বৃহস্পতিবার ● ২১ মে ২০২০
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » রাঙামাটির জুরাছড়ি দুমদুম্যা ইউপিতে নিরাপদ পানির তীব্র সংকট
রাঙামাটির জুরাছড়ি দুমদুম্যা ইউপিতে নিরাপদ পানির তীব্র সংকট
রপ্তদীপ চাকমা রকি, জুরাছড়ি :: পার্বত্য চট্টগ্রামে অন্যতম দূর্গম এলাকা রাঙামাটি জুরাছড়ি উপজেলার দুমদুম্যা ইউনিয়ন। এটি জুরাছড়ি উপজেলা সদর থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরে অত্যান্ত দূর্গম পাহাড়ি এলাকা। উপজেলার এই ইউনিয়নে সব চেয়ে বেশি জনসংখ্যা বসবাস এবং এ উপজেলার সবচেয়ে বড় ইউনিয়ন। এ ইউনিয়নে প্রায় ১৭ টির বেশি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে।
এসব বিদ্যালয় গুলোতে নেই কোন নিরাপদ পানির সুব্যবস্থা নেই কোন গভীর নলকূপ। তবে ইউনিয়নের বসবাসরত সাধারণ জনগনের নিরাপদ পানির কোন ব্যবস্থা নেই। একমাত্র উপায় হলো কুয়া থেকে বা ছোট ছোট ঝর্না থেকে পানি সংগ্রহ করা হয়।
বিশেষ করে চলিত বর্ষা মৌসমে দূর্গম পাহাড়ি এলাকায় সুপেয় পানির অভাব থাকে।
একটু বৃষ্টি হলেই কুয়ার পানিগুলো অপরিস্কার এবং ঘোলাতে হয় এবং পানিগুলো নিরাপদ নয়। যার কারনে সেখানে শিশুরা বিভিন্ন সময়ে ডাইরিয়া, থাইপয়েদ , জন্ডিস সহ নানা প্রকার পানিবাহিত দুরারোগ্য প্রাদূর্ভাব দেখা দেয় এবং পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হয়। অনেক সময় অনিরাপদ পানি পানের ফলে মানুষের মৃত্যু হয়। এলাকাটি দূর্গম হওয়ায় সেখানে গভীর নলকূপ কম থাকায় পানি সংগ্রহে দূর্বিসহ জীবন যাপন করছে। এখনো পর্যন্ত ঐসব গ্রামগুলোতে সরকারী ভাবে গভীর নলকূপ স্থাপন করা হয়নি। কোন গ্রামেই এমন গভীর নলকূপ দেখা মেলেনি। কয়েকটি পাতকুয়া অনেক দিন আগেই পানি শুকিয়ে অকেজো অবস্থায় পড়ে আছে। সেখানকার মানুষের একমাত্র কষ্টের মূল উৎস ঝর্না থেকে বা কুয়া থেকে পানি সংগ্রহ করা। সেখানে এক একটি গভীর নলকূপ স্থাপনের ক্ষেত্রে কমপক্ষে ২০০-২৫০ ফুট পর্যন্ত গভীরে যেতে হবে। যার এক একটি খরচ পড়বে ২-৩ লক্ষ টাকা। কারন সেখানে খরচ বেশি লাগে এই কারণে রাঙামাটি জেলা শহর থেকে বোট যোগে প্রায় দুই থেকে তিন দিন লাগে। যা বরকল উপজেলার ঠেগামুখ হয়ে যেতে হয় ভারত এবং বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী নদী পথে।
এসব মালামাল পরিবহনের ক্ষেত্রে স্থানীয় ইউপি মেম্বার চেয়ারম্যানদের সহযোগিতায় অবশ্যই পৌছিয়ে দেওয়া সম্ভব।
এক বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, ইউনিয়নের বগাখালী গ্রামে একটি গভীর নলকূপ স্থাপন করা হবে।
দুমদুম্যা ইউনিয়নের বিদ্যালয় গুলোতে জরুরী ভাবে সুপেয় পানির জন্য গভীর নলকূপ স্থাপন করা প্রয়োজন।