শনিবার ● ৯ মে ২০২০
প্রথম পাতা » দিনাজপুর » পার্বতীপুরে ত্রাণ পেল আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্য
পার্বতীপুরে ত্রাণ পেল আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্য
দিনাজপুর প্রতিনিধি :: করোনা ক্রান্তি লগ্নে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রশাসনের সাথে কাজ করে যাচ্ছেন আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা। করোনাভীতি উপেক্ষা ও জীবন বাজি রেখে কাজ করে যাচ্ছেন তারা। তাদের সহায়তা প্রদানে এগিয়ে এসেছেন প্রতিষ্ঠানের মহা-পরিচালক মেজর জেনারেল কাজী শরীফ কায়কোবাদ।
দিনাজপুরের পার্বতীপুরে আজ শনিবার সকাল ১১টায় উপজেলার ৩শ’ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যদের মাঝে মহা-পরিচালকের দেয়া ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন ফুলকুঁড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ শাহনাজ মিথুন মুন্নী ও উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ হাফিজুল ইসলাম প্রামানিক। এসময় উপজেলার ১০ ইউনিয়ন ও পৌরসভার আনসার সদস্যরা নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে সু-শৃঙ্খলভাবে ত্রাণের প্যাকেট গ্রহণ করেন। ত্রাণের প্রতি প্যাকেটে ৫ কেজি চাল, ২ কেজি আলু, ১ কেজি পেঁয়াজ, ১ কেজি ডাল, ১ লিটার তেল, ১টি সাবান ও ১টি মাস্ক দেয়া হয়।
অনুষ্ঠানে দিনাজপুর জেলা আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সহকারী জেলা কমান্ডেন্ট ইবনুল হক, পার্বতীপুর উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা মমিন উদ্দীন, সাবেক উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক প্রামানিক উপস্থিত ছিলেন।
পার্বতীপুরে চিরকুট লিখে নিখোঁজ মুক্তিযোদ্ধার জামাতা রিয়াদ
দিনাজপুর :: দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আমিনুল ইসলামের জামাতা মোঃ লতিফুর রহমান রিয়াদকে (২৪) খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। আশংকা করা হচ্ছে পারিবারিক সম্পত্তি নিয়ে বিরোধে তার এই নিখোঁজ হওয়ার পেছনে কাজ করছে। এ ঘটনায় আমিনুল ইসলামের মেয়ে মোছাঃ আফরিন খাতুন (১৯) আজ শনিবার বিকেলে পার্বতীপুর মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন (ডায়েরি নং-৩৪৮)। আফরিনের দায়ের করা ডায়েরিতে উল্লেখ করেন, শুক্রবার রাত আনুমানিক ৯টার দিকে লতিফুর রহমান রিয়াদ কাউকে কিছু না বলে শহরের সাহেবপাড়ার বাসা থেকে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মোবাইল ফোনের দোকানে চলে যান। রাত গভীর হওয়ার পরেও সে বাড়িত ফিরে না আসায় আফরিন বারংবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলেও সে মোবাইল ফোন রিসিভ করেনি। এর এক পর্যায়ে কল রিসিভ হলে হৈচৈ ও অনেক মানুষের সমাগমের আওয়াজ পাওয়া যায়। রাতে আমিনুল ইসলামের পরিবার, তার স্বজন ও বন্ধু বান্ধবরা সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজাখুজি করেন।
এ ব্যাপারে মুক্তিযোদ্ধা আমিনুল ইসলাম জানান, জামাতার বাবা মৃত ওমর ফারুক বিদেশে চাকুরি করতেন। তিনি বিদেশ থেকে ফিরে শহরের নতুনবাজারে একটি বস্ত্রবিতান, দুটি বাড়ি, একটি মোবাইলের দোকান ও প্রায় ৪ বিঘা জমি ক্রয় করেন। গত বছরের অক্টোবর মাসের ৬ তারিখে তিনি মারা যান। মৃত্যুর আগে তিনি একটি ডায়েরি লিখে যান। ওই ডায়েরিতে কোথায় কি পরিমান সম্পত্তি, টাকা পয়সা গচ্ছিত রেখেছিলেন তা উল্লেখ করেন। তবে ওই ডায়েরিটি বর্তমানে পাওয়া যাচ্ছে না।
এদিকে, নিখোঁজ হওয়ার পরে লতিফুর রহমান রিয়াদের স্বহস্তে লেখা একটি চিরকুট পাওয়া যায় তার বাড়ি থেকে। চিরকুটে সে লিখেছে আমার মৃত্যুর জন্য বড় বোন জবেদা সুলতানা সাগরিকা ও দুলা ভাই মোঃ আনোয়ার দায়ী। এছাড়াও বড় মামা আলাউদ্দীন, ছোট মামা সাইদুর ইসলাম বাবলু ও তাদের বাবা লুতফর রহমান দায়ী। রিয়াদকে উদ্ধারের জন্য পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন মুক্তিযোদ্ধা আমিনুল ইসলামের পরিবার।