রবিবার ● ১০ মে ২০২০
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাস ঠেকাতে ১৯ বন্দির মুক্তি
বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাস ঠেকাতে ১৯ বন্দির মুক্তি
শেখ সাইফুল ইসলাম কবির,বাগেরহাট প্রতিনিধি :: বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে বাগেরহাটের জেলা কারাগারে সাজাপ্রাপ্ত ১৯ জন কয়েদি মুক্তি দিচ্ছে সরকার। এর মধ্যে শনিবার (০৯ মে) রাতে পাঁচজন বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ। এরআগে একজন আদালত থেকে মুক্তি পেয়ে চলে গেছে। বাকি ১৩ জনের অর্থদন্ড থাকায় এখনও মুক্তি মেলেনি। আদালতের আদেশের ওই জরিমানার টাকা পরিশোধ করা হলে মুক্তি দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন কারাকর্তৃপক্ষ।
বাগেরহাট জেলা কারাগারের জেলার এস এম মহিউদ্দিন হায়দার বলেন, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় কারাগারের ভিড় কমাতে লঘুদন্ডে দন্ডিত অর্থ্যাৎ ৬ মাস থেকে এক বছরের সাজা হওয়া কয়েদিদের তালিকা চেয়েছিলেন কারা মহাপরিদর্শক। আমরা এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে ৪৮ জন সাজাপ্রাপ্ত বন্দি কয়েদির তালিকা তৈরি করে কারা কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়েছিলাম। এরমধ্যে সরকার ১৯ জন বন্দিকে মুক্তির আদেশ দিয়েছেন। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ি পাঁচজনকে মুক্তি দেয়া হয়েছে। বাকিদের সাজা হওয়ার সময় জরিমানা করা হয়। ওই জরিমানার টাকা পরিশোধ করা হলে তাদেরকেও মুক্তি দেয়া হবে।
বাগেরহাট জেলা কারাগারে বন্দি ধারণক্ষমতা চারশ। বর্তমানে ধারণক্ষমতার প্রায় দ্বিগুন বন্দি এই কারাগারে রয়েছেন। বর্তমানে ৭২৪ জন বন্দি রয়েছেন। এরমধ্যে ৩৭ জন নারী।
করোনার মধ্যেও মোরেলগঞ্জে প্রতিবেশীর মৎস্য ঘের বসতবাড়ির জমি দখলে মরিয়া
বাগেরহাট :: বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাসের মধ্যেও বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের গুয়াতলা গ্রামের মোঃ কামরুল আহসান আকন (৬০) এর একটি মৎস্য ঘের ও বসতবাড়ির জমি প্রতিবেশী কর্তৃক জোরপূর্বক দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সীমানার গাছপালা কর্তন বেড়া প্রদানে বাঁধা ্রদান সহ অশ্লীল ভাষা ব্যবহার,প্রাণনাশের হুমকিÑধমকি দিয়ে যাচ্ছে বেপরোয়া প্রতিবেশিরা।
প্রাপ্ত অভিযোগ ও সরেজমিনে জানা যায়,নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের গুয়াতলা গ্রামের মোঃ কামরুল আহসান আকনের ১১২ নং গুয়াতলা মৌজায় এস এ ২৮৪ খতিয়ানের এস এ দাগ নং ১৪৩৪ ও ১৪৩৫ এর ৫৮ শতক বসতবাড়ি এবং ১৪৩৪ দাগের তৎসংলগ্ন ১ একর ১১ শতকের মৎস্য ঘের প্রতিবেশী আব্দুস সাত্তার এর ছেলে মোঃ দেলোয়ার হোসেন ওরফে খোড়া দেলোয়ার( ৫৫) তার জামাতা গাড়ী চালক শরীফুল ইসলাম(৩০), ভায়রা আঃ সোবাহান হাওলাদার (৬০) মজলু শেখের ছেলে আলমগীর শেখ (৪৫) ভাড়াটে মাস্তান সহ সঙ্গীয় দুর্ধর্ষ দাঙ্গাবাজ একটি চক্র।
কামরুল আহসান একটি কোম্পটানীর মার্কটিং ম্যানেজার এবং একমাত্র ছেলে ঢাকায় অধ্যয়ন রত। ফলে তার তার স্ত্রী অধিকাংশ সময় একাকী বাড়িতে থাকে। উল্লেখিত বিবাদীরা তার পার্শ¦বর্তী বাসিন্দা। বিবাদীরা বিভিন্ন মামলার এজাহার নামীয় আসামী। আলমগীর শেখ একটি হত্যা মামলার আসামী এবং চিহ্নিত চাঁদাবাজ। মৃত আফেজ উদ্দিনের ছেলে আঃ সোবাহান পূর্বে বিভিন্ন মামলার আসামী।
কামরুল আহসান জানান, উল্লেখিত প্রতিবেশি দাঙ্গাবাজরা আমার বসত বাড়ির জমি জমা এবং বিলান সম্পত্তির আইল সীমানা লঙ্ঘন করে গায়ের জোরে এবং সন্ত্রাসী উপায়ে জবর দখল করার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন প্রকার হামলা, গন্ডোগোল সৃষ্টিসহ নানা প্রকার সন্ত্রাসীমূলক কর্মকান্ড এবং উপর্যুপরি ভয়ভীতি ও জীবন নাশের হুমকি প্রদর্শন করে আসছে। গত ৭ মে বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে প্রতিবেশি দেলোয়ার হোসেন এবং তার জামাতা শরীফুলের নেতৃত্বে ১৫/২০ জনের একটি সংঘবদ্ধ চক্র আমার বসতবাড়ির পূর্ব পাশের সীমানা লংঘন করে আমার সম্পত্তিতে অনধিকার প্রবেশ করে জোরপূর্বক রান্নাঘর এবং কাঠের ঘর নির্মাণ কার্যক্রম শুরু করে। আমি ও আমার ছেলে এতে বাঁধা দেই। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের অকথ্য, অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ এবং প্রকাশ্যে জীবন নাশের ভয়ভীতি , হুমকি প্রদর্শন করে এবং ধারালো দাও, লাঠিসোটা নিয়ে তেড়ে আসে । সংশ্লিষ্ট ইউপি মেম্বার মোঃ আসাদুলকে মাবাইল ফোনে জানানো হলে তিনি ব্যস্ত আছে বলে জানান। পরে উপায়ান্তর না পেয়ে থানায় খবর দিলে ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে। পুলিশকে দেখে বিবাদীরা তড়িঘড়ি করে ওইদিন নির্মিত কাঠের ঘরটি ভেঙ্গে ফেলে। কিন্তু রান্নাঘরটির অবৈধ বেড়া রয়ে যায়। ইতিপূর্বে আমার মৎস্য ঘেরের পূর্ব পাশে ঘেরাবেড়া দিতে বাঁধা দেয় এবং বেড়া দিতে আসলে প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে আসছে। আমি এখন আমার পরবিার নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
এ ঘটনায় কামরুল আহসান থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ।