রবিবার ● ১৭ মে ২০২০
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » ভেজাল ঘি’র বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রেখেছে হাটহাজারী উপজেলা প্রশাসন
ভেজাল ঘি’র বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রেখেছে হাটহাজারী উপজেলা প্রশাসন
সুমন পল্লব, চট্টগ্রাম :: চট্টগ্রামে হাটহাজারীতে বিভিন্ন কেমিক্যাল ও রং মিশ্রিত করে ভেজাল ঘি তৈরি করছে কিছু অসাধু ব্যাক্তি এবং বেশী মুনাফা লাভে এই ঘি বিক্রি করছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী।এই ভেজার ঘি’র বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত অভিযান অব্যাহত রেখেছে উপজেলা প্রশাসন।
শনিবার (১৬ মে) সকালে বিভিন্ন দোকানে অভিযান পরিচালনা করেন হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো: রুহুল আমিন।
উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক জানা যায়,পামওয়েল এর সাথে রং এবং কয়েকটি কেমিক্যাল দিয়ে ৭/৮ ব্রান্ডের ঘি তৈরি করছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। তারা আমাদের গাড়ির প্রতি চোখ রাখেন। রাস্তায় দুইজন সার্বক্ষণিক পাহারায় থাকেন। যখনই ইউএনওর গাড়ি আসবে তারা তালা দিয়ে পালিয়ে যান। প্রতিবারই তালা ভেঙে কারখানায় ঢুকতে হয়েছে।
মুদির দোকানদার শতভাগ নিশ্চিত যে এটা ঘি না, এটা পামওয়েল এর সাথে নানান কেমিক্যাল দিয়ে মেশানো একটি কেমিক্যাল। এই ঘি বিক্রি করলে তাদের দোকান থেকে অন্যান্য পণ্য বিক্রি হবে, তাই তারা জেনেশুনেই হাটহাজারী বাসীকে বিষ খাওয়াচ্ছেন।
ইউএনও রুহুল আমিন জানান, এখন পর্যন্ত মোট ১৯ টি কারখানা ধ্বংস করা হয়েছে, ভিডিও করে দোকানে দোকানে গিয়ে দেখানোও হয়েছে তবুও মুদির দোকানদাররা অধিক মুনাফার লোভ সামলাতে পারছেন না। আসুন নিজের পরিবারের সদস্যদের যেভাবে ভালবাসি, দেশের সকল মানুষকেও ঠিক সেভাবে ভালবাসতে চেষ্টা করি। তাহলে এভাবে অন্যের মুখে বিষ তুলে দেয়া বন্ধ হবে।
চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে আধিপত্য বিস্তারে গুলি করে যুবলীগ নেতা খুন
চট্টগ্রাম :: চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলায় দলীয় বিরোধের জেরে গুলিতে মোহাম্মদ নাছের (৪০) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। একই ঘটনায় তার বাবা আলী মদন (৬০) গুলিবিদ্ধ হন। স্থানীয়ভাবে যুবলীগ নেতা হিসেবে পরিচিত নাছের বোয়ালখালী থানার সাতটি মামলার আসামি বলে পুলিশ জানিয়েছে।
গত শুক্রবার গভীর রাতে উপজেলার চরণদ্বীপ ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে খলিল তালুকদার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে শওকত ও জসিম নামের দুজনকে গ্রেফতার করেছে । তাদের কাছ থেকে বেশকিছু অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। তারা দীর্ঘদিন যাবৎ এলাকায় অবৈধ অস্ত্র ব্যবহার করে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে চলছে বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা
জানা গেছে, শুক্রবার রাতে নিহত নাছেরের ছোট ভাই লোকমান ও গ্রেফতার জসিমের মধ্যে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে ঝগড়া শুরু হয়। তখন জসিমের বড় ভাই শওকত এবং লোকমানের বাবা-ভাইয়েরা ঘটনাস্থলে আসেন। তারাও মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে। তখন শওকতের গুলিতে নাছের ও তার বাবা আলী মদন গুলিবিদ্ধ হন।
চমেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়িতে দায়িত্বরত সহকারি উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. আলাউদ্দিন তালুকদার বলেন, রাত ১ টা ৪০ মিনিটে বাবা ও ছেলেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। ছেলেক ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন। বাবা চিকিৎসাধীন আছেন।
বোয়ালখালী থানার ওসি মো. আব্দুল করিম বলেন, দুই পরিবারের মধ্যে আধিপত্যের দ্বন্দ্ব পুরনো। এর জের ধরে ঝগড়া হয় এবং পরে গোলাগুলি হয়েছে এতে একজন নিহত ও আরেকজন আহত হয়েছেন। আমরা দুজনকে আটক করেছি।