শনিবার ● ২ মে ২০২০
প্রথম পাতা » সকল বিভাগ » করোনার সময়েও জনপ্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে ফেঞ্চুগঞ্জে বিয়ে
করোনার সময়েও জনপ্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে ফেঞ্চুগঞ্জে বিয়ে
ফেঞ্চুগঞ্জ প্রতিনিধি :: মহামারি করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে দেশজুড়ে যখন লকডাউন চলছে, শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে আধাজল খেয়ে মাঠে কাজ করছে প্রশাসন, ঠিক তখন সকল নিয়ম-নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ফেঞ্চুগঞ্জে অনুষ্ঠিত হলো এক আড়ম্বরপূর্ণ বিয়ে। এই বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান, সাবেক চেয়ারম্যান ও ২ জন ইউপি সদস্যসহ শতাধিক অতিথি। জনপ্রতিনিধিরাও অনুধাবন করেননি চলমান সংকটপূর্ণ পরিস্থিতি এবং তোয়াক্কা করেননি লকডাউন কিংবা ঘরে থাকা নীতিমালার।
এদিকে, এই বিয়ের একটি ছবি গতকাল শুক্রবার থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যেম ছড়িয়ে পড়ার পর ফেঞ্চুগঞ্জে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে। সবার সমালোচনার তীর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও সদস্যদের দিকে।
জানা গেছে , গতকাল শুক্রবার (১ মে) সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জের উত্তর কুশিয়ারা ইউনিয়নের মহিদপুর গ্রামের নাজমুল ইসলামের বিয়ে সম্পন্ন হয় এক আড়ম্বর অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে। সেই বিয়েতে দাওয়াত খেতে হাজির হন উপজেলার উত্তর কুশিয়ারা ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান আহমদ জিলু, সাবেক চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান এবং দু’জন ইউপি সদস্য। এছাড়াও এই বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন শতাধিক অতিথি।
পরে বিয়ের অনুষ্ঠানের একটি ছবি ফেসবুকে আপলোড করেন ইউপি সদস্য জামাল উদ্দিন। সেই ছবিতে দেখা যায়- বরকে সাথে নিয়ে উত্তর কুশিয়ারা ইউপি চেয়ারম্যান আহমদ জিলু, সাবেক চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান, ইউপি সদস্য জামাল উদ্দিন ও সোহেল আহমদ চৌধুরী হেলাল শরীর ঘেষাঘেষি করে দাঁড়িয়ে আছেন। যেখানে শারীরিক দূরত্বের কোনা বালাই ছিলো না। এছাড়াও কারো মুখেই ছিলো মাস্ক। এতে ফেঞ্চুগঞ্জের সচেতন মহলে নিন্দার ঝড় উঠেছে।
এই বিষয়ে কুশিয়ারা ইউপি চেয়ারম্যান আহমদ জিলু বলেন, এই বিয়েতে না গিয়ে পারিনি। বিয়েটা ঘরোয়াভাবেই হয়েছে, কোনো অনুষ্ঠান ছিলো না। তবে ছবি তোলার সময় এভাবে দাঁড়ানো বা মাস্ক না পরা ঠিক হয়নি- এটা আমরাও পরে বুঝতে পেরেছি।
শতাধিক অতিথি জমিয়ে লকডাউন নীতিমালা না মেনে বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজনের ব্যাপারে জানতে বর নাজমুল ইসলামের কাছে কল দিলে তিনি বলেন, আমি একটু ক্লান্ত। রেস্ট নিচ্ছি। আপনার সঙ্গে পরে কথা বলবো।