বৃহস্পতিবার ● ৭ মে ২০২০
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » দুস্থ্য পরিবারের পাশে স্টুডেন্ট ফাউন্ডেশন
দুস্থ্য পরিবারের পাশে স্টুডেন্ট ফাউন্ডেশন
শেখ সাইফুল ইসলাম কবির,বাগেরহাট :: বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে সংকটাপন্ন কর্মহীন ঘরে থাকা গরীব ও দুস্থ্য পরিবারের মাঝে বাগেরহাটের এ. সি লাহা পাইলট স্কুলের স্টুডেন্ট ফাউন্ডেশন ০৬ এর উদ্যোগে ২য় ধাপে এ.সি লাহা পাইলট স্কুলের সাবেক ও বর্তমান ছাত্র, ছাত্রীর আরও ২০০ পরিবার উপহার হিসেবে পেল নিত্যপ্রয়োজনীও সামগ্রী ও ইফতার সামগ্রীবিতরন করেন। করোনায় গৃহবন্দী কর্মহীন ২০০টি অসহায় গরীব মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরন করেন এ. সি লাহা পাইলট স্কুলের ব্যাচ ০৬ এর উদ্যোগে ২য় ধাপে এ.সি লাহা পাইলট স্কুলের সাবেক ও বর্তমান ছাত্র, ছাত্রী ।গতকাল বুধবার (৬ মে ২০২০)রাতে বাগেরহাট মোরেলগঞ্জ উপজেলার গ্রামের ২০০টি কর্মহীন গরীব ও দুস্থ্য পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়।তারা জানান, এপর্যন্ত ২০০টি পরিবারকে এই মানবিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে। প্রথমে ওইসমস্ত পরিবারকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এর পর রাতের আধারে তাদের সেচ্ছাসেবকরা নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিচ্ছে। করোনা পরিস্থিতি সাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত তাদের মানবিক সেবা অব্যাহত থাকবে। এসময়ে উপস্হিত ছিলেন প্রধান শিক্ষক আব্দুল মালেক হাওলাদার.মাস্টার ফারুক হোসাইন. জয় বাংলা ভিশনের সম্পাদক শাহ জাহান আলী খান হায়দার,ইটালি প্রবাসী মহিদুল ইসলাম, ইটালি প্রবাসী সাদ্দাম হোসেন, নিপুন সাহা,রায়হান মোস্তাকিম রানা,আরিফুল ইসলাম,মিল্টন, পিন্জু।
করোনা মোকাবেলায় মধ্যবিত্তদের ভর্তুকি শপ
বাগেরহাট :: বাগেরহাটের মোংলার করোনা মোকাবেলায় ভর্তুকি শপ,,মধ্যবিত্তদের নিত্য প্রয়োজনীয় ও খাদ্য দ্রব্য সল্প মুল্যে দেয়া হবে।করোনাভাইরাসের প্রার্দুভাবের কারণে দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষদের দৈনন্দিন জীবনযাপন যেন ব্যাহত না হয়, তা নিশ্চিত করতে সরকার, প্রশাসন ও বেসরকারি সংস্থাগুলোর পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় পণ্য ও সেবা দিয়ে সহায়তা কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে দেশের অধিকাংশ এলাকায়। তারই ধারাবাহিকতায় মরহুম হাজী কাওসার দ্বিনি ফাউন্ডেশনের পরিচালনায় কবর স্থান জামে মসজিদ সংলগ্নে নিজেস্ব কার্যলয়ে শুক্রবার থেকে চালু হচ্ছে ভর্তুকি শপ নামের একটি সেবা মুলক প্রতিষ্ঠান।এ ভর্তুকি শপের মাধ্যমে মোংলার মধ্যবিত্তদের নিত্য প্রয়োজনীয় ও খাদ্য দ্রব্য সল্প মুল্যে দেয়া হবে। প্রতিদিন আনুমানিক প্রায় ১০০০ টাকার প্যাকেজে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য ৫শ টাকার মধ্যে কিনতে পারবেন মধ্যবিত্তরা। এ ভর্তুকি সপে থাকবে চাল ৭ কেজি, ডাল ১কেজি. ছোলা ১ কেজি, চিনি ১ কেজি, ছোয়াবিন তেল ১ কেজি, চিড়া ৫০০ গ্রাম, মুড়ি ৫০০ গ্রাম, সাবান ১ পিচ, টিসু ১পিচ, আলু ৫০০ গ্রাম, লবন ৫০০ গ্রাম ও ইফতার সামগ্রী।
পৌর শহরের প্রথম ধাপে ৩,৬,৮, ও ৯ নং ওয়ার্ডের মধ্যবিত্তরা এ সহায়তা সুবিধা এখান থেকে নিতে পারবে। তবে প্রত্যেক পরিবার সপ্তাহে একবার সহ সর্বমোট মাসে ৪ বার এ সুবিধা নিতে পারবেন এ ভতুর্কি শপ থেকে। এটি লিপিবদ্ধ করে তার হিসাব রাখা হবে, কোন পরিবার এক সপ্তাহে যেন দুই বার না পায়। হাজী কাওসার দ্বিনি ফাউন্ডেশনের পক্ষ হতে এ সহায়তা সুবিধা করোনা কালীন সময়ে চলমান থাকবে বলে জানায় ফাউন্ডেশনের পরিচালক।
ফাউন্ডেশনের সার্বিক তত্বাবধানে দ্বায়িত্বে থাকা কবর স্থান জামে মসজিদের পেশ ইমাম ও খতিব মাওঃ আব্দুর রহমান বলেন, মরহুম
হাজী কাওসার দ্বিনি ফাউন্ডেশনের পরিচালনায় ভর্তুকি শপ অতন্ত সুন্দর একটি পদক্ষেপ যাতে করে করোনা কালীন সময়ে মধ্যবিত্তদের
জন্য এ সপটির কার্যক্রমের প্রয়োজনীয়তা অনেক। করোন ভাইরাস প্রাদুর্ভাবে সমাজের সকল বিত্তবানদেরও এমন পদক্ষেপে এগিয়ে আসার আহব্বান জানান তিনি।
ফাউন্ডেশনের পরিচালক হাজী খলিলুর রহমান বলেন, করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ
পাশাপাশি গণপরিবহণ বন্ধ করে দেয়ার পর দরিদ্র বা নিম্ন আয়ের মানুষজনের পাশাপাশি মধ্যবিত্ত ও নিম্ন-মধ্যবিত্তদের দিনযাপনও অনেক ক্ষেত্রে কঠিন হয়ে পড়েছে। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে যেসব তথ্য এসেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন- মধ্যবিত্তদের অনেকেই লোকলজ্জার ভয়ে সরকারি-বেসরকারি সহায়তা নেয়াা থেকে বিরত থাকছেন। করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবের প্রভাবে নিয়মিত চাকুরিজীবী বা প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ীরাও ক্ষতি গ্রস্থ হচ্ছেন, কিন্তু দিনযাপন রীতিমতো কষ্টকর হয়ে পড়েছে পরিবহণ শ্রমিক, গার্মেন্টস কর্মী, বিভিন্ন ধরণের ক্ষুদ্র ব্যবসার সাথে জড়িতরা। তাদের জন্যই মরহুম হাজি কাওসার দ্বিনি ফাউন্ডেশনের পরিচালনায় এ ভর্তুকি শপের ব্যাবস্থা চালু করা হচ্ছে।