শনিবার ● ২ মে ২০২০
প্রথম পাতা » ঢাকা » মুক্ত গণমাধ্যমের প্রধান অন্তরায় রাজনৈতিক কালোশক্তি ও গণমাধ্যম কর্মী ছাটাই : ডিইউজে
মুক্ত গণমাধ্যমের প্রধান অন্তরায় রাজনৈতিক কালোশক্তি ও গণমাধ্যম কর্মী ছাটাই : ডিইউজে
ঢাকা :: এ উপলক্ষে আজ ২ মে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন-ডিইউজে সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ ও সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু এক বিবৃতিতে বলেছেন, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ছাড়া যেমন সুন্দর দেশ বা সমাজ গঠন করা সম্ভব নয়। তেমনিভাবে গণমাধ্যমের বিকাশ, স্বাধীন ও মুক্ত গণমাধ্যমের প্রসারে সরকার ও সমাজের পৃষ্ঠপোষকতাও অপরিহার্য। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হল সত্যি, বাংলাদেশে মুক্ত ও স্বাধীন গণমাধ্যমের প্রধান অন্তরায় হচ্ছে পেশি ও রাজনৈতিকশক্তি এবং কালোটাকা। তার বাইরে, স্বাধীন সাংবাদিকতা ও মুক্ত গণমাধ্যম বিকাশে অন্যতম অরেকটি বাধা হচ্ছে, আইন-কানুন ও বিধি বিধান ডিঙ্গিয়ে বা চাপা দিয়ে গণমাধ্যম কর্মিদের অহরহ চাকরিচ্যুতির ঘটনা।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, এই দিনটিতে সাংবাদিকতার স্বাধীনতা এবং মুক্ত গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠার মৌলিক নীতিমালা অনুসরণ করা হয়ে থাকে। অথচ, দুর্ভাগ্য হলো- দেশে এবার করোনা দুর্যোগের এই কঠিন সময়েও বহু সংবাদমাধ্যমে নিয়মিত বেতন-ভাতা দেওয় হচ্ছে না। উপরন্তু চলছে, সাংবাদিক ও কর্মি ছাটাই।
নেতৃবৃন্দ বলেন, ইতিমধ্যেই আলোকিত বাংলাদেশ, বার্তা সংস্থা ইউএনবি, গাজী টিভি এবং এসএটিভিসহ আরও কয়েকটি গণমাধ্যম থেকে শতাধিক সংবাদকর্মীকে ছাাঁটাই করা হয়েছে। করোনা মহামারির এই সময়ে গণমাধ্যম মালিকদের যেখানে সাংবাদিক-শ্রমিক-কর্মচারিদের প্রতি আরো বেশী মানবিক ও সদয় আচরণ করা দরকার, সেখানে তারা অমানবিক হয়ে উঠছেন। নেতৃবৃন্দ বলেন, অবস্থা দৃষ্টে মনে হচ্ছে, মালিকরা যেন করোনা মহামারিকে একটা সুযোগ হিসেবে বিবেচনায় নিয়ে ঢালাও ছাঁটায়ের মহোৎসর শুরু করেছেন।
নেতৃবন্দ অবিলম্বে ছাঁটাইকৃতদের পূর্নবহালে দাবি জানিয়ে বলেন, অন্যথায় গণমাধ্যমের কৃিতপয় অমানুষ মালিকদের বিরুদ্ধে ইউনিয়নের নেতৃত্বে সাংবাদিক-শ্রমিক-কর্মচারিরা কঠোরতম কর্মসূচি গ্রহন করতে বাধ্য হবে। তখন দালালরাও তাদের রক্ষা করতে পারবে না। নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, সাংবাদিকতা পেশার অস্তিত্ব রক্ষার জন্যই গণমাধ্যম মাফিয়াদের মুখোস উম্মোচন করাসহ প্রতিরোধের সময় এসেছে।