শুক্রবার ● ১ মে ২০২০
প্রথম পাতা » ঢাকা বিভাগ » ১৮৮৬ সালের মালিকদের সাথে ২০২০ সালের মালিকদের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই : মাহমুদ হোসেন
১৮৮৬ সালের মালিকদের সাথে ২০২০ সালের মালিকদের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই : মাহমুদ হোসেন
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি :: মহান মে দিবস উপলক্ষে গার্মেন্টস শ্রমিক অধিকার ফোরাম আয়োজিত শ্রমিক সমাবেশে বিপ্লবী গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতির কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি শ্রমিকনেতা মাহমুদ হোসেন বলেছেন শ্রমিকদের শোষন, নিপিড়ণ নির্যাতন করার ক্ষেত্রে ১৮৮৬ সালের মালিকদের সাথে ২০২০ সালের মালিকদের মধ্যে যেন কোন পার্থক্য নেই। বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পরা মহামারী করোনার সংক্রামনে ধনী বিত্তবানরা নিজ বাড়ীতে লকডাউনে থাকলেও শ্রমিকদেরকে মফস্বল থেকে টেনে এনে গার্মেন্টস চালু করতে ব্যাস্ত হয়ে পরেছেন সরকার ও মালিকগণ। তিনি বলেন জনগনকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার পরামর্শ দিয়ে গার্মেন্টস কারখানা চালু রাখাটা সরকারের একটা আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত। কেননা গার্মেন্টস শ্রমিক থেকে করোনার কমিউনিটি ট্রান্সমিশন ছড়িয়ে পরলে দেশে মৃত্যুর মিছিল কোন ভাবেই থামানো যাবেনা।
মাহমুদ হোসেন বলেন বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকেই ১ মে সরকারি ছুটি হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। কিন্তু শুধু সরকারি ছুটি হিসেবে পালন করলেই কী শ্রমিক দিবস পালন করা হয়ে যায়? এটা কি কেবলই আনুষ্ঠানিকতা? শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি; ৮ কর্মঘন্টা; ওভারটাইম-এর দ্বিগুন মজুরি; ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার এসবই যদি না পায়, তাহলে শ্রমিক দিবস পালন করে লাভটাই বা কী? তিনি বলেন স্বাধীনতার ৪৯ বছর পার হলেও আজ অবধি বাংলাদেশের অধিকাংশ কল-কারখানাতে ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয় নাই, অধিকাংশ কল-কারখানার মালিকপক্ষ দেশের প্রচলিত শ্রম আইনের কোন প্রকার তোয়াক্কা না করে বরং কারখানার অভ্যন্তরে নিজেদের খেয়াল খুশি মতো আইন তৈরী করে সেই দাস যুগের মতোই শ্রমিক শোষন, নির্যাতন- নিপিড়ণ করছে। আর এ সব কিছুই তারা জায়েজ করতে পারছে বড়লোকদের এই রাষ্ট্র ও সরকার সমূহের সহযোগীতায়। আর তাই মজুরী দাসত্বের অবসান করার সংগ্রামের পাশাপাশি এই পুজিবাদী রাষ্ট্র ব্যবস্থা উচ্ছেদের সংগ্রামকেও বেগবান করা ছাড়া শ্রমজীবী মানুষের সামনে আর কোন পথ খোলা নেই।
আজ ১ মে শুক্রবার সকালে বিপ্লবী গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতির নেতা সুমন হাওলাদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত শ্রমিক সমাবেশে মাহমুদ হোসেন এসব কথা বলেন।
বিপ্লবী গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতির কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শ্রমিকনেতা সাইফুল ইসলাম-এর সঞ্চালনায় এই শ্রমিক সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ টেক্সটাইল গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের নেতা শিমুল আক্তার আঞ্জু, শ্রমিকনেতা নাজমুল হাসান নাননু, জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশন এর সংগঠক কাঞ্চন রায় ও বিপ্লবী গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতির নেতা মোহাম্মদ আলী প্রমূখ।