বৃহস্পতিবার ● ১৪ মে ২০২০
প্রথম পাতা » ঢাকা » প্রধানমন্ত্রী বরাবর খেতমজুর ইউনিয়ন ও বিপ্লবী কৃষক সংহতির ১০ দফা দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি প্রদান
প্রধানমন্ত্রী বরাবর খেতমজুর ইউনিয়ন ও বিপ্লবী কৃষক সংহতির ১০ দফা দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি প্রদান
ঢাকা :: করোনা দুর্যোগজনীত সংকট থেকে বাঁচতে আজ ঢাকাসহ জেলা-উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে খেতমজুর ইউনিয়ন ও বিপ্লবী কৃষক সংহতির বাঁচার ১০ দফা আশু দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি প্রদান করেছে। জেলা পর্যায়ে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে এই স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। স্মারকলিপি প্রদানের পূর্বে শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে খেতমজুর ইউনিয়ন ও বিপ্লবী কৃষক সংহতির নেতাকর্মীরা সংশ্লিষ্ট অফিসসমূহের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে।প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব ড: আহমদ কায়কাউস ও প্রধানমন্ত্রীর সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়ার কাছে ই মেইল এর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর ১০ দফা সম্বলিত এই স্মারকলিপি পঠানো হয়েছে।
১০ দফার গুরুত্বপূর্ণ দাবিসমূহ হচ্ছে করোনা দুর্যোগ মোকাবেলায় সরকারি বরাদ্দের খাদ্য, নগদ অর্থ প্রদান ও এ সংক্রান্ত তালিকা নিয়ে চুরি, দুর্নীতি, দলীয়করণ ও স্বজনপ্রীতি বন্ধ করে প্রকৃত অভাবী ও নিঃস্বদের মধ্যে খাদ্য ও ত্রাণ বিতরণ, খেতমজুরসহ গ্রামীণ শ্রমজীবী পরিবারসমূহকে আগামী ৬ মাস বিনামূল্যে রেশন প্রদান, পর্যায়ক্রমে পল্লী রেশনিং ব্যবস্থা চালু, প্রতি ইউনিয়নে ক্রয়কেন্দ্র খুলে কোন হয়রানি ছাড়া প্রকৃত কৃষকদের কাছ থেকে সরকার নির্ধারিত মূল্যে কমপক্ষে ২০ লক্ষ টন ধান ক্রয়, জরুরী ভিত্তিতে গুদাম নির্মাণ, প্রয়োজনে কৃষকদের গোলাঘরকে অস্থায়ী খাদ্যগুদাম হিসাবে ব্যবহার করা, ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত কৃষিঋণ সুদসহ মওকুফ করা, কৃষকদের বিরুদ্ধে সকল সার্টিফিকেট মামলা প্রত্যাহার করা, এনজিও ঋণের কিস্তি আদায় ৬ মাস বন্ধ রাখা, এনজিও অর্ধেক ঋণ মওকুফ করা, কৃষিভিত্তিক প্রকল্প, মৎস্য, দুগ্ধ ও পোল্ট্রির মত শিল্পসমূহকে কার্যকরি আর্থিক প্রণোদনা প্রদান, শাকসবজিসহ কৃষিপণ্যের পরিবহন, বাজারজাতকরণ ও ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তি নিশ্চিত করা, করোনাত্তর অর্থনীতির পুনরুজ্জীবনে কৃষি ও গ্রামীণখাতে উন্নয়ন বাজেটের ৩০ শতাংশ থোক বরাদ্দ নিশ্চিত করা, কৃষি ও গ্রামীণ প্রকল্পের যথাযথ বাস্তবায়ন ও দুর্নীতি-দলীয়করণ রোধে গণতদারকি কমিটি গঠন করা প্রভৃতি।
ঢাকায় আজ সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সম্মুখে খেতমজুর ইউনিয়ন ও বিপ্লবী কৃষক সংহতির উদ্যোগে ১০ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে খেতমজুর ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আকবর খান বলেন, খেতমজুরসহ গরীবদের খাদ্য ও ত্রাণ নিয়ে চুরি, দুর্নীতি ও দলয়ীকরণ বরদাসত করা হবে না। তিনি খাদ্য ও ত্রাণ চোরদের গণদুশমন আখ্যায়িত করে তাদের গ্রেফতার, বিচার, শাস্তি ও তাদের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার দাবি জানান।
বিপ্লবী কৃষক সংহতির সভাপতি আনসার আলী দুলালের নেতৃত্বে নাটোরে, খেতমজুর ইউনিয়নের সহ সাধারণ সম্পাদক সজীব সরকার রতনের নেৃতত্বে নেত্রকোনায়, শাহাদাৎ হোসেন খোকনের নেতৃত্বে ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জে এবং ময়মনসিংহ, কিশোরগঞ্জ, খুলনা, সাতক্ষীরা, নরসিংদী, বেলাব, গাইবান্ধা, হালুয়াঘাট, লালপুরসহ বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসক/উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।