। চিংড়ি ও মাছ প্রক্রিয়াকরণের জন্য সারা দেশে রয়েছে ৭০টি প্রতিষ্ঠান। প্রক্রিয়াকরণ শেষে হিমায়িত খাদ্য বিশে^র ৬০টি দেশে রপ্তানি হয়। বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি হওয়া হিমায়িত চিংড়ির অর্ধেক যায় যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপীয় দেশগুলোয়। দেশগুলো হলো জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, যুক্তরাজ্য ও বেলজিয়াম। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রায় ২০ শতাংশের মতো রপ্তানি হয় বেলজিয়ামে। চিংড়ি ছাড়াও কাঁকড়াসহ আরও কিছু পণ্য থেকে আয় আসে এ খাতে।

জানা গেছে, সম্প্রতি দেশীয় চিংড়ি রক্ষায় সরকারের কাছে বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুডস এক্সপোর্টস অ্যাসোসিয়েশন (বিএফএফইএ) গত বছর কিছু সুপারিশ পেশ করে। সেগুলো হলো বর্তমানে সরকার চিংড়ি চাষে ১০ শতাংশ প্রণোদনা দিচ্ছে। এই প্রণোদনা বাড়িয়ে ২০ শতাংশ করতে হবে। হিমায়িত খাদ্য রপ্তানিতে নগদ প্রণোদনায় যে ১০ শতাংশ আয়কর কর্তন করা হয় সেটা বন্ধ করতে হবে। সরকার যে সাদা জাতের চিংড়ি রপ্তানি নিষিদ্ধ করেছিল সেটা প্রত্যাহার করার। এবং খুলনা অঞ্চলে দুটি এবং চট্টগ্রামে একটি ফিশ ল্যান্ডিং সেন্টার স্থাপন করতে হবে। চিংড়ি মাছের ভেতরে অপদ্রব্য পুশ বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহন করা যাতে অসাধু ব্যবসায়ীরা কোন সুযোগ না পায়। চিংড়ি শিল্প বাঁচাতে ঐ সংগঠনের পক্ষ থেকে কিছু সুপারিশ সরকারের কাছে উপস্থাপন করা হয়েছে। কিন্ত বর্তমান প্রাণঘাতী করোনা সংক্রমনের বাস্তবতায় বিএফএফইএ আরো অনেক দাবী সামনে চলে এসেছে। চিংড়ি শিল্প বাঁচাতে নতুন করে চিংড়িচাষী ও রপ্তানীকারকদের বিশেষ প্রনোদনাসহ কিছু পদক্ষেপ দ্রুত গ্রহন ও বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) পরিসংখ্যান বলছে, অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে দেশের মাছ (হিমায়িত ও অন্য মাছ) রপ্তানি থেকে আয় হওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ১২ কোটি ৩৯ লাখ ডলার। এর বিপরীতে আয় এসেছে ১২ কোটি ৫২ লাখ ডলার। লক্ষ্যমাত্রার পূরণ হলেও আগের বছরের একই সমেয়র চেয়ে আয় কমেছে ৯ শতাংশের ওপর। গেল অর্থবছরের প্রথম ৩ মাসে মাছ রপ্তানি হয়েছিল ১৩ কোটি ৭৭ লাখ ডলারের। মোট মাছ রপ্তানির অধিকাংশই আসে হিমায়িত চিংড়ি থেকে। গেল ৩ মাসে চিংড়ি থেকে ৮ কোটি ৬০ লাখ ডলারের রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আয় হয়েছে ১০ কোটি ডলার। এ ক্ষেত্রেও লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হলেও গেল অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় আয় কমেছে। গেল অর্থবছরের প্রথম ৩ মাসে চিংড়ি রপ্তানি হয়েছিল ১১ কোটি ৩০ লাখ ডলারের।

চলতি অর্থবছরে সরকার সব ধরনের মাছ রপ্তানি করে মোট ৫২ কোটি ডলার আয়ের লক্ষমাত্রা ঠিক করছে। গেল অর্থবছরে এ থেকে আয় ছিল ৫০ কোটি ডলার। এদিকে এ বছর চিংড়ি থেকে আয় আশা করা হচ্ছে ৩৬ কোটি ১১ লাখ হাজার ডলার। গেল বছর যাতে আয় হয়েছিল ৩৬ কোটি ১১ লাখ ৪০ হাজার ডলার। অর্থাৎ গেল বারের চেয়েও কম লক্ষ্যমাত্রা ধরা হলেও করোনা ভাইরাসের প্রভাবের লকডাউন এ কতদিন রপ্তানীকারক প্রতিষ্ঠান হিমায়িত চিংড়ি ফ্রিজিং করতে পারবে তা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায়। তবে সরকার কাঁকড়া ও অন্যান্য হিমায়িত মাছ থেকে আয় বাাড়নোর আশা করলেও সেখানেও একই অবস্থা বিরাজ করছে।

পরিসংখ্যান বলছে, কয়েক বছর ধরেই অন্যতম প্রধান রপ্তানি পণ্য হিমায়িত চিংড়ি রপ্তানির নিম্নমুখী রয়েছে। ২০১৩-১৪ অর্থবছরে চিংড়ি থেকে ৫৫ কোটি ডলার আয় হয়। পরবর্তী বছরগুলোয় রপ্তানি কমতে থাকে। এর মধ্যে ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ৫১ কোটি ডলার, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ৪৫ কোটি ডলার, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৪৪ কোটি ৬০ লাখ ডলার, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে আরও ৪ কোটি ডলার কমে ৪০ কোটি ৪৭ লাখ ডলার এবং সর্বশেষ অর্থবছরে (২০১৮-১৯) তা নেমে আসে ৩৬ কোটি ডলারে। ৫ বছরের ব্যবধানেই সম্ভাবনাময় এ খাতে রপ্তানি প্রায় ১৯ কোটি ডলার কমে এসেছে। তবে রপ্তানিকারকরা বলেন, মাছের মধ্যে এ দেশের প্রধান রপ্তানি পণ্য হচ্ছে হিমায়িত চিংড়ি। কিন্তু মাছে ভাইরাস,মানসম্মত রেনু, বঙ্গোপসাগরে চিংড়ির রেনু আহরনে নিষেধাজ্ঞাসহ নানা কারনে বছর ধরেই ধারাবাহিকভাবে কমছে চিংড়ির রপ্তানি আয়, যা মোট মাছের আয় কমিয়ে দিচ্ছে। নানা কারণে সংকটে পড়েছে দেশের চিংড়ির রপ্তানি বাজার। এর ফলে চরম বিপাকে পড়ছে চিংড়িচাষী, হিমায়িত চিংড়ি ডিপো,হিমায়িত চিংড়ি রপ্তানীকারক প্রতিষ্ঠান ও প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিক,কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ এ শিল্পে নিয়োজিত প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় ৬০ লক্ষ মানুষের জীবন জীবিকা নির্ভর করছে। এই বিপুল জনগোষ্ঠির কর্মসংস্থানের তাগিদে সরকারকে দ্রুত চিংড়িচাষি ও রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ও প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত বিপুল সংক্ষক শ্রমিক কর্মচারীদের পাশে দাঁড়াতে হবে।

উল্লেখ, গত বছরের ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৬৫ দিন বঙ্গোপসাগরে চিংড়িসহ সব ধরনের মাছ ধরা বন্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করে সরকার। ভরা মৌসুমে সাগরে সব ধরনের মাছ আহরণে সরকারি নিষেধাজ্ঞায় বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরাসহ দেশের উপকূলীয় এলাকার প্রায় পাঁচ লক্ষ চিংড়ি চাষী বাগদা চিংড়িসহ বিপাকে পড়েছিলো রেণু (পোনার) ব্যবসায়ী ও চিংড়িচাষিরা। ব্যাহত হয় উপকূলীয় এলাকার প্রায় ২ লাখ ৭০ হাজার হেক্টর জমিতে বাগদা চিংড়ির চাষ। ফলে বৃহত্তর খুলনা অঞ্চলের চিংড়িঘেরগুলো বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়ে পড়েছে। পোনার অভাবে এরই মধ্যে অনেক ঘেরে চিংড়ির উৎপাদন কমে গেছে। এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন চিংড়িচাষিরা। এ সময় দেশের সব হ্যাচারিতে বাগদা চিংড়ির উৎপাদন বন্ধ থোকায় অসাধু কিছু চিংড়ি পোনা ব্যবসায়ী ও হ্যাচারি মালিকরা পাশের দেশ ভারত থেকে অবৈধভাবে আনা নিম্নমানের জীবাণুযুক্ত নপলি (সদ্য ফোটা বাগদা চিংড়ির পোনা) উৎপাদন করে তা ঘেরগুলোতে সরবরাহ করছেন। এতে ভাইরাসসহ নতুন রোগ-বালাই ছড়িয়ে পড়ছে। ফলে আধুনিক প্রযুক্তিতে চাষাবাদ করেও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয় চিংড়িচাষিরা। চিংড়িচাষিরা আর্থিক ক্ষতি কাটিয়ে উঠবে ঠিক সেই সময় শুরু হয়েছে বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস সংক্রমণ। আর এই বিশ্বব্যাপী প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমণে মুখে পড়েছে আমাদের দেশ, ইউরোপ,আমিরিকাসহ অধিকাংশ চিংড়ি ক্রেতা দেশ। রপ্তানিকারকরা জানান, মাছের মধ্যে এ দেশের প্রধান রপ্তানি পণ্য হচ্ছে হিমায়িত চিংড়ি। কিন্তুকয়েক বছর ধরেই ধারাবাহিকভাবে কমছে চিংড়ির রপ্তানি আয়, যা মোট মাছের আয় কমিয়ে দিচ্ছে। এখন আবার শুরু হয়েছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমণ। ইতিমধ্যে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমণের ফলে রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। প্রতিষ্ঠান বন্ধের কারনে শ্রমিক কর্মচারীরা পড়ে খাদ্য সংকটে। আর এই খাদ্য সংকটের জন্য ইতিমধ্যে সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখা কর্মসূচি লঙ্গন করে রাজপথে বিক্ষোভ প্রর্দশন করেন।

দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে করোনা রমজানেও কর্মহীন দর্জি পরিবার সরকারি সহায়তা চায়

বাগেরহাট :: দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে বাগেরহাটসহ ১০ জেলার করোনা রমজানেও কর্মহীন হাজার হাজার দর্জি পরিবার চরম অসহায়।দর্জি পরিবার সরকারি সহায়তা চায়।
দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জসহ কয়েকটি স্থানে টেইলার্সের দোকানে কাজ করেন এমন কয়েকজনের সঙ্গে কথা হয়। তারা জানান, কাজ না থাকায় এ দুর্যোগে তারা মানবেতর জীবন-যাপন করছেন।এতে বিপাকে পড়েছেন স্বল্প আয়ের মানুষ। বিপাকে পড়েছেন কাপড় সেলাইয়ের কারিগররা।

বাগেরহাটে মোরেলগঞ্জের নাসির মোল্লা বলেন, রমজানে অন্য মাসের তিনগুণ আয় হয় রাত-দিন কাজ করলে। রমজানে কাজ না করতে পারলে পরিবার নিয়ে না খেয়ে থাকতে হবে।সরকারি সাধারণ ছুটির যতদিন থাকবে ততোদিন দোকান বন্ধ থাকবে। বাড়ির মালিক ঘরভাড়া চাইতেছে, সংসার খরচ নিয়ে টেনশনে আছি। ঘরে টাকা নাই।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে অবরুদ্ধ বা লকডাউন করা না হলেও ২৬শে মার্চ থেকে কার্যত বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ শহর অবরুদ্ধ হয়ে আছে। ফার্মেসি আর নিত্যপণ্যের দোকান ছাড়া সব কিছু বন্ধ। মানুষকে ঘরে রাখতে চলছে নানা কার্যক্রম।পেশায় দর্জি মো মোস্তফা শেখ,জাকির হোসেন.রতন কাজী.সামছুল হক তালুকদার, জানান. প্রতিদিন ফুটপাতে বসেন। তৈরি করেন নিম্ন আয়ের মানুষের পোশাক। সেই আয় দিয়ে চলে তাঁর সংসার। কিন্তু করোনাভাইরাসের প্রভাবে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন তিনি। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ফুটপাতে বসেও মিলছে না কাজ। তাই ঝুঁকি নিয়ে এসেছিলাম। বেঁচে থাকলে খেতে হবে। কে দেবে টাকা ।





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)