শুক্রবার ● ২২ মে ২০২০
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » প্রকৌশলীর ৫% ঘুষ দাবিতে তর্ক-বিতর্কে পিটানির পরে মামলায় কারাগারে ইউপি চেয়ারম্যান
প্রকৌশলীর ৫% ঘুষ দাবিতে তর্ক-বিতর্কে পিটানির পরে মামলায় কারাগারে ইউপি চেয়ারম্যান
জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার সকল ইউনিয়ন পরিষদের নাগরিক সেবা দেওয়া বন্ধ ঘোষণা করেছেন ইউপি চেয়ারম্যানবৃন্দ। আজ শুক্রবার বিকেলে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন চেয়ারম্যানবৃন্দ। সংবাদ সম্মেলন থেকে জানানো হয়, হরিনাকুন্ডুর ফলসী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ঠিকাদার ফজলুর রহমান উপজেলার মাঠ আন্দুলিয়া গ্রামে সরকারী প্রাথমিক দ্যিালয়ের নতুন ভবনের নির্মান করছেন। গত ১৮ মে ওই কাজের বিল নিয়ে উপজেলা প্রকৌশলীর কাছে যান। এসময় প্রকৌশলী ৫% উৎকোচ দাবি করলে তাদের মাঝে তর্ক-বিতর্ক হয়। সেখান থেকে চেয়ারম্যান ফিরে এলেও উপজেলা প্রকৌশলী রওশন হাবিব ঘুষের বিষয়টি গোপন করতে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মারধর করার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করে। মামলা দায়েরের পর পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। বর্তমানে চেয়ারম্যান কারাগারে আছেন। তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা ও উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী রওশন হাবিবকে প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত উপজেলার ৮ টি ইউনিয়ন পরিষদের নাগরিক সেবা দেওয়া বন্ধ থাকবে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, হরিনাকুন্ডু উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর হোসাইন, রঘুনাথপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রাকিবুল হাসান রাসেল, জোড়াদাহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নাজমুল হাসান পলাশ, ভায়না ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ছমির উদ্দীন,তাহেরহুদা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুনজুরুল আলম, কাপাশহাটীয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শরাফত দৌলা ঝন্টু, চাদঁপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. গোলাম মোস্তফা ও দৌলতপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী।
এ ব্যাপারে হরিণাক্ন্ডুু উপজেলা প্রকৌশলী রওশন হাবিবের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এ ধরনের সিন্ধান্তে ভোগন্তিতে পড়বে উপজেলা ও ৮ টি ইউনিয়নের বাসিন্দারা। এ জন্য সিন্ধান্ত পাল্টানোর পরামর্শ জেলার সচেন মহলের।
মানুষের মাঝে শহীদ মমিন স্মৃতি সংঘের ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহে করোনার প্রভাবে বিপাকে পড়া ২ শতাধিক অসহায়, হতদরিদ্র ও নিন্ম আয়ের মানুষের মাঝে ত্রান সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে সদর উপজেলার বেড়াদি গ্রামে শহীদ মমিন স্মৃতি সংঘের পক্ষ থেকে এ খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়। সেসময় সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে আগতদের হাতে খাদ্যসামগ্রী তুলে দেওয়া হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন সিও সংস্থার নির্বাহী পরিচালক সামসুল আলম, ঝিনাইদহ এনএসআই’র এডি সিরাজ উদ্দিন, শহীদ মমিন স্মৃতি সংঘের সভাপতি সাংবাদিক জহুরুল ইসলাম জহির। চাল, ডাল, আলু, তেল, সাবান, চিনি, সেমাইসহ খাদ্যসামগ্রী পেয়ে খুশি হতদরিদ্র মানুষগুলো।
ঘুর্নিঝড় আম্ফানের ৮০ ভাগ এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন : ইন্টারনেট সেবা দুর্বল
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহে ঘুর্নিঝড় আম্ফানের দু’দিন পরও জেলায় ৮০ ভাগ এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। আবার ইন্টারনেটের গতিও হয়ে পড়েছে দুর্বল ! জেলা শহরের কিছু এলাকায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু হলেও উপজেলা ও গ্রামাঞ্চল অন্ধকারে রয়েছে। এতে করে ব্যাপক ভোগান্তি বেড়েছে জেলাবাসির। বিদ্যুৎ না থাকায় বন্ধ রয়েছে মোবাইল ফোন। চার্জ দিতে না পারায় মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় একে অন্যের সাথে যোগাযোগ করতে পারছে না। নষ্ট হচ্ছে ফ্রীজে রাখা খাবার। বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, ঝড়ের তান্ডবে পল্লী বিদ্যুতের প্রায় দু’শো পোল ভেঙ্গে পড়েছে। পিডিবি’র ৩০টি পিলার ভেঙ্গে পড়েছে। এছাড়াও তার ছিড়ে সঞ্চালন লাইন গুলো বন্ধ হয়ে গেছে। ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার রুহুল আমিন বলেন, গত বুধবার থেকে এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। বিদ্যুতের তার ছিড়ে গেছে। আজ ২ দিন পার হয়ে গেল বিদ্যুৎ অফিসের কোন লোকজন খোঁজ নিতে এলেন না। আর ক’দিন লাগবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে তা তো বলা যাচ্ছে না। শৈলকুপা উপজেলার ফুলহরি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জামিনুর রহমান বিপুল বলেন, ঝড়ের পর থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। অনেক স্থানে গাছ পড়ে তার ছিড়ে গেছে। লাইন স্বাভাবিক করতে সময় লাগবে। এক্ষেত্রে বিদ্যুৎ অফিসের লোক সংকট হলে বিভিন্ন এলাকা থেকে অস্থায়ী লোক নিয়োগ করে দ্রুত লাইন মেরামত করার পরামর্শ তার। ঝিনাইদহ পল্লী বিদ্যুতের জি এম ইসাহাক আলি জানান, এখন পর্যন্ত ৩০ ভাগ বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়েছে। লাইন মেরামতের কাজ চলছে। আশা করি দ্রুতই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী লিঃ এর নির্বাহী প্রকৌশলী পরিতোষ চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, ঝিনাইদহ শহর এবং কালীগঞ্জ ও কোটচাঁদপুর শহরে বিদ্যুৎ চালু করা হয়েছে। শৈলকুপা ও মহেশপুর শহরে চালু করা যায়নি, কাজ চলছে।