বৃহস্পতিবার ● ১৪ মে ২০২০
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » দালালদের দৌরাত্ম নিরসনে জেলা প্রশাসক বাড়ি বাড়ি গিয়ে জমি অধিগ্রহণের চেক দিলেন
দালালদের দৌরাত্ম নিরসনে জেলা প্রশাসক বাড়ি বাড়ি গিয়ে জমি অধিগ্রহণের চেক দিলেন
শেখ সাইফুল ইসলাম কবির,বাগেরহাট প্রতিনিধি :: প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্প খুলনা-মোংলা রেললাইন এবং খানজাহান আলী বিমান বন্দরের জমি অধিগ্রহনের টাকার দালালদের দৌরাত্ম নিরসনে এবং জনভোগান্তি লাঘবার্থে জমির অধিগ্রহনকৃত ভুমির মালিকদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে হস্তান্তর করা হচ্ছে ক্ষতিপূরনের চেক। সকালে জেলার রামপাল উপজেলার বড় নওয়াবপুর ও ধলদা গ্রামের ২১ জন ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিককে এ চেক হস্তান্তর করা হয়। এসময় জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক কামরুল ইসলাম, ভূমি অধিগ্রহন কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেনসহ জেলা প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এদিকে,করোনা পরিস্থিতিতে কোনো ধরণের বিড়ম্বনা ছাড়াই বাড়ি বসে ক্ষতিপূরণের টাকা পেয়ে খুশিতে আত্মহারা ওই গ্রামের নারী-পুরুষ। তারা জানান,“আগে বাধ্য হয়ে দালালদের শরণাপন্ন হতে হত। ফলে পাওনা টাকার একটি বড় অংশ দালাল ও ঘুষ দিতে চলে যেত। আমরা স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা বাড়িতে এসে এভাবে ক্ষতিপূরণের চেক আমাদের হাতে তুলে দেবেন। জেলা প্রশাসনের এই উদ্যোগকে আমরা সাধুবাদ জানাই”।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. কামরুল ইসলাম বলেন, “জেলা প্রশাসনে সচ্চতা ও জবাবদিহিতার লক্ষ্যে ঘরে ঘরে সেবা পৌঁছে দিতে ব্যতিক্রমী উদ্যোগে আমরা কাজ করছি। প্রধানমন্ত্রীর অগ্রধিকার প্রকল্প খুলনা ও মোংলা রেললাইন এবং খানজাহান আলী বিমান বন্দরের জমি অধিগ্রহনের টাকার চেক জমির মালিকদের খুজে বের করে যেখানে পাবো সেখানেই তাদের প্রাপ্য আমরা দিতে বদ্ধ পরিকর। দালাল ও দূনীতিমুক্ত প্রশাসন গড়ে তোলার লক্ষে কাজ করছে বাগেরহাট জেলা প্রশাসন।
‘করোনা পরিস্থিতির কারণে আমরা জেলার বিভিন্ন এলাকায় যাচ্ছি। ক্ষডুগ্রস্ত’ জমির মালিকদের সময় ও অর্থ বাঁচাতে তাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ক্ষতিপূরণের চেক প্রদান করছি বলে জানান, বাগেরহাট জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ। এখন থেকে উন্নয়ন প্রকল্পে অধিগ্রহন করা জমির মালিকদের বাড়ি বাড়িতে গিয়েই ক্ষতিপূরণের চেক দেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
করোনা উপসর্গ নিয়ে বাগেরহাটে কচুয়ায় নারীর মৃত্যু
বাগেরহাট :: বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলায় করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে।আজ বৃহস্পতিবার ১৪ মে ভোর ৫টার দিকে উপজেলার ধোপাখালী ইউনিয়নের মাধবকাঠি গ্রামের বাড়িতে তার মৃত্যু হয়।
নিহত নারীর (নুরুন্নাহার বেগম) বয়স ৪৮ বছর। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হাঁপানি ও হাইপোথাইরয়েডিজম রোগে আক্রান্ত ছিলেন।
কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. মনিশংকর পাইক বলেন, নিহত ওই নারী দীর্ঘদিন ডায়াবেটিজ, উচ্চা রক্তচাপ, হাঁপানিসহ বিভিন্ন রোগে ভূগ ছিলেন। এজন্য এক সপ্তাহ আগে ঢাকা থেকে চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে আসেন তিনি। তাঁর জ্বর ও গলা ব্যাথাও ছিল।
বৃহস্পতিবার ভোরে অসুস্থ ওই নারী মাধবকাঠি গ্রামে নিজ বাড়িতে মারা যান। স্বাস্থ্য বিভাগ করোনা পরীক্ষার জন্য ওই নারীর পরিবারের ৪ জন এবং আশপাশের আরও দুজনের নমুনা সংগ্রহ করেছে।
কচুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুজিৎ দেবনাথ বলেন, মারা যাওয়া ওই নারী দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন রোগে ভূগছিলেন। যেহেতু জ্বর, গলা ব্যাথা ছিল আমরা সতর্কতার সাথে দাফন সম্পন্ন করেছি। নিহতের বাড়িসহ আশপাশের ১৮টি বাড়ির লোকদের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হয়েছে।
পশুর নদী থেকে অজ্ঞাত ১ জনের হাত-পা বাধা অবস্থায় লাশ উদ্ধার
বাগেরহাট :: বাগেরহাটের মংলার সাইলো এলাকা সংলগ্ন পশুর নদীর থেকে অজ্ঞাত ১ জনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার হাত-পা বাধা ও গলায় পাথর ঝুলানো অবস্থায় একটি মরাদেহ জেরেদের জালে বাধে। জেরেরা এসময় পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে।
চিলা ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশ রঞ্জন কুমার জানান, জেলেরা লাশটি পেয়ে আমাদের জানায় । আমরা পুলিশকে খবর দিলে নৌ পুলিশ এসে লাশটি উদ্ধার করে নিয়ে যায় । কয়েকদিন পানিতে থাকায় লাশটি গলতে শুরু করেছে ।
মংলা নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল হোসেন শরিফ জানান, বৃহস্পতিবার স্থানীয় জেলেরা অজ্ঞাতনামা ৪৫ বছর বয়স্ক একজন লোকের হাত-পা বাধা অবস্থায় পশুর নদীতে দেখতে পায়। পরে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে মংলা থানায় আনা হয়। মরদেহটি ময়না তদন্তের জন্য বাগেরহাট মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ধারনা করা হচ্ছে কেউ মেরে হাত-পা বেধে নদীতে ফেলে দিয়েছে। তবে এব্যাপারে থানায় একটি সাধারন ডায়রী করা হয়েছে।
ঢাকা থেকে কচুয়ায় এক যুবক করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত
বাগেরহাট :: বাগেরহাটের কচুয়ায় ঢাকা থেকে আসা আইসোলেশনে ভর্তি হওয়া ২৭ বছর বয়সী এক যুবকের শরীরে করোনা ভাইরাস সনাক্ত হয়েছে। বুধবার খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ল্যাবে পরীক্ষায় তার শরীরে করোনা ভাইরাস সনাক্ত হয়। আইসোলেশন ওয়ার্ডে রেখে তাকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। বুধবার রাতে ওই বাড়িসহ আশেপাশের সাতটি বাড়ি অবরুদ্ধ করে লাল পতাকা টাঙিয়ে দিয়েছে প্রশাসন। ওই বাড়ির দুই সদস্যসহ আটজনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হবে।
আক্রান্ত যুবকের বাড়ি কচুয়া উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামে। তিনি পেশায় গাড়ি চালক।
কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিকেল অফিসার মনিশংকর পাইক বলেন, ঢাকা থেকে আসা ওই যুবক গত ৮ মে হগাসপাতালে আসেন। করোনা ভাইরাসের উপসর্গ থাকায় তাকে আমরা হাসপাতালের আইসোলেশনে ভর্তি করি। পরদিন তার নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবে পরীক্ষার জন্য পাঠালে ১২ মে নেগেটিভ আসে। পরীক্ষা নিয়ে আমাদের সন্দেহ থাকায় আমরা ওইদিন আবারও তার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠাই। বুধবার রাতে তার শরীরে করোনা ভাইরাস সনাক্ত হয়। রাতে ওই বাড়িসহ আশেপাশের সাতটি বাড়ি অবরুদ্ধ করে লাল পতাকা টাঙিয়ে দিয়েছে প্রশাসন। আইসোলেশন ওয়ার্ডে রেখে তাকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। ওই বাড়ির দুই সদস্যসহ আটজনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হবে।