শনিবার ● ২৩ মে ২০২০
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » বাগেরহাটে শিশুসহ পাঁচজন করোনায় আক্রান্ত
বাগেরহাটে শিশুসহ পাঁচজন করোনায় আক্রান্ত
শেখ সাইফুল ইসলাম কবির,বাগেরহাট প্রতিনিধি :: বাগেরহাটে এক শিশুসহ পাঁচজনের শরীরে করোনা ভাইরাস সনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে একজনকে আইসোলেশনে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। বাকিদের বাড়িতে রেখে চিকিৎসা দেয়া হবে। একদিনে বাগেরহাটে এটাই সর্বোচ্চ। শুক্রবার রাতে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ল্যাবে নমুনা পরীক্ষায় ভাইরাস সনাক্ত হওয়ার পর বাগেরহাটের স্বাস্থ্য বিভাগকে জানানো হয়। আক্রান্ত এলাকার মানুষদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা দিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করেছে প্রশাসন।
এই নিয়ে বাগেরহাটে মোট ১৯ জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ সনাক্ত হল। করোনায় আক্রান্তরা সবাই সুস্থ্য স্বাভাবিক রয়েছেন।
এই জেলায় এখন পর্যন্ত যাদের শরীরে করোনা ভাইরাস সংক্রমিত হয়েছে তারা সবাই জেলার বাইরে থেকে সম্প্রতি বাড়িতে ফিরেছেন।
বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. কে এম হুমায়ুন কবির বলেন, বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার সিংগাঁতি গ্রামের স্বামী স্ত্রী ও একই উপজেলার ধনপোতা গ্রামের বাবা মেয়ে (শিশু) এবং বাগেরহাট সদর উপজেলার রাংদিয়া চাঁপাতলা গ্রামের এক ব্যক্তির শরীরে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ সনাক্ত হয়েছে। ফকিরহাটের আক্রান্তরা গত ১৭ মে ঢাকা থেকে নিজ বাড়িতে ফেরেন। স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে স্বাস্থ্য বিভাগ এদের বাড়িতে যায়। এদের শরীরে করোনা ভাইরাসের কোন উপসর্গ না থাকলেও জেলার বাইরে থেকে আসার কারনে স্বাস্থ্য বিভাগ সংক্রমণ সন্দেহে গত ১৯ মে তাদের শরীরের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠায়। অন্যদিকে বাগেরহাট সদর উপজেলার রাংদিয়া চাঁপাতলা গ্রামের এক ব্যক্তি ১৪ দিন আগে ঢাকা থেকে নিজ বাড়িতে ফেরেন। ওই সময় থেকে তিনি বাড়িতে হোম কোয়ারেন্টিনে ছিলেন। দুই দিন আগে তার শরীরে করোনা ভাইরাসের উপসর্গ দেখা দিলে তিনি বাগেরহাট সদর হাসপাতালে আসেন। তখন এই ব্যক্তিকে হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করে তার শরীরের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়। খুলনার ল্যাবে পরীক্ষায় দুটি উপজেলার শিশু, এক দম্পতিসহ মোট পাঁচজনের শরীরে করোনা ভাইরাস সনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তদের সবাই সম্প্রতি জেলার বাইরে থেকে ফেরা। একজন বাদের সবাইকে বাড়িতে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। আক্রান্তদের বাড়ির এলাকায় অন্যরা যাতে সুরক্ষিত থাকতে পারে সেজন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে আক্রান্ত এলাকায় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এই নিয়ে বাগেরহাটের ফকিরহাট, শরণখোলা, কচুয়া, বাগেরহাট সদর ও চিতলমারী উপজেলায় মোট ১৯ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলেন। এদের সবাই সুস্থ স্বাভাবিক আছেন।
মহিষ প্রজনন কেন্দ্রের সেড নির্মানের কাজের টেন্ডারে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ
বাগেরহাট :: বাগেরহাটের ফকিরহাটে বাংলাদেশের একমাত্র মহিষ প্রজনন কেন্দ্রের সেড নির্মানের কাজে ও সম্প্রতি দেশের একমাত্র মহিষ প্রজনন কেন্দ্রে (২য় পর্যায়ের প্রকল্পের) ৪০ কোটি টাকার টেন্ডার নিয়েও কোটি টাকার দুর্নীতি ও ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। জানা যায় গত চলতি বছরের ১২,১৫ ও ১৬ ই মার্চ ৩টি নোটিশের মাধ্যমে সর্বমোট ১৩টি কাজে প্রায় ৪০ কোটি টাকার টেন্ডার আহ্বান করেন উক্ত প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মোঃ রফিকুল ইসলাম।
তথ্য ও প্রমানের ভিত্তিতে জানা যায়, প্রতিটি কাজ থেকে ৫ থেকে ১০ % টাকা গ্রহন করেন বিভিন্ন ঠিকাদারের নিকট থেকে। কেননা রেড কোড ক্রয় বিক্রয়ের ফলে অসাধু গুটি কয়েক ঠিকাদার টাকার বিনিময়ে এগিয়ে যায় অনেকটা। তবে মুল্যায়নের আগে প্রকল্প পরিচালক মোঃ রফিকুল ইসলাম অসুস্থ হয়ে মৃত্যু বরণ করেন গত সপ্তাহে।
জানা যায়, নতুন দায়িত্ব পাওয়া কর্মকর্তারা আবারো সেই টেন্ডার নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন বানিজ্য। একটি মহল নতুন করে আবারো শুরু করেছে দেন দরবার । এদিকে সঙ্কা থেকে যাচ্ছে এ কাজের ভবিষ্যৎ নিয়ে। আদৌ কি বাস্তবায়িত হবে এই কাজটি,নাকি এভাবেই নাটকীয় ভাবে কাজ চলবে হরহামেশাই,নাকি আগের টেন্ডার গুলোর মতই হবে এই টেন্ডার। অনুসন্ধানে জানা যায়,গত ১বছর আগে একই প্রকল্পে প্রায় ২কোটি টাকার খাবারের টেন্ডার দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ঠিকাদার এই খামারে এখনও একটি টাকারও খাবার দিতে পারেনি বলে জানা যায়। ৬মাস আগে দেশের একমাত্র মহিষ প্রজনন খামারে ১০ কোটি টাকার মহিষ কেনার টেন্ডার দেওয়া হয়েছিল । এখনও পর্যন্ত ঠিকাদার একটি মহিষও খামারে দিতে পারেনি। খামার কর্তৃপক্ষ সেড নির্মানের টেন্ডার দিলেও সেড যেখানে নির্মাণ করবেন সেই জায়গা এখনও অধিগ্রহণ হয়নি। এমতাবস্থায় ভোগান্তিতে পড়ছেন সাধারণ ঠিকাদাররা।
একাধিক ঠিকাদার অভিযোগ করে বলেন, তাদের দাবী শতভাগ সচ্ছতার সহিত দেশের একমাত্র মহিষ প্রজনন খামারের সকল টেন্ডার দেওয়া হোক। অন্যথায় এসকল দূর্নীতিগ্রস্থ কর্মকর্তাদের অনতিবিলম্বে বহিষ্কার করে ভাল কর্মকর্তাদের দায়িত্ব প্রদান করে এই খামারকে রক্ষা করা। এভাবেই যদি চলতে থাকে তবে দেশের এক মাত্র মহিষ প্রজনন খামারটি ধ্বংষ হয়ে যাবে অচিরেই। সাধারণ ঠিকাদাররা দাবী করে বলেন,অনতিবিলম্বে এই সেড নির্মান কাজের টেন্ডার বাতিল করে স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় রি-টেন্ডার করে সকল সাধারণ ঠিকাদারদের রক্ষা করার আহবান জানান।
এব্যাপারে মহিষ উন্নয়ন খামারের মহাপরিচালক আব্দুল জব্বার শিকদারের সাথে এই নাম্বারটিতে ০১৭১১২৬২৭৭৩ যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।
বাগেরহাটে বেতাগা বাজার সহ ২০টি বাড়ি লকডাউন
বাগেরহাট :: বাগেরহাটের ফকিরহাটে এ পর্যন্ত মোট ১০৯জনের নমূনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তার মধ্যে ৮৬জনের নমুনা পরীক্ষার ফলাফল এসেছে। এদের মধ্যে ৫জন পজেটিভ ও ৮১জন নেগেটিভ হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ২৩জনের পরীক্ষার ফলাফল এখনও আসেনি।
আক্রান্তরা হলেন নলধা-মৌভোগ ইউনিয়নের মৌভোগ গ্রামের একজন, ফকিরহাট সদর ইউনিয়নের সিংগাতী গ্রামের দুইজন ও বেতাগা ইউনিয়নের ধনপোতা এলাকার দুইজন। যারা সাম্প্রতিক সময়ে কর্মস্থল ঢাকা ও চট্রগ্রাম থেকে নিজ বাড়িতে এসেছেন। তাদের মধ্যে একজন মহিলা, একজন শিশু কন্যা ও তিন জন পুরুষও রয়েছেন। বর্তমানে ফকিরহাটে হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে ৫২জন। যারা ইতিমধ্যে বিভিন্ন স্থান থেকে এখানে এসেছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ অসিম কুমার সমাদ্দার।
এদিকে ফকিরহাটে ৫জন করোনা আক্রান্তের ফলে ফকিরহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ শাহানাজ পারভীন তিনটি এলাকার মোট ২০টি বাড়ি লকডাউন করেছেন। যেসব এলাকায় লকডাউন করা হয়েছে তার মধ্যে মৌভোগ ৬টি বাড়ি, সিংগাতি ৭টি বাড়ি ও ধনপোতা ৭টি বাড়ি। অপরদিকে, করোনা প্রতিরোধে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান স্বপন দাশের হস্তক্ষেপে বেতাগা বাজার সহ বেশ কয়েকটি এলাকা ৩০মে পর্যন্ত লকডাউন করেছেন বলে বিশ^স্ত্র সুত্রে জানা গেছে।
সাংবাদিক ও পুলিশের মাঝে পিপিই মাস্ক বিতরণ
বাগেরহাট :: বাগেরহাটেরচুলকাঠিতে কর্মরত সাংবাদিক ও পুলিশ সদস্যদের মাঝে ব্যক্তিগত সুরা সামগ্রী বিতরণ করেছে বাগেরহাট জেলা আওয়ামী মৎস্যজীবীলীগ। শনিবার দুপুরে চুলকাটি প্রেসকাব মিলনায়াতনে স্থানীয় সাংবাদিকদের মাঝে ব্যক্তিগত সুরা সামগ্রী হিসাবে পিপিই এবং মাস্ক বিতরণ করা হয়েছে। এ সময় পৃথকভাবে চুলকাটি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সদস্যদের মাঝে পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে গিয়ে পিপিই ও মাস্ক বিতরনের মধ্য দিয়ে বাগেরহাটে জরুরি সেবায় নিয়োাজিত জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ ও সাংবাদিকদের মাঝে ব্যক্তিগত সুরা সামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন বাগেরহাট জেলা আওয়ামী মৎস্যজীবীলীগের সভাপতি খানপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শেখ আব্দুস সবুর।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চুলকাটি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের আইসি ইন্সপেক্টর অসিত কুমার রায়. জেলা মৎস্যজীবী লীগের সহ-সভাপতি মোঃ আফজাল ফকির সদর উপজেলা মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি জাকির হোসেন চুলকাটি প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি মিজানুর রহমান, সভাপতি মিজানুর রহমান মিঠু ,সাবেক সাধারন সম্পাদক সেকেন্দার আলী মোড়ল, সাংবাদিক মাহফুজুর রহমান. স্থানীয় কর্মরত সাংবাদিক শেখ আনিসুর রহমান. মোঃ আসাদুজ্জামান শেখ।
জেলা আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি শেখ আব্দুস সবুর জানান মৎস্যজীবী লীগের প থেকে বাগেরহাটে জরুরি সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তিদের ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ সহ পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলে বাগেরহাট জেলার ছয় শত দুস্থ পরিবার কে নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করছে জেলা আওয়ামী মৎস্যজীবী মৎস্যজীবী লীগ। তিনি আরো বলেন. বিশ্ব করোনাভাইরাস প্রভাবে দেশের চলমান সংকট উত্তরণে প্রত্যেক ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে স্ব স্ব অবস্থান থেকে মানবিক সহায়তার হাত বাড়ানোর আহ্বান জানান।