

শনিবার ● ৬ ফেব্রুয়ারী ২০১৬
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » লংগদু উপজেলার ৩ টি ইউনিয়নে বিদ্যুৎ পৌঁছেনি
লংগদু উপজেলার ৩ টি ইউনিয়নে বিদ্যুৎ পৌঁছেনি
লংগদু প্রতিনিধি :: (৬ ফেব্রুয়ারী ২০১৬ : বাংলাদেশ : সময় : দুপুর ১২.৫৮ মিঃ) স্বাধীনতার পর থেকে আজ পর্যন্ত বিদ্যুৎ পৌঁছেনি রাঙামাটি জেলার লংগদু উপজেলার পাহাড়ী সিমান্তবর্তী ৩টি ইউনিয়ন গুলশাখালী,বগাচত্তর, ও ভাসান্যাদম ইউনিয়নে। ইউনিয়ন তিনটির অন্তত ৪০,০০০ হাজার মানুষ এখনও বিদ্যুৎ সুবিধার বাইরে। এতে সমস্ত আধুনিক সুবিধা থেকেই বঞ্চিত এ ইউনিয়নের মানুষ গুলো। তথ্যপ্রযুক্তির এ যুগে বিদ্যুৎহীন জীবন কল্পনা করাই কঠিন। চাষাবাদ, ব্যবসা-বাণিজ্য সব ক্ষেত্রেই প্রয়োজন বিদ্যুতের। আর সে জায়গা থেকেই অনেক পিছিয়ে পড়েছে প্রতিনিয়ত বন্য হাতির আক্রমনের শিকার তিনটি ইউনিয়নের অসহায় মানুষেরা। এ তিনটি ইউনিয়নে প্রতিষ্ঠান সমুহের মধ্যে ৩টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ৯ টি কমিউনিটি ক্লিনিক, ১ টি বিজিবি জোন,১ টি কলেজ,১ টি কারিগরী প্রশিক্ষন কেন্দ্র, ৪ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়,২৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়,৩০ টি মসজিদ এবং ১৫টি মাদ্রাসা রয়েছে। বিশেষ করে লংগদু উপজেলায় একটি মাত্র কারিগরী প্রশিক্ষন কেন্দ্র রয়েছে। প্রশিক্ষন কেন্দ্রে বিদুৎ না থাকায় ৬ টি ট্রেডের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ট্রেড কম্পিউটার,ইলেকট্রিক্যাল,ইলেকট্রনিক্স ও ওয়েলডিং এর মত বিদুৎ নির্ভর ট্রেড সমুহের প্রশিক্ষন করাতে হচ্ছে জেনারেটর দিয়ে যা অত্যন্ত ব্যয় বহুল। উপজলার এই কারিগরী প্রশিক্ষন কেন্দ্র থেকে প্রতি ৬ মাসিক কোর্ষে ১৮০ জন শিক্ষার্থী কারিগরী দক্ষতা অর্জন করে থাকে।বিদুৎ না থাকায় কারিগরী প্রতিষ্ঠানটি ক্রমেই অচলবস্থার দিকে যাচ্ছে। বর্তমানে ইউনিয়ন ৩ টিতে প্রায় ৪০,০০০ হাজার মানুষের বসবাস। কিন্তু স্বাধীনতার ৪৪ বছর অতিবাহিত হলেও দুর্ঘম ইউনিয়ন তিনটিতে আধুনিকতার তেমন কোন ছোঁয়া লাগেনি। বর্তমান যুগের সবচেয়ে বড় উপকরণ বিদ্যুৎ, অথচ সেই বিদুৎ থেকেই বঞ্চিত রয়েছে অত্র ইউনিয়নের পরিবারগুলো। নিরুপায় হয়ে তিনটি ইউনিয়নের বসবাসকারী ৪০,০০০ হাজার মানুষকে এখনও নির্ভর করতে হয় তেলের কুপি, মোমবাতি, হারিকেনের উপর। শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা, খাওয়া দাওয়াসহ সব কর্মকান্ডের জন্যই নির্ভর করতে হয় ওই সব আলোর উৎসের উপরেই। বিষয়টি নিয়ে অসংখ্যবার বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হলেও অধ্যাবধি জোড়ালো কোন পদক্ষেপ নেয়নি স্থানীয় নেতারা কিংবা প্রশাসন। যে কারণে সকল দিক থেকে অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছেন এখানকার মানুষ।এ ব্যাপারে স্থানীয়রা বলেন, বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় কোমলমতি শিক্ষার্থী দৈনন্দিন পাঠদান কার্যক্রম ও সাধারণ মানুষের আলোর চাহিদা মারাত্মক ভাবে ব্যহত হচ্ছে।
আমরা সরকার ও স্থানীয় প্রশাসনের কাছে বিনীত ভাবে অনুরোধ করছি,আমাদের দুর্গম অঞ্চলের মানুষের কথা বিবেচনা করে দ্রুত বিদুৎ সংযোগ স্থাপন করে আমাদের সোনার বাংলা স্বপ্নকে আলোকিত করুন।