বৃহস্পতিবার ● ২৮ মে ২০২০
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » আম্ফানের তান্ডবে কয়েক’শ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি : ৫হাজার পরিবার গৃহহীন, সরকারি সাহায্য পৌছায়নি, স্বাভাবিক হয়নি বিদ্যুৎ সরবরাহ
আম্ফানের তান্ডবে কয়েক’শ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি : ৫হাজার পরিবার গৃহহীন, সরকারি সাহায্য পৌছায়নি, স্বাভাবিক হয়নি বিদ্যুৎ সরবরাহ
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: দেশের দক্ষিন-পশ্চিমঞ্চল দিয়ে বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের তান্ডবে লন্ডভন্ড মহেশপুর উপজেলা। কয়েক’শ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি, ৫হাজার পরিবার গৃহহীন, সরকারি সাহায্য পৌছায়নি, এক সপ্তাহেও বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়নি। গত ২০ মে দিবাগত রাতে মহেশপুর উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের তান্ডবে গাছ-গাছালি, ঘরবাড়ি ও কৃষি আবাদ লন্ডভন্ড হয়ে যায়। সরকারি হিসাব অনুযায়ী ২৮৬০টি আধা কাঁচা-পাকা ঘরবাড়ি সম্পূর্ণ ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে যায় এবং ৪৩৫৫ টি ঘর আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ হয়। ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ৩০ হেক্টর আউশ বীজতলা প্রায় ১শ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, পাকা এবং কাচা সড়ক মিলে প্রায় ১শ কিলোমিটার। বিদ্যুৎ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ে। মহেশপুর পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম আবু হাসান জানায়, তাদের ১৫০টি বিদ্যুতের খুটি ভেঙ্গে গেছে নিরলস চেষ্টা চালিয়েও গত এক সপ্তাহে এখনও বিদ্যুৎ ব্যবস্থা স্বাভাবিক করা যায়নি। উপজেলা ত্রাণ ও দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মেহেরুননেছা জানায় ক্ষয়ক্ষতির পরিসংখ্যান করে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে এখনও কোন সাহায্য পাওয়া যায়নি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার শ্বাশতী শীল বলেন, গৃহহীনদের তালিকা করে ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক বরারর পাঠানো হয়েছে অনুমোদন পেলে সাহায্য দেওয়া হবে। স্থানীয় এমপি শফিকুল আজম খাঁন চঞ্চল জানান, তিনি ইউনিয়ন পর্যায়ে ক্ষয়ক্ষতি পরিদর্শন করেছেন। তিনি বলেন, কয়েকশ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। গৃহহীনদের বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য জেলা প্রমাসক কে অনুরোধ করেছেন এবং মন্ত্রাণালয়ে তিনি কথাও বলেছেন।
ইউএনও’র সাক্ষর জাল করে টাকা উত্তোলনের চেষ্টা
ঝিনাইদহ :: স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি না হয়েও ঝিনাইদহের শৈলকুপায় সাময়িক বরখাস্তকৃত প্রধান শিক্ষক মোশাররফ হোসেনকে অবৈধভাবে পুনর্বহাল করার অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে এলাকায় সমালোচনার ঝড় উঠেছে। অথচ উক্ত প্রধান শিক্ষক শৈলকুপার ইউএনও মোহাম্মাদ সাইফুল ইসলামের বদলীর সুযোগ নিয়ে তার সাক্ষর জাল করে এক লাখ ১৭ হাজার টাকা তুলে নেওয়ার চেষ্টা করেন। ওই সময় ইউএনও স্কুলটির সভাপতি ছিলেন। প্রশ্ন উঠেছে স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি না হয়েও একজন ইউএনও বরখাস্তকৃত প্রধান শিক্ষককে পুনর্বহাল করতে পারেন কি না ? তথ্য নিয়ে জানা গেছে, শৈলকুপার ত্রিবেনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোশারফ হোসেন গত ০৫ ফেব্রুয়ারী বিদ্যালয়ের হিসাব থেকে এক লাখ ১৭ হাজার টাকা তুলে নেওয়ার চেষ্টা করেন। তিনি নিজে প্রধান শিক্ষক হিসেবে স্বাক্ষর করেন এবং সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মাদ সাইফুল ইসলামের বদলী আদেশের সুযোগে তার সাক্ষরও জাল করেন। জাল স্বাক্ষরের বিষয়টি সন্দেহ হলে শেখপাড়া সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার গত ১৩ ফেব্রুয়ারী লিখিতভাবে বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবগত করেন। ঘটনার সত্যতা পেয়ে জালিয়াতির দায়ে প্রধান শিক্ষক মোশারফ হোসেনকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম সাময়িক বরখাস্ত করেন। প্রধান শিক্ষকের এই জালিয়াতির বিষয়টি শৈলকুপা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শামীম আহম্মেদ খানের তদন্তেও ধরা পড়ে। এদিকে ত্রিবেনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষাবোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত এ্যাডহক কমিটির মেয়াদ গত ১৩ মে শেষ হয়ে গেছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইফুল ইসলাম ১৩ তারিখের পর থেকে ওই স্কুলের আর সভাপতি নেই। অথচ গত ২০ মে সাময়িক বরখাস্তকৃত প্রধান শিক্ষক মোশাররফ হোসেনকে তিনি পুনর্বহাল করেন, যা আইনসিদ্ধ নয়। এ ব্যাপারে শৈলকুপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম বলেন, চেক জালিয়াতির ঘটনায় সাময়িক বরখাস্তকৃত প্রধান শিক্ষকের তদন্ত প্রতিবেদনে সত্যতা মিললেও বিশেষ বিবেচনায় তাকে ক্ষমা করা হয়েছে। সভাপতি না থাকার পরও কোন আইনে তাকে পুনর্বহাল করা হলো এমন প্রশ্নের দিতে তিনি অপারগতা প্রকাশ করেন। এ বিষয়ে যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোল্লা আমির হোসেন বলেন, এ্যাডহক কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর উক্ত বিদ্যালয়ের এ ধরনের কার্যক্রম বিধি সম্মত হয়নি। তবে কেও এমন আইন বহির্ভুত কাজ করলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বাড়ির গেটে কাফনের কাপড়
ঝিনাইদহ :: ঘুম থেকে উঠেই বাড়ির দরজায় একটি প্যাকেট। উৎসুক মন নিয়ে খুলে দেখেন তাতে কাফনের কাপড়, আগরবাতি, গোলাপজল ও কর্পুর রয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার ঝিনাইদহ সদর উপজেলার সাধুহাটী ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর গ্রামে। ওই গ্রামের আমিরুল ইসলাম মোল্লার বাড়ির প্রবেশ মুখে কে বা কারা হুমকী স্বরুপ এ গুলো রেখে যায়। তবে গ্রামবাসি জানায় জমিজাতি নিয়ে দ্বন্দ থাকার কারণে প্রতিপক্ষ আমিরুল ইসলাম মোল্লার ছেলে আনোয়ার মহুরীকে হুমকী দিতেই এই কান্ড ঘটনো হয়। এ বিষয়ে ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি জিডি করা হয়েছে। আনোয়ার মহুরী খবরের সত্যতা স্বীকার করে বৃহস্পতিবার বিকালে জানিয়েছেন, প্রতিপক্ষের সাথে এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ সদর থানায় শালিস বৈঠক চলছে। বংকিরা পুলিশ ক্যাম্পের আইসি আতাউর রহমান জানান, গত মঙ্গলবার কে বা কারা আনোয়ার মহুরীর বাড়ির সামনে কাফনের কাপড় রেখে যায়। জমিজাতি নিয়ে চাচা ভাতিজার দ্বন্দের কারণে এমনটি হতে পারে বলে তিনি মনে করেন।
রক্ষক যখন ভক্ষক : প্রাথমিক বিদ্যালয়ের লক্ষাধিক টাকার গাছ বিক্রি
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার ফতেপুর বেড়েরমাঠ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের লক্ষাধিক টাকার গাছ বিক্রি করে নিলেন ঐ বিদ্যালয়ের সভাপতি। ইউএনও’র নির্দেশে থানায় মামলা করলেও গত ৫দিনেও পুলিশের ভূমিকা রয়েছে রহস্যজনক। এলাকাবাসী ও মহেশপুর প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে প্রকাশ, গত ২২শে মে ফতেপুর বেড়েরমাঠ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা ঝিনাইদহের মহেশপুরে পরিষদের সভাপতি আসাদুল ইসলাম আসাদ ও একই গ্রামের গনি দর্জির ছেলে জামালের নেতৃত্বে লক্ষাধিক টাকার ২টি মেহগুনি গাছ বিক্রি করে নেয়। বিষয়টি বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় এবং উপজেলা শিক্ষা অফিসকে অবহিত করে। এ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক সহকারি শিক্ষা অফিসার আব্দুল খালেক আব্বাসী ২৪শে মে তদন্তপূর্বক উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রহিমা খাতুন বাদি হয়ে মহেশপুর থানায় ঐদিনই একটি এজাহার দায়ের করে। এ বিষয়ে মহেশপুর থানার ওসি মোর্শেদ হোসেন খাঁনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে ইউএনও’র সাথে কথা বলেন। মামলার বিষয়ে তিনি কথা বলতে অপরাগতা প্রকাশ করেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার শ্বাশতী শীল বলেন, গাছ চুরি করে কেটেছে এ বিষয়ে আমরা থানায় অভিযোগ দিয়েছি আইনগত ব্যবস্থা থানা কর্তৃপক্ষ নিবে এটাই নিয়ম। ঝিনাইদহ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিলু বিশ্বাস বলেন, এ বিষয়ে এখনও কেন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি। ফতেপুর ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম সিরাজ ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আলহাজ্ব সাইদুর রহমান বিশ্বাস জানিয়েছেন, তারা সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে দেখেছে গাছ ২টি খাড়া ছিল যার আনুমানিক মূল্য ৭০/৮০ হাজার টাকা। যা বে-আইনীভাবে বিক্রি করা হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। অভিযুক্ত আসাদ জানায়, গ্রামের কিছু লোকজনের অনুরোধে গাছ ২টি কেটেছে তবে কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়নি। এলাকার আক্কাচ আলীর কাছে গাছ ২টি বিক্রি করা হয়েছে। আক্কাচ আলীর ছেলে নিজাম উদ্দিন বলেন তারা গাছ ২টি আসাদ ও জামালের কাছ থেকে খরিদ করেছে। স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব শফিকুল আজম খাঁন চঞ্চল বলেন, সরকারি সম্পদ কেউ আত্মসাৎ করলে আইন তার নিজস্ব গতিতেই চলবে। তার নাম কেউ ভাঙ্গালে প্রশাসনকে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানান। স্থানীয় লোকজন সরকারি সম্পদ রক্ষার্থে আইনগত ব্যবস্থার জোর দাবি জানিয়েছে।
দেবরের হামলায় ভাবি জখম
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামে বাড়ির উপর ঝড়ে পড়া গাছ সরানো নিয়ে ভাবিকে কুপিয়ে জখম করেছে দেবররা। এ ঘটনায় বুধবার সকালে সাহাবুদ্দিন মুন্সী নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ। আটক সাহাবুদ্দিন মুন্সী উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের মৃত ফজলুর রহমানের ছেলে। আহত রোকেয়া খাতুনের স্বামী রুহুল আমিন জানান, আম্পান ঝড়ের রাতে তার বাড়ির উপর একটি গাছ উপড়ে পড়ে। পরের সকালে গেন গাছ সরাতে গিয়ে তার অন্য দুই ভাই সাহাবুদ্দিন, হাফেজ আলী হামলা করে। এ সময় তারা তাকে দা দিয়ে কোপ দিতে যায়। এ সময় তার স্ত্রী বাঁধা দিলে তাকে কুপিয়ে জখম করে। পরে তাকে উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে দুই হাতে ১০টি সেলাই দেওয়া হয়েছে। কালীগঞ্জ থানার ওসি মুহা: মাহফুজুর রহমান মিয়া জানান, এ ঘটনায় একটি অভিযোগ পেয়ে বুধবার সকালে সাহাবুদ্দিন মুন্সী নামে একজনকে আটক করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
কৃষকের ২টি গাভীর মৃত্যু : রক্ষা পেল কৃষক
ঝিনাইদহ :: বিদ্যুৎ স্পৃস্টে ঝিনাইদহ কালীগঞ্জের এক কৃষকের দুটি গাভী মারা গেছে। এ সময় অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পেয়েছে অন্য আরেকটা গাভী ও কৃষক নিজেও। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার বিকেল ৫ টার দিকে উপজেলার সুন্দরপুর দূর্গাপুর ইউনিয়নের ছোট ভাটপাড়া গ্রামের মাঠের মধ্যে। গাভী দুটির আনুমানিক মূল্য প্রায় ২ লক্ষ টাকা। মাঠের মধ্য স্থাপিত বিদ্যুতের পোলের সাপোর্টের জন্য টানা বাধা তার বৃষ্টির পানিতে ডুবে গিয়ে টানাতেও বিদ্যুতে পরিণত হয়। গরু দুটি এ টানার স্পর্শ করা মাত্রই স্পৃস্ট হয়ে মারা যায়। ক্ষতিগ্রস্থ কৃষককে সান্ত¦না দিতে স্থানীয় সাংসদ আনোয়ারুল আজিম আনার, পিডিবি’র কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। গাভী দুটির মালিক হারুন অর রশিদ জানান, তিনি মাঠে গরু চরিয়ে বিকেল ৫ টার দিকে গরু নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। মাঠ থেকে ভাটপাড়া নলডাঙ্গা মাঠের মধ্যের একটি বিদ্যুতের পোলের নিকট উঠলে আগে যাওয়া দুটি গাভি তারের স্পর্শে হঠাৎ ছটফট করে মাটিতে পড়ে যায়। তিনি কোন কিছু বুঝে ওঠার আগেই অন্য গরুটি নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে আসলে গরুর সাথে তিনিও কাঁপতে থাকেন। এরপর গরুটি নিয়ে তাড়াহুড়া করে পেছনের দিকে সরে গিয়ে গরুটির সাথে তিনি রক্ষা পান। তবে আগে যাওয়া গাভী দুটি তার চোখের সামনেই ছটফট করতে করতে মারা যায় বলতে বলতে তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইলিয়াস রহমান মিঠু জানান, ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক হারুন অর রশিদ দরিদ্র কৃষক। একজন কৃষকের গোয়ালের গরু মারা গেলে সান্ত¦না দেয়ার ভাষা থাকে না।
ঝিনাইদহের জনগণের পাশে জেলার জনপ্রতিনিধি মেয়র মিন্টু
ঝিনাইদহ :: কোভিড-১৯ করোনা সারাবিশ্বে এক আতঙ্কের নাম, বিশ্ব নেতৃবৃন্দ এই মরণঘাতী ভাইরাসের বিরুদ্ধে আমরণ লড়াই করে যাচ্ছেন। কোনো কুলকিনারা পাচ্ছেন না তারা । গত ৮ মার্চ ২০২০ইং বাংলাদেশে প্রথম এ ভাইরাস আক্রান্ত রোগীর সন্ধান মিলে। তারই ধারাবাহিকতা হিসেবে বাংলাদেশও করোনার বিস্তার ঘটেছে রাজধানীতে।দিশেহারা হয়ে গেছে রাজধানীসহ ঝিনাইদহ জেলার মানুষ গুলো তখনি মাঠে নেমে দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন ঝিনাইদহের জনগণের পাশে এ জেলার সেরা জনপ্রতিনিধি মেয়র সাইদুল করিম মিন্টু। করোনা কালে সবচেছে বেশি সমালোচিত হয়েছেন জনপ্রতিনিধিরা,তবে সমালোচনার মধ্যেও ঝিনাইদহ পৌর এলাকায় নিবেদিত প্রান,কর্মী হিসাবে দিন-রাত কাজ করেযাচ্ছেন,জনগণের অভাব অনটন দুঃখ দূর্দশা দুর করার জন্য সবকিছু উজাড় করে দিয়েছেন এবং জনগণের ভালবাসায় সিক্ত হয়েছেন ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও পৌর মেয়র আলহাজ সাইদুল করিম মিন্টু। জনপ্রতিনিধি, দলের নেতা কিংবা নির্দলীয় ব্যবসায়ী, বিএনপি নেতা বা এলাকার সংসদ সদস্য করোনা ভাইরাসের এই মহাদুর্যোগের ময়দানে থেকে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে এগিয়ে এ জেলার সেরা জনপ্রতিনিধি মেয়র সাইদুল করিম মিন্টু। করোনা সংকটের শুরু থেকে সাইদুল করিম মিন্টু তার পৌর এলাকা ও হরিণাকুন্ডুর কোন মানুষ যাতে দুঃখ দূর্দশায় না থাকেন,সেই পদক্ষেপ নিয়েছেন তিনি।দফায় দফায় তিনি খাদ্য সামগ্রী বিতরণ এবং তার উদ্যোগে দুঃস্থদের তালিকা তৈরি সহ অসহায় মানুষদের নিয়মিত খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।শুধু দুস্থ নয়,মধ্যবিত্ত ও যারা এখন অভাব অনটনে রয়েছে তাদের কেউ সহযোগিতা করা হয়েছে সাইদুল করিম মিন্টুর উদ্যোগে। মধ্যবিত্তরা কেউ খাদ্য সহায়তা চাইলে গোপনে রাতের আঁধারে খাদ্য পৌঁছে দেন বাড়িতে। করোনা সংকটের শুরু থেকেই অসহায় মানষের সবচেয়ে নিকটতম বন্ধু হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন সাইদুল করিম মিন্টু।তিনি নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী সহ ত্রান সহায়তা অব্যাহত রেখেছেন। ত্রাণ বিতরণ করছেন নিজ হাতে, কখনো রাতে, কখনো দিনে। নিজ হাতে মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ত্রাণ বিতরণ করছেন। করোনা সংকটের সময় তিনি নিজেকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন।মেয়র মিন্টু,তার পৌর এলাকার অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়েছেন।সারাক্ষন ত্রান তৎপরতা অব্যাহত রেখে তিনি পৌরবাসির কষ্ট লাঘবের চেষ্টা করে যাচ্ছেন। মেয়র পৌর এলাকায় যেমন ত্রান তৎপরতা চালাচ্ছেন,তেমনি করোনায় আক্রান্ত মানষদের চিকিৎসা ও খাদ্য সামগ্রী ফল-মুল বাড়িতে বাড়িতে পৌছে দেওয়ার উদ্যোগ প্রশংসা পেয়েছে। ইফতারের পূর্বে গাড়ী নিয়ে বের হন ঝিনাইদহ শহরের বিভিন্ন রাস্তায়, খোজ নেন অসহায় রোজাদার মানুষ গুলোর, হাতে তুলে দেন ইফতার।পবিত্র রমজান মাসে রোজাদারদের মাঝে ইফতারি বিতরণ করে মানবতার উজ্জ্বল দৃস্টান্ত সৃষ্টি করেছেন মেয়র সাইদুল করিম মিন্টু। এছাড়াও কোভিড-১৯ থেকে সুস্থ ৭ জন ডাক্তারকে ক্রেস্ট ও ফুলেল শুভেচ্ছা জানালেন মেয়র সাইদুল করিম মিন্টু। ঝিনাইদহ পৌরসভার মেয়র সাইদুল করিম মিন্টুর সার্বিক সহযোগিতায় ও সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ঝিনাইদহের কেপি বসু সড়কে এবং ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ও ঝিনাইদহ সদর থানা গেইটে এবং হরিণাকুন্ডু উপজেলা গেটে জীবানুনাশক টানেল স্থাপন করা হয়েছে।কাজ পাগল এই মানুষটা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাড়ি বাড়ি পৌছেছেন সাইদুল করিম মিন্টু’র হট লাইন সেবা। ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের গাইনী চিকিৎসক ডাঃ ফাল্গুনি সাহা করোনায় আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ অবস্থায় নিজ বাসায় হোম কোয়ারান্টাইনে রয়েছেন। খাদ্যসামগ্রী নিয়ে ডাক্তার ফাল্গুনিসাহার বাড়িসহ করোনায় আক্রান্তদের দরজায় দরজায় হাজির হলেন মানবতার ফেরিওয়ালা, ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পেীরসভার মেয়র আলহাজ্ব সাইদুল করিম মিন্টু।মেয়র সাইদুল করিম মিন্টু ও জেলার তরুণদের উদ্যোগে গঠিত ‘নবগঙ্গা সংস্কার পরিষদ’ নিজেদের অর্থে প্রতিদিন শহরের ভাসমান মানুষের মঝে রান্না করা খাবার বিতরণ করছে। পৌরসভায় এসে খালি হাতে ফিরে যায় না কেউ।এই মানুষটা কোন লোক দেখানো বা প্রচারের জন্য কিছু করে না।তিনি কাজ করে মানবতার জন্য। তার এসব উদ্যোগ ব্যাপক ভাবে জনগণের কাছে অভিনন্দিত ও প্রশংসিত হয়েছে। মেয়র সাইদুল করিম মিন্টু,অসহায় দুঃস্থ মানুষের মাঝে নিয়মিত খাদ্য সামগ্রী সহায়তা করে তিনি ঝিনাইদহ জেলায় জনবন্ধু নেতা হিসেবে আলোচিত হয়েছেন।দুঃস্থ ও নিন্ম আয়ের মানুষের পাশাপাশি মধ্যবিত্ত মানুষদের খাদ্য সামগ্রী দিয়ে তিনি জেলা বাসির মধ্যে জনবান্ধব পৌর মেয়র হিসেবে নিজেকে আরেকবার প্রমান করেছেন।