বৃহস্পতিবার ● ৭ মে ২০২০
প্রথম পাতা » ঢাকা » মার্কেট খুলে দেবার আত্মঘাতি সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসুন : প্রধানমন্ত্রীর প্রতি বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির আহ্বান
মার্কেট খুলে দেবার আত্মঘাতি সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসুন : প্রধানমন্ত্রীর প্রতি বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির আহ্বান
ঢাকা :: আজ বৃহস্পতিবার সকালে বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের অনলাইন মিটিং এ নেতৃবৃন্দ করোনা ভাইরাসের বিপজ্জনক বিস্তারের সময় ঈদ কেনাবেচার যুক্তিতে মার্কেট, শপিং মল খুলে দেবার সিদ্ধান্তকে আত্মঘাতি হিসাবে আখ্যায়িত করে এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন এবং বলেছেন এই সিদ্ধান্তের ফলে বাংলাদেশ করোনার প্রাণঘাতি সংক্রমনের দীর্ঘ চক্রে ঢুকে গেল।
নেতৃবৃন্দ বলেন, সামাজিক সংক্রমন শুরু হয়ে যাওয়ায় এবং দেশব্যাপী সংক্রমনের বিস্তার ঘটায় এখুনি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেই বাইরে। লকডাউন শিথিল করে প্রায় সবকিছু খুলে দেবার ফলে বাংলাদেশ ও তার জনগণ বড় ধরনের ঝুকির মধ্যে পড়ে গেল। বাস্তবে হাট-বাজার-মার্কেট-শপিং কমপ্লেক্সসহঅধিকাংশ ক্ষেত্রেই স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ ও ব্যক্তিগত সুরক্ষা ব্যবস্থার কোন তোয়াক্কা নেই। গার্মেন্টস কারখানা থেকে শুরু করে কোথাও সরকার ঘোষিত ‘সীমিত’ পরিসীমার মধ্যে কেউ থাকছে না। গার্মেন্টসে ৩০ শতাংশ শ্রমিকের কাজের কথা বলা হলেও এখন প্রায় ১০০ ভাগ কারখানায় ৯০ শতাংশ শ্রমিক কাজ করছেন। যার ফলে গার্মেন্টস শ্রমিকদের মধ্যে করোনা সংক্রমনও দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, মানুষের জীবিকার প্রশ্ন নিশ্চয় গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে মানুষের জীবন। নেতৃবৃন্দ বলেন, ব্যবসায়ীদের মুনাফা ও সাময়িক অসুবিধার জন্য লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবনকে কোনভাবেই বিপদগ্রস্ত করা যাবে না।
অনলাইন মিটিং এ নেতৃবৃন্দ বলেন, দুই কোটি পরিবারের কাছে খাদ্য ও নগদ টাকা পৌঁছানো নিশ্চিত করে লকডাউন কার্যকরি করা এবং করোনার বিস্তৃত পরীক্ষা ও চিকিৎসা নিশ্চিত করা ছাড়া শর্টকাট রাস্তায় এই মহামারীর সংক্রমন থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে না।
সভায় নেতৃবৃন্দ সরকারের কাছে সংরক্ষিত ‘ডাটাবেজ’ ও জাতীয় পরিচয়পত্রের মাধ্যমে দেড় কোটি চরম অভাবী পরিবারসমূহকে চিহ্নিত করে তাদেরকে রেশন কার্ড প্রদান করে তাদের কাছে আপদকালীন খাদ্য পৌছানোর দাবি জানান। তারা সশস্ত্র বাহিনীকে যুক্ত করে অতি দ্রুত এই উদ্যোগ বাস্তবায়িত করার আহ্বান জানান।
সভায় গৃহীত অপর এক প্রস্তাবে এপ্রিল মাসে গার্মেন্টস শ্রমিকদের মজুরী ৪০ শতাংশ কেটে রাখার সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয় এবং এই অমানবিক সিদ্ধান্ত থেকে আসার জন্য মালিক ও সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই অনলাইন মিটিং এ অংশগ্রহণ করেন রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য বহ্নিশিখা জামালী, আকবর খান, আবু হাসান টিপু ও আনছার আলী দুলাল।