শুক্রবার ● ৫ ফেব্রুয়ারী ২০১৬
প্রথম পাতা » অপরাধ » বিশ্বনাথে জামায়াত নেতার বিরুদ্ধে সরকারি গাছ কাঁটার অভিযোগ
বিশ্বনাথে জামায়াত নেতার বিরুদ্ধে সরকারি গাছ কাঁটার অভিযোগ
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি:: (আপলোড ৫ ফেব্রুয়ারী ২০১৬ বাংলাদেশ সময় বিকাল৫.৫৩ মিঃ) সিলেটের বিশ্বনাথে উপজেলা শিবির ও দেওকলস ইউনিয়ন জামায়াতের সাবেক সভাপতি শামীম আহমদের বিরুদ্ধে সরকারি জায়গায় লাগানো বেলজিয়াম প্রজাতির ৭টি গাছ কাঁটার অভিযোগ পাওয়া গেছে৷ এরমধ্যে কাঁটা ৫টি গাছের অংশ নিজের জিম্মায় নিয়ে নিলেও একটি গাছ রয়েছে আধা কাঁটা ও ঝুঁকিপূর্ন অবস্থায়৷
উপজেলার ‘বিশ্বনাথ-বাগিচাবাজার সড়ক’ থেকে সংযোগকৃত ‘কজাকাবাদ-বাগিচা সড়ক’র প্বার্শে থাকা পরিবেশ বান্ধব মুল্যবান ৭টি (জীবিত) গাছ কেঁটেছেন ওই জামায়াত নেতা৷ ২ ফেব্রুয়ারী মঙ্গলবার থেকে কাঁটা বেলজিয়াম প্রজাতির ওই গাছগুলোর বাজার মূল্য প্রায় ২ লাখ টাকা বলে ধারণা করছেন স্থানীয়রা৷ সড়কটি উপজেলা প্রকৌশলীর অধিনস্থ বলে স্বীকার করেছেন উপজেলা প্রকৌশলী খন্দকার গোলাম শওকত৷
৩ ফেব্রুয়ারী বুধবার দুপুরে সরেজমিন ঘটনাস্থলে গিয়ে ৭টি গাছ কাঁটার সত্যতা পাওয়া যায়৷ এর মধ্যে পাঁচটি গাছই তড়িগঢ়ি করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে৷ তবে সেখানে গিয়ে জামায়াত নেতা শামীম আহমদকে পাওয়া যায়নি৷ তবে গাছ কাঁটার ঠিকাদার ওসমানী নগর থানার পারকুল গ্রামের মৃত আরিফ উল্লার পুত্র ছাইফুর রহমান’কে পাওয়া যায়৷ তার সাথে আলাপ করে জানা যায়, দেওকলস ইউনিয়নের কাজাকাবাদ গ্রামের মৃত আজিজুর রব্বানী খান (গেদা)’র পুত্র রেজুয়ান খান’র কাছ থেকে তিনি ১৫ হাজার টাকায় ওই গাছগুলো কাঁটার ঠিকা নিয়েছেন৷ রেজুয়ান খানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জামায়াত নেতা শামীম আহমদ’র কথা বলেন৷
গাছ কাঁটার বিষয়টি স্বীকার করে শামীম আহমদ বলেন, ইসলামী পাঠাগার ও সমাজ কল্যান পরিষদ নামে তাদের একটি সংগঠন রয়েছে৷ ওই সংগঠনের পক্ষ থেকে গত ২০০০সালে দেওকলস ইউনিয়ন পরিষদ থেকে একটি চুক্তি পত্রের মাধ্যমে ওই সড়কের পাশে তারা গাছের চারা রোপন করেন৷ তাই ইউনিয়ন পরিষদ থেকে মৌখিক অনুমতি নিয়েই তারা গাছগুলো কেঁটেছেন বলে দাবি করেন৷
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ আসাদুল হক বলেন, তিনি খবর পাওয়ার পর সেখানে লোক পাঠিয়েছেন৷ তারা গাছের কিছু অংশ স্থানীয় রুনু কান্ত দে নামের একজনের জিম্মায় রেখে এসেছেন৷ গাছ কাঁটার ঘটনায় তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে৷