মঙ্গলবার ● ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫
প্রথম পাতা » কক্সবাজার » আজ সেই ভয়াল ২৯ সেপ্টেম্বর
আজ সেই ভয়াল ২৯ সেপ্টেম্বর
সিএইচটি মিডিয়া টুয়েন্টিফোর ডটকম :: আজ সেই ভয়াল ২৯ সেপ্টেম্বর : কি ভয়ানক!!কি মর্মান্তিক!! যে কালো রাতে মূহুর্তের মধ্যেই হাজার বছরের সম্প্রীতিকে তছনছ করে দিয়ে মৌলবাদীরা বুদ্ধমূর্তি ভাংচুর, বিহারে অগ্নিসংযোগ ও বৌদ্ধ পল্লীতে অগ্নিসংযোগ করে রামু, কক্সবাজার, উখিয়া,টেকনাফ ও পটিয়ার শান্তিপ্রিয় বৌদ্ধদের উপর আঘাত হানে। মৌলবাদীরা শুধুমাত্র বৌদ্ধদের শত বছরের পুরনো সংস্কৃতি, কৃষ্টি ও ঐতিহ্যের উপর আঘাত করেনি, আঘাত করেছে শত শত বছরের সম্প্রীতির উপর। ১২০০শ শতাব্দীর পর বাংলাদেশে বৌদ্ধের উপর এ রকম আঘাত আর আসেনি।
২০১২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বরের আগ পর্যন্ত রামু ছিল বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক তীর্থস্থান। দেশের বিভন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন সময়ে সাম্প্রদায়িক ঘটনা ঘটলেও রামুতেই ছিল রাখাইন, বৌদ্ধ, হিন্দু, মুসলিমদের সম্প্রীতির বসবাস। মন্দির ও বিহারের পাশেই মসজিদ- মাদ্রাসা। একই পাড়ায় পাশাপাশি বাস করছে রাখাইন- হিন্দু-বৌদ্ধ-মুসলমান পরিবার। এমনকি ২৯শে সেপ্টেম্বর কালো রাতে মুসলিম প্রতিবেশীরা বহু বৌদ্ধ পরিবারকে তাদের বাড়িতে আশ্রয় দিয়ে জীবন রক্ষা করেছে। এমনই সম্প্রীতির এক অনন্য উদাহরণ রম্যভূমি রামু। সেই সম্প্রীতির স্থানে কলঙ্ক লেপন করেছে সাম্প্রদায়িক শক্তি। আর এতে শুধু শান্তিপ্রিয় বৌদ্ধরাই ক্ষতিগ্রস্থ হয়নি, ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ। ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে মানবতা। ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বিশ্বাসের।
বৌদ্ধদের উপর ন্যাক্কারজনক এই সাম্প্রদায়িক হামলার চার বছর পার হলেও প্রকৃত হামলাকারীরা এখনো ধরা ছোঁয়ার বাইরে। হ্যাঁ, প্রধানমন্ত্রী, জননেত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় রামুর জনসাধারন এক বছরের মধ্যেই পেয়েছেন দৃষ্টিনন্দন বৌদ্ধ বিহার। আর এজন্য তারা বঙ্গবন্ধু তনয়া শেখ হাসিনার প্রতি অত্যন্ত কৃতজ্ঞ। তারা আরো বেশি কৃতজ্ঞ হবেন যদি হাজার বছরের সম্প্রীতির বিনষ্টকারীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দেন। রামু’র জনসাধারনএখনো আস্থা রাখছেন প্রধানমন্ত্রীর উপর। কারন উনার হাত দিয়েইতো জংগীমুক্ত অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের সূচনা ।
বাংলায় জয় হউক মানবতার, জয় হউক সম্প্রীতির ও অবসান হউক বৈষম্যের ।
আপলোড : ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫ : বাংলাদেশ : সময় :সকাল ১০.১৮ মিঃ