শুক্রবার ● ১ মে ২০২০
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » ঝিনাইদহে করোনা এসেছে স্বাস্থ্য বিভাগের জীপে চড়ে
ঝিনাইদহে করোনা এসেছে স্বাস্থ্য বিভাগের জীপে চড়ে
জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: ঝিনাইদহে মোড়ে মোড়ে পুলিশ মোতায়ন। সেনাবাহিনীর বিরামহীন টহল। গ্রাম এলাকায় ৩৪ টি পুলিশ ক্যাম্পের তৎপরতা। সীমান্ত এলাকায় বিজিবির কঠোর পাহারা। বিদেশ ফেরত মানুষের ওপর কড়া নজদারি। ঝিনাইদহ জেলা করোনা মুক্ত মর্মে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রেস ব্রিফিং। সব মিলিয়ে প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ছিলেন ফুরফুরে মেজাজে। সাধারণ মানুষের মাঝেও ছিল শান্তি এখন গোটা জেলায় করোনা ছড়িয়ে পোড়েছে। আক্রান্তদের বড় একটি অংশ ডাক্তার নার্স এবং স্বাস্থ্য কর্মি। কেউ কেউ কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন। অনেকে স্বেচ্ছায় হোম কোয়ারেন্টিনে যাওয়ার জন্য আবেদন করেছেন। ইতিমধ্যে জেলার শৈলকুপা ও কালীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বহির্বিভাগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ভেঙ্গে পড়ার উপক্রম হয়েছে জেলার চিকিৎসা সেবা। নিবিড় অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে সেই রকম একটি খবর। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের দেওয়া তথ্য মতে ঝিনাইদহে ২৫ এপ্রিল শনিবার প্রথম ২জন করোনা রোগী সনাক্ত করা হয়। এদের ১ জন ঝিনাইদহ জেলা শহরের পাগলাকানাই সড়কের বাসিন্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জনৈক শিক্ষিকা এবং অপর জন কালীগঞ্জ উপজেলার মোল্লাডাঙ্গা গ্রামের এক দিনমুজুর। এদিন ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যায় ১৪ বছর বছরের এক শিশু। এঘটনার পরেও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ঝিনাইদহ জেলা করোনা মুক্ত বলে দাবি করে অনলাইনে প্রেস ব্রিফিং করে। এতে করে সাধারণ মানুষ বিভ্রান্ত হয়ে পড়েন। ২৬ এপ্রির ৯ জন, ২৭ এপ্রিল ৪ জন, ২৮ এপ্রিল আরো ৮ জন করোনা রোগী সনাক্ত করা হয়। জেলার ২১ জন করোনা আক্রান্তের মধ্যে ১৩ জন ডাক্তার, নার্স, ড্রাইভার রাধুনীসহ স্বাস্থ্য বিভাগের লোকজন। বিলাশ বহুল দামি জীপে চোড়ে শৈলকুপা ও জেলা শহরে করোনা এসেছে মর্মে দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছেন। জানা যায়, সারা দেশ করোনা ঝুঁকি ঘোষণা করার পরেও থেমে থাকেনি স্বাস্থ্য বিভাগের নতুন জীপ হস্তান্তরের কার্যক্রম। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তাদের জন্য কেনা হয়েছে আধুনিক দামি জীপ গাড়ি। কিছু দিন আগের এ জেলার ৩ উপজেলাতে সেই জীপ দেওয়া হয়েছে। বাকি ছিল শৈলকুপা, মহেশপুর এবং ঝিনাইদহ সদর উপজেলা । এ গুলো হলো স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তার জন্য বরাদ্দ। ৩টি জীপ ঢাকা থেকে আনার জন্য কেন্দ্রীয় ঔষুধ ভান্ডার থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়। ওই জীপের একটিতে চড়তে আসা করোনা আক্রান্ত নারী থেকে শৈলকুপা স্বাস্থ্য বিভাগ ও সদর পৌর এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে। অনুসন্ধানে জানা যায়, ১৯ এপ্রির দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে একটি মাইক্রোবাস ও একটি প্রাইভেট কার স্থানীয় আরিফ ফিলিং স্টেশন থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। ঝিনাইদহ-চ’১১-০০০৩ নং মাইক্রোটি ঝিনাইদহ ভেটিরিনারী কলেজের। এর চালক ছিলেন আব্দুল আলীম। সে জানায়, মাইক্রোতে যাত্রী ছিলেন, ঝিনাইদহ সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডাক্তার সাজ্জাদ হোসেন, তার দপ্তরের আউট সোর্সিং গাড়ি চালক কানু বিশ্বাস এবং তার বড় ভাই জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের গাড়ি চালক বাদশা বিশ্বাস, মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাঃ আকবার নেওয়াজ এবং আউট সোর্সিং ড্রাইভার তারা মিয়া। শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ রাশেদ আল মামুনের দেওয়া তথ্য মতে প্রাইভেট কারে চড়ে যান তার ব্যক্তিগত গাড়ি চালক সোহেল রানা, স্টোর কিপার মাসুদ রানা, আউট সোর্সিং ড্রাইভার অহিদ সাদিক উজ্জল এবং ডাক্তার আকাশ আহম্মেদ আলিফ। সদর উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের আউট সোর্সিং গাড়ি চালক কানু বিশ্বাস বলেন, ২০ এপ্রিল সকাল অনুমান সাড়ে ৯টার দিকে কেন্দ্রী ঔষুধ ভান্ডারে পৌঁছান তারা। একই দিন রাত অনুমান ৯ টার দিকে সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তাসহ ঝিনাইদহে ফিরে আসেন তারা ৩ জন। তার দেওয়া তথ্য মতে অন্য দুইটি নতুন জীপ এবং ভেটিরিনারী কলেজের মাইক্রোটি আলাদা ভাবে ঢাকা ত্যাগ করে। পরে সে জানতে পারে শৈলকুপার জন্য বরাদ্দ দেওয়া নতুন জীপে করোনা আক্রান্ত একজন নারী যাত্রী ও তার স্বামীকে বহণকরা হয়েছে। শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ রাশেদ আল মামুন দাবি করেছেন, করোনা রোগী বহনের খবর সঠিক নয়। তবে জীপের ড্রাইভারসহ সব যাত্রী করোনা আক্রান্ত হয়েছেন মর্মে স্বীকার করেন তিনি। এ কর্মকর্তার ভাষায় নতুন জীপে করোনা রোগী নয় ব্যাগপত্র বহণ করা হযৈছে। ওই নারীর রোগীর স্বামী তার দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত পরিসংখ্যানবিদ বখতিয়ারের নিকট আত্মীয় বলে স্বীকার করেছেন তিনি। ঝিনাইদহের সিভিল সার্জন ডাঃ সেলিনা বেগম নতুন জীপে করোনা রোগী বহন করার বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলেও জানান। পুলিশ সুপার মোঃ হাসানুজ্জামান বলেছেন, ঘটনাটি দুঃখজনক। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে গোয়েন্দারা কাজ শুরু করেছেন। জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথ বলেছেন, আগাম প্রস্তুতি গ্রহন করার ফলে করোনার ঝুঁকির বাইরে ছিলেন এ জেলার মানুষ। এখন সব হিসেব পাল্টে গেছে। তিনি আরো বলেছেন, শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার জন্য বরাদ্দ করা জীপে করোনা আক্রান্ত নারী স্কুল শিক্ষককে বহন করা হয়েছে মর্মে নিশ্চিত হওয়া গেছে। চলমান পরিস্থিতে আক্রান্ত ব্যক্তিদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের সন্ধান করে দ্রুত হোম কোয়ারেন্টিন করার পরার্মশ দিয়েছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
ঝিনাইদহ করোনার ‘মারাত্বক বিস্তার’বলছেন মাগুরা জেলা প্রশাসন
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহে করোনার ‘মারাত্বক বিস্তার’ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এমন গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছে মাগুরা জেলা প্রশাসন। বৃহস্পতিবার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক আশরাফুল আলম স্বাক্ষরিত এ গণবিজ্ঞপ্তি জারী করা হয়। তবে ঝিনাইদহের স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, মাত্র ২১ জন আক্রান্ত হয়েছে যা মারাত্বক বলা যাচ্ছে না। আগামীতে আক্রান্ত হলে তখন হয়তো বলা যাবে। মাগুরা জেলা প্রশাসনের দেওয়া গণবিজ্ঞপ্তিতে দেওয়া আছে ‘মাগুরার সীমান্তবর্তী জেলা নড়াইল, যশোর ও ঝিনাইদহে কোভিড-১৯ এর মারাত্বক বিস্তার লক্ষ্য করা যাচ্ছে। জেলার সীমান্তবর্তী সকল যোগাযোগ সড়ক বন্ধ আছে। এ জেলা অতি উচ্চ স্বাস্থ্য ঝুকিতে আছে।’ ঝিনাইদহ সম্পর্কে মাগুরা জেলা প্রশাসনের এক বিজ্ঞপ্তি জারী করায় ঝিনাইদহ সচেতন মহলের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। সচেতন মহল বলছে, ঝিনাইদহে মাত্র ২১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এতে জেলায় ‘মারাত্বক বিস্তার’ কিভাবে বলা যায়। নড়াইল ও যশোরে কি হয়েছে তা আমরা জানি না তবে ঝিনাইদহ সম্পর্কে মাগুরাবাসীর কাছে এমন ধারণা জেলার মানক্ষুন্ন করে। তাছাড়াও ঝিনাইদহ সম্পর্কে মাগুরাবাসীর মাঝে আতংক সৃষ্টি হচ্ছে। ঝিনাইদহের সিভিল সার্জন ডা: সেলিনা বেগম বলেন, ২১ জন আক্রান্ত হয়েছে এটা মারাত্বক বিস্তার বলা যাচ্ছ্ েনা। আগামীতে যদি আক্রান্তের সংখ্যা আরও বাড়ে সেক্ষেত্রে বলা যাবে। এ ব্যাপারে মাগুরা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক আশরাফুল আলমের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, মাগুরার লোকজনকে ঘরে রাখার জন্য এমটি বলা হয়েছে। বিষয়টি আমাদের, আপনাদের না”। এ ব্যাপারে ঝিনাইদহের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আরিফ-উজ-জামান বলেন, ঝিনাইদহে করোনার মারাত্বক বিস্তার নেই। আমরা করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রেখেছি। সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত ও জনসমাগম এড়াতে নিয়মিত কাজ করছি। এখন পর্যন্ত মারাত্বক বিস্তার হয়নি।
ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ডক্টরস সেফটি বুথ স্থাপন
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইহে বন্ধু সংগঠন রাইট ফ্রেন্ডস সোসাইটি ও ব্যাচ ‘৯৮ (কাঞ্চন নগর স্কুল) এর যৌথ উদ্যোগে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের ফ্লু কর্নারে একটি ডক্টরস সেফটি বুথ স্থাপন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে বুথটি আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যক্রম শুরু করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন ডা. সেলিনা বেগম, পৌর মেয়র সাইদুল করিম মিন্টু, সদর হাসপাতালের তত্তাবধায়ক ডা. আয়ুব আলী ও আরএমও ডা. অপূর্ব কুমার সাহাসহ আরও অনেকে। করোনা আতঙ্কের মধ্যে হাসপাতালে সেবা নিতে আসা কোনো রোগীর মাধ্যমে যাতে হাসপাতালের চিকিৎসক, সেবিকা এবং অন্যান্যরা ঝুঁকির মধ্যে না পড়েন এবং রোগীরাও যাতে সুরক্ষিত থাকেন সেজন্য এ চেম্বার চালু করা হয়েছে। সম্পূর্ণ কাচ দিয়ে ঘেরা এই চেম্বারের মধ্যে চিকিৎসক অবস্থান করবেন। সামনের দুটি ছিদ্র দিয়ে গ্লাভস পরা হাত বের করে রোগীদের সেবা প্রদান করা হবে। আউটডোরে এবং জরুরি বিভাগে আসা রোগীরা এখান থেকেই সেবা নিবেন। যাদের ভর্তি হওয়া প্রয়োজন তাদের স্ব-স্ব ওয়ার্ডে পাঠানো হবে। তবে গুরুতর জখম রোগী জরুরি বিভাগে গিয়েই চিকিৎসা নেবেন। চেম্বারে স্থাপন করা সাউন্ড সিস্টেমের মাধ্যমে চিকিৎসক এবং বাইরে থাকা রোগীর মধ্যে কথোপকথন হবে। এসময় বন্ধু সংগঠন রাইট ফ্রেন্ডস সোসাইটির প্রতিনিধি শাহীনূর আলম লিটন বলেন, দেশের করোনা যদ্ধে ফ্রন্ট লাইন যোদ্ধা চিকিৎসকদের নিরাপত্তার দরকার সবার আগে। এর আগে নড়াইল সদর হাসপাতালে এমন একটি বুথ স্থাপন হওয়ার খবরে আমরা উৎসাহ বোধ করি। আজ আমাদের বন্ধু সংগঠন থেকে ঝিনাইদহেও এমন একটি বুথ করা হলো। আমরা মনে করি এটি স্খাপনের মাধ্যমে চিকিৎসকরা নিরাপদে থেকে চিকিৎসা সেবা দিতে সক্ষম হবে। যার ফলে ডাক্তারদের নিরাপত্তার পাশাপাশি রোগীদের চিকিৎসা সেবাও নিশ্চিত হবে। ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন ডা. সেলিনা বেগম বলেন, সদর হাসপাতালের ফ্লু কর্নারে ডক্টরস সেফটি বুথ স্থাপন করার জন্য জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে বন্ধু সংগঠন রাইট ফ্রেন্ডস সোসাইটি ও ব্যাচ ‘৯৮ (কাঞ্চন নগর স্কুল) কে জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা। তিনি আরও বলেন প্রিয় মাতৃভূমির এই ক্রান্তিকালীন মূহুর্তে আপনাদের এই অবদান আমরা গভীরে ভাবে স্মরণ করবো। আপনারা সুস্থ থাকুন এবং আমাদের সকলের পাশে থাকুন। আমরা আপনাদের সকলের সুস্থ্যতার জন্য আছি।
আমরা বিদেশে উপার্জন করি কিন্তু আমাদের মন সব সময় দেশেই পড়ে থাকে, দেশের মানুষের জন্য আমাদের মন কাঁদে
ঝিনাইদহ :: বিদেশে অবস্থান করেও দেশের অসহায় আর কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষের কথা ভোলেনি ঝিনাইদহের ছেলে রেমিট্যান্স যোদ্ধা ইমরান নাজির, কুয়েত এর আল্ জাহাআ শহরে তিনি বসবাস করেন, করোনা ভাইরাসের কারনে কুয়েত সহ প্রায় পুরো পৃথিবীই লক ডাউন চলছে, দীর্ঘ এই লক ডাউন চলার কারনে দিন আনে দিন খায় এমন পেশার মানুষজন চরম বিপাকে পড়েছেন, এমন ২০টি পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রিক উপহার দেন ইমরান, তার একজন বন্ধুর মাধ্যমে বাড়ি বাড়ি গিয়ে এসব খাবার সামগ্রী পৌছে দেওয়া হয়, খাদ্য সামগ্রীর মধ্যে ছিলো, চাল, ডাল, তেল, পিঁয়াজ,আলু, সাবান। ইমরান বলেন, আমরা বিদেশে উপার্জন করতে এসেছি, কিন্তু আমাদের মন সব সময় দেশেই পড়ে থাকে, দেশের মানুষের জন্য আমাদের মন কাঁদে, যতদিন বেঁচে আছি সাধ্য অনুযায়ী মানুষের পাশে দাড়াবো, ইমরানের জম্ম স্থান ঝিনাইদহ সদর উপজেলার রাধাকান্তপুর গ্রামে।
ভ্যান চোর চক্রের সদস্য নাজমুল জনতার হাতে আটক
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হলিধানী বাজারে পাখি ভ্যান চোর চক্রের সদস্য জনতার হাতে আটক। শুক্রবার সকালে হলিধানী বাজারে অসহায় দরিদ্র ভ্যান চালক স্বপন আলী কাচা বাজারে ভ্যান রেখে বাজার করতে গেলে, সুযোগ বুঝে চোর ভ্যানের তালা খুলে পালিয়ে যাওয়ার সময়,ভ্যানের মালিক স্বপন তাকে হাতে নাতে ধরে ফেলে। এ সময়ে তার সাথে থাকা পবহাটির নজরুল,বিষয় খালির এনামুল,নারিকেল বাড়িয়ার হান্নান পালিয়ে যায়। খবর শুনে কাতলা মারি ক্যাম্পের পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে। আটককৃত চোর ঝিনাইদহ পৌরসভার বড় খাজুরা গ্রামের মৃত ইউসুফ আলীর ছেলে নাজমুল (২৯)। সে এ পর্যন্ত হলিধানী থেকে ৮ টি পাখি ভ্যান, ৫ টি বাই সাইকেল চুরি করেছে, চুরি করা ভ্যান নগর বাথান রফিকুল মিস্ত্রীর কাছে বিক্রি করেছে বলে সে স্বীকার করে। এ ব্যাপারে কাতলা মারি পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ মোঃ আনিছুর রহমান জানান,আটককৃত চোর ভ্যান চুরির সময় জনতার হাতে ধরা পড়ে,খবর পেয়ে আমরা এসে তাকে উদ্ধার করে জেল হাজতে প্রেরনের লক্ষে থানায় হস্তান্তর করেছি।
কুয়েত প্রবাসীর উপর সন্ত্রাসী হামলা
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার বলুহর ইউনিয়নের কাগমারী গ্রামে মাদকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় সাবেক ছাএলীগ কর্মী ও প্রবাসীর উপর মাদক সন্ত্রাসীদের হামলা হয়েছে। ২১শে এপ্রিল মঙ্গলবার সকাল ৭.৩০ মিনিটের সময় কুয়েত প্রবাসী এনামুল হক অত্র উপজেলার কাগমারী গ্রামের আতিয়ারের মুদি দোকানের সামনে দিয়ে হেটে যাচ্ছিলেন। মাদক সেবনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় পুর্ব শত্রুতার জের ধরে মাদকাসক্ত ও মাদক ব্যবসায়ীরা আমাকে অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করে। তখন এনামুল হক গালি গালাজের কারন জিজ্ঞাসা করলে মাদক ব্যবসায়ী ওয়াজ উদ্দিন (৩৯) পিতাঃ মৃতঃ ধনু মিয়া। আমাাকে কিল ঘুসি লাথি মারে। বেদনাদায়ক জক্ষম করে। এনামুল হক পালাইতে চাইলে মাদক ব্যবসায়ীর সহযোগী জালাল উদ্দিন (৩০) পিতাঃ মৃতঃ বাচ্চু মিয়া। আমাকে মারধর করে। আমার চিৎকার শুনতে পেয়ে এলাকাবাসী আমাকে উদ্ধার করে। আমাকে ভয়-ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এ জন্য আমি কোটচাঁদপুর থানায় একটি অভিযোগ করি। এনামুল হক আরও জানান, মাদকাসক্ত ওয়াজ উদ্দিন ও জালাল উদ্দিনের সেল্টার দেয় জহির পিতাঃ মৃতঃ ফরিদউদ্দিন, সাইদুল পিতাঃ মৃতঃ কাশেম। এরা নিয়মিত মাদক সেবন ও বিক্রী করে বলে জানান। বর্তমানে যেখানে সরকার মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষনা করেছে। তিনি আর জানান, একই গ্রামের আজিজুল, পিতাঃ শহিদুল ইসলাম, মোটরসাইকেল যোগে বিভিন্ন জায়গা থেকে নিয়ে আসে মাদক। বর্তমানে এ ঘটনায় এলাকায় চুরির ঘটনা ঘটছে। সম্প্রতি একই গ্রামের করোনা ভাইরাসের কারণে ছুটিতে বাড়িতে আসা জাহাজের নাবিক নাহিদ হাসান মাদকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় তাকেও মারধর করে, এবং প্রতিনিয়ত প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছে তারা। তিনিও কোটচাঁদপুর থানায় একটি অভিযোগ করেন। তারা আরো বলেন, এ মাদক সেবনকারীদের মদত দাতা জহির ও সাইদুর বলুহর ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের লোক। এ ঘটনায় বলুহর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল মতিনের কাছে বিষয়টি মুঠো জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের জানান, আমার বাড়ি ফুলবাড়ি গ্রামে হলেও কাগমারী গ্রামে আমার অবস্থান ভালো। তারা আমার বন্ধু মানুষ যদি মাদকের সাথে যুক্ত থাকে তাহোলে আইনি ব্যাবস্থা অবশ্যই নিবেন।
করোনা মানছে না চোর: কালীগঞ্জে করোনার মধ্যে প্রতিবন্ধির দোকানে চুরি
ঝিনাইদহ :: করোনা ভাইরাসের মধ্যে ঠিকমত দোকান খুলতে পারছেন না। বেশ কষ্টেই আছেন ব্যবসায়ীরা। এরমধ্যে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ শহরের মেইন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বাবলু রহমান নামে এক শারিরীক প্রতিবন্ধির দোকানে চুরি সংঘটিত হয়েছে। দোকান টি মসজিত মার্কেটের নিচতলায়। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে এ চুরি সংঘটিত হয়েছে। প্রতিবন্ধি বাবলুর রহমান কালীগঞ্জ পৌর এলাকার খয়েরতলা গ্রামের আলী আকবরের ছেলে। প্রতিবন্ধি বাবলু রহমান জানান, করোনা ভাইরাসের কারণে দোকানে আসা হয়না,বেশ কিছুদিন দোকান টি বন্ধ ছিল। শুক্রবার সকালে দোকানে এসে দেখি এক পাশের তালা ভাঙ্গা। এরপর দোকানের শাটার খুলে দেখি দোকানে থাকা ২৫ হাজার টাকা ও ৫০/৬০ হাজার টাকার সিগারেটসহ বিভিন্ন পণ্য চুরি করে নিয়ে গেছে। খবর শুনে প্রতিবন্ধি বাবলু রহমানের দোকানটি পরিদর্শন করেন কালীগঞ্জ থানার ওসি মুহা: মাহফুজুর রহমান মিয়া। তিনি বলেন, চুরির সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
রাজবাড়ীর ২জন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার
ঝিনাইদহ :: বর্তমান প্রেক্ষাপটে তরুণ সমাজ ধ্বংসের সবচেয়ে আলোচিত এবং অন্যতম মাধ্যম হিসেবে মাদকদ্রব্যকে ব্যবহার করা হচ্ছে। এতদ্সংক্রান্তে এক শ্রেণীর অসাধু মাদক ব্যবসায়ী নিজস্ব স্বার্থ সিদ্ধির উদ্দেশ্যে অবৈধভাবে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ প্রত্যন্ত অঞ্চলের যুব সমাজের হাতে মাদকদ্রব্য বা নেশাজাতীয় দ্রব্য পৌঁছে দেওয়ার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। সমাজে মাদকের ভয়াল থাবার বিস্তার রোধকল্পে এই সকল মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতারসহ মাদক বিরোধী অভিযানে র্যাব সর্বদা সক্রিয় ভূমিকা পালন করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-৬, ঝিনাইদহ গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে যে, কতিপয় মাদক ব্যবসায়ীরা মাদকদ্রব্য বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে ১টি বালি ভর্তি ট্রাকে মাদক বহন করিয়া চুয়াডাঙ্গা হইতে রাজবাড়ীর উদ্দেশ্যে রওয়ানা করিয়া আসিতেছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে সিপিসি-২, ঝিনাইদহ ১ মে শুক্রবার র্যাব-৬’র কোম্পানী কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলমের নেতৃত্বে¡ ঝিনাইদহ জেলার সদর থানার কেন্দ্রীয় বাসটর্মিনাল এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনার জন্য গমন করেন এবং উক্ত বাসটর্মিনাল এলাকা হতে ২ জন মাদক ব্যবসায়ী রানা মন্ডল (২৫), পিতা- আঃ মাজেদ মন্ডল, সাং- সোনাকান্দর, ২। মোঃ মন্নু ব্যাপারী (২৭), পিতা- মৃত আকরাম ব্যাপারী, সাং- ধনচী, থানা ও জেলা- রাজবাড়ীদ্বয়কে গ্রেফতার করা হয়। সে সময় বালি ভর্তি ট্রাকের ভিতরে বিশেষ কৌশলে রাখা ৩০০ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার এবং ১টি বালি ভর্তি ট্রাক, ২ টি মোবাইল সেট, ৪ টি সীম কার্ড ও মাদক বিক্রয়ের নগদ ১,১০০/- টাকা জব্দ করা হয়। পর আলামত ও গ্রেফতারকৃতদের ঝিনাইদহ জেলার সদর থানায় হস্তান্তর করতঃ মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইন ২০১৮ এর ৩৬(১) সারণির ১৪(গ) ধারার মামলা করা হয়।