বুধবার ● ২০ মে ২০২০
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » রাঙামাটিতে করোনায় আক্রান্ত ৪৩ জনের মধ্যে ১৬ জনই স্বাস্থ্যকর্মী
রাঙামাটিতে করোনায় আক্রান্ত ৪৩ জনের মধ্যে ১৬ জনই স্বাস্থ্যকর্মী
নির্মল বড়ুয়া মিলন :: বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাস গত ৮ মার্চ-২০২০ তারিখে দেশে প্রথম রোগী শনাক্ত হয়।
দেশের সকল জেলায় মহামারী করোনাভাইরাস আক্রান্ত বা শনাক্তের সংবাদ পাওয়া গেলেও রাঙামাটি পার্বত্য জেলা ছিলো প্রায় দুইমাস করোনা মুক্ত।
চলিত মাসের ৬ তারিখে রাঙামাটিতে প্র্রথম চারজনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্তে রিপোর্ট আসে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে।
রাঙামাটি সিভিল সার্জন অফিসের করোনা ফোকাল পার্সন ডা. মোস্তফা কামাল সিএইচটি মিডিয়া টুয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, এ পর্যন্ত রাঙামাটি থেকে ২ মাস ১২ দিনে ৭৮৬ টি নমুনা সংগ্রহ করে বাংলাদেশ ইন্সষ্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল ইনফেকসাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) চট্টগ্রামের ফৌজদারহাট এবং চট্টগ্রাম ভেটেনারি ও এ্যানিমেল সায়েন্স (সিভাসু) করোনা পরিক্ষার জন্য পাঠানো হয়।
রাঙামাটি জেলায় তন্মধ্যে ৫৫১ জনের রিপোর্ট এসেছে। তার মধ্যে ৪৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়। এদের মধ্যে রাঙামাটি সদর হাসপাতালের ২ ডাক্তার, ৭ নার্স, ১ মেডিকেল টেকনোলজিস্ট, ২ অফিস সহায়ক, ১ স্টোর কিপার, ১ এম্বুলেন্সের ড্রাইভার, ১ আয়া, ১ ঝাড়ুদার ও শেভরন ডায়গনষ্টিক সেন্টারের ১জন ডাক্তারসহ ৪৩ জনের রিপোর্টে পজেটিভ হয়।
দেখা গেছে রাঙামাটি ১০ উপজেলায় মধ্যে কেবলমাত্র রাঙামাটি সদর হাসপাতালে কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ মোট ১৬ জন স্বাস্থ্য কর্মী করোনায় আক্রান্ত। স্থানীয়রা রাঙামাটি সদর হাসপাতালকে করোনার হটস্পাট বলে ধারনা করছেন।
এ বিষয়ে করোনা ফোকাল পার্সন ডা. মোস্তফা কামাল সিএইচটি মিডিয়া টুয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, যেহেতু রাঙামাটি সদর হাসপাতালের ষ্টাফরা সবাইকে স্বাস্থ্য সেবা দিয়ে যাচ্ছেন তাদের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশী এছাড়া সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখার ক্ষেত্রে সঠিক দুরত্ব বজায় রাখতে না পারা ও আক্রান্ত হওয়ার অন্যতম কারণ বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি আরো বলেন, আজ ২০ মে বুধবার শহরের চম্পকনগরে আঞ্চলিক জনসংখ্যা প্রশিক্ষণ ইন্সষ্টিটিউট (আরপিটিআই) আইনোলেশন সেন্টারে ৪জন রোগী রাখা হয়েছে। আক্রান্তরা সবাই সুস্থ্য রয়েছে। আজ রাত ১১ টা পর্যন্ত কোন রিপোর্ট আসেনি।