শুক্রবার ● ২২ মে ২০২০
প্রথম পাতা » ঢাকা » সুন্দরবনসহ প্রাণ, প্রকৃতি, জীববৈচিত্র্য বিনাশী সকল আত্মঘাতি তৎপরতা অবিলম্বে বন্ধ করুন : বিপ্লবী কৃষক সংহতি
সুন্দরবনসহ প্রাণ, প্রকৃতি, জীববৈচিত্র্য বিনাশী সকল আত্মঘাতি তৎপরতা অবিলম্বে বন্ধ করুন : বিপ্লবী কৃষক সংহতি
ঢাকা :: খেতমজুর ইউনিয়নের সভাপতি সাইফুল হক, সাধারণ সম্পাদক আকবর খান ও বিপ্লবী কৃষক সংহতির সভাপতি আনছার আলী দুলাল ও শাহাদাৎ হোসেন শান্ত এবং আবু লাহাব লাইসউদ্দীন আজ এক যুক্ত বিবৃতিতে ঘূর্ণীঝড় আম্পান ও জলোচ্ছ্বাসে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের দুর্গত ও নিঃস্ব কৃষক ও গ্রামীণ শ্রমজীবীদের অনতিবিলম্বে উপযুক্ত ত্রাণ সহযোগিতা, নগদ অর্থ প্রদান ও পুনর্বাসনের জন্য জরুরী ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তারা এই ব্যাপারে ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয় ও কৃষি মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহকে সর্বাত্মক উদ্যোগ নেবার দাবি জানিয়েছেন। তারা উল্লেখ করেন এই ঘূর্ণীঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের তা-বে দেশের ২৬টি জেলার কয়েক লক্ষ কৃষক পরিবার, মৎস্য খামারী ও গ্রামীণ নানা পেশার ন্যূনতম এক কোটি কোন না কোনভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। জলোচ্ছ্বাসে কয়েক লক্ষ একর ফসলের জমি, কয়েক হাজার মৎস্য খামার বিনষ্ট হয়েছে; ঘর-বাড়ি বিধ্বস্ত হয়ে চরম বিপদে পড়েছে; হাজার হাজার পরিবার। ঝড় আর জলোচ্ছ্বাসে অসংখ্য বাঁধ ভেঙে লবন পানি ঢুকে পরবর্তী আবাদও এখন হুমকীর মধ্যে পড়েছে।
তারা বলেন, সিডর, আইলা, বুলবুল, ফনির মত এখনও উপকুলীয় অঞ্চলের মানুষ পুরোপুরি কাটিয়ে উঠতে পারেনি। আর এর মধ্যে ঘূর্ণীঝড় আম্পানের আঘাত উপদ্রুত জেলাসমূহের লক্ষ লক্ষ পরিবারকে আরো বিপদগ্রস্ত করেছে।
যুক্ত বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ উল্লেখ করেন, এবার সুন্দরবন মায়ের মত করে ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে লক্ষ লক্ষ মানুষের জানমাল রক্ষা করেছে। সুন্দরবন এই ঝড়-জলোচ্ছ্বাসকে অনেকখানি দুর্বল করে দিয়েছে। তা না হলে আরো মারাত্মক ধ্বংসযজ্ঞ দেখতে হত।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, করোনা দুর্যোগকালীন এই ঝড় জলোচ্ছ্বাস ‘মরার উপর খাড়ার ঘা’ এর মত। তারা এই পরিস্থিতি থেকে উদ্ধার পেতে জরুরী ও আশু পদক্ষেপের পাশাপাশি মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদী নীতি- কৌশল গ্রহণেরও আহ্বান জানান। তারা প্রাণ-প্রকৃতি-জীব বৈচিত্র্য বিনাশী ও সুন্দরবন ধ্বংসকারী যাবতীয় তৎপরতা থেকে সরে আসার জন্যও সরকারের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান।