শিরোনাম:
●   দ্রুত বাজার নিয়ন্ত্রণের ডাক দিয়েছে গণতন্ত্র মঞ্চ ●   ভোটকেন্দ্রে শূন্যভোটের মাধ্যমে পার্বত্যবাসী ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে প্রত্যাখ্যান করেছে ●   ফ্যাসিবাদের প্রেতাত্মারা নানা সুরতে আবির্ভুত হওয়ার পাঁয়তারা করছে ●   কাউখালীতে উইভ এনজিওর অবহিতকরণ সভা ●   খাগড়াছড়িতে ইত্তেফাকের ৭২ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত ●   বেগম রোকেয়া এ্যাওয়ার্ড পেলেন সাংবাদিক সাব্বির ●   বারইয়ারহাট ঔষধ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ফারুক,সম্পাদক ইউসুফ ●   দীঘিনালায় গলায় ফাঁস দেয়া যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার ●   ট্রাক্টরের চাকায় পিষ্ট হয়ে মা নিহত, ছেলে আহত ●   পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের পরিচালনা বোর্ড ২য় সভা অনুষ্ঠিত ●   রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের মাসিক সভা অনুষ্ঠিত ●   মোরেলগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাবের কমিটি গঠন ●   মানিকছড়িতে ট্রাকের নীচে মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু ●   আল ফালাহ ইসলামি একাডেমীর সবক প্রদান অনুষ্ঠান ●   ১১ দফা অবহিতকরণে আত্রাইয়ে আলোচনা সভা ●   পার্বতীপুর রেলওয়ে ইর্য়াডের আম গাছে যুবকের আত্মহত্যা ●   রংধনু ক্লাবের কার্যকরী পরিষদ গঠিত ●   কাউখালী তাহেরিয়া রশিদা সুন্নিয়া দাখিল মাদরাসার সভা ●   পাকুন্দিয়ায় ইয়ুথ পিস অ্যাম্বাসেডর গ্রুপ গঠিত ●   বৈরী আবহাওয়ায় ও শীতের তীব্রতায় বাড়ছে কৃষকের দুশ্চিন্তা ●   কোন হটকারিতায় গণঅভ্যুত্থানের অর্জন নষ্ট করা যাবেনা ●   তরফভাইখাঁ সমাজকল্যাণ পরিষদের উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ ●   মিরসরাইয়ে শীতার্তের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ ●   ঈশ্বরগঞ্জে জিয়াউর রহমান স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন ●   লংগদু এস এস সি পরীক্ষার্থীদের শিক্ষা সামগ্রী বিতরন ●   ঐক্যমতের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে ২০২৫ এর মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন সম্ভব ●   হালদা থেকে বিপন্ন গাঙ্গেয় প্রজাতির মৃত ডলফিন উদ্ধার ●   খাগড়াছড়ির আলুটিলায় পর্যটকবাহী বাস উল্টে আহত-২০ ●   পানছড়িতে লোগাং জোন এর অনুদান সামগ্রী প্রদান ●   আত্রাইয়ে কুলি-বেদে সম্প্রদায়ের মাঝে জেলা প্রশাসকের কম্বল বিতরণ
রাঙামাটি, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১



CHT Media24.com অবসান হোক বৈষম্যের
রবিবার ● ১০ মে ২০২০
প্রথম পাতা » কৃষি » যশোর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নিয়ে ধান কাটলেন
প্রথম পাতা » কৃষি » যশোর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নিয়ে ধান কাটলেন
রবিবার ● ১০ মে ২০২০
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

যশোর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নিয়ে ধান কাটলেন

---শেখ সাইফুল ইসলাম কবির,বাগেরহাট প্রতিনিধি :: বাগেরহাটে এবার হতদরিদ্র ও বর্গাচাষিদের ধান কেটে বাড়ি তুলে দিচ্ছেন যশোর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ,শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

আজ রবিবার ১০ মে বাগেরহাট সদর উপজেলার বারাকপুর গ্রামের কৃষক চিত্তরঞ্জন মন্ডলের ৫ বিঘা ও কার্তিক মণ্ডলের এক বিঘা জমির ধান কাটার মাধ্যমে স্বেচ্ছাশ্রমে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন যশোর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মোল্লা আমির হোসেন। স্বেচ্ছাশ্রমের এ মহতী উদ্যোগকে উৎসাহ দিতে তিনিও ধান কাটেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে।

এ সময় যশোর শিক্ষা বোর্ডের প্রকৌশলী কামাল হোসেন, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান, বাগেরহাট বহুমুখী কলেজিয়েট স্কুলের অধ্যক্ষ ফারহানা আক্তার, বিএসসি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ঝিমি মণ্ডলসহ স্থানীয়রা উপস্থিত ছিলেন।

বাগেরহাট সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ১২০ শিক্ষক ও শিক্ষার্থী এই স্বেচ্ছাশ্রমে ধান কাটায় অংশগ্রহণ করেন। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ধান কাটতে দেখে কৌতূহল বসত স্থানীয় মানুষ ভিড় করে কৃষক চিত্তরঞ্জন মণ্ডল ও কার্তিক মণ্ডলের জমির পাশে। স্বেচ্ছাশ্রমে ধান কাটায় কৃষকরাও খুশি।

কৃষক চিত্তরঞ্জন মণ্ডল বলেন, করোনা পরিস্থিতি ও মৌসুমের শুরুতে বৃষ্টি হওয়ায় ধান কাটার শ্রমিক সংকটে সোনার ফসল ঘরে তোলা নিয়ে খুব শঙ্কায় ছিলাম। কিন্তু হঠাৎ করে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা এসে আমাদের জমির ধান কেটে দিলেন। এতে আমি খুব খুশি হয়েছি।

শিক্ষক ফারহানা আক্তার ও ঝিমি মণ্ডল বলেন, শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের অনুপ্রেরণায় শিক্ষার্থী ও সহকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে আমরা হতদরিদ্র কৃষকের পাশে দাঁড়িয়েছি। কৃষকদের ধান যেন শ্রমিকের অভাবে মাঠে নষ্ট না হয় সে জন্য আমরা স্বেচ্ছাশ্রমে তাদের ধান কেটে দিচ্ছি।

যশোর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মোল্লা আমির হোসেন বলেন, ফসল ও ধান কৃষকের প্রাণ। আর কৃষক হলেন জাতির প্রাণ, রাষ্ট্রের প্রাণ। প্রত্যেক কৃষকের ঘরে আমাদের শিক্ষার্থী রয়েছে। কৃষকরা যদি সময়মত ধান ঘরে তুলতে না পারেন, তাহলে তারা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। তাহলে আমার শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যাবে। তাই কৃষকদের বাঁচাতে এবং যাতে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত না হয় তাই আমরা শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছি। সব কৃষকের ধান কাটা ও মাড়াই হওয়া পর্যন্ত আমাদের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা মাঠে থাকবেন।

বলেশ্বর নদীর ভাঙনে ১০ গ্রামের মানুষ হুমকির মুখে এমপি মিলণের পরিদর্শন

বাগেরহাট :: বাগেরহাটের শরণখোলা মৌসুমের অতিরিক্ত বৃষ্টি শুরু হওয়ার আগেই বলেশ্বর নদীর ভাঙনে ৩৫/১ পোল্ডারের বেড়িবাঁধের কাজ শেষ না হওয়ায় ভাঙন শুরু হয়েছে। ১০ গ্রামের মানুষের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।স্থানীয়রা বলছে, ওই স্থানে দ্রুত টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ না হলে শরণখোলা উপজেলার গাবতলা ও বগী দুই গ্রামের অনেক অংশ নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে।খবর পেয়ে রবিবার দুপুরে বাগেরহাট-৪, আসনের সংসদ সদস্য কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সদস্য এ্যাডভোকেট আমিরুল আলম মিলন ওই বেড়িবাঁধ এলাকা পরিদর্শন করেছেন। বাঁধের অংশে আপতত রিং বাঁধ দেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন ।

বাগেরহাটের শরণখোলায় নির্মাণাধীন ৩৫/১ পোল্ডারের বেড়িবাঁধে ভাঙন শুরু হয়েছে। এতে বলেশ্বর নদী সংলগ্ন প্রায় ১০ গ্রামের বসতিসহ স্থানীয় কৃষকদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

নদীর তীরবর্তী বাসিন্দারা জানান, ভাঙন কবলিত এলাকা শাসন করা না হলে শরণখোলা উপজেলার গাবতলা ও বগী, বকুলতলা এবং চালিতাবুনিয়া উত্তর সাউথখালী, দক্ষিকন সাউথখালী, চাল রায়েন্দা সোনাতলা, শরণখোলা এবং বলেশ্বর নদী লাগোয়া ১০ গ্রামসহ পুরো সাউথখালী ইউপির বাসিন্দারা ছাড়াও তাদের ঘরবাড়ি, ফসলি জমি ও গৃহপালিত প্রাণী চরম ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। নদী ভাঙন ঠেকানো না গেলে ওই ইউপি প্রায় গিলে ফেলবে বলেশ্বর।

স্থানীয়রা জানান, গত দুই দিনের আকস্মিক ভাঙনের ফলে ওই ইউপির গাবতলা ও বগী গ্রাম সংলগ্ন বাঁধের প্রায় ৫বিঘা জমি নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এছাড়া বালু দিয়ে বাঁধ নির্মাণ করায় কাজের মান তেমন ভালো হচ্ছে না। বালুর উপর ব্লক বসিয়ে দেয়া হচ্ছে। বৃষ্টি মৌসুমে জোয়ারের পানি ব্যাপকভাবে চাপ দেবে। ওই সময় বাঁধের মধ্যে পানি ঢুকে বালু সরে গিয়ে বাঁধ টিকবে না।

বর্তমানে ভাঙনের মুখে রয়েছে ২০০৭ সালে গাবতলাবাসীর জন্য নির্মিত উন্নত মানের আশার আলো মসজিদ, বাবলাতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ অনেক ধর্মীয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ।

স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল কাদের হাওলাদার বলেন, শুক্রবার দেখি হঠাৎ করে প্রায় তিন বিঘা জমি নিয়ে বাঁধটি নদীতে দেবে যায়। গত দুই দিনে ৫-৬ বিঘা জমি নদীতে চলে গেছে।

এছাড়া বহু বছর ধরে ঘর-বাড়ি ও ফসলি জমি বলেশ্বর নদীতে ভাঙতে ভাঙতে (আমরা) এখন নিঃস্ব হয়ে গেছি। বেড়ি বাঁধের অনেক জায়গায় ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। দ্রুত বাঁধ নির্মিত না হলে আর বাঁচার উপায় থাকবে না। তবে, বাঁধের দুই কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ব্লক ফেলতে পারলে এ ভাঙন সাময়িক বন্ধ হতে পারে। নদী শাসন করে টেকসই বাঁধ নির্মাণের দাবি করেন তিনি।

ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলী মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, ভাঙনের খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। আকস্মিক ভাঙনে প্রায় ৫০ মিটার এলাকা নদীতে বিলীন হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব ওই স্থানে একটি রিং বেড়িবাঁধ দেয়া হবে।

জানা গেছে, ২০০৭ সালে প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় সিডরে উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটের অনেক এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর মধ্যে শরণখোলা ও মোরেলগঞ্জ উপজেলায় জানমালের ক্ষতি হয় সবচেয়ে বেশি। এ কারণে দুই উপজেলার বাসিন্দারা ঝড় ও জলোচ্ছ্বাস থেকে বাঁচতে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসছিলেন। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর ২০১৫ সালে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে সরকার উপকূলীয় বাঁধ উন্নয়ন প্রকল্প নামে একটি প্রকল্প হাতে নেয়। জমি অধিগ্রহণের পর ২০১৬ সালে বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু হয়। ৬৭ কিলোমিটার বাঁধের প্রায় ৫০ কিলোমিটারের নির্মাণ কাজ এরইমধ্যে শেষ হয়েছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. রিয়াদুল পঞ্চায়েত বলেন, ২০০৭ সালের ঘূর্ণিঝড় সিডরের পর উপকুলবাসীর দাবি ছিল টেকসই বেড়িবাঁধ। তবে,বাঁধ নির্মাণ শুরু হয়েছে কিন্তু তা টেকসই নয়। প্রতি বছর বৃষ্টির মৌসুমে ভাঙলেও, এবার একটু আগেই ভাঙন দেখা দিয়েছে। দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নিলে স্থানীয়দের ঘরবাড়িসহ কৃষি জমি বলেশ্বর নদীতে বিলীন হয়ে যাবে।

বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নাহিদুজ্জামান খাঁন বলেন, ৩৫/১ পোল্ডারের অধিকাংশ কাজ এরইমধ্যে শেষ হয়েছে। বগী ও গাবতলা এলাকার দুই কিলোমিটার অংশে নদী শাসন ও জমি অধিগ্রহণ নিয়ে কিছু সমস্যা রয়েছে। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি ওই স্থানের কাজ দ্রুত শেষ করার।
মোরেলগঞ্জে ১১ বছরের শিশু পিতার সাথে অভিমান করে আত্মহত্যার চেষ্টা

বাগেরহাট :: বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে ১১ বছরের এক শিশু কীটনাশক পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে। আজ রবিবার বেলা ৯টার দিকে পিতার সাথে অভিমান করে কামলা গ্রামের গোলাম মোস্তফা শেখের ছেলে ঘরে থাকা কীটনাশক পান করে।

গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় বেলা ১২টায় তাকে মোরেলগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শিশুটি কচুবুনিয়া রহমাতিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র।
পিতার হাতে মারধরের শিকার হয়ে ওই শিশুটি মনের দুঃখে আত্মহত্যার চেষ্টা করে বলে তার মা শিল্পী বেগম জানিয়েছেন।

মোরেলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কামাল হোসেন মুফতি বলেন, শিশুটির চিকিৎসা চলছে। তবে সে ঝুঁকিমুক্ত নয়।

বলেশ্বর নদীর ভাঙন অংশে এমপি মিলণের উপস্থিতে নির্মাণ কাজ শুরু

বাগেরহাট :: বলেশ্বর নদীর ভাঙন অংশে বাগেরহাট-৪, আসনের সংসদ সদস্য কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সদস্য এ্যাডভোকেট আমিরুল আলম মিলণের উপস্থিতেনির্মাণ কাজ শুরু বাগেরহাটের শরণখোলা অংশে দ্বিতীয় দফায় বেড়িবাঁধ ভেঙে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। গত দুই দিনে উপজেলার সাউথখালি ইউনিয়নের বলেশ্বর নদীর পাড়ের গাবতলা-বগী গ্রাম সংলগ্ন বাঁধের ১০০ মিটার নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়।

আকস্মিক ভাঙনের খবর পেয়ের আজ রবিবার বাগেরহাট-৪, আসনের সংসদ সদস্য কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সদস্য এ্যাডভোকেট আমিরুল আলম মিলন , উপজেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। লোকালয়ে যাতে পানি না ঢুকতে পারে সেজন্য রবিবার থেকেই রিং বেড়িবাঁধের (গ্রাম রক্ষা বাধ) কাজ শুরু করা হয়।

তবে নদী শাসন না করে স্বল্প পরিসরের এই কাজে খুশি নয় এলাকাবাসী। নদী শাসন টেকসই ও স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়েছন স্থানীয়রা। তা না হলে বগী ও গাবতলা গ্রামের বেশিরভাগ অংশ নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে।

স্থানীয় খান শফি উদ্দিন ও জাকির হোসেন বলেন, প্রতি বছরই বগি ও গাবতলা এলাকায় পুরোনো বাঁধ ভেঙে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। নদী খেয়ে ফেলে আমাদের বাপ দাদার ভিটে মাটি। এবারও শুরু হয়েছে ভাঙন। শুক্রবার ও শনিবার রাতে ভাঙনে প্রায় এক শ মিটার বেড়িবাঁধ নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। সাথে কয়েক একর জমিও চলে গেছে নদীতে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড ও সিআইপি প্রকল্পের কর্মকর্তাদের তত্ত্বাবধায়নে রিং বেড়িবাঁধের কাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু এটা কোন স্থায়ী সমাধান নয়। নদী শাসন করে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবি জানান তারা।

বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নাহিদুজ্জামান খান বলেন, ভাঙনের খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে এসেছি। যাতে লোকালয়ে পানি ঢুকতে না পারে সে জন্য কাজ শুরু করা হয়েছে। দুই এক দিনের মধ্যেই রিং বেড়িবাঁধের কাজ শেষ হবে। জমি অধিগ্রহণ ও নদী শাসন সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান করে ওই স্থানে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের আশ্বাস দেন তিনি।

২০০৭ সালে প্রলঙ্কারী ঘূর্নিঝড় সিডরে উপকূলীয় জেলা বাগেরহাট অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর মধ্যে শরণখোলা ও মোরেলগঞ্জ উপজেলার মানুষের সব থেকে জানমালের ক্ষতি হয়। তারপরে ঝড় ও জলচ্ছাস থেকে বাঁচতে এই দুই উপজেলাবাসীর একটাই দাবি ছিল টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ। দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে সরকার গত ২০১৫ সালে উপকূলীয় বাঁধ উন্নয়ন প্রকল্প (সিইআইপি) নামে একটি প্রকল্প হাতে নেয়।

জমি অধিগ্রহণের পর ২০১৬ সালের ২৬ জানুয়ারি বেড়িবাঁধ ও স্লুইচগেট নির্মাণের কাজ শুরু হয়। ৬২টি কিলোমিটার বেড়িবাঁধের প্রায় ৬০ কিলোমিটার কাজ শেষ হয়েছে। কিন্তু নদী শাসন করে কাজ না করার কারণে শরণখোলা উপজেলার বগী ও গাবতলা গ্রামের পাশের প্রায় দুই কিলোমিটার অংশে নির্মানাধীণ বেড়িবাঁধে ভাঙন অব্যাহত রয়েছে।
প্রভাব বিস্তার নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে ছাত্রলীগ সভাপতি ও নারী সহ আহত-১৬

বাগেরহাট :: বাগেরহাটের চিতলমারীতে বংশীয় প্রভাব বিস্তার নিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতিসহ ১৬ জন আহত হয়েছেন। আজ রবিবার বিকেলে দফায় দফায় এ সংঘর্ষে আড়ুয়াবর্নী পূর্বপাড়া ও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষ শেষে আহতদের পুলিশ ও এলাকাবাসী উদ্ধারের করে উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করেছে।

আহতদেও মধ্যে আবুল খান ও বাবুল খানকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সন্ধ্যায় তাদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছিল।

পুলিশ জানায়, বংশীয় প্রভাব বিস্তারের জেরে চিংড়ি ঘেরের বেড়িবাঁধের উপর দিয়ে কাটা ধান নিয়ে হাটাকে কেন্দ্র করে রোববার বিকেলে উপজেলার সদর ইউনিয়নের আড়ুয়াবর্ণী পূর্বপাড়া গ্রামে জুয়েল মোল্লা ও মতিয়ার খান পক্ষের মধ্য বিরোধ বাধে। বিরোধের এক পর্যায়ে উভয় পক্ষ দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

এ সময় সংঘর্ষে মোল্লা বংশের রাসেল মোল্লা (৩০), জুয়েল মোল্লা (৩৫), রুমিচা বেগম (৫৫), শিউলি বেগম (৩৫), জসিম মোল্লা (২৮), আব্দুস সত্তার মোল্লা (৭৫), সাঈদ মোল্লা (৪০), গাউস মোল্লা (৫০), কেরামত মোল্লা (৬৫), রিপন মোল্লা (২৬), চিতলমারী সদর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মোল্লা মাসুম বিল্লাহ (৩০) আহত হন।

অপর দিকে খান বংশীয় আহতরা হলেন, আবুল খান (৫০), বাবুল খান (৪৫), সালেহীন খান (২০) সাগর খান (২৫) ও একরাম খান (৪৫)। এদেরমধ্যে আবুল খান ও বাবুল খানের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওযায় সন্ধ্যায় তাদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

মোল্লা বংশের আব্দুল হাই মোল্লা জানান, খান বংশের লোকজন জমি থেকে ধান কেটে চিংড়ি ঘেরের বেড়িবাঁধের উপর দিয়ে বাড়ি আনার পথে তারা বাধা দেন। এ ঘটনায় তারা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছিলেন। রবিবার বিকেলে মোল্লা বংশের লোকজন ধান কেটে বাড়ি আনতে গেলে তাদের উপর হামলা চালায়। হামলায় নারীসহ ১১ জন আহত হয়েছে।

খান বংশের মো. মকবুল হোসেন খান জানান, মোল্লাদের সাথে তাদের পূর্ব থেকে বিরোধ চলে আসছিল। ঘটনার সময় তাদের বংশের ছেলেদের মোল্লা বংশের ছেলেরা উস্কানীমূলক কথাবার্তা বললে এ সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষে তাদের পক্ষের পাঁচজন গুরুতর আহত হয়েছে। সন্ধ্যায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় দুজনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

চিতলমারী থানার ওসি মীর শরিফুল হক জানান, খবর শুনেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)