শুক্রবার ● ২৯ মে ২০২০
প্রথম পাতা » ঢাকা » লিবিয়ায় ২৬ বাংলাদেশীকে হত্যার ঘটনায় বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির নিন্দা
লিবিয়ায় ২৬ বাংলাদেশীকে হত্যার ঘটনায় বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির নিন্দা
ঢাকা :: বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক আজ এক বিবৃতিতে লিবিয়ায় কথিত মিলিশিয়া কর্তৃক ২৬ জন বাংলাদেশীকে গুলি করে ও আরো ১১ জনকে গুরুতর আহত করার ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা জানিয়েছেন এবং বলেছেন লিবিয়া ও মধপ্রাচ্যের দেশগুলোসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে অভিবাসী বাংলাদেশী শ্রমিকেরা এক চরম নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে দিন পার করছে। করোনা মহামারীতে লক্ষ লক্ষ প্রবাসী বাংলাদেশী শ্রমিকের জীবনে অবর্ণনীয় দুর্দশা নেমে এসেছে। এদের এক বড় বড় অংশের এখন কোন কাজ নেই, খাবার নেই, অনেকের বাস করার মত কোন ব্যবস্থাও নেই। অভিবাসী হাজার হাজার শ্রমিক এখন ফেরারী হয়ে আতঙ্কের মধ্যে বেঁচে আছে। ‘আনডকুমেন্ট’ কাগজপত্রহীন অসংখ্য শ্রমিককে গ্রেফতার করে জেলখানায় রাখা হয়েছে। খাদ্যের দাবিতে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের উপর গুলী বর্ষণসহ নির্যাতন-নিপীড়ন অব্যাহত রয়েছে।
তিনি ক্ষোভের সাথে উল্লেখ করেন অভিবাসী এই শ্রমিকদের দেখভাল ও তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবার ক্ষেত্রে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বাংলাদেশের দূতাবাস ও দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা চরম দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়ে আসছেন। শ্রমিকেরা দূতাবাসে হাজার হাজার অভিযোগ করার পরও দূতাবাসের কোন ভূমিকা দেখা যায় না।
তিনি উল্লেখ করেন, অভিবাসী শ্রমিকদের স্বার্থ ও নিরাপত্তা বিধানে ক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রবাসী ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও দায়িত্বহীন ও অকার্যকরি ভূমিকা পালন করে এসেছে। মাঝে-মধ্যে বিবৃতি প্রদান করা ছাড়া তাদের আর কোন দৃশ্যমান নয়।
তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, দূতাবাসসহ শ্রমিকদের বিদেশে পাঠানোর সাথে যুক্ত প্রতিষ্ঠান ও মানব পাচারকারীদের কারণে এখন কয়েক লক্ষ বাংলাদেশী অভিবাসী শ্রমিকেরা এক ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ের মুখে পতিত হয়েছে।
তিনি অনতিবিলম্বে মানবিক বিপর্যয় এর সম্মুখীন বাংলাদেশী অভিবাসী শ্রমিকদের নিরাপত্তা বিধান, তাদের খাদ্য, চিকিৎসা ও কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা। ফলে আটক শ্রমিকদের মুক্ত করা এবং প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে বাংলাদেশীদের নিরাপদে দেশে ফিরিয়ে আনতে সরকার ও সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি লিবিয়ায় নিহতদের জন্য গভীর শোক জানিয়ে আহতদের উপযুক্ত চিকিৎসা এবং তাদের পরিবারসমূহের পুনর্বাসনেরও দাবি জানিয়েছেন।