শিরোনাম:
●   লামায় বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে রাজধানীতে পিসিপির বিক্ষোভ ●   নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে ইউপিডিএফের ২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত ●   আত্রাইয়ে হলুদ বর্ণে সেজেছে বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ ●   অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে বিলীন হচ্ছে কৃষি জমি ও ঘরবাড়ি ●   সচিবালয়ে আগুন ●   মহালছড়িতে আওয়ামীলীগ নেতা গ্রেফতার ●   প্রফেসর কামাল উদ্দিন চৌধুরী কলেজের রজতজয়ন্তী উৎসব ●   শাহরাস্তিতে আন্তর্জাতিক ক্বেরাত সম্মেলন অনুষ্ঠিত ●   পানছড়ি ৩ বিজিবি’র পক্ষ থেকে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সাথে বড়দিনের শুভেচ্ছা বিনিময় ●   ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে তরুণের আত্মহত্যা ●   দ্রুত বাজার নিয়ন্ত্রণের ডাক দিয়েছে গণতন্ত্র মঞ্চ ●   ভোটকেন্দ্রে শূন্যভোটের মাধ্যমে পার্বত্যবাসী ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে প্রত্যাখ্যান করেছে ●   ফ্যাসিবাদের প্রেতাত্মারা নানা সুরতে আবির্ভুত হওয়ার পাঁয়তারা করছে ●   কাউখালীতে উইভ এনজিওর অবহিতকরণ সভা ●   খাগড়াছড়িতে ইত্তেফাকের ৭২ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত ●   বেগম রোকেয়া এ্যাওয়ার্ড পেলেন সাংবাদিক সাব্বির ●   বারইয়ারহাট ঔষধ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ফারুক,সম্পাদক ইউসুফ ●   দীঘিনালায় গলায় ফাঁস দেয়া যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার ●   ট্রাক্টরের চাকায় পিষ্ট হয়ে মা নিহত, ছেলে আহত ●   পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের পরিচালনা বোর্ড ২য় সভা অনুষ্ঠিত ●   রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের মাসিক সভা অনুষ্ঠিত ●   মোরেলগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাবের কমিটি গঠন ●   মানিকছড়িতে ট্রাকের নীচে মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু ●   আল ফালাহ ইসলামি একাডেমীর সবক প্রদান অনুষ্ঠান ●   ১১ দফা অবহিতকরণে আত্রাইয়ে আলোচনা সভা ●   পার্বতীপুর রেলওয়ে ইর্য়াডের আম গাছে যুবকের আত্মহত্যা ●   রংধনু ক্লাবের কার্যকরী পরিষদ গঠিত ●   কাউখালী তাহেরিয়া রশিদা সুন্নিয়া দাখিল মাদরাসার সভা ●   পাকুন্দিয়ায় ইয়ুথ পিস অ্যাম্বাসেডর গ্রুপ গঠিত ●   বৈরী আবহাওয়ায় ও শীতের তীব্রতায় বাড়ছে কৃষকের দুশ্চিন্তা
রাঙামাটি, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১



CHT Media24.com অবসান হোক বৈষম্যের
বুধবার ● ৬ মে ২০২০
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » সুন্দরবনে চোরা হরিণ শিকারি চক্রের দৌরাত্ম চরমে
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » সুন্দরবনে চোরা হরিণ শিকারি চক্রের দৌরাত্ম চরমে
বুধবার ● ৬ মে ২০২০
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

সুন্দরবনে চোরা হরিণ শিকারি চক্রের দৌরাত্ম চরমে

---শেখ সাইফুল ইসলাম কবির, বাগেরহাট প্রতিনিধি :: বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনের কোনো তোয়াক্কা না করেই আবারো বেড়ে গেছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনের চোরা শিকারিরা নির্বিচারে হরিণ-বাঘ শিকার করছে শিকারিদের অপতৎপরতা দৌরাত্ম চরমে।গত ৩ বছরে ৩৩ হাজারের বেশি হরিণ নিধন , ৩ হাজার ৬৩ কেজি হরিণের মাংস উদ্ধার হয়েছে। মাংসের লোভে প্রতিবছর শত শত হরিণ মারছে চোরা শিকারিরা। এই চক্রের অপতৎপরতা ওপেন সিক্রেট হলেও তাদের দৌরাত্ম্য থামাতে কর্তৃপক্ষের কোন কার্যকরী ব্যবস্থা নেই।হরিন -বাঘশিকার বন্ধে ৩০টি শিকারী চক্রকে সনাক্ত করে তাদের সুন্দরবনে প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে বন বিভাগ।
শিকারের পর হরিণের মাংস, চামড়া, মাথা, শিং ও হাড় বিক্রি করে কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে এসব চক্র। সেই সঙ্গে সুন্দরবনের অভ্যন্তরের নদী-খালে বিষ দিয়ে মাছ ও কাঁকড়া নিধন করছে। এমনকি সরকার ঘোষিত অভয়ারণ্য এলাকায়ও বন্যপ্রাণীরা নিরাপদে নেই। সুন্দরবনের শ্রেষ্ঠ সম্পদ রয়েল বেঙ্গল টাইগার এখন অস্তিত্ব সংকটে।২৯ এপ্রিল সোমবার সকালে২২টি জীবিত হরিণ সহ তিন চোরা শিকারিকে আটক করেছে বন বিভাগ।স্মরণকালের বৃহত্তম ২২টি জীবিত হরিণের চালান। এ সময় ৩০ কেজি হরিণের মাংস, ৭০০ ফুট হরিণ ধরা নাইলনের দড়ির ফাঁদ, দুটি ইঞ্জিনচালিত ট্রলার, একটি ডিঙি নৌকাসহ আটক হয়েছে তিন শিকারি। ফাঁদে আটকে রাখা জীবিত ২২টি হরিণ তাৎক্ষণিকভাবে বনে অবমুক্ত করা হয়েছে। জীবিত হরিণের বৃহত্তম এই চালান ধরা পড়ার পর বন বিভাগে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়।
এর আগে গত ২৮ মার্চ সুন্দরবনের চরখালী থেকে ৫০০ ফুট ফুট হরিণ শিকারের ফাঁদ, ১০ এপ্রিল কচিখালী থেকে ৫০০ ফুট হরিণ শিকারের ফাঁদ, ১৭ এপ্রিল চান্দেশ্বর থেকে ৭০০ ফুট ফুট হরিণ শিকারের ফাঁদ, ২৩ এপ্রিল শরণখোলা উপজেলার সোনাতলা গ্রাম থেকে ১০ কেজি হরিণের মাংস উদ্ধার ও ২ মে ১৫০০ ফুট হরিণ শিকারের ফাঁদসহ দুই চোরা শিকারিকে আটক করে সুন্দরবনের বনরক্ষীরা।এর আগে গত ২৮ মার্চ সুন্দরবনের চরখালী থেকে ৫০০ ফুট ফুট হরিণ শিকারের ফাঁদ, ১০ এপ্রিল কচিখালী থেকে ৫০০ ফুট হরিণ শিকারের ফাঁদ, ১৭ এপ্রিল চান্দেশ্বর থেকে ৭০০ ফুট ফুট হরিণ শিকারের ফাঁদ, ২৩ এপ্রিল শরণখোলা উপজেলার সোনাতলা গ্রাম থেকে ১০ কেজি হরিণের মাংস উদ্ধার ও ২ মে ১৫০০ ফুট হরিণ শিকারের ফাঁদসহ দুই চোরা শিকারিকে আটক করে সুন্দরবনের বনরক্ষীরা।

বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন জানান, সুন্দরবনে চোরা হরিণ শিকারীর সব থেকে বড় গ্যাং ইন্টারপোলের তালিকাভূক্ত পাথরঘাটার চরদোয়ানী এলাকার কুখ্যাত চোরা শিকারি মালেক গোমস্তা বন্যপ্রানি নিধন করতে তার লোকজন নিয়ে অবৈধ পথে সুন্দরবনে শ্যালারচর-কুকিলমুনি এলাকায় ঢুকেছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শরণখোলা রেঞ্জ কর্মকর্তা (এসিএফ) মো. জয়নাল আবেদীনকে ২৯ এপ্রিল অভিযান চালানোর নির্দেশ দেয়া হয়। এসিএফ জয়নালের নের্তৃত্বে সুন্দরবনের শ্যারারচর, কুকিলমুনি ও জ্ঞানপাড়া কর্মকর্তা ও বনরক্ষীরা অভিযানে থাকা কালে সোমবার বিকাল থেকে শুরু করে বড় ধরনের। আজ ভোররাতে শরণখোলা রেঞ্জের টিয়ারচর এলাকায় ৩টি ট্রলার ও একটি নৌকা আটক করা হয়। ট্ররার থেকে ৩০ কেজি হরিণের মাংসসহ তিন চোরা শিকারিকে গ্রেফতার করা হয়। পরে টিয়ারচর এলাকায় তল্লাশী চালিয়ে বনের মধ্যে পেতে রাখা ৭০০ ফুট হরিণ শিকারের ফাঁদে আটকে থাকা ২২টি জীবিত হরিণ উদ্ধার করে বনে ছেড়ে দেয়া হয়। এই তিন চোরা শিকাররিদের বিরুদ্ধে বন আইনে মামলা দায়ের করে মঙ্গলবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে বাগেরহাট জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
ডিএফও আরো জানান, ইন্টারপোলের তালিকাভূক্ত কুখ্যাত চোরা হরিণ শিকারি মালেক গোমস্তা সুন্দরবনের চিয়ারচর এরাকায় রয়েছে বলে গ্রেফতারকৃতরা স্বীকার করেছে। আমাদের হাতে আটক হয়ে মাত্র একমাস আগে কারাগার থেকে ছাড়া পাওয়া মালেক গোমস্তাকে গ্রেফতারের জন্য সুন্দরবনে এখনো অভিযান চলছে।

সুন্দরবনের বুনো মহিষ, পারা হরিণ, বুনো ষাঁড়, ছোট ও বড় একশৃঙ্গি গণ্ডার, বার শিংগা, চিতাবাঘ বিলুপ্ত হয়েছে অনেক আগেই। নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে সাদা মানিক জোড়া, গগন বেড়, তিতিরসহ ১৬ প্রজাতির বিভিন্ন বন্যপ্রাণী। বনের ভেতর বনমোরগের ডাক শোনা এখন অনেকটা ভাগ্যের ব্যাপার।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, ‘ছয় শ টাহা কিজি, যে জায়গাই পৌছি দিতে কবেন, সেই জায়গায় দেব। ঢাকায় দিলি দাম বেশি পড়বে।’ বাগেরহাটের মংলা বাজারের কাছে এক চোরা হরিণ শিকারির কাছে জানতে চেয়েছিলাম এক কেজি হরিণের মাংসের দাম কত? নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক লোকটি দরদামের বয়ান দিলেন এভাবেই।সুন্দরবনের চারটি রেঞ্জসংলগ্ন গ্রামগুলোয় দেড়শতাধিক সংঘবদ্ধ শিকারিদল রয়েছে। এদের অবস্থান বরগুনার পাথরঘাটার চরদুয়ানী, সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের বাগেরহাট জেলার শরণখোলা, রামপাল, মোংলা, মোরেলগঞ্জ, সুন্দরবন পশ্চিম বিভাগের খুলনা জেলার পাইকগাছা, দাকোপ, কয়রা এবং সাতক্ষীরার আশাশুনি, শ্যামনগর ও কালিগঞ্জ উপজেলায়। এসব শিকারি বনে ঢুকে খাদ্যে বিষ অথবা ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে, ফাঁদ কিংবা বন্দুক দিয়ে গুলি করে বাঘ ও হরিণ হত্যা করে। তারপর স্থানীয় পদ্ধতিতে চামড়া, মাংসসহ বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংরক্ষণ এবং তা গোপনে ঢাকা কিংবা চট্টগ্রামে নিয়ে চোরাচালানিদের ডেরায় পৌঁছে দেওয়া হয়। স্থানীয়ভাবে একটি বাঘের চামড়ার জন্য শিকারিরা দুই থেকে আড়াই লাখ টাকা পায়। কুমিরের চামড়া, বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ও বাঘ, হরিণের অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের দামও অতি চড়া।
ওয়াইল্ড লাইফ ট্রাস্ট অব বাংলাদেশ নামের একটি বেসরকারি সংস্থা। তাদের জরিপে করেছে বছরে ১১ হাজারের বেশি হরিণ নিধন হচ্ছে। ২০১১ সালে সংস্থাটি সুন্দরবনের চারটি রেঞ্জে হরিণ শিকার নিয়ে জরিপ চালায়। জরিপের সময় সংস্থাটি বছরে ১১ হাজার ১৯৫টি হরিণ শিকারের তথ্য পায়।

প্রকৃতির অপার সৌন্দর্যের ভান্ডার সুন্দরবনের অন্যতম আর্কষণ হচ্ছে হরিণ। এভাবে নির্বিচারে হরিণ শিকার চলতে থাকলে সুন্দরবনের জীব বৈচিত্র হুমকির মুখে পরবে। তাই জীব বৈচিত্র রক্ষার্থে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করবে কর্তৃপক্ষ এমনটাই প্রত্যাশা সকলের।সুন্দরবন কেবল ১২ লাখ লোকের কর্মসংস্থানেরই উৎস নয়, লাখ লাখ মানুষের বিনোদন ক্ষেত্রও হয়ে উঠতে পারে এবং এতে আসতে পারে বিপুল বৈদেশিক মুদ্রাসহ মোটা অংকের রাজস্ব।

সময় টিভির সাংবাদিক টুটুলের উপর হেফাজত কর্মীদের হামলার ৭ বছর আজ
বাগেরহাট :: পেশাগত দায়িত্ব পালন শেষে ফেরার পথে বাগেরহাটের প্রেসক্লাবের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক আলী আকবর টুটুলের উপর হেফাজত কর্মীদের হামলার ৭বছর হলেও বিচার হয়নি আজও। কে হামলা করেছে, কারা করেছে তাও জানা নেই পুলিশের। যদিও বর্বরোচিত এ হামলার কিছুদিন পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আছাদুজ্জামান খান কামাল ফকিরহাটে থানা ভবন উদ্বোধনের সময় জনসম্মুখে তৎকালীন পুলিশ সুপারকে মামলা করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। তারপরও এতদিনে কোন বিচার হয়নি! সে কারণ অজানা সাংবাদিকদের কাছে। যার ফলে বাগেরহাটের সাংবাদিকদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

আজ ৬মে ২০১৮। ২০১৩ সালের এই দিনে বাগেরহাটের প্রেসক্লাবের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক আলী আকবর টুটুলের উপর হামলা করেছিল হেফাজত কর্মীরা। খুলনা-বাগেরহাট মহাসড়কের ফকিরহাট উপজেলার কাঠালতলা এলাকায় হেফাজত কর্মীরা রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করছিল। এসময় সংবাদ সংগ্রহ করে ফেরার সময় ২০-২৫ জন হেফাজত কর্মী টুটুলের উপর চড়াও হয়ে বেধড়ক মারপিট করে। পরে সহকর্মীরা উদ্ধার করে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন টুটুলকে। হামলার ৫ বছর হলেও হয়নি কোন বিচার।

সাংবাদিক টুটুল বলেন, হেফাজত কর্মীদের হামলার শিকার হয়ে এখনও শারীরিকভাবে অসুস্থ্য বোধ করছি। দুইবার ভারতে গিয়ে চিকিৎসা নিয়েছি। তারপরও পুরোপুরি সুস্থ্য হয়ে উঠতে পারিনি। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী এখনও ঔষধ সেবন করে যাচ্ছি। আরও উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রচুর অর্থ প্রয়োজন।
টুটুল আরও বলেন, হামলার বিষয়টি আজও মনে পরলে ভয়ে আৎকে উঠি। সকলের দোয়া ছিল তাই আজও সংবাদ মাধ্যমে কাজ করে যাচ্ছি। তবে কারা হামলা করছিল পুলিশ আজও তা জানাতে পারেনি! এটাই আমার দু:খ! আশা করি কোন সংবাদকর্মীকে যেন এরকম ভয়াবহ ঘটনার মুখোমুখি হতে না হয়।

ওই সময়ে সাথে থাকা সহকর্মী বাগেরহাট জেলা মফঃস্বল সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি খোন্দকার নিয়াজ ইকবাল বলেন, মানুষ কতটা উন্মাদ হলে এ ধরনের হামলা করতে পারে তা আমি দেখেছি। তারা সংবাদকর্মীদের টার্গেট করে এ হামলা চালায়। আমি এর সুষ্ঠু বিচার দাবী করছি।জাতীয় মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের চেয়ারম্যানও জয় বাংলাভিশনের প্রধান সম্পাদক – প্রকাশক শেখ সাইফুল ইসলাম কবির বলেন,আলী আকবর টুটুলের উপরহামলার সুষ্ঠু সুবিচার চাই।দোষীদেরসহ সব ঘটনার বিচার করতে হবে।দোষীদের বিচার না হলে অবক্ষয় বাড়বে।আজকে আমরা নতুন স্বপ্ন দেখছি। বিশ্বের দরবারে আমাদের মাথা উঁচু হয়ে গেছে।আজ বাংলাদেশ নতুন স্বপ্ন দেখতে পাচ্ছে।

বাগেরহাট প্রেসক্লাবের সভাপতি আহাদ উদ্দিন হায়দার বলেন, প্রেসকাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক টুটুলের উপর হামলার সুবিচার চাই। পুলিশ দায়িত্ববান হয়ে দোষীদের বিচার করবেন এ কামনা করি।

বাগেরহাটের পুলিশ সুপার পঙ্কজ চন্দ্র রায় বলেন, হেফাজত কর্মীদের হামলায় সাংবাদিক, পুলিশ সদস্যসহ বেশ কয়েকজন সাধারণ মানুষ আহত হয়েছিল। উক্ত ঘটনায় ৬টি মামলা হয়েছিল। প্রত্যেকটি মামলা এখন আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।

বাগেরহাটে ত্রাণ চাওয়ায় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীকে মারধর করলেন নারী ইউপি সদস্যের ছেলে
বাগেরহাট :: বাগেরহাটের কচুয়ায় ত্রাণ চাওয়াকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটির জেরে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীকে মারধর করেছে নারী ইউপি সদস্য শিপ্রা রানী দাসের ছেলে ভিক্টর দাস। আহত ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী রমজান দাস এখন বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি আছেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কচুয়া উপজেলার বাধাল বাজারে শাহাদাতের বন্ধ চায়ের দোকানের সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটে। পরে আহত রমজান সরদারকে উদ্ধার করে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করে স্থানীয়রা।
অভিযুক্ত ভিক্টর দাস কচুয়া উপজেলার বাধাল ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্য শিপ্রা দাসের ছেলে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রমজান সরদার বলেন, বৈলপুর বাজার থেকে মাছ বিক্রি করে বাধাল বাজারের শাহাদাতের বন্ধ চায়ের দোকানের সামনে বসে ছিলাম। হঠাৎ ইউপি সদস্য শিপ্রা রানী দাসের ছেলে ভিক্টর দাসসহ তিনজন আমার কাছে আসে। ভিক্টর আমাকে বলে তার মায়ের সাথে খারাপ ব্যবহার করেছিস কেন। আমি কোন উত্তর দেওয়া ও কিছু বুঝে ওঠার আগেই ভিক্টর ও অন্য আরেকজন আমাকে হাতুরী দিয়ে পেটাতে শুরু করে। পরে আমার পকেটে থাকা মাছ বিক্রি করা ১৬ হাজার ৭‘শ টাকা নিয়ে যায়। এক পর্যায়ে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে ওরা পালিয়ে যায়।
ভিক্টরের বড় ভাই ইমাম সরদার বলেন, আমার ছোট ভাইকে শুধু ক্ষমতার দাপটে মারধর করল ভিক্টর ও তার লোকজনরা। আমার মা তো মহিলা মেম্বরকে খারাপ কোন কথা বলেনি। শুধু বলেছে করোনা পরিস্থিতিতে কোন ত্রাণ পাইনি আমরা। এতেই যদি মার খেতে হয়। তাহলে আমরা হতদরিদ্র দিনমজুররা কোথায় যাব বলে আক্ষেপ করেন তিনি।
মারধরের শিকার রমজান সরদারের মা আবিনুর বেগম বলেন, সোমবার বিকেলে বাধাল বাজারে মহিলা মেম্বর শিপ্রা দিদির সাথে আমার দেখা হয়। তাকে বলি করোনা পরিস্থিতি শুরু হওয়ার পর আমরা কোন ত্রাণ পাইনি। সুযোগ থাকলে আমাদের কিছু দিয়েন। শিপ্রা দি আমাকে বলেন তোরা কিছু পাবি না, তোরা আমাকে ভোট দিসনি। যারা ভোট দিয়েছে, যারা আামার পিছনে ঘুরেছে তারা সব কিছু পাবে। আমার বাড়িও যাবি না তোরা। ঠিক আছে যাব না বলে আমি চলে আসি। এতে আমার কি অপরাধ হয়েছে। এর পরেও আমার ছেলেকে এভাবে মারধর করল। কেন আমরা গরীব তাই মার খেতে হবে। আমি এর সুষ্ঠ বিচার চাই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন এলাকাবাসী বলেন, ইউপি সদস্য শিপ্রা রানী দাসের ছেলে ভিক্টর একটি নেশাখোর। সে একাধিকবার গাজা খেয়ে এলাকায় মাতলামি করেছে। অনেককে মারধরও করেছে। রমজানের মত একজন হতদরিদ্রকে মারধরের ঘটনার সুষ্ঠ বিচার চাই আমরা।
এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য শিপ্রা রানী দাস বলেন, একটি শালিস বৈঠক নিয়ে রমজান সরদার আমাকে গালিগালাজ করেছে। তাই রমজানকে আমার ছেলে মারধর করেছে। এটি জানার পরে আমি রমজানকে হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছি এবং ঔষধও কিনে দিয়েছি। এরপরও রমজানের মাকে বলেছি রমজান আগে সুস্থ্য হোক তারপর আমার ছেলের যা বিচার করার তোমরা করিও।
কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ শফিকুর রহমান বলেন, মারধরের ঘটনা আমরা শুনেছি। রমজানের পরিবারকে বলেছি লিখত অভিযোগ দেও। লিখিত অভিযোগ দিলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিব।

বাগেরহাটে কালবৈশাখী ঝড়ে গাছপালা-ঘরবাড়ি বিদ্ধস্ত, নিহত ১
বাগেরহাট :: বাগেরহাটের চিতলমারীতে কাল বৈশাখী ঝড়ে বিপুল পরিমান গাছপালা ও ৩০টির উপরে ঘরবাড়ি বিদ্ধস্ত হয়েছে। এছাড়া ঘরের উপর গাছ পড়ে ইমন মল্লিক (১৪) নামে এক স্কুল শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে। মঙ্গলবার ভোর রাতে উপজেলার হিজলা গ্রামে হঠাৎ ঝড়ে হতাহতের ঘটনা ঘটে। এছাড়া এই বাগেরহাট জেলার মাঠে থাকা পাকা ধানের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।
নিহত ইমন মল্লিক হিজলা গ্রামের আনসার মল্লিকের ছেলে এবং হিজলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র।
ঘরবাড়ি ভাংচুরের খবর পেয়ে হিজলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কাজী আজমির হোসেনসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিরা ঘটনাস্থল পরিদর্শণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমান নিরুপন করেছেন।
ইউপি চেয়ারম্যান কাজী আজমির হোসেন বলেন, আকস্মিক ঝড়ে আমারা এলাকার হিজলা ইউনিয়নের ৩০টির অধিক কাচা ঘরবাড়ি বিদ্ধস্ত হয়েছে। ঘরের নিচে চাপা পড়ে এক কিশোর মারা গেছে। আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছি। ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা করা হয়েছে।
বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মারুফুল ইসলাম জানান, আকস্মিক ঝড়ে উপজেলার হিজলা গ্রামের আনসার মল্লিকের ঘরের উপরে চাম্বল গাছ পড়ে তার ছেলে ইমন মল্লিক নিহত হয়েছে। এছাড়া কয়েকটি ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে তালিকা তৈরি করে ক্ষতিপূরণের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে বলে জানান তিনি।

মোল্লাহাটে স্বেচ্ছাশ্রমে ধান কেটে দিলেন শেখ তন্ময় ইয়ংষ্টার ক্লাবের সদস্যরা
বাগেরহাট :: করোনা পরিস্থিতিতে বাগেরহাটে এবার শেখ তন্ময় ইয়ংষ্টার ক্লাবের সদস্যরা হতদরিদ্র ও বর্গা চাষীদের ধান কেটে ঘরে তুলে দিয়েছেন। বুধবার সকালে স্বেচ্ছাশ্রমে বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলার সরসপুর গ্রামে কৃষক ইসরাইল খানের ৫ বিঘা জমির ধান কাটা শুরু করেন ক্লাবের সদস্যরা। এদিকে স্বেচ্ছাশ্রমে ধান কেটে দেওয়ায় খুশি হয়েছেন দরিদ্র কৃষকরা।
কৃষক ইসরাইল খা বলেন, বৃষ্টির মধ্যে ধান কেটে ঘরে তোলা নিয়ে শঙ্কায় ছিলাম। ক্লাবের ভাইরা এসে আমার ধান কেটে দিলেন। আমি খুব খুশি হয়েছি।
স্বেচ্ছাশ্রমে ধান কাটার খবর পেয়ে স্বেচ্ছাসেবকদের উৎসাহ দিতে মাঠে আসেন মোল্লাহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাফফারা তাসনীম, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবুল হোসেন ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আকাশসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। তারা ধান কাটায় অংশ নেয়া ক্লাবের সদস্যদের ধন্যবাদ জানান।
মাল্লাহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাফফারা তাসনীম বলেন, করোনা পরিস্থিতি ও অতিবৃষ্টির ফলে উপজেলায় ধানকাটার জন্য শ্রমিক সংকট সৃষ্টি হয়েছে। যার ফলে অনেক সংগঠন বিনামূল্যে ধান কেটে কৃষকদের পাশে দাড়িয়েছে। শেখ তন্ময় ইয়ংষ্টার ক্লাবের সদস্যরাও কৃষকের ধান কেটে দিচ্ছে এ জন্য আমি তাদেরকে উপজেলা প্রশাসণের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাই।
শেখ তন্ময় ইয়ংষ্টার ক্লাবের সভাপতি মোঃ সোহরাব হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ জুয়েল বলেন, করোনা পরিস্থিতি ও অতিবৃষ্টির মধ্যে ধান নিয়ে যখন বিপাকে তখন আমরা ৩০ জন্য সদস্য প্রতিদিন ধান কেটে দেওয়ার সিন্ধান্ত নেই। যতদিন জমিতে ধান থাকবে ততদিন আমরা কৃষকের ধান কেটে দেব। এর আগেও আমরা কয়েকদিন কৃষকদের ধান কেটে দিয়েছি।
মোল্লাহাট উপজেলায় ৮৩২০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষ হয়েছে। যার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ৩৯ হাজার মেট্রিকটন।





খুলনা বিভাগ এর আরও খবর

মোরেলগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাবের কমিটি গঠন মোরেলগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাবের কমিটি গঠন
কুষ্টিয়ায় বালুঘাট দখল নিতে তাণ্ডব চালিয়েছে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা কুষ্টিয়ায় বালুঘাট দখল নিতে তাণ্ডব চালিয়েছে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা
কুষ্টিয়ার শীর্ষ সন্ত্রাসী শুভ অস্ত্রসহ গ্রেফতার কুষ্টিয়ার শীর্ষ সন্ত্রাসী শুভ অস্ত্রসহ গ্রেফতার
কুষ্টিয়ায় হত্যা মামলার আসামী ইউপি চেয়ারম্যান মিন্টু কারাগারে কুষ্টিয়ায় হত্যা মামলার আসামী ইউপি চেয়ারম্যান মিন্টু কারাগারে
কুষ্টিয়া ট্রাফিক পুলিশকে মারধর ঘটনায় দুই মহিলা আটক কুষ্টিয়া ট্রাফিক পুলিশকে মারধর ঘটনায় দুই মহিলা আটক
কুষ্টিয়ায় বিষমুক্ত সবজি উৎপাদনে কৃষকের মুখে হাসির ঝিলিক কুষ্টিয়ায় বিষমুক্ত সবজি উৎপাদনে কৃষকের মুখে হাসির ঝিলিক
বর্ণিল আয়োজনে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৬তম দিবস পালিত বর্ণিল আয়োজনে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৬তম দিবস পালিত
খেঁজুরের রস সংগ্রহে ব্যস্ত কুষ্টিয়ার গাছিরা খেঁজুরের রস সংগ্রহে ব্যস্ত কুষ্টিয়ার গাছিরা
কুষ্টিয়ায় ছাত্রীর সাথে অনৈতিক কাজে লিপ্ত থাকায় ধরা খেল শিক্ষক হেলাল ১১ লাখে দফারফা কুষ্টিয়ায় ছাত্রীর সাথে অনৈতিক কাজে লিপ্ত থাকায় ধরা খেল শিক্ষক হেলাল ১১ লাখে দফারফা
চাল সিন্ডিকেটের মূলহোতা আব্দুর রশিদ কুষ্টিয়া পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার চাল সিন্ডিকেটের মূলহোতা আব্দুর রশিদ কুষ্টিয়া পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার

আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)