মঙ্গলবার ● ১২ মে ২০২০
প্রথম পাতা » ঢাকা » সমালোচনাকারীদের জেলে না পুরে তাদের দেয়া অব্যবস্থাপনার পরামর্শ বিবেচনায় নিন : বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি
সমালোচনাকারীদের জেলে না পুরে তাদের দেয়া অব্যবস্থাপনার পরামর্শ বিবেচনায় নিন : বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি
ঢাকা :: আজ সকালে বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির অনলাইন মিটিং গৃহীত প্রস্তাবে রাজনৈতিক বিবেচনা পরিহার করে স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও জননিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দিয়ে করোনা মহামারী মোকাবিলার নীতি কৌশল অনুসরণে সরকারের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানানো হয়েছে এবং বলা হয়েছে করোনা দুর্যোগ থেকে থেকে বেরিয়ে আসতে এই সংক্রান্ত পরামর্শক কমিটি, বিশেষজ্ঞ, ডাক্তারসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহের মতামত, পরামর্শ ও সুপারিশসমূহকে বিবেচনায় নেয়া জরুরী। প্রস্তাবে বলা হয়, দেশে করোনা সংক্রমন যখন দ্রুত গতিতে বেড়ে চলেছে তখন লকডাউন শিথিল করে দেয়া নিজেদের পায়ে কুড়াল মারার সামিল। যারা এই পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রীকে লকডাউন শিথিল করার পরামর্শ দিয়েছেন তারা বাস্তবে জনস্বাস্থ্যের বিরুদ্ধেই অবস্থান নিয়েছেন। প্রস্তাবে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলা হয় করোনা দুর্যোগেও রাজনৈতিক ও ব্যবসায়ীক গোষ্ঠির কায়েমী স্বার্থান্বেষীরা সরকারের নীতিনির্ধারণে নিয়ামক ভূমিকা পালন করছে। এদের নিয়ন্ত্রণ থেকে সরকার বেরিয়ে আসতে না পারলে বাংলাদেশে করোনা দুর্যোগ কেবল প্রলম্বিতই হবে।
অনলাইন মিটিং এর প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয়, এশিয়ার মধ্যে করোনা সংক্রমনের হার বাংলাদেশেই সবচেয়ে বেশী। প্রস্তাবে বলা হয় করোনা পরীক্ষা ও চিকিৎসার ব্যবস্থায় এখনও গুরুতর সমন্বয়হীনতা ও বেহাল দশা বিদ্যমান। বেশীরভাগ সাধারণ মানুষ দূরের কথা সমাজ ও সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরাও করোনার উপযুক্ত চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুবরণ করছেন।
প্রস্তাবে বলা হয় করোনা দুর্যোগে খাদ্য সংকট মোকাবিলায় সরকার নতুন করে যে ৫০ লক্ষ গরীব ও নি¤œআয়ের লোককে অন্তর্ভূক্ত করার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাও অনিয়ম ও দলীয়করণের কারণে নতুন সংকট তৈরী করছে। অধিকাংশ শ্রমজীবী- মেহনতি মানুষ এখনও এই তালিকার বাইরে।
প্রস্তাবে দুর্যোগ মোকাবেলায় স্বাস্থ্য ব্যবস্থার বেহাল পরিস্থিতির অবসান, অনিয়ম, দুর্নীতি ও দলবাজি বন্ধ করে ২ কোটি পরিবারের কাছে খাদ্য ও অর্থ পৌঁছানোর দাবি জানানো হয়।
সভায় গৃহীত আর এক প্রস্তাবে বলা হয়, করোনা মহামারীজনীত অব্যবস্থাপনার সমালোচনাকারীদের শাস্তি না দিয়ে তাদের গঠনমূলক সমালোচনাকে আমলে নিলেই সরকার, জনগণ ও দেশের জন্য লাভ। প্রস্তাবে নিবর্তনমূলক ও অগণতান্ত্রিক ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে ব্যর্থতা ঢাকার বর্ম হিসাবে ব্যবহার না করার আহ্বান জানানো হয়। প্রস্তাবে এই আইনে গ্রেফতারকৃত সকলকে অবিলম্বে মুক্তি দেবার আহ্বান জানানো হয়।
পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক এর সভাপতিত্বে এই অনলাইন মিটিং এ বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় নেতা বহ্নিশিখা জামালী, আকবর খান, আবু হাসান টিপু, আনছার আলী দুলাল, রাশিদা বেগম, সজীব সরকার রতন, শাহাদাৎ হোসেন খোকন, মাহমুদ হোসেন, সাইফুল ইসলাম সরদার, রইসউদ্দীন, খলিলুর রহমান, ¯িœগ্ধা সুলতানা ইভা, ফিরোজ আহমেদ, অরবিন্দু বেপারী বিন্দু প্রমুখ।